প্রমাণ সাইজের মাছরাঙ্গাটি একাকী শুধুই ভিজছে,
ভিজছে, প্রবল বৃষ্টিতে; বিরস বিষণ্ণ বদনে,
লম্বা ঠোটে কড়া লাল-হলুদ মেখে,
ধ্যানী চৌহদ্দি ফেলে;
আশেপাশে দেখছিনা কোন মাছ-আবাস, খপ করে ধরে
গপ করে গিলে খাবে; লম্বা শক্তপোক্ত ঠোট গড়িয়ে ফোটায় ফোটায়
বৃষ্টি ঝরছে, মাথা ঝাঁকিয়ে ঝেড়ে ফেলছে বারে বারে;
ভিজে টুপুটুপু এ-পাখা ও-পাখা, পা-ও তুলে তুলে পানি ঝেড়ে ফেলছে;
এহেন ধ্যানী দুষ্টের সাথে যৌথতায় যাচ্ছি না, যাব-ও না।
(উল্টো করে আচ্ছা মত কান মলে দিতে পারলে ভাল লাগত,
বদের-বদ, বদের-হাড্ডি কোনহানকার)
—————————————————–
বৃষ্টির পোয়াতি পেট ভীষণ ভারী, শিলা ডিমে;
কখন যে কার টাক ফাটাবে কে জানে!!
ভয়ে আছি, ভয়েই থাকি!!
চান্দি-ছেলারা সাবধান!
নির্ভেজালের দুয়া চাই;
——————————————————
পানি উজিয়েছে পথে-ঘাটে, ঝুম বৃষ্টিতে;
শব্দ পেয়ে আলো ফেলে দেখি দুদুটো নচ্ছার ধারি ব্যাঙ
উপগত হয়ে আছে আনন্দ-শব্দে-শব্দে,
আনন্দ মিলনে লজ্জা থাকে না, লজ্জা হয়-ও না;
অগত্যা পাশ কাটাই পথের পথে, এই বর্ষার বৃষ্টিতে।
——————————————————–
বৃষ্টি ম্যাম রাগ করেছে, গাল ফুলেছে ঢোলে!
কিছুতেই আজ আর নেই কোন বর্ষা;
অসংখ্য দৌত্য কর্ম সবই বৃথা,
মান আর ভাংগছে না, ভাঙ্গবেও না!
অবশেষে বজ্র এলো হেলে-দুলে শির উঁচিয়ে
বিদ্যুৎ নিয়ে, দেখলাম শুধু তীব্র আলোর জ্বলক
আর বিদীর্ণ কর্ণে খান খান হয়ে যাওয়া শব্দ!
মধুর হাসির খিলখিল গুঞ্জনে
অঝোর বৃষ্টিতে ভেসে গেলাম;
২০টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
বৃষ্টি-মেয়ে,
খুব রাগ করেছে,
মুখ হয়েছে
তার
ভারী
মেঘের সাথে
হাওয়ার ভাব হয়েছে
বৃষ্টি করলো
মেঘের সাথে আড়ি।
ছাইরাছ হেলাল
এমন দিনে ছড়ায় ছড়ায়
আপনার দেখা পাওয়া যায়
তাই না দেখে গাল ফোলা মেঘ
পালিয়ে বেড়ায়;
নীলাঞ্জনা নীলা
ছন্দে ছন্দে দুলুন আনন্দে… 😀
ছাইরাছ হেলাল
দাঁতে দাঁতে আওয়াজ তুলে!
মোঃ মজিবর রহমান
মধুর হাসির খিলখিল গুঞ্জনে
অঝোর বৃষ্টিতে ভেসে গেলাম;
মন্টা ভরিয়ে দিলেন।
ছাইরাছ হেলাল
মন ভরা শুভেচ্ছা জানালাম।
শুন্য শুন্যালয়
লেখার কী ছিরি রে ভাই। বৃষ্টি পোয়াতি! মাছরাঙা, জোড়া ব্যাঙ, শিলাবৃষ্টির ভয়, মুখ গোমড়া বৃষ্টি ম্যাম, সবই আসছে লেখায়, কিন্তু বদের হাড্ডি কে কেন কানমলা দিতে হবে তা কিন্তু বুঝিনি। এভাবে আধাপেটা খাইয়ে রাখলে তো হবেনা।
লেখা পঁচা হইছে। আপনার নিজের জন্যে লেখাগুলো বের করুন।
শুন্য শুন্যালয়
লেখা পঁচা বললাম বলে, কবিই গায়েব হয়ে গেলো, কী মুশকিল!!
ছাইরাছ হেলাল
আপনার সনদ (পঁচা) নশ্বর থেকে অবিনশ্বর, লৌকিক থেকে অলৌকিক,
ইহকাল থেকে পরকালীন বেহেশতি তকমা সোনেলায় বান্ধাই রাখলাম,
আগামীর পাথেও হিসাবে!!
গায়েবের পথ আজ রুদ্ধ
দ্বারে দাঁড়িয়ে গুরুজন!!
ছাইরাছ হেলাল
বদের হাড্ডিটি যৌথ-খামার গড়তে চায়, তাই উল্টো কানমলা (নরমাল কানমলা না)!!
জিসান শা ইকরাম
এক বৃষ্টিতেই এত কিছু!
ছাইরাছ হেলাল
দেখলেন কী!
এ তো সেরাম বৃষ্টি!!
মৌনতা রিতু
আমিও বড় ভয়ে থাকি কখন যে কি হয়!
ছাতা নিয়ে তাই নেমে পড়ি
মেঘ পোয়াতি বড্ড পাজি।
বাকিটা বোঝার অপেক্ষায়।
বুইঝা আসি।
ছাইরাছ হেলাল
ছাতি-ফাতিতে কাজ হবে না, রিতুজি!!
অবশ্যই ভাল করে বুঝতে হবে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
বৃষ্টির পোয়াতি পেট ভীষণ ভারী, শিলা ডিমে;
কখন যে কার টাক ফাটাবে কে জানে!!
ভয়ে আছি, ভয়েই থাকি!!
চান্দি-ছেলারা সাবধান!
এই লাইনগুলো বুঝে ফেলেছি (y)
ছাইরাছ হেলাল
খাইছে আমারে!!
তৌহিদ ইসলাম
বৃষ্টিস্নাত ভালোবাসায় মুগ্ধ হলাম। সুন্দর লেখা।
ছাইরাছ হেলাল
শুভেচ্ছা আপনাকেও।
পড়ছেন নিয়মিত।
খসড়া
এক মাছরাঙ্গা দুই নির্ভেজাল টাক ছাইরাছ
তিন ব্যাঙ চার ম্যাম। কানমললে মাছেরই মলেন।
ছাইরাছ হেলাল
কানমলা-মলি করতে আপনাকে সাথে চাই ভাইয়া!