কিছুই ভাল লাগছে না আর
কত কি লিখছো তোমরা!
মহব্বত, প্রেম, দীর্ঘশ্বাস, দুঃখ, কষ্ট
আরও কত কি!
কিচ্ছু ভাল লাগছে না আমার।
কিচ্ছু না!
একটু অন্য কিছু লেখ।
বৃষ্টির গল্প আর ভাল লাগছে না মোটে;
স্যাঁতসেঁতে।
এবার একটু ঝড় লেখ তোমরা।
ঝঞ্ঝা লেখ একটু, সাইক্লোন।
কি লিখছ মিড়মিড়িয়ে!
আমার ভাল লাগছে না।
সত্যি আর ভাল লাগছে না।
একটু চিৎকার লেখ না কেন?
একটু শক্তি লেখ; নির্ভয় গর্জন।
কি লিখছ সব অদ্ভুত নিয়ে?
চমৎকার পাওনা বুঝি!
এতো কেন অন্ধকার লিখছ তোমরা?
আলো লেখ, আলো।
আমি আলো চাই
আমাকে আলোর গল্প বলো।
কি লিখছ ভয়-সংকোচ-পরাজয়?
একটু সাহস লেখ;
উদারতা লেখ; ক্ষমা, তোমার জয়।
কি লিখছ সব মৃত্য, ক্লান্তি নিয়ে!
একটু জীবন লিখছ না কেন তোমরা?
চোখ খুলছ না কেন তোমরা?
বলয়ের বাইরে এসে লেখ না একটু!
লেখ না একটু মহাকাশের অপারে গিয়ে
দেখ না একটু তোমাকে, আমাকে!
আমাকে একটু জীবন দাও।
একটু অন্য কিছু লেখ তোমরা
জীবন লেখ, আলো লেখ।
একটু বাইরে এসে
চোখ মেলে, হৃদয় খুলে
এবার তোমার কথাই লেখ।
অন্য কিছু লেখ।
৪৮টি মন্তব্য
ব্লগার সজীব
আমি জীবনের জয়গান গাই,আমি আলোর কথা লেখি,লেখি আনন্দের কথা।
অরণ্য ভাইয়া লেখাটি খুবই পছন্দ হয়েছে।
অরণ্য
আমি তার নমুনাও পেলাম। গ্রেট। (y)
ব্লগার সজীব
:p
খেয়ালী মেয়ে
হুমমমম এবার একটু ভিন্ন রকমের লেখা চাই, আপনিই প্রথম শুরুটা করে দেন 🙂
অরণ্য
অনেকে ভাল খায় বা খেতে চায় কিন্তু ওরা আবার রাঁধতে পারে না। আমি শুধু ডিমভাজি করতে পারি।
তবে অনেকে ভাল রাঁধছেন তা টের পাচ্ছি। আমাকে আগে সিরিয়ালে নেয়া ঠিক হবে না।
খেয়ালী মেয়ে
ডিমভাজি আর কতোদিন?..এবার অন্যকিছু করে খাওয়াতে হবে না শুধু শেয়ার করুন সোনেলাতে 🙂
অরণ্য
হুম। ডিমভাজি আর কতদিন! ;?
ডিমের ভর্তা বানানো যেতে পারে কাঁচা মরিচ, বেশি করে পেঁয়াজ, একটু নুন আর সরিষার তেল দিয়ে। আর কিছু হবে না আমাকে দিয়ে। আমি খাদক দলে থাকতে চাই। 🙂
খেয়ালী মেয়ে
🙁
অরণ্য
এরকম ইমো কেন? সবাইকে ভাল রান্না করতে নেই। ভাল ভাল খাদকও যে চাই। নইলে রান্নার প্রশংসা করবে কে? আমার রান্নার দৌড়ও ওতটুকু এবং লেখার দৌড়ও এতটুকুই যা দেখছেন। কাজেই আমি খাদক হতে চাওয়াই শ্রেয়।
খেয়ালী মেয়ে
ইশশশশশশশ্ এতোদিন ধরে জেনে আসছি যে আমি শুধু খেতে জানি রাঁধতে জানি না………..আর এখন দেখি আপনে ভালো রাঁধতে জেনেও অস্বীকার করছেন………..এতো কিপটুস ক্যান আপনি? আমরা না হয় আপনার থেকে একটু বেশিই খেলাম 🙁
অরণ্য
আমি কিপটুস নই মোটেই। তবে দারুন অগোছালো। ইদানিং কমিটমেন্ট মিস করছি খুব।
হুট করে কবে যেন লেখা নিয়ে হাজির হব। তবে তা ঠান্ডা মেজাজে হবে বলেই মনে করছি।
বাই দা ওয়ে, আপনার জন্মদিন চলে গেল গতকাল জুলাই ২৯। জানলাম শুন্য শুন্যালয়ের মন্তব্য থেকে। অনেক শুভ কামনা জানবেন। -{@
আপনি সিংহ। আমি কাঁকড়া। 😀
খেয়ালী মেয়ে
হুমমম হুট করেই নিয়ে আসেন কিছু আমাদের জন্য:)
ধন্যবাদ জন্মদিনের শুভেচ্ছার জন্য..বলেছিলাম জুলাইয়ের একটা দিন আমার…………
হুমমম আমি সিংহ, আপনি কাঁকড়া 🙂
লীলাবতী
সব ধরনেরই লেখা চাই।শুধু হতাশা নয় আবার শুধু আশাও নয়। খেয়ালী মেয়ে বলেছেনঃআপনিই প্রথম শুরুটা করে দেন 🙂 🙂
অরণ্য
আমার জন্য লিখ শুধু একটাই গান
গান সেতো নয় হবে সবারই প্রাণ।
গানের কথায় রইবে না ভালোবাসা
নয় প্রেম, নয় আশা, নয় দুরাশা।
সীমান্ত উন্মাদ
যান কথা দিলাম, অন্য কিছু লিখবো পরের লিখাতে। আর আপনার এই কাব্যের নাম দিলাম চাওয়া কাব্য।
চাওয়া কাব্যে অনেক অনেক ভালোলাগা রেখে গেলাম।
শুভকামনা জানিবেন নিরন্তর।
অরণ্য
“একটা ছোট নুড়ির আশায়… একটা ছোট নুড়ির আশায়… ” 🙂
অপেক্ষায় থাকলাম।
অরণ্য
ইনভারটেড কমা কেউ খুঁজতে চাইলে সীমান্ত উন্মাদের হৃদ পোকায় যেতে হবে।
https://sonelablog.com/archives/33658
আমার ভিতরে এখনও কাজ করছে – একটা ছোট নুড়ির আশায়… ।
সীমান্ত উন্মাদ
উন্মাদে আপনাকে ভালই পাইছে, দেখি। আমার পোষ্টে আপনার মন্তব্যের প্রতিউত্তর ভালো করে পড়ে নিয়েন, ভাই। এটা কিন্তু সিরিয়াস। আগামী সপ্তাহ থেকে বুঝবেন কেন বলছি। বাকিটা ডিসকাস করতে পারছি না।
অরণ্য
পড়েছি।
মোঃ মজিবর রহমান
শুভ কামনা রইল
সকল লেখক লেখুক আলোকবর্তিকা আলময়
সবার মন মেজাজ ভাল হয়ে উথুক।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
অরণ্য
মজিবর ভাই, সালাম।
আপনার “সবার মন মেজাজ ভাল হয়ে উথুক” আশাবাদটি আমার উপরে কিছুটা হলেও বরতাইছে।
আপনার চাঁদাবাজির পোস্টটা পড়েও মেজাজ একটু খারাপ হয়েছিল কাল। আমারও একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে, খুবই ছোট। আমার মেজাজ খারাপ না হয়ে যায় কই!
“টাইম হিলস্”। 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
হুম!
(y)
মিথুন
আমিও আপনার দলে। কি সব মৃত্যু ট্রৃত্যু লিখছে সবাই, ভাল্লাগেনা। আপনার কবিতায় চিৎকার, গর্জন, ঝড়টড় সব খুঁজে পেলাম। তা ভাইয়া অন্য কিছু লিখবো কিভাবে তাতো বললেন না? ভালো লিখেছেন 🙂
অরণ্য
বড় ফন্টে লিখুন “আমি চিৎকার করে কাঁদিয়ে চাহিয়া করিতে পারিনি চিৎকার…”।
গানটার জন্য হায়দার হোসেনকে অনেক অনেক শ্রদ্ধা।
স্বপ্ন
আমিও জীবনের জয়গানের লেখা পড়তে চাই।কিচ্ছু ভাল না লাগাটা একটি সংক্রামক রোগ (y)
অরণ্য
হাসিও সংক্রামক। আমি আজ হাসছি একটু একটু করে। আপনিও হাসুন। 🙂
একটা গান শুনতে পারেন হাসি পাবেই শুরুর টুকু যদি বারবার রিপ্লে করে শোনেন।
“এক টানেতে যেমন তেমন… দুই টানেতে রুগী…
তিনটানেতে রাজা-উজির… চার টানেতে সুখী…
আ… সুখী… সুখী…”। 😀
স্বপ্ন
এটিতো নেশার গান 🙂
অরণ্য
দূঃখ বিলাসের চেয়ে মাঝে মাঝে একটু আধটু নেশা খুব বেশি মন্দ নয়।
আর, আপনাকে শুধু হাসিটুকু নিতে বলেছিলাম… ” হে হে… হে হে… “; পুরোটা নয়। 🙂
তামিম রুহুল
আসাধারন লিখেছেন.. (y)
অরণ্য
ধন্যবাদ ভাইয়া। সবার কাছে এ লেখা (অনেকটা ন্যাংটা অনুভূতি বলতে পারেন) ভাল নাও লাগতে পারে, তাও আমি অনুমান করি।
ভাল থাকবেন।
শুন্য শুন্যালয়
জীবন লিখতে গেলে অন্ধকার আসবেই, যদিও অন্ধকার কেউ কেউ পাশ কাটাতে পারে। একটা ঝাঁকুনির দরকার ছিলো। আপনার কবিতা সে কাজটি করে দিলো বেশ খানিকটা। চমৎকার টা আপনাকেই দিয়ে দিলাম, দেনা রইলো না। অনেক ভালো লিখেছেন।
অরণ্য
কে যেন লিখেছিল এই রকম…
“হাত বাড়ালেই কি ছোঁয়া যায়!
স্পর্শ তো অনুভবে।”
যাক একটা ঝাঁকুনি অনুভব করেছেন আপনি। আপনার জন্য হয়তো দরকার ছিল একটু; প্রকৃতি তা জানতো।
বেশ মজা করেন তো আপনি দেখছি – “দেনা রইলো না”! 😀
অনেক ধন্যবাদ আর শুভ কামনা আপনার জন্য।
রিমি রুম্মান
ভিন্ন লেখা, আলোর লেখা কেমন করে আসবে আমার কলমে__ যেখানে জন্মাবার আগেই কোন শিশু মায়ের গর্ভেই গুলিবিদ্ধ হয় ? 🙁
অরণ্য
আপনি বরাবরই খুব ভাল লেখেন। এ লেখাটি আমার কোন এক ক্লান্ত সময়ে। তার পরেও আমি ভাবি কেউ লিখুক যে শিশুটি বেঁচে গেল তার নিষ্পাপ হাসি নিয়ে; যে হাসি বাবা-মাকে স্বপ্নের সাগরে ভাসায়। যে হাসিতে বেঁচে থাকা, আমাদের ছোট ছোট অর্জনও স্বার্থক মনে হয়। শুধু দুঃখ নয়, সমবেদনা নয় – কেউ বিদ্রোহ লিখুক। আর তেমন কিছু নয় আপু। যে কোন কিছুর ভার্টিক্যাল ভিউ দেখতে পেলে তার সামনে পিছে দু’ই দেখা যায়। হয়তো বলবেন তবে নিচের ভিউয়ের কি হবে। আমি বলতে চাই দেয়ালে এপাশ-ওপাশ দুদিক দেখার ব্যাপারটা যদি আমরা রপ্ত করতে পারতাম, তাহলে অনেক ক্যাচাল এমনিতেই মিটে যেত। সরি, বেশি বলার জন্য।
ভাল থাকবেন।
জিসান শা ইকরাম
দুঃখজনক ভাবে দুঃখের গান গুলোই কেন জানি ভালো লাগে আমাদের 🙂
আলো চাই, আলো।
অরণ্য
ঠিক! ঠিক! ঠিক! 🙂
অনেক ঘরে দিনেও বিজলী বাতি জ্বালিয়ে রাখতে হয়। আমরা মাঝে মাঝে সময়ের ওরকম ঘরে ডুকেও পড়ি। অদ্ভুত ব্যাপার হলো সময়ই আবার ঠিক ও ঘর থেকে বের করেও নিয়ে আসে। পরিবেশ, প্রতিবেশ মাঝে মাঝে সহায়ক হিসাবে কাজ করে। আসলে আপনাকে এটা লেখতে চাইনি; তবুও কেন জানি এসে গেল। কি লিখতে চেয়েছিলাম তা এখন আর মনে পড়ছে না। 🙂
ভাল থাকবেন জিসান ভাই। আলো চাই, আলো চাই।
নীলাঞ্জনা নীলা
অন্য গান শোনাও আমায়,
অন্য কথা বলো
অন্য পথে হাঁটবো বলে
দু’পা টলোমলো।
একটি চোখ দেখবে বলে
অন্য চোখ সাজে
আলতা পড়া কিশোরী নূপুর
রুনরুনিয়ে বাজে।
কবিতা এমনই লিখিয়েই নিলো। (y) (y) (y) (y) -{@
অরণ্য
বাহ্! আমার ও লেখা যদি এরকম সুন্দর কিছু লাইনের, অনুভবের উপলক্ষ্য হয়ে থাকে; তবে আমার পাগলামি ধন্য। 🙂
আর মোটেও মন খারাপ করে থাকা ঠিক হবে না। মন খারাপ আর নেইও।
গ্রেট! (y)
নীলাঞ্জনা নীলা
মন খারাপ করে থাকা কেন? মনকে উড়িয়ে দিন, দেখুন মন ঠিক আনন্দ খুঁজে নেবে। লিখুন আরোও। -{@
অরণ্য
🙂 মনকে দেব উড়িয়ে, ও খুঁজে নেবে ওর আনন্দ। বেশ তো।
নীলাঞ্জনা নীলা
‘এ মন আমার হারিয়ে যায় কোনখানে
কেউ জানেনা শুধু আমার মন জানে।’
গানটা শুনেছেন তো?
অরণ্য
লা লা লা লা লা লা লা লা লা লা লা … 🙂
লীলাবতী
আমি কিন্তু ভাইয়া আনন্দের কথা লিখি 🙂
অরণ্য
আমি জানি তা লীলাবতী।
কিন্তু এভাবে বলছেন কেন? 🙂 নিজেকে তো অপরাধী মনে হচ্ছে।
ব্লগার সজীব
একটি ডায়েরির কিছু কথা লিখেছিলেন একবার। ডায়েরিটা কি নিখোঁজ হয়ে গেল?
অরণ্য
না ব্রাদার। ওটি আমার ভাগ্নির হেফাজতেই আছে। ঈদের আগে গিয়েছিলাম একবার বোনের সাথে দেখা করতে আর ওর কেনা মা’র জন্য কিছু জিনিসপত্র আনতে আমি বাড়ি যাব বলে। কিন্তু ডায়েরীর কথা ইচ্ছে করেই তুলিনি। পথে এক জ্ঞানী বন্ধুর সাথে দেখা এবং ইফতার। ওকে জানালাম ডায়েরীটা কালেক্ট করার প্ল্যানটা। ও বলল উলটো – পুরা রিকোয়েস্টের মত বলা যায়। “দোস্ত, ও ডায়েরী তুমি খুলোই না। মারা যাবা সময়ের কাছে। সময় খুবই দেঞ্জারাস।” আলাপ হয়েছে অনেক্ষণ। পরে ওকে বললাম “ঠিক আছে। যাহ্, ঈদে ডায়েরী নিচ্ছি না সাথে।”
এই হলো অবস্থা। তবে নিয়ে আসব… 🙂
“তুই চিরদিন তোর দরজা খুলে থাকিস
অবাধ আনাগোনার হিসেব কেন রাখিস !!!”
আমার দারুন পছন্দের গান।
ভাল থাকবেন।
অরুনি মায়া
আচ্ছা লিখব,
আঁধারের আর্তনাদ নয় ভোরের খুনসুটি
আমি আবার লিখব,
মৃত্যুর বিভীষিকা নয়
জীবনের সফল পরিণতি,,,,,,, 🙂
অরণ্য
গ্রেট! (y)
দারুন বলেছেন।
লিখুন। 🙂