
সুটেড এণ্ড বুটেড ছেলে আমার খুব পছন্দ। বলা যায় স্টাইলিস! যে এক নজরে মনোযোগ কাড়বে। তার গলার টাইটি হবে শার্টের রঙের থেকে উজ্জ্বল। জুতোটা সাইনি। এক হাত থাকবে হালকা করে প্যান্টের পকেটে দেয়া। তাকে দেখেই আমার মনে নতুন ভাষা জন্ম নেবে। এটা বিশেষায়িত ভাষা। প্রেম প্রচলিত শব্দের মানে বদলে দেয়, চেনা শব্দের মধ্যে অনেক অচেনা ইশারা ঢুকিয়ে দেয়। আজ এই ছেলেটিকে দেখলাম। তার কথা বলতে কোন জড়তা কাজ করছেনা। কিভাবে জানি ও আমার মনোযোগের প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠলো।
রেস্টুরেন্ট এর দরজা খুলে যেতেই, আমার মনোযোগ কাড়লো দুই কপোত কপোতী !
ও হ্যাঁ, উপরের অংশটা আমার নতুন গল্পের। আমি লিখছিলাম একটা রেস্টুরেন্টে বসে। বৃষ্টির দিনে ভাবলাম রেস্টুরেন্ট ফাঁকা থাকে। ওখানে চা পান করতে করতে নতুন গল্পটা শেষ করা যাবে। কপোত কপোতীরা বেছে নিয়েছিল আমার পাশের টেবিলটা। ওরা কফির অর্ডার দিয়ে কথা বলতে শুরু করলো। মনে হচ্ছে ওরা কি একটা কঠিন সিদ্ধান্ত নিবে।
কফি চলে এলো। ওদের ভ্রুক্ষেপও নেই। হাতের মুঠোয় কফি মগ বন্দি করে চললো চোখে চোখে কথা, কখনো কথার ফুলঝুড়ি। মেয়েটির অগোছালো চুলগুলো বৃষ্টির হালকা বাতাসে উড়ে ছুঁয়ে থাকলো কপাল আর চোখ। ছেলেটি সরিয়ে দিচ্ছে আর মুচকি হাসছে। ওরা কখনো সাহিত্য ,কখনো কবিতা থেকে দু এক লাইন বলছে । মেয়েটি গুনগুন করে গান গাইলে ছেলেটি পরের লাইন বলছে। মেয়েটির চোখ–ভ্রমর কালো–কাজল দেয়া! অত্যাধুনিক টপস আর জিন্সে তাকে অপ্সরী লাগছিল। তারা কথা বলায় এতো বেশি মগ্ন ছিলো যে, আশেপাশের কোনকিছুই তাদের স্পর্শ করছেনা। বর্ষার প্রকৃতির সজলতা, চাঞ্চল্যতা, মেঘের ছুটোছুটি, বৃষ্টির রকম ফের, নাহ্! কোনকিছুই নয়।
আমার তিন নং চা চলছে। ওদের কফি মনে হয় মাঝপথে। ভাবলাম, এদের সৌন্দর্য প্রত্যক্ষ করতে আমার লিখার বারোটা বাজছে। একটু জানালা দিয়ে আকাশ দেখার ছলে অন্যমনস্ক হই।
ওয়েটার এসে বলছে, ম্যাডাম কিছু লাগবে?
সম্বিত ফিরে দেখি কপোত কপোতী উধাও। মনে হল আমি তাদের কাছে অদৃশ্য থেকে গেলাম।
২৬টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি
এক নিঃশ্বাসে শেষ।দারুণ।
আরজু মুক্তা
শুভকামনা।
জিসান শা ইকরাম
সুটেড বুটেড এর গল্প বাদ দিয়ে কফি খাওয়া তরুন তরুনী দেখালেন, তাদের অদৃশ্য হওয়াও দেখালেন।
তা আসল গল্প কবে দেবেন?
শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
হা হা।গল্পের ঝলকানিতে রাঙ্গিয়ে দিবো। আসিতেছে……….!
শামীম চৌধুরী
আপু লেখাতো সারাজীবন লিখতে পারবেন। কপোত-কপোতীদের কঠিন সিদ্ধান্তটা কি শুনতে পেরেছেন? যদি শুনতে পান তবে পরবর্তী লেখায় অবশ্যই আমাদের জানাবেন।
আরজু মুক্তা
জানাবো। তবে লেখকের লিখায় ছেদ পরেছে।
শামীম চৌধুরী
এটা কি বললেন আপু? পাঠকের তবে কি হবে?
শিরিন হক
আপনার নতুন গল্পের গপ্পো শুনতে চাই।
প্রেমিক চোখের দৃস্টি আশেপাশের দিকে গেলে প্রমের মধ্যে ব্যাঘাত হতো। যেমনি আপনার লেখায় ঘটেছে।
কঠিন সিদ্ধান্তো কি ছিলো জানালেনা।
আরজু মুক্তা
পরবর্তী তে জানতে পারবেন।আসলেই লেখায় ছেদ পরেছে।
শাহরিন
৩ কাপ চা!!!
গল্পের শুরুটা ভালো লেগেছে এবার গল্পের অপেক্ষায় রইলাম।
আরজু মুক্তা
চা আর গল্প একে অপরের পরিপুরক।
সামনে আসছে।নতুন গল্প।
মোঃ মজিবর রহমান
সুন্দর একটি উপস্থাপনা। সুটেড আর বুটেড সবারই ভাল লাগে তই আমাদের মত হাব্লা গোব্লা গুলো যাবে কই শুনি।
দারুন লিখেন আপু।
আরজু মুক্তা
গল্পটা ভালো লেগেছে এটাই বড়!
আমার তো হাবলা গোবলাও ভালো লাগে।
মোঃ মজিবর রহমান
সহানুভুতি!!!
মাছুম হাবিবী
বাহ্ খুব সুন্দর একটি গল্প উপহার দিলেন বেশ ভালো লাগলো।
আরজু মুক্তা
শুভকামনা🌹
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্, গল্প বলার ভাল কায়দা রপ্ত করেছেন বুঝতে পারছি।
ঠিক আছে গল্প না হয় এভাবেই বুঝে নেব।
আরজু মুক্তা
শেষ হয়েও হইলোনা শেষ! ছোট গল্প কিছু করার নেই।
কিছুটা আমেরিকান ছোট গল্পের আদলে লিখা হয়েছে।
শুভকামনা
মাসুদ চয়ন
খুব সুন্দর বিবরণ-গল্পে প্রানবন্ত আবেশ আছে।
আরজু মুক্তা
শুভকামনা জানবেন!
সাবিনা ইয়াসমিন
আমি গল্পটা বুঝিনি। পুরোটাই কি কল্পনা ছিলো? না লেখক প্রতি কাপ চায়ের সাথে প্রতিবার কল্পনায় ডুবে গিয়ে কিছু একটা গল্প লিখবে বলে ভাবছিলো?
আরজু মুক্তা
আপু,উপরের অংশ লেখক লিখতেছিলো।কিন্তু তার লিখায় ছেদ ঘটায় দুই কপোত কপোতী।পরে ওদের বর্ণনা দিয়ে গিয়ে দেখলেন।তারা নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত।পাশের টেবিলে যে একজন লেখক আছে তাও দেখেনি।
শুভকামনা।
বন্যা লিপি
ধুর ছাই…… মাঝ পথে চোখ চলে গেলো আপনার রোমান্টিক কপোত কপোতির দিকে? কপোত কপোতির বর্ননায় তো দারুন আরেকটা গল্প অসমাপ্ত রেখেই চায়ের কাপ গুনতে দিলেন। এবজর স্যুটেট বুটেট ভালোলাগা যুবকের গল্প শুরু করে দিন তো তারতারি!! পেয়েছেন এতদিনে এমন কোনো ভালোলাগা স্যুটেট বুটেট ভালোলাগা যুবক??
আরজু মুক্তা
লেখক তার ভাবনায় এরকম হাজার যুবকের দেখা পান।
গল্প সামনে আসছে।
শুভকামনা।
তৌহিদ
আপনি কিন্তু ছোটগল্প ভালো লেখেন আপু। আপনার গল্প লেখার শুরু এবং শেষটা দারুন হয়। কপোত কপোতি চলেই গেলো কিন্তু লেখকের গল্প লেখা কি শেষ হলো?
ভালো থাকবেন।
আরজু মুক্তা
লেখকের গল্প লিখা তো থামে না!
আপনার অনুপ্রেরণা আমাকে ছোট গল্প লিখায় অনুপ্রাণিত করবে।
শুভকামনা