শিশিরের শব্দ শুনবো বলে
কান পেতেছি অজস্র বিনিদ্র রাতে,
পাইনি শুনতে;
জল পড়ে পাতা নড়ে
জলের পড়ে যাওয়া বা পাতার নড়ে ওঠা
দেখতে পাইনি,
বিশুষ্ক পাতাদের উড়ে যাওয়া দেখছি;
পাহাড়ের বুকে আলতো করে কান পেতেছি,
বয়ে যাওয়া ঝর্না-ধ্বনি শুনবো বলে
পাহাড় রাজি হয়নি;
দিগন্তের কাছে জানতে চেয়েছি
নীলাচল কে কেমন লাগে!
লজ্জা পেয়ে মুখ লুকিয়ে পালিয়েছে,
বলে যায়নি, আভাসে ইংগিতে-ও!!
দারুণ আকর্ষণে
শঙ্খচূড় সাপদের সং দেখেছি কাছে থেকে;
দেখিনি সুলায়মানের স্বচ্ছ স্ফটিক প্রাসাদ,
দেখিনি সাবার রানী বিলকিসকে (২৭/৪৪);
দেখিনি হাটুঁ পর্যন্ত টেনে তোলা কাপড়ের
ফাঁক গিলে তার সুডৌল পা; (আল্লাহ মাফ করুন)
ঝাঁক ঝাঁক প্রাণপণ বিষণ্ণতায়-ও
কাঞ্চন-মেঘ বৃষ্টি হয়ে ছুঁয়ে যায়-নি;
কবিতা-প্রহরের শাখা পল্লবে শুধুই
অন্ধকারের হাতছানি।
১৪টি মন্তব্য
মাহমুদ আল মেহেদী
আপ্রাপ্তির মাঝেই আমার কাছে মনে হয়েছে সকল প্রাপ্তি।
ছাইরাছ হেলাল
এমন ভাবতে পারলে ভালোই হতো!!
কিন্তু এমন ভাবনা ভাবতে দিচ্ছে কে!!
স্বপ্ন নীলা
অনেক দিন পরে এত সুন্দর এত সুন্দর এতই সুন্দর কবিতা পড়লাম যে মনটাই ভরে গেল, ৭টি প্যারাই অসাধারণ। প্রতিটি বাক্য যেন কথা বলছে—মনের গভীরে যেয়ে নাচন করছে এর প্রতিটি শব্দমালা —— আহা—-
কবি আপনি এমনি করেই কবিতা উপহার দেন, পড়ে ধন্য হই
ছাইরাছ হেলাল
এত্তখানি লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ;
মায়াবতী
আহা আহারে আহা কত কত অপ্রাপ্তি!!!! ;(
ছাইরাছ হেলাল
আহা, আহা, আহারে, কী দারুণ প্রকাশাবর্ত;
গুণীদের-ই শুধু একান্ত করায়ত্ত।
ধন্যবাদ দিচ্ছে চাচ্ছি, আপনার-ই অনুমতিক্রমে!
নীলাঞ্জনা নীলা
দেখা হয়নি অনেক কিছু—
হেমন্তের শেষ রাত্রিতে আকাশের রঙ,
শীতের শুষ্ক পাতা কেমন করে টুপটাপ ঝরে পড়ে,
সবুজ ঘাসে শিশিরের প্রথম বিন্দু কীভাবে তৈরী হয়,
মেঘ ভেঙ্গে কেমন করে বৃষ্টির প্রথম ফোঁটা ঝরে পড়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়!—ইত্যাদি…
পাওয়া হয়নি সে-সবকিছু, যা দেখার ইচ্ছে আজোও!
তাতে কী হলো পাওয়া হয়নি! বরং এই যে দূর্দান্ত একটা কবিতা পেয়েছি কুবিরাজ ভাইয়ের কাছ থেকে।
ছাইরাছ হেলাল
দেখা হয়নি, দেখান-নি অজস্র আপনাকে,
প্রকাশিতব্য/ প্রকাশিতব্য লেখা না-লেখাগুলো,
দেখিনি মহাকবির ফোকলা দাঁত, ঢেকে রাখা টাক!!
আরও কত কী!!
হ্যাঁ, তাতে আর এমন কী!!
তাতে-ই অনেক কিছু এই দেখা -না দেখায়।
এই অধম-ও পেল দুর্দান্ত অনেক কিছু, যেমন পাচ্ছে/পেয়েছে সারাক্ষণ।
রিমি রুম্মান
আমাদের কত কী-ই তো দেখা হয়নি। এই না দেখার অতৃপ্তি নিয়েই ছেড়ে যেতে হবে, হায়! লেখাট সুন্দর ।
ছাইরাছ হেলাল
জীবনের সামান্য ব্যাপ্তিতে কী আর দেখা সম্ভব!!
অদেখায়/না-দেখায় থেকে যায় প্রায় সব, তবুও দেখার ইচ্ছেটি থেকে যায় অনিঃশেষ অম্লান।
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
সাবিনা ইয়াসমিন
অল্প পরিসরের জীবনে অনেক কিছু দেখার বাকি থেকে যায়।এই আক্ষেপ নিয়েই বেচে থাকা।হয়তো জীবনটা এমন হলেই ভালো থাকে।আপনার লেখা গুলো অন্যরকম হয়ে যাচ্ছে।কেমন ,সেটা বলতে পারবো না।অন্যরকম ।
ছাইরাছ হেলাল
পেতে পেতে পাওয়া না-পাওয়া, পেয়ে হারানো, এই উপেক্ষা/আক্ষেপ,
এর ভীড়ে অনেক পাওয়া, এইতো জীবন! এমনই জীবন।
ধরে ফেলেছেন!! বাহ্, এই তো চাই, এমন-ই চাই।
এতো দেখছি যে পড়ে, সে চুল-ও বাঁধে!!
রিতু জাহান
মানে কি! দেখার ইচ্ছায় ক্ষমা চাওয়া কেনো?
যদি বলি এমন করে,
দেখতে চাই
ঝরনার জলে কেমন করে পাথর হাসে কাঁদে
চিকন চিকন রঙ্গীন সব মাছ কেমন করে উল্টো পথে পাহাড়ের পানে সাঁতরে যায়।
যদি বলি, দুই জোড়া পা কেমন করে জলের তলে স্পষ্ট হাসে
পায়ে পায়ে খুনসুটি করে।
দেখা হয়নি আয়নায় নিজের বধূবেশে মুখখানি।।
বেশ বেশ দেখাদেখির ইচ্ছে পূর্ণ হোক।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি তো বলেই খালাস দেখা দেখির ইচ্ছে পূর্ণ হোক!!
এই সান্তনা কান্না-মন শান্ত হলে আর ঝামেলা থাকত না!
স্বচ্ছ স্ফটিক প্রাসাদ তো না-দেখায়ই থেকে যাবে অন্য কিছুর সাথে।
তবে দেখা-ইচ্ছে পুষণ হোক তা চাই-ই;