পুণ্যের পূর্ণতা নিয়ে ভাবতে বসিনি, এমন নয় জমিয়ে ফেলেছি রাশি রাশি,
জমাতে চেয়েছি, এমন-ও নয়।
এক হাতে গুপ্তি অন্য হাতে প্রতারণ-চুমু ছুঁড়ে শতশত উগড়ে দেয়া বিষ নিশ্বাসের
জালে আঁটকে পড়ে খাবি খাচ্ছি প্রতিনিয়ত, খেয়েছি-ও;
সময়ের চোরা শিকারির জাল ছিন্ন ভিন্ন হয়নি, ঘুম ভাঙ্গা ভোরে ঈশ্বরের সমকালীন শয্যায়।
মাঝে মাঝে কোথা থেকে শিস তোলা ছোট্ট পাখি কাছে সে বসে কী সব সুর তোলে;
কী যেন বলে-টলে, নিরস-নির্বিকার চোখে অপেক্ষার প্রহর গুনি। ক্রীতদাসের হাসি খেলিয়ে।
টানাপোড়নের এই আরাম-সন্ধিক্ষণে সুখগুলো পুণ্য সেজে স্তূপাকারে হাতছানি দেয় দূরে বসে,
ক্ষরিত হৃদ-রক্তে ঈশ্বরের পূজোর আয়োজন লৌকিক পটুত্বে,স্বর্গ প্রাপ্তির নিশ্চয়তা হিমাঙ্কের তলানিতে
অধরাই থেকে যায়।।
১৮টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
পাখির সুর রেকর্ড করে পাঠিয়েন, আমি বুঝি পাখির কথা, এসব আপনার কম্ম নয়।
ছাইরাছ হেলাল
তা ঠিক-ই বলেছেন, অনেক কিছুই আমার কম্ম নয়।
দেখি যদি রেকর্ড-ফেকর্ড কোন কালে কিছু হয়, পাঠাব নিশ্চয়ই।
প্রহেলিকা
সত্যি বলতে অনেক দিন ধরেই পড়ছি না। আর না পড়লে লেখাও সম্ভব না।
মিষ্ট-মিষ্টির অনুরোধ রাখবেন জেনেই করেছিলাম। অনুরোধ বলেন আর আকাঙখা যাই বলেন না কেন, শিরোনামেই তা পূর্ণতা পেলো। যদিও আপনি না’কি পূর্ণতার হিসাব নিকাশ একটু কমই কষেন।
প্রথম স্তবকে হাহাকার জাগানিয়া শব্দ কিছু গেঁথে দিলেও পরের স্তবকে এসে ছোট্ট পাখির শীষ কিন্তু আবেদন রেখে যায়। আজকাল “ছোট্ট” শব্দটার প্রতি দরদ খুব বেশিই অনুভব করি।
আপনার আর কোবতে লেখার কি দরকার! কবি হলে না’হয় কথা ছিল। চেষ্টা করে দেখা যেত। আর তাছাড়া যাহার সুখ পূণ্য সেজে হাতছানি দেয় তাহাদের জন্য হিমাঙ্কের নিচ থেকেই একদিন নিশ্চয়তা উথলে উঠবে। সব অধরা কি আর অধরা থাকে!! কোবতে না হয় হবে এক সময়। আপাতত মিষ্ট-মিষ্টি চালু থাকুক।
সাবিনা ইয়াসমিন
@ প্রহেলিকা,, আগের মত পড়ছেন না, লিখছেন না,,ব্যস্ততম সময় কাটান বুঝতে পারি। তবুও অপেক্ষায় থাকবো লিখবেন, পড়বেন, পাশে আসবেন।
প্রহেলিকা
ব্যস্ততাতো রয়েছেই সাথে সরল সীকারোক্তি “অলসতাও” রয়েছে। তবে সোনেলাকে মনে থাকে। মন্তব্য, প্রতিমন্তব্যে অনেক অনেক স্মৃতি। এখন আপনারা আছেন নিয়মিত, পড়ছেন, লিখছেন। লিখবেন নিয়মিত, আমরা পড়ব।
ছাইরাছ হেলাল
“সত্যি বলতে অনেক দিন ধরেই পড়ছি না। আর না পড়লে লেখাও সম্ভব না।”
আপনি তো আমার কথাই বললেন, শুধু পড়া নয়, পড়ার মধ্যেই বসবাস না করলে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
ধ্যৎ, গোপন কথা বলে ফেললাম। পড়া, লিখতে পাড়ার প্রথম/প্রধান শর্ত।
আসলে আপনি বলেছেন বলেই লিখলাম এবং প্রকাশ-ও করলাম। আসলে এমন করে লিখি না!!
আর আপনি চাইলে তো লিখতেই হয়, লেখা উচিৎ-ও, অবশ্য এজন্য ধন্যবাদ আপনাকে, লিখলাম-তো কিছু একটা!!
‘ছোট্ট’ এখন অনেক বড় বড় ছোট হয়ে আপনাকে তাড়িয়ে/নাড়িয়ে রাখবে এটি-ই প্রকৃতির নিয়ম!!
আপনার কথা মেনে নিয়েই ‘কিছু একটা’ জাতীয় ল্যাহা-ল্যাহি চালু রাখার চেষ্টা চলবে।
কবিরা খুব খারাপ হয় সে আপনাকে দেখেই বুঝতে পেরেছি!!!!!
প্রহেলিকা
থাক ফক করে হক কথা বলে ফেলেছেন বলে সমস্যা৷ এই। গোপন গোপনই থাকবে। আমরা কবিদের গোপন রহস্য ফাঁস করি না! তবে পড়বেন আর সাথে ল্যাহাল্যাহিও জারি রাখবেন সেটা আশা করতেই পারি।
অনেকেই লিখে, মাঝে মাঝে পড়ি। কিন্তু পড়া শেষ হতে না হতেই কিচ্ছু মনে থাকে না কি লিখেছে বা কি পড়েছি। লেখা মনে দাগ কাটতে পারে না না’কি আমিই পড়তে জানি না ঠিক বুঝতে পারি না। মনে রাখার মত করে আপনি এভাবে লিখতে পারেন বলেই আপনাকে বলা।
লিখুন লিখুন বেশি বেশি ছদ্মবেশে। আমরাও তাহলে বোদ্ধা পাঠকের একটা ভাব নেওয়ার সুযোগ পাবো অবোদ্ধার তকমা নিয়েই। গপ্পো করা ভুলে গেলেন না’কি?
ছাইরাছ হেলাল
স্বজনদের প্রশংসা শুনতে ভালই লাগে।
দাগ-ফাগ বলে কিচ্ছু নেই, সব গুজব। তবে পড়ছেন এতেই অনেক আনন্দ।
গপ্পো করা গুলে গেলেও গপ্পো আমাকে ভোলে না, তবে রয়ে-সয়ে দিচ্ছি আর কি!!
ছদ্মের বেশ না লিয়ে যে উপায় থাকে না।
আপনি অ-বোদ্ধার ভাব চালিয়ে যান!! সমস্যা নেই।
সাবিনা ইয়াসমিন
আপনি কি এমন করেই গল্প লিখে যাবেন !
মিষ্ট-মিষ্টি স্বাদের আড়ালে বিষণ্ণতা কাটবে কখন,, সেই অপেক্ষাতেই আছি,,,
ছাইরাছ হেলাল
আমি তো গপ্পো লেখার চেষ্টা করছি, অন্য কিছু তো পারি বলে এখনও মনে হচ্ছে না।
বিষণ্ণতার কোন আড়াল হয় না, আড়াল করিও-না, তাই প্রচুর অপেক্ষার জন্য তৈরি থাকুন।
তবু ভাল স্বাদ পাচ্ছেন কোন কিছুর। স্বাদ নিতে থাকুন।
তৌহিদ
অপেক্ষার প্রহর শেষ হোক এই কামনা করছি।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাদের কামনা পূর্ণ হোক তা আমিও চাই।
ধন্যবাদ।
মায়াবতী
এতো টানা পোড়নের মাঝে আরামের সুখ কই পান গপ্পোরাজ কবি! ;?
ছাইরাছ হেলাল
সুখের পায়রাটি-তো দুঃখ দুঃখ ভাব নিয়ে আমাদের সবার আশেপাশেই থাকে!!
নীলাঞ্জনা নীলা
“উফ-আফ”, ” ইস-উস” হা-হতোস্মি ছেড়ে পাখির শিস যে শুনেছেন এবং আমাদেরকেও শোনাবার জন্য “অভ্র কি বোর্ডে” আঙুল ছুঁইয়ে টাইপ করেছেন, তাতেই ধন্য। স্বর্গ আপনার জন্য নিশ্চিত।
“আমি বর দিনু কুবিরাজ
আপনি সুখী হবে(ন)
কেটে যাবে সব চিন্তা-ভাবনা
বিপুল গৌরবে।” 😀
আর পারমু না। 🙏🙆
ছাইরাছ হেলাল
বর দিয়েছেন কবিগুরু
এখন যে কী করমু, কী লিখমু,
গুরুতেই শেষ গুরুতেই শুরু
ভাবছি বসে মন উরুউরু।
নীলাঞ্জনা নীলা
বর দিয়ে তো বারোটাই বেজেছে। এই বিকেলে ঢুলছি। কী যে ঘুম পাচ্ছে! 😴😌
ছাইরাছ হেলাল
বর কিন্তু ফেরৎ হয় না, জানেন নিশ্চয়ই!!
কবিতা জড়িয়ে দিন টানা লম্বা ঘুম!!