জীবনের পরতে পরতে কতোকিছু ঘটে গেলো এবং যাচ্ছে। ভালো-মন্দে, রাগ-অভিমানে, জোড়ে-বেজোড়ে, ভালোবাসা-অবহেলায় একটা জীবন চলতেই থাকে, চলতেই থাকে। ভোরের কুয়াশার ভেতর দিয়ে যখন ছুটি ব্যস্ততার জীবনে, ওরই মধ্যে কতো কতো কথা হয়ে যায় প্রিয়জনদের সাথে। জানা হয়ে যায় কেমন কাটছে সময়। ভালোই লাগে এমন জীবন। কেন এতো কথা? আসলে এ মাসটা আমার খুব প্রিয় একটি মাস। ডিসেম্বর, যেখানে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। নিজেকে পাওয়া মানে ভালোবাসা-স্নেহ-মায়া-মমতা পাওয়া। এ মাসে আমার প্রিয় চারজন মানুষের জন্মদিন। তার মধ্যে একজন হলো আমার নানা জিসান শা ইকরাম। মানুষটিকে ভালোবাসি, আর তাই কিছুতেই পারিনা রাগ করে থাকতে।
নানা,
কেমন আছো তুমি? জানি অনেক ভালো আছো। কিন্তু গভীর রাতে যখন ঘুমাইতে যাও, তখন নিজের মধ্যে অনেক হিসাব-নিকাশ করো। তাই না? কয়েকটা দীর্ঘশ্বাস ধাক্কা খায় ঘরের দেয়ালে। মানুষ জানো নানা সব পায়, কিন্তু শান্তি পায়না। তবে স্বস্তিটুকু পায়। প্রত্যেকের জীবনে একজন মানুষ থাকে, যার কাছে স্বস্তি পাওয়া যায়। আর যে স্বস্তি এনে দেয়, তার কোনো স্বার্থ থাকেনা। তেমন মানুষ যদি পাও, কখনো তার কাছে কিছু গোপন রেখো না। ন্যায়-অন্যায় সব বলতে হয়। সে রাগ করবে, কিন্তু তোমাকে বোঝাবে। দূরে সরে গেলেও কিছুতেই ছেড়ে যাবেনা। আজ তোমার জন্মদিনে কেন এসব বলছি জানো? ভালোবাসি বলে। তোমার ভালোয় অনেক আনন্দ পাই, কোনো কষ্টে পাই যন্ত্রণা। তোমার সম্পর্কে কেউ যদি ভালো বলে, মনটা নেচে ওঠে এই তো আমার নানা। আমার বুইড়া।
মনে আছে বহু বছর আগে একবার বলেছিলে, “নাত্নী আমারে একটা চিঠি দিলিনা।” নেও এই যে তোমার জন্য চিঠি। অনেক সুন্দর কইরা লিখতে পারলাম না। মন খারাপ কইরোনা। অনেক ব্যস্ত আমি। ভাবতেও পারবা না। সারাদিনের দৌঁড়ের পর এসে বাসার সব কাজ, রান্না সেরে এই মাত্র বসলাম। আবার অনেক ভোরে কাজ। কিন্তু মনে হলো কাল তো আমার মরার সময়ও নেই। আগেই দিয়ে দেই তোমায় জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
শুভ জন্মদিন বুইড়া। বড়দিনের আনন্দ আর তোমার জন্ম একই দিনে। এমন পবিত্র দিনে একজন শুদ্ধ মনের মানুষ হয়ে বেঁচে থাকো, সুস্থ থাকো, ভালো থাকো। আই লাভ ইয়্যু। আমার এই ভালোবাসাটাকে যত্ন দিও, জয়ী হবে সবক্ষেত্রে। এই গ্যারান্টি দিলাম।
সেটাই। যতোকিছুই হোক না কেন, এ সম্পর্ক ভাঙ্গবার নয়।
ছবিটি সত্যিকারের। ঢাকার গ্রীনরোডের গ্রীনলাইফ হাসপাতালে তোলা। আমার ঢাকা ভ্রমণ কাহিনীটা পড়লে জানবেন নানা-নাত্নীর দু’বার দেখা হয়েছিলো এবার দেশে গিয়ে। আবার দেশে গেলে দুটো চশমা+একটা শাড়ী পাবো। 😀 \|/
কি মন্তব্য করবো এই লেখায় বুঝতে পারছি না
মন্তব্যের পরিবর্তে এই চিঠির উত্তর দিতে হয়
উত্তর পাওনা রইলো।
সুখে দুঃখে কষ্টে হাসি আনন্দে অভিমানে সাথেই তো আছি পরিচয়ের পর থেকে
শ্রদ্ধা,ভালোবাসা,আস্থা ব্যতীত পাইনি কিছু তোমার মাঝে
শ্নেহ,ভালোবাসা,যত্ন ব্যতীত দেইনি কিছু তোমাকে
রক্ত সম্পর্কহীন অনাত্মীয় হয়েও কখন একান্ত আপন আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি নিজেই জানিনা
একটি লেখায় লিখেছিলে তুমি যে কত বছর পরে ঢাকায় এসে ফোন দিলে আমায়, শুধু হ্যালো বলাতেই চিনে ফেলেছি তোমাকে,এমনটাই থাকবে আমৃত্যু,চেতনা লুপ্ত হবার পুর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত।
তোমার কাছে একজন শুদ্ধ মানুষ হয়েই আছি আমি, এর পরিবর্তন হবে না।
জন্মদিনের আগের দিন এমন উপহার পেয়ে অনেক অনেক ধন্যবাদ নাতনী -{@ -{@
তোর মা এর বাবা বানিয়ে সবার সামনে আমাকে বুড়া না বানালেও পারতি 🙁
সম্পর্ক শুধু মুখে তৈরি খুব সহজ। তাকে যত্ন করে ধরে রাখা অনেক অনেক কঠিন। তোমাদের দুজনের এই সম্পর্ক আমাকে শ্রদ্ধা বোধ এনে দেয়। দুজনেই এটা ধরে রেখো। মান অভিমানে বিশ্বাস অনড় থাকে যেন।
তোমার চিঠি পড়লে আমার ঈর্ষা হয় নীলাপু। এতো আবেগ এনে ফেলো কি করে! কেউ জন্মদিনে এমন চিঠি পেলে খুশি না হয়ে পারে!
শুভ জন্মদিন প্রিয় জিসান ভাইয়া, আর তোমাকেও নীলাপু। আমার জন্য এমন চিঠি কবে লিখবা?
“শুভ জন্মদিন বুইড়া। বড়দিনের আনন্দ আর তোমার জন্ম একই দিনে। এমন পবিত্র দিনে একজন শুদ্ধ মনের মানুষ হয়ে বেঁচে থাকো, সুস্থ থাকো, ভালো থাকো। আই লাভ ইয়্যু। আমার এই ভালোবাসাটাকে যত্ন দিও, জয়ী হবে সবক্ষেত্রে। এই গ্যারান্টি দিলাম।” – (y)
নানা নাতনীর গপসপ, সোনা রুপার কাঠির ঝুনঝুনি। নাহ, এতো প্রানের ছোঁয়া। এতো ভালো চিঠি আমার মেইল বক্সে আসেনা।
আপনার নানার জন্য অনেক বেশী (বুইড়া তো তাই এটকু বেশী দিয়েন) করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা!
৩৪টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
শুভ জন্মদিন জিশান ভাই।
-{@ -{@ -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
মজিবর ভাই নানা এখন কেক খাওয়ানোর ভয়ে পলায়ন করেছে। 😀
মোঃ মজিবর রহমান
না আপু খাওয়াবেই খাওয়াবে।
সোনেলায় সকল কে একসংগে খায়াবে।
নীলাঞ্জনা নীলা
মজিবর ভাইয়া দেখেছেন নানা কিছুই বলছে না?
আবু খায়ের আনিছ
নীলা দি চিঠি এখানা লিখেছ বটে, নানাকে কয়েক লাইনেই অনেক কিছুই বলে দিলে। কি যেন বলে, অনেক কথা যাও বলিয়া কোন কথা না বলিয়া।
নীলাঞ্জনা নীলা
“অনেক কথা যাও যে বলে,
কোনো কথা না বলি।
তোমার ভাষা, বোঝার আশা
দিয়েছি জলাঞ্জলি।” আমার বুড়োর গান। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
যাক, আগাম চালু করে আমাদের কুপোকাত করে দিলেন,
তাড়াহুড়োয় লিখলেও যা তুলে ধরেছেন তাও অনেক,
নানা নাত্নী বলে কথা।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা এই চিরসবুজ মানুষটিকে।
ছবিটি কি ফটোশপ!! তা হলেও দারুণ হয়েছে হাতের কাজ!!!
নীলাঞ্জনা নীলা
সেটাই। যতোকিছুই হোক না কেন, এ সম্পর্ক ভাঙ্গবার নয়।
ছবিটি সত্যিকারের। ঢাকার গ্রীনরোডের গ্রীনলাইফ হাসপাতালে তোলা। আমার ঢাকা ভ্রমণ কাহিনীটা পড়লে জানবেন নানা-নাত্নীর দু’বার দেখা হয়েছিলো এবার দেশে গিয়ে। আবার দেশে গেলে দুটো চশমা+একটা শাড়ী পাবো। 😀 \|/
আমির ইশতিয়াক
শুভ জন্মদিন
নীলাঞ্জনা নীলা
🙂
শুভ মালাকার
“তেমন মানুষ যদি পাও, কখনো তার কাছে কিছু গোপন রেখো না। ন্যায়-অন্যায় সব বলতে হয়। সে রাগ করবে, কিন্তু তোমাকে বোঝাবে। দূরে সরে গেলেও কিছুতেই ছেড়ে যাবেনা।”
অবশ্যই, কখনো ছেড়ে যাবে না এমন মানুষ।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
প্রত্যেকের জীবনেই এমন মানুষ কিন্তু থাকে। 🙂
অরুনি মায়া
আপনার নানার জন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা জানালেন আপু | সঠিক তারিখ টা জানতে পারলে আমিও জানিয়ে দিতাম 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু নানার জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। কেন লেখাতেই তো বলেছি! 🙂
জিসান শা ইকরাম
কি মন্তব্য করবো এই লেখায় বুঝতে পারছি না
মন্তব্যের পরিবর্তে এই চিঠির উত্তর দিতে হয়
উত্তর পাওনা রইলো।
সুখে দুঃখে কষ্টে হাসি আনন্দে অভিমানে সাথেই তো আছি পরিচয়ের পর থেকে
শ্রদ্ধা,ভালোবাসা,আস্থা ব্যতীত পাইনি কিছু তোমার মাঝে
শ্নেহ,ভালোবাসা,যত্ন ব্যতীত দেইনি কিছু তোমাকে
রক্ত সম্পর্কহীন অনাত্মীয় হয়েও কখন একান্ত আপন আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি নিজেই জানিনা
একটি লেখায় লিখেছিলে তুমি যে কত বছর পরে ঢাকায় এসে ফোন দিলে আমায়, শুধু হ্যালো বলাতেই চিনে ফেলেছি তোমাকে,এমনটাই থাকবে আমৃত্যু,চেতনা লুপ্ত হবার পুর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত।
তোমার কাছে একজন শুদ্ধ মানুষ হয়েই আছি আমি, এর পরিবর্তন হবে না।
জন্মদিনের আগের দিন এমন উপহার পেয়ে অনেক অনেক ধন্যবাদ নাতনী -{@ -{@
তোর মা এর বাবা বানিয়ে সবার সামনে আমাকে বুড়া না বানালেও পারতি 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা শুধু আমার কাছে না, তুমি সবার কাছে একজন শুদ্ধ মানুষ হয়ে থেকো।
আর বুইড়া তুমি এমনিতেই। 😀
জিসান শা ইকরাম
ভালো থাকার চেষ্টার কমতি নেই
শুভ কামনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
লক্ষ্মী বুইড়া। 😀 -{@
শুন্য শুন্যালয়
সম্পর্ক শুধু মুখে তৈরি খুব সহজ। তাকে যত্ন করে ধরে রাখা অনেক অনেক কঠিন। তোমাদের দুজনের এই সম্পর্ক আমাকে শ্রদ্ধা বোধ এনে দেয়। দুজনেই এটা ধরে রেখো। মান অভিমানে বিশ্বাস অনড় থাকে যেন।
তোমার চিঠি পড়লে আমার ঈর্ষা হয় নীলাপু। এতো আবেগ এনে ফেলো কি করে! কেউ জন্মদিনে এমন চিঠি পেলে খুশি না হয়ে পারে!
শুভ জন্মদিন প্রিয় জিসান ভাইয়া, আর তোমাকেও নীলাপু। আমার জন্য এমন চিঠি কবে লিখবা?
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু চিঠি আমার খুব প্রিয়। কতো বছর যে চিঠি পাইনা। তোমাকে লিখবো। তারিখটা জানাবে প্লিজ? -{@ (3
শুন্য শুন্যালয়
চিঠি দেবার জন্য তারিখ লাগে বুঝি? 🙂
কতবছর আমিও যে চিঠি পাইনা 🙁 চিঠির গন্ধ, আহ্। পোস্ট অফিসের ব্রাউন খাম টাও যে কি সুন্দর হয় দেখতে।
নীলাঞ্জনা নীলা
শুন্য আপু তোমার জন্মদিনের তারিখের কথা বলছি। দাও না গো। -{@ (3
মেহেরী তাজ
আপু সব শুভেচ্ছা আপনি জানায়ে ফেললে আমরা জানাই কখন! 🙁
পোষ্ট দিয়েছেন সেই কখন আর আমি বোকা এলাম আজ!
শুভ জন্মদিন দাদা! 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
পিচ্চি আপু জন্মদিন তো আজকেই। ঠিক দিনেই এসেছো। 😀
ব্লগার সজীব
শুভ জন্মদিন জিসান ভাইয়া -{@
কত সুন্দর একটি চিঠি দিলেন আপনার নানাকে।নানা নাতনীর আস্থার সম্পর্ককে উপলব্দি করা যায় আপনার লেখায়।এভাবেই থাকুন আজীবন।
আপনাকেও শুভেচ্ছা নীলাদি -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাভু বাইয়া অফুরান ভালোবাসা। -{@
ব্লগার সজীব
🙂 -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাভু বাইয়া অফুরান ভালোবাসা। -{@
অনিকেত নন্দিনী
আমি সবসময়েই পিছনে পড়ে থাকি। 🙁
জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাবার বেলাতেও তাই হলো!
যাই হোক, দেরি যখন হয়ে গেছে তো দেরিতেই সই। জন্মদিন তো আর চলে যায়নি!
শুভ জন্মদিন।
নীলাঞ্জনা নীলা
প্রবাদ আছে কিন্তু নন্দিনীদি। “আগে গেলে বাঘে খায়, পিছে গেলে সোনা পায়।” ছোটবেলায় বলতাম মামনিকে তাহলে আমি পরীক্ষায় লাষ্ট হবো। 😀 :D)
সেই জন্মদিন এখনও আছে। অন্তত হ্যামিল্টনে, এখানে সন্ধ্যে ৬টা। 😀 -{@
মামুন
“শুভ জন্মদিন বুইড়া। বড়দিনের আনন্দ আর তোমার জন্ম একই দিনে। এমন পবিত্র দিনে একজন শুদ্ধ মনের মানুষ হয়ে বেঁচে থাকো, সুস্থ থাকো, ভালো থাকো। আই লাভ ইয়্যু। আমার এই ভালোবাসাটাকে যত্ন দিও, জয়ী হবে সবক্ষেত্রে। এই গ্যারান্টি দিলাম।” – (y)
নীলাঞ্জনা নীলা
😀 🙂
নাসির সারওয়ার
নানা নাতনীর গপসপ, সোনা রুপার কাঠির ঝুনঝুনি। নাহ, এতো প্রানের ছোঁয়া। এতো ভালো চিঠি আমার মেইল বক্সে আসেনা।
আপনার নানার জন্য অনেক বেশী (বুইড়া তো তাই এটকু বেশী দিয়েন) করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা!
নীলাঞ্জনা নীলা
আহারে ভাইয়ু চিঠি আসেনা? আমারও আসেনা। কেউ দেয়না চিঠি। চলুন দুই ভাই-বোনে মিইল্লা কান্দি ;( ;(
বুইড়া মানুষগো বেশী দিয়া লাভ কি? হেরা হইলো বুইড়া। 😀