
দু’বেলা রাজভোগ খেয়ে,
উঁচু বাসভবনে শৌখিন পাতাবাহারী আবাসে,
অভিজাত কাপড়ে মুড়ে,
বেশ আয়েশে দিনযাপন করতেই পারি।
মাঝে কিন্তুটা কোথায়!
কেন আমি সুখী হয়ে উঠতে পারিনা?
কিসে আমাকে তাড়া করে ফেরে,
কি সেই বেদনাবোধ!
যা আমি নিজের কাছে স্বীকার করতে পারিনা।
সেকি চাহিদার আতিসহ্য?
তা নয়তো কী?
আমি নিজেকে শাসন করতে চাই!
দু’হাতে লাঘামহীন ইচ্ছেকে রুখতে চাই!
আত্মশুদ্ধি আমার প্রতিনিয়ত আরাধ্য।
বাধ সাধে চোখদুটো।
ওরা যেন জলের থৈ বইয়ে আমায় তিরস্কার করে,
যেন বলতে চায় __
তুই পারিসনি,
শুদ্ধিপত্র স্মারক তোর জন্য নয়।
আমি সজোরে চিৎকার করি__
না,আমি পারবো! পারতে আমাকে হবেই।
আমার স্বরহীন চিৎকার সে শুনতে পায়না।
সে ধাবমান খরস্রোতা।
আমার পঞ্চেন্দ্রিয় কার নিয়ন্ত্রণে,
তাকে ক্ষমা করতে চাই,
বিনিময় মূল্য নিরতিশয় আমিত্ব।
সেকি পারবে ফিরিয়ে দিতে?
যদি না-ই পারে,
তবে অবেলায় কেন পিছু টানে!
২৯টি মন্তব্য
আলমগীর সরকার লিটন
আমার আমিত্ব খুব সুন্দর অনুভব প্রকাশ করেছেন কবি আপু
খাদিজাতুল কুবরা
অনেক ধন্যবাদ লিটন দা ভালো থাকুন সবসময়।
সামশুল মাওলা হৃদয়
সুন্দর লিখছেন আপু
খাদিজাতুল কুবরা
পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
আত্মশুদ্ধি আমার প্রতিনিয়ত আরাধ্য। এই আত্বশুদ্ধি আরাধ্য যখন আপনি, চোখ কান, সকল চাহিদাকে পাশ কাটিয়ে আনন্দ, ভালো থাকতে পারবেন বা থাকার চেষ্টা করে যাবেন নিরন্তর তখন আশা করি মহান আল্লাহ আপনাকে শুদ্ধি হওয়ার ইচ্ছে পুরণ হবে, ইনশাল্লাহ।
কবিতায় এই আত্বশুদ্ধি আল্লাহপাক আশা পুরণ করুক। আমিন।
আপু কবিতার মাঝে স্পেস কমাবেন। ভালো লাগবে।
খাদিজাতুল কুবরা
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ মজিবর ভাইয়া।
স্পেস পোস্ট দাতা ঠিক করতে পারে না। ওটা এডমিন করে দেয়।
মোঃ মজিবর রহমান
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
পোষ্ট দেওয়ার পুর্বে ডান পাশে লেখা শব্দে ক্লিক করে স্পেস কমানো বাড়ানো যায়। আপনি দেখবেন ও শিখে যাবেন। ধন্যবাদ পাশে থাকবেন।
তৌহিদ
নিজের আমিত্ববোধ চমৎকারভাবে লেখায় ফুটিয়ে তুলেছেন। ইচ্ছে থাকলেও অনেককিছু আমরা করতে পারিনা। নিজের আমিত্ব বাঁধা পড়েছে শেকলে।
চমৎকার লিখেছেন আপু।
খাদিজাতুল কুবরা
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আসলে মানুষের সহজাত প্রবৃত্তিই হয়তো তাকে সুখী হতে দেয় না। সবথেকে ও কি যেন নেই বোধ বয়ে বেড়ানো সুখের অসুখ মানুষ ছাড়া আর কোন প্রাণীর নেই।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আমি সারানিশি, সারাবেলা আমিত্বকে খুঁজে মরি। চলার বাঁকে বাঁকে কত শত ভুল-ভ্রান্তি থলে ভরে দেয় জানা-অজানায়। যাদের বিবেক আছে তারাই আত্নশুদ্ধিতে আরাধ্য হয়। চমৎকার অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ। একরাশ শুভেচ্ছা ও শুভকামনা। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
খাদিজাতুল কুবরা
হ্যাঁ দিদি একদম আমিত্ব খুঁজে পাওয়া হয়তো দুষ্কর। তবুও অবুঝ মনে হাহাকার।
সুন্দর পঙক্তিতে মন্তব্য পেয়ে অনুপ্রাণিত হলাম।
অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন দিদি ভাই
ফয়জুল মহী
সুন্দর অনুভূতি প্রশংসনীয় লেখা I
খাদিজাতুল কুবরা
অশেষ ধন্যবাদ মহী ভাইয়া
জিসান শা ইকরাম
নিজেকে খোঁজা খুবই কঠিন একটি কাজ,
নিজের শক্তি, সামর্থকে ঘিরে আমাদের কিছুটা দোটানা মনোভাব থাকেই।
অক্ষমতা গুলো আমরা ঠিকই বুঝি,
তারপরেও শিকল ছিড়তে পারিনা না আমরা, পারা হয় না।
কবিতা ভালো লেগেছে।
শুভ কামনা।
খাদিজাতুল কুবরা
নিয়তি পদবী এক নয় বলেই আমিত্ববোধে খোঁড়াখুঁড়ি নিরন্তর,
বিধি বাম হলে বিশ্বচরাচরব্যাপী পায়ে পৃষ্ট তৃণগুল্ম জীবন।
পড়ে থাকে শুধু অযত্ন অনাদর।
আপনার ভালো লেগেছে এটাই আমার প্রাপ্তি।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভালো থাকবেন শুভকামনা রইল
রেজওয়ানা কবির
আমিত্বকে অনেক সময় ইচ্ছে করলেও নিজের মত প্রকাশ করতে পারি না, আমিত্বকে অসাধারণভাবে তুলে ধরেছেন আপু,এভাবেই আপনার মাঝেই থাকুন,ভালো থাকুন।
খাদিজাতুল কুবরা
প্রাণিত হলাম দীপ্তি।
খুব সুন্দর বলেছেন। এ পোড়া দেশে একজন মহিলার জন্য আমিত্ব ধারণ করে বেঁচে থাকা সত্যি কঠিন।
অশেষ ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য
কামরুল ইসলাম
আমিত্বের জাগ্রত হোক,
সুন্দর আত্ম প্রকাশ
খাদিজাতুল কুবরা
আন্তরিক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানবেন
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
আমিত্ব বর্জনীয়।
শুভকামনা রইল সদা
খাদিজাতুল কুবরা
আমিত্ব বর্জনীয় মানে কি বুঝিয়েছেন? আপনার বক্তব্য অস্পষ্ট।
পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
আমিত্ব বলতে আমি বড় আমি বড়।
খাদিজাতুল কুবরা
আমিত্ব মানে আমি বড় নয়।
আমিত্ব মানে নিজ সত্তা।
কবিতায় সবসময় শব্দের শাব্দিক অর্থ ব্যবহার হয়না।
তাই না জেনে মন্তব্য করা উচিৎ নয়।
কান্ত রায়
অনেক সুন্দর লিখেছেন কবি 💜
খাদিজাতুল কুবরা
পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন শুভকামনা রইল
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমি সজোরে চিৎকার করি।
আমিত্বের খোঁজে, হ্যাঁ এমন করেই খুঁজে নিতে হবে পেতে হবে।
শুভ কামনা রইলো।
শুভ সকাল।😍😍
খাদিজাতুল কুবরা
শুভ সকাল বন্ধু!
পড়ে মন্তব্য করার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
আরজু মুক্তা
নিজেকে না বুঝলে, অন্যকে বোঝা সম্ভব নয়।
ছাইরাছ হেলাল
দিনের শেষে ও আয়নার সামনে আমাদের দাঁড়াতেই হয়, নিজেকে বুঝে নিতে।