চন্দ্রমল্লিকা রাত্রি জানলায় এসে দাঁড়িয়ে থাকে
অথচ নক্ষত্রের আসার কথা ছিলো।
বাতাসে বেলী ফুলের মৌতাত ছড়িয়ে
চুপটি করে আকাশ এই অন্ধকারকে বুকের ভাঁজে নিয়ে লেপ্টে রাখে
কোন পাবার আশায়, কে জানে!
পিঙ্গল রোদের আকাঙ্ক্ষায় জেগে থাকা চোখ স্বপ্নহীনতায় ভোগে।
অনেককাল পর কখনো যদি একই সীমারেখায় আমি থাকি
আর,
আকাশ-নক্ষত্র-চন্দ্রমল্লিকা রাত্রি এক কাতারে এসে দাঁড়ায়,
ভেবে রেখেছি সেদিন একটি কবিতা লিখবো।
অ-জনপ্রিয়তার ব্যাগে ঝুলবে চঞ্চল শব্দেরা;
আমি হাঁটবো আর ফেরি করবো
“কবিতা নেবেন কবিতা?”
ঝোলার ভেতর থেকে তখন নিশ্চিত খিকখিক করে হেসে উঠবে স্বপ্নেরা,
আক্ষরিক বুননের কাছে দু:খ-যন্ত্রণা মৃত নক্ষত্রের মতোই মুখ থুবড়ে পড়ে কিনা!
হ্যামিল্টন, কানাডা
৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ইং।
**নির্ঘূম একটি রাত ছিলো গতকাল…সঙ্গী হয়েছিলো এই অক্ষরগুলো। এক্সিডেন্টের এক মাস পূর্তি 😀
**ছবিটি তোলা হয়েছিলো ২০১২ সালের ১০ মার্চ ট্রেনের জানালার ভেতর থেকে। নোভাস্কশিয়ার ট্রুরো শহর থেকে হ্যামিল্টন আসার পথে।
৪০টি মন্তব্য
রিমি রুম্মান
দিদি, লেখাটি এতবেশি ভাল লাগলো, ছুঁয়ে গেলো __ প্রিয় তে নিয়ে রাখলাম। মাঝে মাঝে পড়বো বলে।
অন্য কোন মন্তব্যে যাচ্ছি না আর। ভাল থেকো, সুস্থ থেকো ।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু কি ভয়ঙ্কর দিন পার করেছি, সবাই বলতো লেখার কথা। কতো চেষ্টা মনে মনে লেখার, পারিনি।
এটি যেদিন লিখি সেদিন মনটার ভার কিছুটা কমেছিলো।
প্রিয়তে রাখার মতো হয়েছে, অনেক বড়ো পাওয়া হয়ে গেলো।
ভালো থেকো তুমিও আপু। -{@
মারজানা ফেরদৌস রুবা
এক্সিডেন্টের এক মাস পূর্তি! এক্সিডেন্টেরও পূর্তি পালন!!!! তাও আবার নির্ঘূম থেকে? ^:^ ^:^
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু নাহ এক্সিডেন্টের পূর্তি হয়না। এতো বড়ো ট্রমার ভেতর দিয়ে চলছিলাম যে, কেউ যেনো এমন জীবন না পায়।
আমার ঘুম হতোনা রাতে। হাই-পাওয়ার ঔষধ বন্ধ করে দিলো, তখন সব এলোমেলো।
আস্তে আস্তে এখন আমি স্বাভাবিক জীবনে আসছি।
তবে ভাবছি ত্রৈমাসিক পূর্তি করবো, কেমন হবে? :p 😀
জিসান শা ইকরাম
আমার লেখাটি তুমি লেখে দিলে ? 🙂
এ যে আমারই কথা, জানলে কিভাবে তুমি?
অবশ্য আমি লিখলে তা পড়ার অযোগ্যই হয়ে যেতো
তুমি লিখে ভালোই করেছো।
দ্রুত সুস্থ্য হয়ে ওঠো -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা লিখেই দেখো না। যোগ্য হবার সম্ভাবনা। 😀
আশীর্বাদ করো আর নামাজে রোজ প্রার্থনা করো তো আমার জন্যে?
জিসান শা ইকরাম
আরে না, আমার কাঝে কাব্য নাই, সব গদ্য ইট পাথর………
তোমার ভালোর জন্য সব সময়ই দোয়া করি।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা ইট-পাথরই জোড়া লাগাও, নয়তো ভাঙ্গো। কিছু না কিছু তো সৃষ্টি হবেই।
ভালো রেখো নিজেকেও।
আর শোনো আগামীকালের খেলায় আমি থাকছি কিন্তু। আমরা বাঙালী, আমাদের জয় হবেই। 😀
মোঃ মজিবর রহমান
অক্ষর বুননে আপনার হাত সিদ্ধ্ব
শব্দরা হোক আপনার লেখার আনন্দ।
খুব ভাল লাগলো আপুনি।
নীলাঞ্জনা নীলা
মজিবর ভাই কি জানি কেমন সিদ্ধ! বলছেন তো। সাহস পাই লেখার।
ঘুমের ঘোরে কেটে যাওয়া অনন্ত পথ
দারূণ হয়েছে
ভাল লাগা অনেক -{@
দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন সেই কামনা করছি
নীলাঞ্জনা নীলা
ভালো লাগাটুকু লেখার জন্যে খুব দরকার। যত্নে রাখলাম।
ভালো থাকুন আপনিও। 🙂
আবু খায়ের আনিছ
আপু তোমাকে আগেও বলেছি, কিছু লেখা নিজের অজান্তেই চুপিচুপি শব্দ করে পড়তে ইচ্ছা করে। মুগ্ধ হয়ে শুধু পড়েই যাই বারবার। প্রিয়তে যোগ করলাম।
তোমার সুস্থতা কমনা করি।
আবু খায়ের আনিছ
+শেয়ার করেও রাখলাম।
নীলাঞ্জনা নীলা
আনিছ ভাই এ তো আমার পরম সৌভাগ্য যে প্রিয়’র তালিকায় স্থান পেলো লেখাটি।
যখন লিখি তখন মনে হয়েছিলো কারুরই ভালো লাগবে না।
ভালো থাকবেন। 🙂
আবু খায়ের আনিছ
ধন্যবাদ আপু। তোমার লেখা ভালো হবে না এমন ভাবাটা ভুল। তোমার লেখাগুলো অনেক ভালো হয়।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়া এভাবেই আপনাদের মন্তব্যের আলোয় অন্ধকার কাটে আমার লেখা-ভূবনের।
খসড়া
কবিতা সাজাও শব্দ মালা দিয়ে
আর শব্দ সাজাও অক্ষর দিয়ে
চমৎকার।
নীলাঞ্জনা নীলা
এতো সুন্দর মন্তব্যে আমার লেখাটি উজ্জ্বল হয়ে উঠলো।
অক্ষরগুলো নেচে উঠছে প্রজাপতির মতো।
অনেক ধন্যবাদ। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
অক্ষর বুননের স্বপ্ন চালু রাখুন,
বেলির বাতাসে অক্ষরেরা হাসবে একদিন।
নীলাঞ্জনা নীলা
চেষ্টা করি। কিন্তু পারি কই?
মাঝে-মধ্যে কিছু ভাব দিয়েন কবিভাইসাব। তাইলে যদি কিছু পারি। 😀
নাসির সারওয়ার
“কবিতা নেবেন কবিতা?”
আসুন আসুন, বাণিজ্যের সুঘ্রাণ পাচ্ছি। আমি থাকতে কবিতার ঘাটতি হবেনা কোনদিনই!!
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়ূ আরে আপনার জন্য ফ্রী।
আগেই তো বলেছি আমরা দুইজন কবি না থাকলে এই কি যে হতো এই সোনেলার! :p 😀
অপার্থিব
ভাল লেগেছে অক্ষরগুলো। চলতে থাকুক অক্ষর ক্ষরণ…
নীলাঞ্জনা নীলা
বাহ! অক্ষর ক্ষরণ!! দারুণ বলেছেন।
মাথায় ঘুরবে যতোদিন না এই শব্দ দুটির সুন্দর প্রয়োগ কোথাও না করতে পারি।
অনুমতি চাইছি, পাবো? 🙂
অরুনি মায়া
অনেক অনেক অনেক সুন্দর আপু | আমার খুব সখ আমি তোমার মত করে লিখব একদিন | মন ছুঁয়ে গেল আপু 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু তুমি অনেক সুন্দর লেখো।
তোমার লেখায় ভিন্নতা আছে। আমি তো এক সেই ঘ্যাচঘ্যাচ, প্যাঁচপ্যাঁচ প্রেম নিয়েই পড়ে আছি। 😀
অরুনি মায়া
উহু অসব পানির মত সোজা লেখা সবাই পারে |তুমি লেখার মাঝে অনেক কিছু নিয়ে আসো | তুমি, শুন্যাপু, কবি,নন্দিনী আপু তোমাদের লেখার ধরণই অন্যরকম | আমি পারিনা কিছুতেই |
এই ছবি টাও অনেক সুন্দর | প্রিয়তে নিয়েছি আপু |
নীলাঞ্জনা নীলা
প্রিয়তে আমার লেখা! কি সৌভাগ্য আমার!!
আপু প্রত্যেকের জগৎ ভিন্ন। তুমি ভালো লেখো কিনা সে তো জানি আমরা পাঠকেরা।
ব্লগার সজীব
অনেক দিন পরে একটি মনের মত কবিতা পড়লাম।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাভু বাইয়া ভালো লাগছে। লেখাটি আপনার মন ছুঁয়েছে বলে।
অনেক ভালো থাকুন।
মৌনতা রিতু
এতোসব ভালো লেখা।সত্যি অসাধারণ।পড়তে পড়তে মুগ্ধ হই।
কবিতা কেনার আমার খুবই ইচ্ছা।কিনতে চাই দিবেন?সত্যি বলছি স্বপ্নেরা হাসবে,তবে গর্বের হাসি। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
কি যে বলেন না! মুগ্ধ তো আমি আপনার লেখা পড়ে।
আমি তো কবিতা লিখতেই জানিনা। যেদিন লিখতে পারবো, আপনার জন্যে ফ্রী। ঠিক আছে? 😀
ইলিয়াস মাসুদ
ভেবে রেখেছি সেদিন একটি কবিতা লিখবো।
অ-জনপ্রিয়তার ব্যাগে ঝুলবে চঞ্চল শব্দেরা;
আমি হাঁটবো আর ফেরি করবো
“কবিতা নেবেন কবিতা?”
খুবই সুন্দর আপু, অনেক বার পড়লাম, এমন কবিতাই তো চাই
নীলাঞ্জনা নীলা
আজও কবিতা লেখা শিখতে পারলাম না।
চেষ্টা করে যাচ্ছি।
ভালো থাকবেন অনেক।
সালমা আক্তার মনি
নীলা আপু এই লেখাটা পড়ার পর তো আমার আর লেখা দিতেই ভয় হচ্ছে । অসাধারণ হয়েছে । ভালো লাগায় আবিষ্ট হয়ে রইলাম আপু ।
নীলাঞ্জনা নীলা
আরে কি যে বলেন না মনি!
আমি তো এখনও বুঝে পাইনা কেন এ লেখাটা ভালো লেগেছে আপনার! ;?
শুন্য শুন্যালয়
আকাশে কি কারো মুখ দেখা যায়?
সত্যিই নীলাপু, আকাশ পকেটের মধ্যে অন্ধকার ভাঁজ করে রেখেছে, আর এক মেয়ে কবিতা ফেরি করে বেড়াচ্ছে, ভাবোতো দৃশ্যটা।
কোন পাবার আশায় এমন দুঃখের প্রলোভন দেখাচ্ছ কে জানে? অপূর্ব কবিতা নীলাপু। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
ওখানে আয়নার মতো স্বচ্ছ জলের মুখ
তৃষ্ণায় স্নাত বর্ষা
মেঘবালিকার নূপুর তোলার ছন্দ জমে
কবির বুকপকেটে রুমালে আঁকা কবিতায়
ওখানে আমার গল্প রাখা
অস্ফুট রজনীগন্ধার মতো থাকে কিছু সময়।
তারপর,
মেঘ জমে বৃষ্টি এলেই অক্ষর ঝরে শুকনো মাটির বুকে
ওটাই আমার আকাশ, নিঃশব্দ নিঃশ্বাস তোলা এক মেয়ের বসবাস।
আপু এতো সুন্দর মন্তব্য করেছো। পড়েই এ কয়টি লাইন এসে গেলো।
ভালোবাসাই হোক ভালো থাকার নিঃশ্বাস -{@ (3
শুন্য শুন্যালয়
এ কয়েকটি লাইনের পাশেই টুকে রেখো, কএকটি লাইনের জন্মের ইতিহাস 🙂
খুব সুন্দর। -{@