সবাই ব্যস্ত!
পিপীলিকা প্রজাপতি মৌমাছি, রাতের পাখি,
হিজল তমাল সোনালু, লাল হয়ে ওঠা বট ফলের হরিয়াল।
পেকে ওঠা পুই ফল, সাপ্তাহিক মাতাল, নাতি-পুতির মেলায় টাকলা বুড়ো,
খামোখা ব্যস্ততার ভিড়ে
আমিই শুধু অব্যস্ততার ডাঙ্গর পাহাড়ে পাগলা হাতি খেদাই বিনা ডাঙ্গশে,
ডডনং হয়ে ডায়েরিতে ডাংগুলি খেলি
অব্যস্ত ব্যস্ততার সাথে মায়াময় বিরামহীন মেশামিশি।
৩৩টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
অব্যস্ত ব্যস্ততার মাঝে মায়া মিশে আছে, তাহলে আর সমস্যা কি?
“ডডনং” আর “ডাঙ্গশ” এ দুটি শব্দ বহুকাল পর পড়লাম।
ডাঙ্গশের কি দরকার? পাগলা হাতি সিধা হয়ে যাবে আপনার মায়ায়।
আর কে বলেছে আপনি ডডনং? পুরো সোনেলা জানে আপনি একজন বিদ্বজ্জন।
এতো রাত অব্দি জেগে যিনি লিখতে পারেন, তাতে আপনি অব্যস্ত কিভাবে? সেটাই বুঝতে পারছি না। ;?
ছাইরাছ হেলাল
ক অক্ষর গো মাংশ! আর আপনি বলছেন বিদ্বজ্জন!! এমন আপনজনেরা কৈ কৈ থাকে!
মায়ারা মায়া হয়ে থাকে, ধরা দেয় না, হাতি-হুতি খেদানো খুব কঠিন কাজ।
ডাঙ্গশ খুব কাজের জিনিষ!
আপনি প্রথম, ধন্যবাদ দিচ্ছি।
নীলাঞ্জনা নীলা
ধন্যবাদ সাদরে গ্রহণ করিলাম।
ছাইরাছ হেলাল
জ্বী,
মোঃ মজিবর রহমান
অব্যাস্ততা হলে এগুল আসে কথা হতে ভাইসাব।
কঠিন থেকে কঠরতর শব্দ্বমালা বুঝি একায় বয়ে বয়ে ঘেলুতে স্থান করে নেয়।
অব্যস্ত ব্যস্ততার সাথে মায়াময় বিরামহীন মেশামিশি।
ভাল লাগলো।
ছাইরাছ হেলাল
খুব ই বেকার ভাই,
সে জন্যই এই সব আউল-ফাউল।
মোঃ মজিবর রহমান
এই যদি হয় আউল ফাউল
মোরা ডোবাতেই জায়গা হবেনা কবি ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
ধুর, কীনা কী যে কন!
আবু খায়ের আনিছ
ব্যাস্ত বেকার আমি, নাই কাজ তাই খই ভাজ
ছাইরাছ হেলাল
আপনি খুবই লেখাব্যস্ত,
আবু খায়ের আনিছ
কি যে বলেন, কোন কাজ কাম নাই আমার, ফ্রি থাকি সব সময়।
ছাইরাছ হেলাল
ফ্রি তো খুব ই মহার্ঘ বস্তু, তাই আপনার হাতের মুঠোয়!
আজিম
বেকারের সারিতে আমিও আপনার সঙ্গী একজন।
ছাইরাছ হেলাল
সঙ্গীকে স্বাগতম,
তবে আপনি ব্যস্তসমস্ত হয়ে বেকারের সঙ্গী!
আপনি নিয়মিত পড়ছেন!
নাসির সারওয়ার
কত্ত কইরা চিল্লাইলাম একটা ডিকশনারির লাইগা, কেউ পাত্তা দিলোনা। এই সব শব্দ তো সাধারণ ডিকশনারিতে পাওয়া কঠিন। যে সব ডিকশনারিতে এসব পাওয়া যায়, তা তর্জমা বুঝতে আবার অনেক লেখা পড়া করন লাগে। এহন কি এসব শেখার সময় আছে?
“পেকে ওঠা পুই ফল” – এখন শুধু পুই শাঁখ দেখি ভ্যান এ। ফল পাবো কথায়। আর সাপ্তাহিক মাতাল! মাতালদের আবার সপ্তাহ মাস বলে কোন কথা আছে নাকি!!! বুড়া নানা নানী তো নাতি-পুতি-শাতি-লাঠি নিয়েই থাকার কথা।
ডাঙ্গশে ডডনং- থাক, বেশী বোঝার দরকার কি!!!
তবে এইটা পছন্দ হয়েছে “অব্যস্ত ব্যস্ততার সাথে মায়াময় বিরামহীন মেশামিশি”
মায়া থাকুক, মায়া আসুক ফিরে ফিরে
আরো অনেক বেশী মায়া নিয়ে।
ছাইরাছ হেলাল
দুলনা থেইক্কা কব্বর পর্যন্তই শিক্ষা, অতএব উহা চলিপে।
ডিকশনারি আমিও খুঁজি, কত্ত অজানা, তরজমাকারক ও লাগিবে।
ডিজিটাল যুগে শাকের ভ্যানই সম্বল,
দেখুন মাতালদেরও রকমফের আছে, যেমন ধরুন, দৈনিক মাতাল, সাপ্তাহিক পাক্ষিক বা মাসিক মাতাল, ভবঘুরে মাতাল আবার পাড় মাতাল আছে,
দিন বদলাইছে আজকাল নাতি-পুতি-ছাতি-লাডিতে বয়স লাগে না,
আচ্ছা ডাঙ্গাশ তুলে রাখলাম ডডনং এর সাথে।
আজকাল মায়া-ফায়া এত সহজ না যে চাইলেই পাওয়া যায়।
গুড়ে বালি না পাথর!
মেহেরী তাজ
ভাইয়া কাজ নাই? চোখের কি অবস্থা? চোখ ভালো থাকলে বেরিয়ে পড়ুন। এদিক সেদিক ঘুরে আসুন একটু সময় করে! আমার বিশ্বাস একঘেয়েমিতে পেয়ে বসেছে!
একঘেয়েমি কেটে যাক, আপানারও ব্যস্ততা বাড়ুক…..
ভাইয়া ডডনং অর্থ কি? ;?
নাসির সারওয়ার
ধুর, উহারা কাহারা!!! ডডনং মানে জানেনা। এটা হলো ডাংগুলি খেলার মত একটা খেলা। এবার যেন প্রশ্ন না হয় যে ডাংগুলি কি?
মেহেরী তাজ
আর প্রশ্ন হবে না ডাংগুলি কি! ডাংগুলি কে আমরা ডাংফূর্তি বলি……
ছাইরাছ হেলাল
চোখতো পুরাই ফকফকা,
ভাবছি নওগাঁ যামু কিনা! অব্যস্ততা নিয়ে
আপনাকে হট্ট মন্দিরে যেয়ে হবে ডডনংকে জানতে হলে।
মেহেরী তাজ
নওগাঁ তে দেখার মত অনেক কিছু না থাকলেও কিছুকিছু জিনিস আছে! চলে আসেন ভাইয়া…..
ডডনং এর জন্য আবার একটা মন্দির দর্শন হবে……..
ছাইরাছ হেলাল
এমন আমন্ত্রণে যাওয়ার আশা প্রকটতর হওয়াই স্বাভাবিক।
আর মন্দির তো বোনাস,
মনমন্দিরের খোঁজ আগাম নিয়ে রাখবেন, খুঁজে পেতে হ্যাপা পোহাতে না হয়,
নাসির সারওয়ার
@ মেহেরী তাজ-
ডাংফূর্তি! নতুন শব্দ !!
আর হট্ট মন্দির কি?
নাসির সারওয়ার
হট্ট মন্দির!
মাফ করেন ভাইছাব। হট্ট কি তাতো জানিনা।
যদি এট্টু অভিধান পড়তে পারতাম।।।।।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও হট্ট মন্দিরে নিয়ে যেতে হবে দেখছি।
জিসান শা ইকরাম
ইশ এমন যদি অব্যস্ত ব্যস্ততার সাথে মেলামেশা করতে পারতাম! খালি খাইতাম আর ঘুমাইতাম।
ছাইরাছ হেলাল
গেবনে খাওন আর ঘুম ই একমাত্র সত্যি
মৌনতা রিতু
মুই বুঝি নাই। :p
দুই পড়ছি। তাও বুঝি নাই।
খালি মন্দিরের ঘন্টা বাইজতাছে মাথার ভিতরে।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন আমিও তো আপনার মতই প্রায় কিছুই বুঝতেছি না।
অতএব কাটাকাটি হয়ে গেল।
দেখবেন মন্দিরের ঘণ্টাটি যেন অক্ষত থাকে।
শুন্য শুন্যালয়
সবাই ব্যস্ত!! পুঁই ফুলও ব্যস্ত!! খালি দেখি আমারই কোন ব্যস্ততা নেই, বুঝেই পাচ্ছিনা লোকে এত কি করে, কিছু করার না পেয়ে ঘুম দিলাম রাত ৮ টায়। কবিতে তো লিখতে পারিনা আপনার মত যখন তখন, হ্যাঁ ডাংগুলি বহুত খেলেছি সেই ন্যাংটা বেলায়, তবে এখন এই বয়সে খেলা কি ঠিক হবে? আর ডায়েরীতে কি করে খেলতে হয় তাই-ই তো জানিনা। নাহ্ এতকিছু করেও কেন অব্যস্ত বলছেন আমার ঠাওর হচ্ছেনা। ধা করে লোকে কি করে এমন এক একটা কবিতা নামিয়ে ফেলে আমার সেই যাদুবিদ্যা আজো জানা হলোনা, কি আর করার!!
ছাইরাছ হেলাল
বয়স কোন ব্যাপার না, আপনার মর্জি হলে স্ববস্ত্রে খেলাটি চালু করতে পারেন।
যাদুবিদ্যা আপনাকে শিখতে হবে না, এখন যে শেখানোর সময়,
না না, আপনি কবিতা লিখতে পারেন্না, লেখাতে পারেন, তা বিলক্ষণ আমাদের জানা।
দশভূজার কৃপায় তা ধরুন গিয়ে কিছু একটা অবশ্যই নামাচ্ছি নামাবোও, ধা বা ধাই হচ্ছে কীনা তার বিচার আপনাদের হাতে,
অব্যস্ততায় ডায়েরিই সম্বল,
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
অব্যস্ত ব্যস্ততার সাথে মায়াময় বিরামহীন মেশামিশি।
চমৎকার একটা লাইন।
কবিতা ভালো লাগলো বড় ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে ত পাই ই না,
ব্যস্ত মানুষ ,
ধন্যবাদ।