ধরে নাও আজ বৃষ্টি হলো। আবহাওয়ার সংবাদকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই,
যদিও মেঘের সাথে বৃষ্টিরই দূরত্ত্ব আজন্মকাল—-
মেঘ ঝুলে থাকে আকাশের বুকে, আর বৃষ্টি দাপড়ে বেড়ায় মাটির শরীরে।
তাতে কি? তবুও কিন্তু বৃষ্টি নামে;
অবশ্য সব মেঘই কান্না নয়, হাসিও হয়না
আসলেই কি কন্ট্রাডিক্টরি প্রকৃতিতে!
আচ্ছা মানুষও তো প্রকৃতিজাত, তাই না?
উহু!
তবে?
আরে মানুষের মন এবং মগজে আত্মীকরণ লেপ্টে থাকে। জানোনা বুঝি?
কি জানি! এতো ভাবনা সামাজিক কৌতুহলের কাছেই তোলা থাকুক
কি বলতে চাও, বোঝার মতো অতো মেধা খরচ করা সম্ভব নয় কিংবা সময়ও নেই।
ভাববার কিছু নেই; ভাবনা বাঁধাই থাকে গোয়ালের গরুর মতো।
ধুত্তোর! কি সব যে বলেনা প্রকৃতি!!
এতো বোকা! তুমি বড্ড বোকা!! বৃষ্টি-মেঘ-প্রকৃতি-ভাবনা-মন-মগজ, সব থেকে টুপ করে গোয়ালের গরু?
তোমাকে দিয়ে সবই সম্ভব হে মস্তিষ্ক, কথা কিংবা অযথা অক্ষর ব্যয় তুমি-ই পারো।
হ্যামিল্টন, কানাডা
৭ ডিসেম্বর, ২০১৫ ইং।
২৬টি মন্তব্য
ফ্রাঙ্কেনেস্টাইন
অদ্ভুত সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন :c
পারেন কিভাবে ? 😮
নীলাঞ্জনা নীলা
সময়টাকে দু’ভাগে ভাগ করতে গিয়ে হয়ে গেলো।
তাই হয়তো পেরে গেলাম, আপনার মতে। নিজের কাছে এখনও আনাড়ি, শিখছি ফ্রাঙ্কো ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনাকে। -{@
ফ্রাঙ্কেনেস্টাইন
শিক্ষণরত অবস্থায় থেকে এমন লেখা দিতে থাকলে সারাজীবন শিখতেই থাকুন :p
নীলাঞ্জনা নীলা
এবার অনেক বেশী বলে ফেললেন। ভয় করছে পারবো তো? ;?
তানজির খান
অযথা যা কিছু ভাল লাগে তার মাঝে বৃষ্টি আছে। অকারণ শব্দ ব্যয়ও হয়। কিছু শব্দ লেপ্টে থাকে, আবার কিছু শব্দ উবে যায় কর্পূরের মত সস্তা স্রোতে।ছবির ফ্রেমিং ভাল হয় নি, কিন্তু গাঢ় ছাপ রেখেছে সূর্যের ধূপছায়া।মন ও মস্তিষ্কের দ্বিধা দারুণ ভাবে পরাজিত করেছে আড়ষ্টতাকে।
নীলাঞ্জনা নীলা
ছবিটা সেলফোনে তোলা। তারপর ব্লগের সাইজে আনতে গিয়ে এমন হয়ে গেলো।
বৃষ্টির চেয়ে মেঘের মানচিত্র আমায় ভাবায়। কেমন জানি বদলে ফেলে মন এবং মস্তিষ্ক। হুম যা বলার ছিলো,
তা বলা হয়নি। আর যা না বলার সেসব প্রকাশিত হলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া। -{@
জিসান শা ইকরাম
কবিতার কিছুই বুঝলাম না, বুঝিয়ে দিলে ভালো হয়।
শুভ কামনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমরা যা চাই, তা হয়না। আমাদের মুখে যা বলার কথা, সেটাই গোপনে রাখি। আর যা গোপনে রাখার, সেটাকেই প্রকাশ করি। আমাদের মনের সাথে মস্তিষ্কের দূর দূর ব্যবধান। আর তাই আমরা ভালো যেমন বাসতে পারি, ক্ষতিও করতে পারি। কিন্তু বুঝিনা আমরা কিন্তু আমাদের নিজেদের ক্ষতি-ই করি।
ঋতুর সাথে মনের বদল হয়। তাই না? এই ঋতুটা শুধু প্রকৃতি না, আমাদেরই মন। মস্তিষ্ক একই থাকে, বদল হয় মনের। আর তাই ভুল করে ফেলি আমরা। যে আসলেই ভালো চায়, তাকে ভাবি শত্রু। এটাই বোঝাতে চেয়েছি এই লেখায়। তবে শেষ লাইনে জয়ী করিয়েছি সুস্থ-সুন্দর মনকেই, অযথা অক্ষর ব্যয় করে।
এবার বুঝতে পারার কথা। না বুঝলে আমায় জানালে আবারও চেষ্টা করবো আরোও সহজভাবে বলার। অসংখ্য ধন্যবাদ।
অপার্থিব
ভাল লাগলো আপনার ব্যাখ্যা। ছবিটাও ভাল ছিল।
জিসান শা ইকরাম
এবারে বুঝেছি ভালো ভাবেই 🙂
এই ঋতুটা শুধু প্রকৃতি না, আমাদেরই মন……… দারুন তুলনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
অপার্থিব অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। লেখাটির পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্যে।
ভালো থাকুন।
নীলাঞ্জনা নীলা
হুম নানা প্রকৃতির মতোই আমাদের মন।
যাক ভালো ছাত্র হয়েছো কারণ ভালো টিচার আমি বলেই। :p
প্রলয় সাহা
এটা কি কথোপকথন দিভাই?
নীলাঞ্জনা নীলা
হুম নিজের সাথে নিজের। একজন প্রকৃতির দাস, অন্যজন মনের। সেখানে মস্তিষ্ক তার প্রাক্টিক্যাল রূপ তুলে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। কিন্তু জয়ী তো হয় আবেগই। যতোই ধাক্কা খেয়ে যাক না কেন। কারণ আবেগ কখনো স্বার্থপর হয়না।
বোঝাতে পারলাম? 🙂
প্রলয় সাহা
বুঝলাম দিভাই।
নীলাঞ্জনা নীলা
🙂 -{@
স্বপ্ন নীলা
কবিতার ব্যাখ্যা ভাল লেগেছে গো আপু, এত কঠিণ কবিতা কি করে লিখেন !!! ইস ! আমি যদি এভাবে পারতাম !!!
নীলাঞ্জনা নীলা
আরে এই লেখা ভালো লেগেছে! 😮
নাহ ভালোবাসা বড়ো অন্ধ। আর সোনেলায় এসে সেই ভালোবাসা পাচ্ছি।
ভালোবাসা অফুরান আপনাকে স্বপ্ন নীলা আপু। -{@ (3
দীপংকর চন্দ
অনেক ভালো লাগা থাকছে লেখায়।
মুগ্ধতা থাকছে ছবিতে! বিশেষত প্রথম ছবিটা- অসাধারণ!
শুভকামনা এবং শুভকামনা।
অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক ভালো।
নীলাঞ্জনা নীলা
প্রথম ছবিটা সেলফোনে তোলা। বেশ ভোরে তুলেছিলাম।
আপনার মুগ্ধতাকে যত্নের সাথে গ্রহণ করলাম।
ভালো থাকুন আপনিও নিরন্তর।
আবু খায়ের আনিছ
দিদি ছবি কোথায় পাও, লেখার সাথে মিলিয়ে ছবি ত আমি খুজেঁ পাই না।
নীলাঞ্জনা নীলা
প্রথম ছবিটি তো আমার নিজের তোলা ভাইয়া। নীচেরটা গুগল থেকে নেয়া। আমি ছবি সংগ্রহ করি। আর মাঝে-মধ্যে এভাবে মিলে যায়।
মোঃ মজিবর রহমান
কিভাবে যে শব্দ বুনন করেন
মাথায় ঠুকে না।
শব্দের মাঝে শব্দ ইশ!
ছবি শব্দ হয় কাব্য।
দারুন ! শ উ ভে ছ ছা রইল আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
মজিবর ভাই লেখা কেমন সে তো জানিনা। তবে আপনার মন্তব্য পেয়ে আমি এবং লেখা দুজনেই মুগ্ধ।
এভাবে মন্তব্য পেলে পঁচা-ধঁচা লেখা ভালোর আসন পেয়ে যাবে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মোঃ মজিবর রহমান
কি যে বলেন আপনার লেখা মনোযোগ দিয়ে পড়ে তারপর কিছু লিখতে হয়।
শুভেচ্ছা রইল আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
ও মা! বলছেন কি!! নিজেকে তো এখন কেমন কেমন একজন পথের লেখক লাগছে।
মজিবর ভাইয়া আপনি ভালো থাকুন। এমন প্রেরণা পেলে লিখতে পারা যায়।