একটি শীতের সকালের ফিরে আসা দিগন্তের ওপার থেকে
যাবে কোথায়? অস্বচ্ছ কুয়াশায় কতো দূরই বা যাওয়া যায়!
আবার নিঃসঙ্গ, অলস দুপুরে কাঁথা মুড়ি দিয়ে
পরিবর্তিত স্বপ্নেরা শুয়ে থাকে শীতল বারান্দায়;
যেনো হেঁটে আসা ক্লান্ত ডাকপিয়নের ঝোলা ব্যাগে ভরা চিঠি
অভিমান-মাখা অক্ষরের টেবিল-ঘুম।
সমাপ্তিহীন অনুভূতি এভাবে জমিয়ে রেখে কি আদৌ চলে যাওয়া যায়?
যদিও সময় স্রোতের মতো ভেসে যায়,
স্বপ্নেরা হারিয়ে যায়,
ইচ্ছেদের পরিবর্তন হয়,
আর আশাদেরও মৃত্যু ঘটে–
তবুও তো শেষ বিকেলের রোদ ভোরের জন্যেই ঘুমোতে যায়।
তাই জানি হারিয়ে যেতে পারোনা তুমি
অন্ধকারে আমাকে ছুঁয়ে দেবার জন্যেই এমন আড়াল তোমার।
বোকা জানো না,
ফিরে ফিরে যায় যতোই দূরে থাকুক ঘর
ডাকে, হাতছানি দেয় শেকড়!
এসো দরোজা এখনও খোলা,
তোমার জন্যেই এখনও অক্ষরের শব্দ বুনন।
**এই শুনছো, তোমাকেই বলছি! জানতাম আসবেই।
হ্যামিল্টন, কানাডা
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ইং।
৪৪টি মন্তব্য
নীতেশ বড়ুয়া
অদ্ভুত! আঁধারেও ইতিবাচকতা খুঁজে নিয়েছেন…শুরু থেকেই দারুণ করে টেনেছেন কথাগুলো। আপনারা সবাই এতো ভাল লিখেন কি করে!! (3 -{@
(কিছু আগে থেকেই ভাবছিলাম নীলাদি’র পোস্ট কই? এসেই গেলো 😀 )
নীলাঞ্জনা নীলা
অন্ধকার থেকেই তো ভোরের স্বপ্ন দেখা শুরু হয়। আমি যে স্বপ্ন সাজাই সে অপূর্ণতার জন্যে নয় গো নীতেশদা।
তার মানে আরোও বাঁচবো? ইস বুড়ী বয়স পর্যন্ত বাঁচলে ডোনেট করা অর্গান কাজে আসবে না। 🙁
ভালো লিখি আমি! একঘেঁয়ে ভাবে শুধু প্রেমই লিখি। ঘুরে ফিরে সেই একই আমি। 😀
নীতেশ বড়ুয়া
প্রথম কথাঃ
প্রেম তো সব কিছুতেই। মানব মানবীর একান্ত প্রেম, প্রকৃতির সাথে একান্ত প্রেম, জীবনের সাথে একান্ত প্রেম আবার প্রকৃতির মাঝে জীবনের খোঁজে মানব মানবীর একান্ত প্রেম সব সময়ই ভিন্নতা নিয়ে আসে।
দ্বিতীয় কথাঃ
একঘেয়েমি আপনার কবিতায় আসে না সাধারণত, আর তাই তো মন ভরে মন্তব্যের জবাবে মন্তব্য চালিয়ে যাই।
এই যে এখানে কাউকে খুঁজে বেড়ালেন নানান ভাবে জীবনের সাথে প্রকৃতির মাঝে তা কয়জনে শব্দে প্রকাশ করে ঠিকেঠাকে নিয়মিতভাবেই! সেই সাথে বোনাস হিসেবে আপনারই তোলা কিছু ছবি!!
(একঘেয়েমি এলে আমি নিজেই পোস্ট থেকে দূরে থাকি, প্রগলভ হয়ে মন্তব্যে যাই না-বন্ধনীর মাঝে ইহা ভাবগাম্ভীর্য্যপূর্ণ মন্তব্য বটে :p )
নীলাঞ্জনা নীলা
আগামীকাল বলবো কথা। এখন ঘুমোতে হবে।
নীতেশ বড়ুয়া
ওক্কে, শুভ রাত্রি := -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
এতো সুন্দর মন্তব্যের প্রতি মন্তব্য কি করা উচিৎ জানিনা। হুম প্রেম ছাড়া কিছুই নেই আসলে। তাইতো হাসতে পারি, এমনকি কান্নাও। সোনেলার এই অঙ্গনে এই যে জড়িয়ে আছি আমরা সকলে, সে তো প্রেমই। লেখা দিয়ে কাঁদাই, আবার আনন্দও দেই, আবার কষ্ট আগলেও নেই। সবই তো প্রেম।
প্রেম ছাড়া আমি নেই। সে লেখা হোক আর জীবনই হোক। :p লজ্জ্বার ইমোটা কই ;?
নীতেশ বড়ুয়া
সোনেলার সকল লজ্জা ব্রীড়াবতী মারদাঙ্গাবতী লীলাপুর কাছে তাই কোন ইমু নাই :D)
জীবে প্রেম করে যেইজন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর (ঈষৎ পরিবর্তিত) :p
মূলত আমিই আপনাদের পোস্ট নিয়ে তেমন আলোচনা করতে পারি না 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
আলোচনা করতে কে বলেছে! সম(সমান) 😀 +আলোচনা করলেই চলবে :D)
অরণ্য
ওয়াও! :c (y)
কিছু না লিখে বোবা থাকার মধ্যেও মজা আছে। 🙂
সমাপ্তিহীন অনুভূতি এভাবে জমিয়ে রেখে কি আদৌ চলে যাওয়া যায়? (y) আর দিতে পারলাম না, পুরোটাই শেষে কোটেড হয়ে যাবে। 🙂
-{@
নীলাঞ্জনা নীলা
সে তো হবেনা। বোবা আপনাকে থাকতে দেয়া যাবেনা। বুঝলেন? ওসব মিষ্টি হাসি আর গোলাপে কাজ হবেনা। আগেই বলে দিলাম কিন্তু। গোলাপ কিন্তু আমার খুব অপ্রিয় একটা ফুল। জানিয়ে রাখলাম। 😀
আবু খায়ের আনিছ
একটি শীতের সকালের ফিরে আসা দিগন্তের ওপার থেকে
যাবে কোথায়? অস্বচ্ছ কুয়াশায় কতো দূরই বা যাওয়া যায়!
শুরুটা এই দিয়ে, তারপর টেনে হিচড়ে নিচের দিকে নামিয়ে আনল, পড়তেই হবে,না পড়ে বাপু যাবে কোথায়? লেখায় পূর্ণ প্রেম না থাকলে কি আর এমন হয়?
লেখায় যেমন প্রেম তেমনি লেখনিতেও প্রেম পাঠকেও প্রেম। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
একেবারে পূর্ণবতী চাঁদের মতোই প্রেম।
ধরা যায়না, ছোঁয়া যায়না
যায়না একটু কাঁদা
এমন প্রেমে যে মানুষ পড়ে
সে আস্ত একটি গাধা।
বুঝলেন নাকি আনিছ দাদা? :p
মজা করলাম কিন্তু।
আবু খায়ের আনিছ
এমন দিদি কয় জনার আছে
ছন্দে ছন্দে দাদাকে স্বরণ করে
ধন্য আমি, ধন্য আমার জীবন
সবার দিদি হয় যেন এমন। 🙂 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
বাহ বাহ বাহ
এমন সুন্দর ছন্দ
তাইতো ভেঁজা হাওয়াতে
বেলী ফুলের গন্ধ। 😀
জিসান শা ইকরাম
কানাডাতে শীতের কাথা পাওয়া যায় নাকি? 🙂
যদি এসেই যায়,এমন কবিতা থেমে যাবে
না আসুক সে………
ভালো হয়েছে কবিতা।
নীলাঞ্জনা নীলা
কি পাওয়া যায়না? এই যে এখন কাঁথাই তো গায়ে দিই। তবে আমার কাঁথাটা আমার শাশুড়ীর বানিয়ে দেয়া।
আর তীর্থ যেটা ব্যবহার করে, সেটি আমার ঠাকুমা(দাদী)র হাতের।
নানা আর থেমেই গেছে। না এলে একেবারে নাই হয়ে যাবে। তবে হুম সে এসেছে বলেই লেখাটিও এলো। উফ কি লজ্জ্বা! ও নানা তুমি তো মডুরে চেনো, কও না লজ্জ্বার একটা ইমো দিতে। মডুরে এইটাও বলো লজ্জ্বার ইমোটা দিলে আমার হার্টের একটা অংশে তারে জায়গা দেবো। -{@ (3 এই যে দিলাম, পৌঁছে দিও।
ছাইরাছ হেলাল
খোলা দরজার এ দরাজ আহ্বান কেউ এড়াতে পারবে বলে মনে হয় না।
এবারে বারান্দা ও শীতল থাকার উপায় থাকবে না।
লেখার যে শক্ত বুনন তাতে ছুটে পালিয়ে যাবার উপায় নেই।
শীতল আগুন নিয়ে এসো নীল জ্যোৎস্নায়।
নীলাঞ্জনা নীলা
পালিয়েই গেলো গো কবি ভাই ;(
এটা কি বললেন? আগুণ শীতল হয়? ;? তার মানে! 😮
নাহ আপনাকে তার সাথে কথা বলিয়েই দিতে হবে।
কি যে বলেন! এড়ানোর জন্যে কতো প্ল্যান যে করছে।
আচ্ছা আপনি কি একটু বোঝাবেন ওকে, এভাবে যেনো না এড়ায়? ভুল না বুঝে?
জানেন কি বলে আমায় আমি নাকি ঝগড়া করি। ঝগড়া করলে কি কান্না আসে? কেউ কাঁদে? 🙁 ;(
ছাইরাছ হেলাল
আগুন তো বহুরূপী ভাই।
অতি দ্রুত আমার সাথে জুগাজুগ করিয়ে দিন, তারপর দেখি কার কান্না কে কাঁদে!!
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনি আমায় চেনেননি, বোঝা তো দূরের কথা। কবি ভাই এরপর দেখা যাবে আপনি-ই বসে বসে কাঁদছেন :D)
ব্লগার সজীব
অবশেষে সব ঠিক ঠাক 🙂 মধুর সমাপ্তি -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
“মধুরেণ সমাপয়েৎ” 😀
ভাভু ভাই এবার শেষ আনবো বিষাদের। 🙁
অরুনি মায়া
সময় স্রোতের মতো ভেসে যায়,
স্বপ্নেরা হারিয়ে যায়,
ইচ্ছেদের পরিবর্তন হয়,,,,,,
এমন ই যখন ভাবনা তখন সে কি আসবে????
আসবে তোমার নীল????
যদি হারিয়ে যায় যদি বদলে যায়?
তবুও কি তুমি ডেকে ডেকে ঘুমিয়ে যাবে?
তখনও কি ভোরের আলো তোমার চোখে শুকিয়ে যাওয়া জলের ধারা দেখবে? 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু কেউ না কেউ অপেক্ষায় থাকে, কেউ না কেউ আসেই জীবনে ফিরে না যাবার জন্যে।
যে চলে যায় সে তোমার জন্যে আসেনি, আর যে থেকেই যায় সে তার নিজের জন্যে এসেছে তোমার ভালোবাসার টানে। বোঝাতে পারলাম?
আপু অনেক অনেক আদর-ভালোবাসা। -{@ (3
অরুনি মায়া
আমার কাছে কেউ থাকেনা তাই আমি ধরে নিলাম আমার জন্য কেউ আসেনি। কিন্তু আমার একটাই প্রশ্ন তবে আমি কার জন্য এসেছি????? ;?
নীলাঞ্জনা নীলা
আমাদের এই সোনেলার জন্যে গো আপু। 😀
যে থাকেনা, সেটা তার দোষ। তোমার না। মনে রেখো কথাটি। -{@ (3
অরুনি মায়া
আচ্ছা ঠিক আছে,
সোনেলা আমার আমি সোনেলার
আমি সোনেলা কন্যা,,,,, 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
ওরে সোনেলা কন্যা। 😀 -{@ (3
সীমান্ত উন্মাদ
তোমার লিখায় জীবন বোধটা পাই বলেই লিখা এতো ভাললাগে, আশা আর সপ্ন নিয়েই আছি বলেই জানি সমস্ত অন্ধকারের পরেও কোন না কোন সময় পর আলো আসবেই। বিশ্বাস এ ভরসাই আমাদের বাঁচিয়ে রাখে জীবন চলার পথে সাবলিল করে তুলে।
অনেক অনেক শুভকামনা নিরন্তর আপু, তোমার জন্য। বাইজান্টাইন সম্রাজ্ঞীর মত তোমাকে ঘীরে থাক পৃথীবির সমস্ত সুখ।
নীলাঞ্জনা নীলা
বাইজান্টাইন সম্রাজ্ঞী উপাধি দিয়ে দিলে ভাইয়া?
ভালোবাসা আছে, থাকবেন সকল সময়েই। যত্নে রেখো নিজেকে। -{@
স্বপ্ন
ভালো লাগলো সুন্দর সমাপ্তি দেখে।আপু ছবিটা কেন জানি বিষাদ মাখা।
নীলাঞ্জনা নীলা
সূর্য ডুবছে অন্য এক ভোরের জন্যে। আকাশ তো কাঁদবেই, মেঘও। অন্ধকারে আকাশ আর মেঘের দৃষ্টি বিনিময় হয় না যে!
ভালো থাকুন স্বপ্ন। -{@
রিমি রুম্মান
তবুও তো শেষ বিকেলের রোদ ভোরের জন্যেই ঘুমোতে যায়
তাই জানি হারিয়ে যেতে পারোনা তুমি
অন্ধকারে আমাকে ছুঁয়ে দেবার জন্যেই এমন আড়াল তোমার… কতো সুন্দর করে লিখেছেন। ছুঁয়ে গেল। লেখায় ছবিতে মুগ্ধ। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
রিমি আপু আপনাদের সুন্দর মন্তব্যই আমাকে লিখিয়ে নেয়।
ভালো থাকবেন। -{@
সীমান্ত সৈকত
আবার নিঃসঙ্গ, অলস দুপুরে কাঁথা মুড়ি দিয়ে
পরিবর্তিত স্বপ্নেরা শুয়ে থাকে শীতল বারান্দায়;
অনেকদিন পর আপু তোমার লেখা পরলাম… ভালো লাগার কথা নাহয় নাই বললাম…
এর থেকে ভালো… আমি সুধু পড়েই যাই
নীলাঞ্জনা নীলা
সৈকত শুধু পড়ে গেলে যে হবে না। অনেক অনেক লিখতেও হবে। অপেক্ষায় রইলাম লেখার। -{@
শুন্য শুন্যালয়
জানেমান, তুমি ডাকবা, আমি কি না এসে পারি !!!
নীলাঞ্জনা নীলা
শুন্য আপু তুমি কি বিশ্বাস করবে আসলেই আমি তোমাকে মিস করি? ভালো থেকো। -{@
শুন্য শুন্যালয়
পালিয়ে তো যাবই ভেবেছিলাম
দুষ্টু বদের লাঠি, কাঁথাখানা শুধু টেনে নিয়ে যাস
আর আমি যে উদোম শুয়ে থাকি।
দিগন্তের ওপার থেকে ফিরে আসতেই হলো
মিনিবেড়াল, তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে তোর বুনে দেয়া
সোয়েটার টা নিতেই যে ভুলে গেছি।
ফিরে এসে দেখি, দরজাখানি তেমনই খোলা।
ওরে বুদ্ধু, ঘুমের ঘোরে কিসব আবোল তাবোল বলছিস?
এই দেখ, তোর জন্য শিউলি ফুল আর রাস্তার মোড় থেকে মনি খালার বানানো
গরম চিতই সাথে চোখে জল আনা ফুঁফু ঝাল ভর্তা এনেছি
ওঠ না, ছোট্ট বুড়ি, নীলাঞ্জনা।।
নীলাঞ্জনা নীলা
উফ এত্তো আবেগ কেন ছড়াচ্ছো আমার মনে? আমি জানো না অনেক লোভী, একটু আহ্লাদ পেলেই আরোও বেশী বেশী আহ্লাদী হয়ে যাই যেমন, তেমনি অনেক বেশী চাই চাই করতে থাকে মন। আনন্দে মন নাচছে। \|/
-{@ (3
মেহেরী তাজ
সে কি এসেছে??
আমি আসতে একট দেরি করে ফেলেছি। 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
পিচ্চি আপু তুমি ঠিক সময়েই এসেছো। 😀 -{@
ইমন
হেপি এন্ডিং 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
হুম ঠিক তাই। “শেষ ভালো যার, সব ভালো তার।” কথাতেই তো আছে। 😀