আমার বাবা তোমার বাবা
মুহিত বাবা মুহিত বাবা
গফুর স্বামী ভালো লোক
জয়ের মালা তারই হোক
আমার বৌ সবার বৌ
ধরলা বৌ ধরলা বৌ
তামান্না বেয়াইন ভয় নাই
আমরা আছি শত বেহাই
উপরে চারটি শ্লোগান দিলাম, পৌরসভা নির্বাচন অতি নিকটে তাই। এমন শ্লোগান কি স্বাভাবিক?স্বাভাবিক না হলে কেন স্বাভাবিক না? শ্লোগান ধরা ব্যক্তিটি যদি মুহিতের সন্তান,গফুরের স্ত্রী, ধরলার স্বামী বা তামান্নার বেয়াইন হন, তাহলে তো এমনই স্লোগানই হবার কথা।কিন্তু এমন শ্লোগান আমরা শুনিনি কখনো।নির্বাচনে প্রার্থীকে সন্তান,স্ত্রী,স্বামী,বেয়াইন সবাই ভাই/বোন/আপা বলেন। ভোটের প্রচার পত্র বিলি করা বা বাড়ী বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করার সময় সম্পর্ক যাই হোক প্রার্থীকে ভাই/বোন/আপা বলে সবাই।
কেন বলেন? সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সম্পর্ক অচল।সম্বোধনটি পরিবার বা বেশী হলে এক পাড়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। বড় পরিসরে এই সম্পর্ক কোন ক্রমেই গ্রহনযোগ্য হয়না।
অন্তর্জাল তো আরো ব্যাপক একটি স্থান।এখানে সবার অবস্থান বিশ্বব্যাপী।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক এ বন্ধু হিসেবে থাকেন, নিজের আত্মীয় স্বজন বা চিন্তা ভাবনা মিলে যায় এমন কিছু মানুষ থাকেন বন্ধু তালিকায়।একটি ফেইসবুক আইডির ব্যাপ্তি খুবই কম। আর একটি সামাজিক ব্লগের ব্যাপ্তি বিশাল। ব্লগ হচ্ছে বিশ্বব্যাপী উন্মুক্ত একটি স্থান,এখানের সম্পর্ক গুলো আত্মীয়তার মাঝে সীমাবদ্ধ রাখা উচিৎ না।বন্ধুত্ব প্রকাশের স্থানও নয় একটি ব্লগ। ব্লগে প্রকাশিত একটা লেখা সার্বজনীন।আপনি যখনই আত্মীয় বা বন্ধু হয়ে আমার এই লেখা পড়ে মন্তব্য করবেন, সম্পর্কটি সেখানে মুখ্য হয়ে উঠবে।আপনি চাইবেন,আপনার মন্তব্যে আমি যেন কষ্ট না পাই। এর ফলে যা হয়-
১।আমি আমার লেখার উন্নতির জন্য কোন সমালোচনা পাবো না
২। আত্মীয়করণ বা বন্ধুত্বের কারনে যে মন্তব্য গুলো আসবে, নিরপেক্ষ পাঠকরা একটি ধারনা নিয়ে যাবেন যে এই ব্লগটি নিজেদের একান্ত কয়েকজনের,একটি পারিবারিক ব্লগ।
সম্মোধন কি হওয়া উচিৎ?
আমার মতে অন্তর্জালের প্রত্যেককে আপনি সম্মোধন করা উচিৎ?অনেকেই ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারনে তুমি,তুই পর্যন্ত সম্বোধন করেন।এই তুই,তুমি সম্বোধনটি যখনই পাল্টে আপনি হয়ে যায়,তখনই কিন্তু অন্য ব্লগার/পাঠক গন ভাববেন ”ডাল মে কুছ কালা হ্যায়।” তুমি থেকে হঠাৎ আপনি বা তুই থেকে হঠাৎ আপনি সম্বোধন এর পিছনে অভিমান ঘটিত বা অন্য কোন অন্দর মহলের কাহিনী আছে।অভিজ্ঞ ব্লগার গন অত্যন্ত মেধাবী হন,সম্মোধন পাল্টে গিয়েছে দেখে তারা মুচকি হাসেন অবশ্যই।
অনলাইনে পরিচিত মানুষদের মাঝে সম্পর্কের স্থায়ীত্ব সাধারণত কম দেখা যায়।ফেইসবুকের দিকে একটু নজর দিলেই এটি পরিষ্কার হয়ে যাবে।স্টাটাস,ফটোতে হঠাৎ দু একজনের ১০০ ভাগ উপস্থিতি দেখা যায়, ইনবক্সও চলে সমান ভাবে (ধারনা করা যায়)।এমন একটা ভাব দৃশ্যমান হয় যে জীবনের শ্রেষ্ঠ মানুষ আবিস্কৃত হয়েছে। কিছুদিন পরে দেখা যায় আবার মানুষ পাল্টে গিয়েছে,সম্মোধন পাল্টে যায়।কিছু ব্যতিক্রম আছে অবশ্য,তবে ব্যতিক্রম উদাহরন নয় কোনোক্রমেই।
ভবিষ্যতে নিজেকে হাস্যস্পদ ব্যক্তিত্বে পরিনত করতে না চাইলে সম্মোধন আপনিই রাখুন।
৫২টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
ব্লগ ব্লগের জায়গায় থাকুক, আত্মীয়তা আত্মীয়ের মত আত্মীয়তার জায়গায় থাকুক এখানে নয়।
তাই চাই।
আপনি সত্যি সক্ষম আবার ও প্রমাণিত,
ব্যবস্থা হলে জানান দিয়েন, চা-চু আমার সব।
অনিকেত নন্দিনী
চা জানি, চায়ের সাথের টাও জানি – চু কী জিনিস? খায় না মাথায় দেয়? ব্যবহার যেইটাই হোকনা কেন এই চু জিনিসটা আমার চাই। ;(
ব্লগার সজীব
দিদি ভাই,আপনি আমার প্রশ্নটা করে ফেললেন, চু জিনিসটা কি ঝাতি জানতে চায় :D)
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই আপনাকে জানাব,
আপনাকে না জানালে চলবেই না।
ব্লগার সজীব
ব্লগ ব্লগের জায়গায় থাকুক, আত্মীয়তা আত্মীয়ের মত আত্মীয়তার জায়গায় থাকুক এখানে নয়। (y) (y) একমত ভাইয়া।দন্যবাদ আপনাকে।
ব্লগার সজীব
ভাইয়া তো ব্লগ জগতে বহু বছর আছেন।দেশের সবচেয়ে বড় ব্লগে আপনি আর জিসান ভাইয়া প্রচন্ড জনপ্রিয় ছিলেন।বেশ কিছু আড্ডার,পিকনিক এর আপনারা দুজনে আয়োজক ছিলেন।এ বিষয়ে আপনার অভিজ্ঞতার আলোকে আর একটি মন্তব্য আশা করছি আমি।
ছাইরাছ হেলাল
আন্তরিক সহযোগিতা সহমর্মিতার হৃদ্যতা কথায় নয় আচরণে।
কাজেই আমার অবস্থান স্পষ্ট, কথার আত্মীয়তা বাড়ীতে, এখানে নয়।
আর এটি ইমো সর্বস্ব ফেসবুক নয়। সবাই সম্মানিত লেখায় ও কথায়।
কোথায় কী ফেলেছি এটি আমি আলোচনায় নিতে চাই না।
আপনার ঘটনা অবশ্যই জানাবেন কিন্তু।
ব্লগার সজীব
আমরা লেখক স্বত্বাকে বাদ দিয়ে কথার জয়গান গাই।সংক্ষেপে বলে দিলেন সব।
অনিকেত নন্দিনী
পোস্ট পড়ে কিছু প্রশ্ন জেগেছে মনে:
১. যেসব ছোট ভাইবোনদের তুই করে বলি তাদের আপনিতে উঠাবো কেমন করে? 😮
২. স্ট্যাটাস আর ছবিতে শতভাগ উপস্থিতিজনিত ব্যাপারটা না হয় দেখা যায় কিন্তু ইনবক্সের ব্যাপারটা নিয়ে সজু এত আস্থার সাথে ধারণা করলো কেম্নে? ;?
৩. কতজন অন্তর্জাল ব্যবহারকারী এই জরিপের অন্তর্ভুক্ত ছিলো? 😮
ব্লগার সজীব
ব্লগে সম্মোধন আপনি হওয়াই ভালো।ফেইসবুকে এটা চলে। কারন ফেইসবুক পারিবারিক এবং আরো কিছু বন্ধুর একটি ছোট পরিমণ্ডল। ব্লগে তুই তুকারি চালালে বুঝা যাবে যে আত্নীয় পরি জন সহ ব্লগে আসা।ব্লগের পরিমণ্ডল বিশাল।এখানের সব লেখা যে কেউ পড়তে পারেন।
ফেইসবুকের প্রধান আকর্ষন ইনবক্স এটি আমরা হয়ত প্রকাশ্যে বলবো না :p আমিও ইনবক্স অভিজ্ঞ একজন ফেইসবুকার দিদি ভাই 🙂
ছয় বছর ব্লগীয় জীবনের অভিজ্ঞতা এটি আমার।
আপনি সম্বোধন একটি পরামর্শ মাত্র,এটি বাধ্যতামূলক নয়।
অনিকেত নন্দিনী
যাদের এখানে আসার আগে থেকেই চিনি এবং যাদের সাথে তুই তোকারি সম্পর্ক তাদের এখানেও তুই করেই বলছি।
বয়সে অনেক ছোটো বেশ কয়েকজনকে তুমি করে বলছি।
ব্লগ হোক আর ফেসবুক, পরিচয়ের শুরুতে সবাইকেই আপনি করে বলাটাই সাধারণ ভদ্রতা বলে জানি এবং মানি।
ফেসবুকের ইনবক্সীয় বিনোদন নিয়ে এখন কথা তুলতে চাইনা। এ ব্যাপারে পরে কখনো অন্য কোনো পোস্টে কথা হবে আশা করি।
ব্লগার সজীব
আপনার মন্তব্যের সাথে একমত আপু -{@
তানজির খান
সজীব ভাই, বিশ্লেষণে যুক্তি ও সতর্কতা আছে। এটাকে আমি স্বাগতম জানাই। তবে নিয়ম করে দেবার পক্ষে আমি নই। আমার মনে হয় সতর্কতা থাকা আবশ্যক। মরালি এটাকে উৎসাহ দেয়া উচিৎ। অবশ্য এটা আমার ধারনা। টু বি অনেস্ট ব্লগার হিসাবে আমার পথ চলা অল্প দিনের, তবে পাঠক ছিলাম বহু আগে থেকেই।আমার ফেইসবুক জীবন বলতে পারেন প্রায় আট বছরের মত। তবে কখনই বাজে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হই নাই ভার্চুয়াল লাইফ নিয়ে। তবে হ্যা দেখেছি অনেকের ইমেজ সংকট নানান কারনে। বিভিন্ন ব্লগারকে আমি চিনি যারা তুমুল জনপ্রিয় ছিল,আছে বিভিন্ন ব্লগে। তাদের অনেকের আইডি আপনিও চেনেন নিশচয়ই। দেখবেন তাদের ব্যক্তিগত অসততার কারনে নিজে ও অপরকে বিপদে ফেলেছে। আবার কখন কেউ কেউ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে। যখন আমরা শাহবাগে ছিলাম সকাল থেকে রাত্রি, তখন এই খেলাটা দেখিছি প্রচুর।তখন আমি শুধুই ফেইসবুকে লিখতাম মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ব্লগারদের ফলো করতাম (এখনো করি)। আমাদের গবেষনা দিয়ে অনেক ব্লগারদের হেল্প করেছি স্বাধীনতার পক্ষে লিখতে।যাইহোক, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ব্লগাররা যখন একে অপরের চরিত্র হনন নিয়ে ব্যস্ত তখন আমি জানতে পেরেছিলাম ভার্চুয়াল লাইফের অপর পিঠ। তাই আপনার এই লেখাকে স্বাগতম জানাই সতর্কতা হিসাবে।ওই সময়ে যখন নারী ব্লগারদের নিয়ে পাল্টাপাল্টি ব্লেইম গেম খেলা হয়েছে তখনো দেখেছি আমাদের প্রগতিশীলরা কত নিচে নামতে পারে। আমার নাম বলার দরকার নাই এমন প্লেয়ার ব্লগারদের আপনি চিনেন যারা বিভিন্ন ব্লগে বিভিন্ন নিকে আছে যেহেতু এই ব্লগ দুনিয়ায় আপনার দৃঢ় অবস্থান অনেকদিনের। আই নো দেম ভেরি ওয়েল। যাইহোক এই সতর্কতা থাকুক তবে সিদ্ধান্ত নিতে দিন ব্লগারদেরই।আমাদের সোনেলায়, আমার কাছে কেন যেন মনে হয় তেমন সমস্যা নেই।দুষ্টু লোক থাকেই হয়তো সবজায়গা কিন্তু এত এত আমাদের ভাল ব্লগারদের স্রোতে খারাপও ভাল হয়ে যাবে। এখানেই স্বার্থকতা সোনেলার।
শুভ কামনার রইল ভাই
ব্লগার সজীব
ফেইসবুক সবার জন্য উন্মুক্ত নয়,যেমনটা ব্লগ হয়ে থাকে।আমি ফেইসবুকে কি লেখি তা আপনি হাজার চেষ্টা করেও খুঁজে পাবেন না,আমি যদি না চাই।কিন্তু ব্লগ দেখতে পারেন সবাই।ফেইসবুক আর ব্লগ এক নয়।সম্মোধন এর বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছি।ছাইরাছ হেলাল ভাইয়া বলেছেন’ আন্তরিক সহযোগিতা সহমর্মিতার হৃদ্যতা কথায় নয় আচরণে।কাজেই আমার অবস্থান স্পষ্ট, কথার আত্মীয়তা বাড়ীতে, এখানে নয়।আর এটি ইমো সর্বস্ব ফেসবুক নয়। সবাই সম্মানিত লেখায় ও কথায়।’ এটিই আমারো কথা।
তবে সম্মোধনটা বাধ্যতামূলক নয়।তুই তুমি থেকে একেবারে আপনিতে চলে যাওয়া দৃষ্টিকটু।তুই তুমি এসব ফেইসবুকে চলতে পারে, ব্লগে নয়।ধন্যবাদ আপনাকে।
অরুনি মায়া
আমি পোস্ট টির প্রতি সমর্থন জানাচ্ছি | তবে একটা কথা , সোনেলাকে ব্লগের পাশাপাশি একটি পরিবারও মনে করা হয় | তাই হয়ত তুমি শব্দটি ব্যবহার করে ফেলি অনেকে | সবাই যদি এমন পরিবর্তন চান তবে আমিও মেনে চলব | আপনি শব্দটি জয়ী হোক 🙂
ব্লগার সজীব
আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হতে এই পোষ্ট লিখেছি আপু।সম্মোধন পরিবর্তিত হয়ে গেলে চোখে বাঁধে খুব।ধন্যবাদ আপু।
অরুনি মায়া
হুম তুমি একদম ঠিক বলেছে | আমি একাবার যাদের তুমি বলে ফেলেছি তা অপরিবর্তিত রাখছি | কিন্তু নতুনদের আপনি করে বলছি 🙂
ব্লগার সজীব
ধন্যবাদ আপু 🙂
মেহেরী তাজ
শিষ্য :D) এখন কি আমার শিষ্য কেও আপনি বলে ডাকা লাগবে? ;(
ব্লগার সজীব
আপনি ডাকা ব্যাধ্যতামূলক নয় ওস্তাদ।আজীবন যেন তুমি ডাকা হয় 🙂 যেন পাল্টে না যায়।
অপার্থিব
বয়সে ছোট কিংবা বড় যাই হোক না কেন ব্লগে আপনি বলাটাই সাধারণত প্রচলিত রীতি। তবে যদি ব্যক্তিগত পরিচয় থেকে থাকে তবে অন্য কিছু বলে সম্বোধন করা যেতে পারে, এখানে সমস্যার কিছু আছে বলে মনে হয় না।
ব্লগার সজীব
এটি করতেই হবে এমন নয়,তবে ব্লগের প্রচলিত একটি রীতি এটা এটাই বলতে চেয়েছি।মনে করুন আপনি আমার পরিচিত।তুমি বা তুই বলে আমাকে সম্মোধন করছেন।কোন কারনে ব্লগের বাইরে সম্পর্কের অবনতি হলো,এরপর আপনি আমাকে আপনি বলে ব্লগে সম্মোধন করলেন।এই পরিবর্তিত সম্মোধন দুজনের জন্যই বিব্রতকর।ব্লগের বাইরের কোনকিছু ব্লগে প্রভাব না ফেলে একারনেই আপনি সম্মোধন ভালো বলে মনে হয় আমার কাছে।
জিসান শা ইকরাম
আপনি সম্মোধন করাই ভালো
তুমি/তুই সম্মোধন করার আমার অভিজ্ঞতা খুবই তিক্ত
সম্মোধন তুমি/তুই থেকে হঠাৎ আপনিতে চলে আসাটা বেশ বিব্রতকর,কিছু ক্ষেত্রে অপমানজনকও বটে।
লেখাটি আর একটু গুছিয়ে লেখা যেতো মনে হয়
শুভ কামনা।
ব্লগার সজীব
‘ আপনি সম্মোধন করাই ভালো
সম্মোধন তুমি/তুই থেকে হঠাৎ আপনিতে চলে আসাটা বেশ বিব্রতকর,কিছু ক্ষেত্রে অপমানজনকও বটে।’ (y) (y)
মনটা আসলে খুবই অস্থির কিছুদিন যাবত ভাইয়া,গুছিয়ে লিখতে পারিনি একারনে।
জিসান শা ইকরাম
অস্থিরতা কেটে যাক।
ব্লগার সজীব
যাচ্ছে ভাইয়া 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
আজ থেকেই কার্যক্রম শুরু। এখন থেকে নো ভাইয়া-আপা। আমি সাপোর্ট করছি ব্লগার সজীব, আপনার এই “আপনি” বলে সম্বোধনটিকে। (y) :c
প্রথমদিকের শ্লোগানটা দেখে একটা ঘটনা মনে পড়ে গেলো। আমারই বন্ধুর বাবা মোস্তফা চাচা উনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তো খুব ক্ষ্যাপাতাম বন্ধুটিকে আমার চাচা তোর বাবা…চাচা-বাবা, চাচা-বাবা। কি যে ক্ষ্যাপতো! তবে চাচা বেঁচে নেই। একজন সৎ চেয়ারম্যান হিসেবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছিলেন। বড়ো ভালো মানুষ ছিলেন সে সকলেই জানতো।
পোষ্ট অসাধারণ -{@
ব্লগার সজীব
নীলাদি,এটি করতেই হবে এমন নয়,তবে ব্লগের প্রচলিত একটি রীতি এটা এটাই বলতে চেয়েছি।মনে করুন আপনি আমার পরিচিত।তুমি বা তুই বলে আমাকে সম্মোধন করছেন।কোন কারনে ব্লগের বাইরে সম্পর্কের অবনতি হলো,এরপর আপনি আমাকে আপনি বলে ব্লগে সম্মোধন করলেন।এই পরিবর্তিত সম্মোধন দুজনের জন্যই বিব্রতকর।ব্লগের বাইরের কোনকিছু ব্লগে প্রভাব না ফেলে একারনেই আপনি সম্মোধন ভালো বলে মনে হয় আমার কাছে।
ধন্যবাদ দিদি -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাভু বাইয়া মজা করেছি। আমি যাকে আপনি বলি, তাকে আর তুমি/তুই বলিনা। এখানে অনেকেই সেটা জানেন। তবে আন্তরিকতা অতিমাত্রায় হলে তখন আর পারিনা। আর সোনেলা যদিও ব্লগ, কিন্তু আমি একে ঘর মনে করি।
অফুরান ভালোবাসা রইলো। -{@
ব্লগার সজীব
আপনার প্রতিও অফুরান শ্রদ্ধা নীলাদি -{@ সোনেলা একটি পরিবার আমাদের কয়েকজনের কাছে। এভাবেই থাকতে চাই।
নাসির সারওয়ার
ব্লগ আমার কাছে নতুন কিছু যার আগামাথা কিছুই জানিনা। ধন্যবাদ সোনেলা এবং গুগলকে কিছু শেখাবার জন্য। আপনার এই পোস্টের পরে ইমোও তো এখন কম দেখছি!!!
“ব্লগ ব্লগের জায়গাতেই থাকুক”।
ব্লগার সজীব
আমি বুঝতে পেরেছি সোনেলায় আপনার দুজন খুবই কাছের বন্ধু আছেন।ব্লগের বাইরে নিশ্চয়ই তাঁদেরকে আপনি সম্মোধন করেন না।সোনেলায় কিন্তু আপনি সম্মোধন করছেন তিন জনই। এটিই ব্লগ 🙂
“ব্লগ ব্লগের জায়গাতেই থাকুক”। (y)
সাঞ্জনা চৌধুরী জুঁথী
আপনার সাথে সহমত।আপনি সম্মোধন করাই ভালো।সম্মোধন তুমি/তুই থেকে হঠাৎ আপনিতে চলে আসলে,বেশ বিব্রতকর এবং অপমান জনকও বটে। ব্লগের সম্মানার্থে সবাইকে আপনি বলাটাই শ্রেয়। আপনার এই সময়ুপযোগী পোষ্টের প্রতি অনেক শ্রদ্ধা জানবেন। (y)
ব্লগার সজীব
আপু আপনি আমার লেখার মূল পয়েন্টটি ধরতে পেরেছেন বলে ধন্যবাদ।ব্লগে আপনি বলাটাই ভালো।সম্মোধন তুই/তুমি থেকে আপনিতে চলে গেলে নানা ধরনের গসিপ হতে পারে।ব্লগ মত প্রকাশের একটি উন্মুক্ত প্লাটফরম।যে কোন বিষয়ে একজন একটি পোষ্ট দিতে পারেন।পোষ্ট দেয়া থাকিয়ে দেয়া যায় না, যদি তার মনে কোন প্রশ্ন জাগে।
সোনেলায় নিয়মিত হচ্ছেন আপনি,ভালো লাগছে দেখে -{@
শুভ মালাকার
“যুক্তিকে” আমি সর্বিদাই সমর্তন করি আর এখানেও করলাম, কারন- যুক্তি দিয়ে যা প্রমান করা হয় তা সর্বদাই সত্য আর বাস্তব বলেও প্রমাণিত হয় । কেন-না; ওকালতীতে তো সর্বদাই যুক্তিকে সমর্তন করে যেকোন ঘটনার সত্যতা আর বাস্তবতা যাচাই করার জন্য । তা-না হলে তো “ওকালতী” নামে কোন অধ্যায়-ই থাকতনা।
অবশ্য উপরিউক্ত বক্তব্য ছাড়াও এটি সমর্তনের যজ্ঞ কেন-না “ভার্চুয়াল ওয়র্ল্ডে” অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগের যেকোন সাইটে-ই সম্মোধনের জ্ঞান থাকা অথ্যন্ত জরুরি। কারন এখানে সবাই শিক্ষিত, সম্মানী এবং জ্ঞানীও বটে আর একজন সম্মানীকে সম্মান করাটাও অন্য একজন শিক্ষিত, সম্মানী আর জ্ঞানীর কাজ সে হোক আমার ছোট ভাই কিংবা অন্য নিকট-আত্মীয়।
অত্যন্ত যতোপযুক্ত একটি পোস্ট। আমার শ্রদ্ধা সমর্পন করলাম।
ভাল থাকবেন -{@
ব্লগার সজীব
ধন্যবাদ শুভ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
শুভ মালাকার
আর আপনাকেও।
ভোরের শিশির
কুনো কথা হপে না উস্তাদ, শুধু :c হপে
ব্লগার সজীব
কথা হপে না লিখলেও কথা তো বললেন :p শুধু হাততালি হপে :c :c :c
ভোরের শিশির
হিহিহিহি… সজু বাইয়া আপনাকে মিস করি, কত্তদিন আগের মতো পোস্ট দেন না!!! রম্যপুষ্টিহীনতায় ভুগছি :p
শুন্য শুন্যালয়
ভাভু বাইয়া, তুমারে তো আগে ভাইয়া ডাকতাম, আজ থেকে শুধু ভাভুসোনা। নামের আগে ব্লগার লাগিয়ে বিশাল ভাব নিতাছো মনে লয়। আমি ব্লগার হইতাম চাইনা। আপনি, তুমি, তুই, পারলে তু ডাকবো। কেউ আমার পিছনে দূরবীক্ষন যন্ত্র লাগাইলে লাগাক। সোনেলা আমার জন্য ব্লগ না, আমার বাড়িঘর। তুই থেকে আপনিতে উঠলে তো ভালো, প্রমোশন হবে, হাসাহাসি কেনু? 🙂
এবার একটু সিরিয়াস কথা বলি, বন্ধুত্ব প্রকাশ করতে গিয়ে যদি সত্যি সমালোচনা থেকে দূরে সরে যাওয়া হয়, তাহলে সে বন্ধুই না। তবে তোমার কথা ১০০ সত্যি, যদিও এমনটা হওয়া উচিৎ না। লেখার ঠিক সমালোচনা না করলে আগে শেখা আসলেই হবেনা। আমাকে সব্বাই এত্তো পছন্দ করে, আজ পর্যন্ত কেউ আমার আজগুবি লেখাকেও খারাপ বলে নাই, এটা আমার জন্য দূর্ভাগ্যের।
তবে এটা ব্লগ, রিলেশনের আগে অবশ্যই লেখা মূখ্য হতে হবে, লেখার সমালোচনা হতে হবে, তাতে কে কাকে কি সম্বোধন করছে তা মূখ্য নয়। পোস্ট টা অবশ্যই ভাবাবে ভাভুসোনা। তুমি তো দেখি অনেক বড় হয়ে গেছ 🙂
ব্লগার সজীব
সম্বোধন একটি স্থায়ী বিষয় বলে আমি মনে করি।আন্তরিকতার প্রকাশ হয় সম্বোধনে।আপনি আমাকে তুমি,তুই ডাকতেই পারেন।এই ডাকটা আন্তরিকতার মাপকাঠি বুঝা যায়।একবছর বা বেশ কিছুদিন তুই তুমি থেকে হঠাৎ যদি আমাকে আপনি বলা আরম্ব করেন,তাহলে বুঝা যাবে আন্তরিকতার কোন সমস্যা হয়েছে।যা এখানে না,ব্লগের বাইরে।এটি বিব্রতকর অবশ্যই।ব্লগাররা একটু বেশিই চালাক হয়,এনারা এনিয়ে হাসা হাসি করতে পারেন,হয়ত কিছু বলবেন না।
যদি এমন হয়,আপনি এখানে আমাকে তুই,তুমি বলছেন,ব্লগের বাইরে পরিচয়ের সুত্রে হঠাৎ দূরত্ব বৃদ্ধি পেলো, সে দুরত্বেও ব্লগের সম্মোধনে কোন প্রভাব ফেলবেনা তাহলে যা খুসি সম্বোধন করা যায়।
আমি তো বড়ই 🙂 ধন্যবাদ আপু -{@
শুন্য শুন্যালয়
বুঝেছি ব্লগে লোহার বর্ম পরে ঢুকতে হবে। 🙂
ব্লগার সজীব
কিছু পরে ঢুকতে হবে না, আমি কিছু না পরেই ঢুকি ব্লগে 🙂 -{@
মোঃ মজিবর রহমান
সম্পর্ক থাক না সজীব ভাই।
এই সম্পর্কেই আমাদের জীবনের পরিচয়।
সম্পর্ক থাকবেই তাই বলে সম্বোধন থাকবেই।
ভোটের মাঠে যাই ঘটুক আমরা সবাই হ্রিদ্রতায়
একই সুরে বাঁধা।
আপনার মত আপনিই লিখুন দারুন লাগলো।
শুভেচ্ছা অবিরত।
ব্লগার সজীব
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার আন্তরিক মন্তব্যের জন্য -{@
শুন্য শুন্যালয়
একটা পঁচা পোস্ট এক নাম্বারে রেখে দিয়ে ভাগলে তো হবেনা, নামের জাস্টিফিকেশন করুন ভাভু সোনা। ও আপনাকে তো আপনি বলতে হবে। পারবো না ডাকতে, কি করবেন করেন। নিজেকে বড় বানানোর কত শখ।
শুভ নববর্ষ ডার্লিং সজু। সুন্দর একটি সজু স্পেশাল পোস্ট নিয়ে ফিরে আসুন, এই যে দাঁত বের করে রাখলাম। মিস ইউ ঠু।
Happy new year, 2016 -{@
ব্লগার সজীব
আমি কি বলেছি আমাকে আপনি বলতে হবে? 🙁 তুমি ডাকবেন অবশ্যই 🙂 Happy new year, 2016 -{@ আপু। দেখি কিছু একটা নিয়ে আসা যায় কিনা।
ড্রথি চৌধুরী
এজন্যই আমি ‘ আপনি” ছাড়া অন্য কিছু বলি না ( লক্ষ্মী মেয়ে তো ) \|/
এই যেম্ন ” আপনি কেমন আছো ? , আপনি কি করো? আপনি কই যাও ? ইত্যাদি ইত্যাদি
:p
যাইহোক সতর্কতা অবলম্বনে আপনি ই শ্রেয় (y)
ব্লগার সজীব
” আপনি কেমন আছো ? , আপনি কি করো? আপনি কই যাও ? :D)
ড্রথি চৌধুরী
নিজের নিরাপত্তার ব্যাপার বলে কথা :p
ব্লগার সজীব
জি আপু 🙂