অবশেষে তিনি এলেন

ছাইরাছ হেলাল ৪ মার্চ ২০১৬, শুক্রবার, ০৮:৩৯:৩৮অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৬৩ মন্তব্য

12825185_10207490208324725_1883820866_n
এলেন, স্বমহিমায়,
বই মেলার বাংলা একাডেমীর একটু সামনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছি আরও অনেকের জন্য, এর মধ্যেই জানান দিলেন আসছেন তিনি, আমরা কোথায় তাও জেনে নিলেন, বহুদিন একসাথে লিখছি, সরাসরি আলাপ এবারে এই প্রথম, ব্লগের বাইরে সামান্য ‘লাইক’এ ই সম্পর্ক সীমাবদ্ধ ছিল, একটু দূরে থাকতেই দেখে চিনে ফেললাম, স্বীকার করে নিচ্ছি, পিক দেখে যা মনে হয়েছিল তার থেকে ব্যতিক্রম ই মনে হল।
এ যে সবুজের মাঝে সবুজ প্রতিবিম্ব! ফেবুর কারণে ছবি-ছুবি দেখে ভয়ে আছি ভয়ে থাকি ভাব নিমিষেই উধাও, দূর থেকে দেখে চিনতে কষ্ট হয়নি একটু ও। নিবিষ্ট হয়ে ছালাম দিয়ে আত্ম-পরিচয় দিলাম, প্রাণের হাসি নিয়ে সবার সাথে পরিচিত হলেন আপন ঔজ্জ্বল্যে।

ইদানীং তিনি মন্তব্য করেন, এভাবেই,

বন্ধু মানেই আড়ি আড়ি
বন্ধু মানেই ভাব
বন্ধু মানেই উথাল সাগর
উতলা মনে রাগ।

এ থেকেই বুঝে নিন তার সক্ষমতা ও একই সাথে আন্তরিকতাও। ভাববেন না এমন শুধু একবার ই করেছেন,
প্রায়ই তিনি এমন লিখছেন। আমি আবার একটু নকল করে লিখলাম!!!

বন্ধু মানেই বাড়াবাড়ি
বন্ধু মানেই ভাবাভাবি
বন্ধু মানেই উথলি-পাথালি,
উতলা মনে রাগারাগি
বন্ধু মানে,
একই নদীর জলছবি।

ধুর! পণ্ডশ্রম করলাম, তাঁর লেখার কাছেও যায়নি।

যাক যা বলছিলাম,
সবাই মিলে গোলাকার হয়ে বসলাম, সবাই প্রচুর ক্লিকাচ্ছেন, আমি তেমন সুবিধে করতে
পারলাম না। তাও ‘দেখ কোটিবার’ সিস্টেমে চেষ্টা চালিয়ে ক্ষান্ত দিলাম। নাহ, এ আমার কম্ম নয়। বসার পরেই তিনি মধ্যমণি হয়ে সব কিছুর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিলেন, সামান্য ব্যাকফুটে নেয়ার জন্য পুরনো চা এর নিমন্ত্রণের কথা মনে করালাম, যা তার কাছে পাওনা আছে। একটুও ভড়কে না গিয়ে ফ্রন্ট ফুটে এস্ট্রেট ড্রাইভ, মাথা সরিয়ে প্রাণ বাঁচালাম, কখন যাবেন সবাই মিলে বাসায় চা খেতে, তাই জিজ্ঞেস করে বসল। গাঁইগুঁই করে বললাম, পড়ে আপনাকে জানিয়ে দেব, দ্বিতীয় অ্যাটেম্পট নিলাম, আপনাদের গ্রামের বাড়ী নিয়ে যাবেন কবে? পরশু চলেন যাই ঘুরে আসি। এবারে চাচা আপন প্রাণ বাঁচা অবস্থা।
খাবার টেবিলেও জোড়া মুঠি চালিয়ে সবার জন্য পছন্দের খাবারের ব্যবস্থাও তিনিই করলেন।

সোনেলার তখন কুট্টি কাল, এক অর্থে আঁতুর ঘর ও বলা যেতে পারে। বসে বসে অপেক্ষা করতাম উদয়াস্ত কখন সে মন্তব্য করবে। এত বছর পর এমন স্বজনকে আড্ডায় পেয়ে কথা ফুরিয়েছে না বলা কথায়। তার উচ্ছল আন্তরিক প্রাণোচ্ছ্বাস সবাইকে ছুঁয়েছে সবার অজান্তেই। তাঁর মুখের উজ্জ্বল সারল্যের কাছে কালো চুলের মাঝে সাদার ঝিলিক পালিয়ে বেঁচেছে।

তার লেখার হাত নিয়ে কিছু বলার ধৃষ্টতা দেখানোর সাহস আসলেই পাচ্ছি না। আবার ও লিখবেন প্রায় নিয়মিত এমন কথা দিয়েছেন। মিলন মেলার দায়িত্ব নিয়েছেন, শুধু সবাই মিলে সুবিধাজনক তারিখ জানালেই সব ব্যবস্থা করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আমরা সে সুদিনের অপেক্ষায় আছি।
সেই যে, সে সব দিনের কথা মাথায় রেখে সোনেলার পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা
আপনাকেই। পাশে ছিলেন, থাকবেন, এ আশা সবার ই।

জয়তু খসড়া ভাইয়া!!!!!!
উত্তরোত্তর ফুলেল চন্দন আপনার জন্যই।

৪৭৮জন ৪৭৮জন
0 Shares

৬৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ