আমার জীবনের প্রথম স্কুল রাঙামাটিতে। একটা পাহাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। আমার আবছা আবছা মনে আছে জীবনের প্রথম পরীক্ষায় আমি পাশ করতে পারি নাই। খাঁটি বাংলায় যাকে বলে ফেইল করেছিলাম। এরপর অবশ্য অনেক বছর ফেল করিনি। তবে খুব যে ভালো রেজাল্ট করতাম তাও না। টেনে হিচড়ে পার পেয়ে গেছি।
এরপর ক্লাস সেভেন থেকে ভারতেশ্বরী হোমসে ভর্তি হলাম। সেভেন, এইটে কোন রকমে পাশ করলেও ক্লাশ নাইনের প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় অংকে ফেইল করে বসলাম। খুব সম্ভবত সেবার ক্লাশ নাইনের অনেকেই ফেল করেছিল !
যাই হোক অংক প্রশ্ন হাতে পেলেই পরীক্ষার হলে আমার কান গরম হওয়া শুরু হোত, চোখে আবছা দেখতাম আর বহালতবিয়তে আমি নাইন থেকে টেনে অংকে ফেল করে প্রথম বিবেচনায় প্রমোশন পেলাম।
আমার অবস্হার কোন উন্নতি হলোনা টেনের প্রথম সাময়িকেও। টেস্ট পরীক্ষায় যেহেতু পাশ না করলে ssc পরীক্ষা দিতে দেবেনা স্কুল থেকে তাই টেনেটুনে পাশ করলাম অংকে।
তবে আশার কথা ssc তে আমি অংকে আমার আশার থেকেও ভালো মার্কস পেয়েছিলাম। মাত্র তিন মার্কের জন্য লেটার মার্ক জোটেনি কপালে :p
ভালো কথা আমাদের আমলে কিন্তু পাশের হার ৫০% উপরে কখনোই যেতনা।
১৫টি মন্তব্য
কৃন্তনিকা
হুম, সেকাল ও একালের কাহিনীতে ব্যাপক ব্যবধান। এখন পাশ ভুরিভুরি… লাভের খাতা শুন্য…
সবার জীবনেই কিছু ব্যর্থতা থাকে, ব্যর্থতা না থাকলে সে মানুষ নয়, জিন পরী বা ফেরেশতা 🙂
মিসু
এখন ফেইল কে করে, তা খুঁজি আমরা। ‘ ব্যর্থতা না থাকলে সে মানুষ নয়, জিন পরী বা ফেরেশতা ‘ ভালো যুক্তি দিলেন, ধন্যবাদ।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
তখনকার মেট্রিক এখনকার বি এ পাশ আপনার মতই আমার অবস্হা অংক করতে গেলেই মেজাজ চটে যেত ।অকপটে এমন সত্য কয়জনে স্বীকার করে বলেন সোনেলা আমাদের আত্ত্বার আত্মীয় তাইতো এখানে মনে লুকানো কষ্ট কিংবা আনন্দগুলো বলতে মানা নেই।ভাল লাগল আপনার সরলতা…।
মিসু
ব্যার্থতা লুকিয়ে লাভ কি ? এটিও এক ধরনের অলংকার । ধন্যবাদ আপনাকে।
ছাইরাছ হেলাল
‘শিউর’ আপনি নকল করেছেন !
কিছু ব্যর্থতা কালেভদ্রে এদিকে ছুড়ে দিলে মন্দ হয় না।
মিসু
জিনা, নকল করলে বলে দিতাম। সময়ই তো পাচ্ছিনা ছাইরাছ হেলাল ভাই।
সীমান্ত উন্মাদ
হাহা। মজাক পাইলাম। তয় একখান লাইন বুঝলাম নামে ফেইল খাঁটি বাংলা শব্দ কেমনে হল।
সীমান্ত উন্মাদ
হাহা। মজাক পাইলাম। তয় একখান লাইন বুঝলাম নামে ফেইল খাঁটি বাংলা শব্দ কেমনে হল। :p
মিসু
অকৃতকার্য এর চেয়ে ফেইলটা বাংলায় বেশী ব্যবহৃত হচ্ছে এখন। যা সহজ বোধ্য। যেমন চেয়ার।
সাইদ মিলটন
সফলতার গল্প শুনতে ইচ্ছা করে , ব্যর্থতার নাহ
প্রজন্ম ৭১
আমিও অংকে টেনেটুনে মেট্রিক পাস 🙂
সীমান্ত উন্মাদ
আমি বলতে চাইছি সহজ বোধ্যতা আর খাঁটি বাংলা এক বিষয় না। দুঃখিত আমি যদি ভুল বলে থাকি। ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। । আবার শুভকামনা নিরন্তর। @ মিsu
জিসান শা ইকরাম
আমার সমস্যা ছিলো ইংরেজীতে।
SSC তে আমি ৪৪ পেয়েছিলাম, এবং খুবই অবাক হয়েছিলাম এত মার্ক পেয়ে।
ক্লাসের পরীক্ষায় কখনোই ৪০ এর উপরে পাইনি।
ব্লগার সজীব
আমি ইতিহাসে খুব কাঁচা ছিলাম। সন মনে রাখতে পারতাম না, আর মোঘল সম্রাটদের নাম, উলটে পালটে যেতো। আরো পর্বের প্রত্যাশা করি ।
লীলাবতী
আপু আমিও অংকে এমন ছিলাম। পোষ্ট দিয়ে থাকেনা আমাদের মিসু আপু।