ফোনটা বুকপকেটে রেখে নাহিদ নিজেই বলল, “তুমিও ডিউটিতে”
কিছুক্ষণবাদেই ফোন বেজে উঠল। নীলা আবার ফোন করেছে।
নাহিদ বলল, “তোমার পেশেন্ট গেছে?”
“হুম”
“কেন এসেছিল?”
“এমনিই। বেশির ভাগ সময় আসে হুদাই। এজন্য কখন যে রোগীর অবস্থা সিরিয়াস আর কখন সিরিয়াস না- বোঝার উপায় থাকে না। দুদিন আগে কি হলো জানো?”
“কি?”
“এক রোগীর লোক বারবার আসতেছে। আমি তখন আরেক রোগীকে দেখছি। রোগীর লোক বলতেছে বারবার, ‘আমার রোগী সিরিয়াস বেশি। আপনি আসেন’। আমি বললাম, ‘কি হয়েছে?’ বলল, ‘কেমনজানি করতাছে’। মিনিটপাচেক পরে গিয়ে দেখি রোগী আয়েশের সাথে পান চিবুচ্ছে”
“এটা তো খুবি কমন ব্যাপার”
“আরো কি করবে জানো? সারাদিন দৌড়ের পর হয়ত সবাই লাঞ্চ করবো বলে ইউনিটের দরজা ভিড়ায়ে খেতে বসছি। এমন সময় এসে নক না করেই ঢুকবে। বললাম, ‘কিছুক্ষণ পর আসেন’। বের হয়েই বলবে, ‘হ্যারা খাইতে বইচে। রোগী মরতাচে। আর অ্যাগো খাওন আইচে, কসাই সব’। আমরা কি রক্তমাংসের মানুষ নই? আমাদের ক্ষুধা-ঘুম নেই? আর উই রোবটস? অদ্ভুত!”
“আমাদের একটা ঘটনা বলি। খাবার সময় রোগীর লোক এসে বলে ‘রোগীর অবস্থা খারাপ’। বললাম, ‘কি হয়েছে?’ বলে, ‘কোতাইতে কোতাইতে মরতাছে। হাগ আর আহে না। আর আফনে খাইতেছেন’। তখন বললাম, ‘আপনার রোগীর তাও কোত আহে। আমার সেইটাও আইবো না যদি খাইতে না দ্যান’”
“ইউনিটের দরজা লাগিয়ে টয়লেটে ঢুকছি। নইলে ইউনিটের রুমে ঢুকে চিল্লাপাল্লা জুড়ে দেবে ‘ডাক্তার নাই’। প্যানের উপর পজিশন করে বসছি। এক মিনিট যেতেই দুমদুম করে বাড়ি মারতে লাগলো ইউনিটের দরজায়। মনে হল, দরজাই ভেঙ্গে ফেলবে। কি আর করবো? ইনকমপ্লিট ফিলিং নিয়ে উঠে পরলাম। বের হলাম, দেখি অন্য ইউনিটের রোগীর লোকজন”
“সিরিয়াসলি? দ্যাট ওয়াজ রিয়েলি প্যাথেটিক”
“হুম”
“হারামিগুলো হাগতেও দেয় না”
নীলা আবারো প্রকটভাবে হাসতে লাগলো। বলল, “তুমি ঘটনাটা এমনভাবে বলছো, প্রচন্ড হাসি পাচ্ছে। কিন্তু ব্যাপারটা… কি বলবো… কোন দুঃখে যে এই প্রফেশনে এসেছিলাম। ছুটির দিন নেই, সম্মান নেই। ফিমেল ডক্টরদের তো আরো নেই। আমরা হলাম ‘সিস্টার’, ‘খালা’, ‘মাইয়া’, ‘ছেমড়ি’, ‘আয়া’। এই সেই দিন কয়েকজন সিনিয়র আপুদের সাথে বসে আছি। রোগী বলে, ‘ডাক্তার কৈ?’ এক আপু বলে, ‘কি সমস্যা, মা? আমাদের বলেন’। লোক বলে উঠে, ‘ডাক্তার কৈ?’ আরেক আপু বলে, ‘কেন? আমাদের ডাক্তার মনে হয় না?’ সাথে সাথে বলে, ‘পুরুষ ডাক্তার কৈ?’”
“তুমি ভাবতেছ, শুধু তোমাদেরই সিস্টার-খালা ডাকে। আমাদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা যদিও কম, তবুও ‘মামা’, ‘বস’, ‘ওস্তাদ’ ডাক এখনো শুনি আমরা”
“জানো, দিনদিন কেমন জানি টক্সিক হয়ে যাচ্ছি। ব্যবহার অনেক রুড হয়ে গেছে”
“We have to be rude to survive. সবে তো শুরু। আরো দিন পড়ে আছে”
“এই শোনো না। অনেক দিন তো দেখা হয় না। চলো না, একদিন-”
“একটা পেশেন্ট আসছে। বাই”
রাত ২টা। রোগীকে দেখে আসতে আসতে কখন যে ২টা বেজে গেছে। ভীষণ ক্লান্ত নাহিদ, ঘুম পাচ্ছে। ইচ্ছে করছে, এখুনি শরীরটা বিছানায় এলিয়ে দিতে। নীলাকে ফোন দেবে? যদি নীলা ঘুমিয়ে পড়ে? নাহিদ ইতস্তত করতে করতে ফোনটা হাতে নেয়। দেখে ১০টা মেসেজ। গ্রামীণের ৬টা, নীলার ৪টা। নীলার মেসেজ “জেগে আছো?”, “রোগী খারাপ নাকি অনেক? তোমার তো অনেকদিন ধরেই ঘুম হচ্ছে না ঠিকমত”, “ঘুম আসলে ঘুমিয়ে পড়ো। কেমন? ফোন দিতে হবে না”, “ঘুমিও কিন্তু। জেগে থেকো না। ইউ নিড সাম স্লিপ। গুডনাইট <3 ”
নীলার সাথে দেখা হয়েছিল শেষবার একমাস আগে। একই শহরে থেকেও সময় হয়ে ওঠে না। নাহিদ নীলার কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ৪টার দিকে আবার দরজায় নক।
রুমে ফিরে এসে ইচ্ছে হচ্চে নীলাকে ফোন দেবার। কিন্তু নীলা ঘুমিয়ে পড়েছে। ২দিন বাদেই নীলার জন্মদিন। কিন্তু ঐদিন ডিউটি, কারো সাথে এক্সচেঞ্জ করতে পারেনি। নীলাকে এখনো জানায়নি। নীলা হয়ত অনেক কিছু এক্সপেক্ট করছে। বাসার একমাত্র ছেলে নাহিদ। বাবা রিটায়ার করেছেন। বাসার খরচ তাকেই দিতে হয়। এক্সট্রা অনেকগুলো জায়গায় ডিউটি করে। বঙ্গবন্ধুতে কোর্সে চান্স না পেলে অনাহারী অনারারী করা লাগতো। পৃথিবীর আর কোন দেশে এমন বিনা বেতনে ডাক্তারীর নিষ্ঠুর নিয়ম নেই। অনারারী কমপ্লিট করে পরীক্ষাগুলো দিতে যে টাকা লাগবে, সেটা কোথা থেকে আসবে- এটা স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় ভাবে না। ইন্টার্নী শেষে অকূল পাথারে পড়েছিল নাহিদ। বিসিএসের জন্য পড়বে না টাকা কামাবে না পরের ডিগ্রীর জন্য পড়বে? এমবিবিএসের চেম্বারে রোগী আসে না, তাদের রোগী হল পাশের বাসার তথাকথিত আন্টি-আংকেল, যারা প্রেসক্রিপশন নিতে নয়, চেক করাতে আসে। মেডিকেল পড়াশুনা আসলে মধ্যবিত্তদের জন্য নয়, উচ্চবিত্তদের জন্য। মধ্যবিত্তদের জন্য বিলাসিতা ছাড়া কিছু নয়। এই বয়সে পড়াশুনা চালিয়ে যাবার জন্য মধ্যবিত্ত পরিবারের কি ব্যাক-আপ দেয়া সম্ভব?
সিগারেট ধরাল নাহিদ। নাহিদ নীলার নাম্বারটা বের করে বারবার দেখছে। হঠাৎ স্ক্রিনে নীলার নামাবার ভেসে উঠল। নাহিদ স্বর পরিবর্তন করে ঘুমঘুম গলায় বলল, “হ্যালো, কি হয়েছে?”
“তুমি কি ঘুমোচ্ছিলে?”
“এই সময় ঘুমাবো না তো কি ডিম পাড়বো?”
“আমার মনে হচ্ছিল, তুমি জেগে আছো। স্যরি, ঘুমোও তাহলে”
“না না। ঘুম ভেঙ্গে গেছে অলরেডি। কথা বলবো”
“কি কথা?”
“তুমি গান গাইতে পারো?”
“না পারি না। সেটা কি তুমি জানো না?”
“হুম। নীলা, জানো, রাতে ক্লান্ত হয়ে যখন বাসায় ফিরে শরীর বিছানায় এলিয়ে দেই, ঘুমিয়ে পরি। মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঐ সময় বিছানায় তোমার ঘুমন্ত মুখটি দেখতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে তোমার ঘুমন্ত চোখের পাতায় ঠোঁট ছোঁয়াতে”
“তুমি তো আমাকে কখনো ঘুমন্ত দেখোনি”
“হুম। দেখতে চাই। তোমাকে ভালবাসতে চাই, কাছে পেতে চাই, জড়িয়ে ধরে ঘুমোতে চাই”
“আমি কি কোলবালিশ?”
“সব স্ত্রীরাই স্বামীর কাছে কোলবালিশ”
“আগে যদি জানতাম, এমন কামুক প্রেমিক আমার”
“শোনো, সুস্থ-স্বাভাবিক সকল প্রেমিক এমনই চায়। কিন্তু পারে না…” দীর্ঘনিঃশ্বাস ছেড়ে নাহিদ বলতে লাগলো, “আমি তোমাকে আমার করতে পারছি না। আমার হাত-পা বাঁধা। মধ্যবিত্ত প্রেমিকদের প্রেমিক হওয়াই উচিত নয়। আমার মনের ভেতরটা হাহাকার করে, নীলা। নীলা, তুমি শুনছো?”
“হুম। শুনছি। একই সঙ্গে বিষণ্ণতা ও মুগ্ধতা নিয়ে শুনছি। আমি অপেক্ষা করবো সেই দিনের, যেদিন ঘুম থেকে উঠে আমি আপনার মুখটা দেখতে পাবো এবং বিরক্ত হয়ে ঠেলা মেরে বলবো, ‘আর কতোক্ষণ ঘুমাবা?’”
কিছুক্ষণ নীরবতার কাটল। নীরবতা ভেঙ্গে নীলা বলল, “যেদিন পারবেন ঐদিন দেখা হবে। আমাদের তো ছুটির দিন নেই। ছুটির দিনের রোস্টার ডিউটি নিয়ে মন কষাকষি হবে। Holiday is a curse for doctors.”
“আমি ভেবেছিলাম, তুমি রাগ করবে। ফোনটা কেটে দেবে”
“আমিও তাই ভেবেছিলাম। কিন্তু ফোনটা কেটে দিলে আপনি আর ফোনই করতেন না। তখন আমারি করা লাগতো। সব পুরুষ তো মেয়েদের অভিমান বোঝে না। তাই অভিমান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি”
“থ্যাঙ্ক ইউ”
সপ্তাখানেক পর নীলা ডিউটি থেকে সরাসরি দেখা করতে গেল নাহিদের সাথে। নাহিদ বলল, “ডিউটি থেকে আসলে?”
“হুম”
“আমি অনেক ভেবেছি, কি গিফট দেবো তোমাকে”
“তাই?”
“হুম। শাহ্জাহান মমতাজকে যতোটা ভালোবাসতো তার থেকে কিঞ্চিত কম তো বাসি না। তাই ভাবলাম, তাজমহলের কথা। তোমার প্রেমিকের মনের চাহিদা আকাশসম, কিন্তু পকেট তো লিলিপুট। তাই… এই নাও আমার তাজমহল” বলে পেছন থেকে হাত সামনে ধরল। হাতের মুঠিতে ২৬টা সুন্দর গোলাপী রঙের গোলাপ।
“তাজমহল?”
“গোলাপের বিরল জাত। আমার বিরল প্রেমিকার জন্য বিরল গোলাপ। আরেকটি উপহার আছে” বলে প্যাকেটটি হাতে দিয়ে বলল, “বাসায় গিয়ে খুলবে”
“না। আমি এখুনি খুলতে চাই। আমি যখন গিফটটা খুলে হাতে নেব, আমার মুখের এক্সপ্রেশন দেখতে চাও না?”
“না। চাই না। যদি খুশি না হও, আমার খারাপ লাগবে… তোমার হাসি দেখতে চাই, অন্য কিছু নয়”
“যাই দাও না কেন আমি খুশি হবোই” বলেই র্যাপিং খুলে ফেলল। নীলা হাসল। বলতে লাগল, “তোমার চোখের নিচে কালি পড়েছে। বিধ্বস্ত লাগছে। তোমার ঠিক কতোদিন ধরে ঠিকমত ঘুম হয় না? বলো তো”
“জানি না”
“যেদিন থেকে তোমার ডিউটি কেবিন ব্লকের ভি-আইপি কেবিনে-”
“নীলা, আমি জানি না, সেদিন থেকেই কিনা… জানো, নীলা, ভি-আইপিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য কতোকিছু করা হয়। সাধারণ মানুষগুলো মরে ধুঁকে ধুঁকে। লোকটাকে টিভিতে দেখেছি। কিন্তু সামনা-সামনি দেখার অনুভূতি আরো তীব্র। হৃষ্টপুষ্ট শরীর, হার্ট ফেইলর নিয়ে এসেছে, কিডনীতেও সমস্যা, গলস্টোন(পিত্তথলিতে পাথর)। প্রস্টেটটাও বড়। কেবিনের বাইরে একগাদা লোকজন বসে থাকে, দোয়া-দরুদ পড়ে সর্বক্ষণ”
“পচাত্তর থেকেই দেশের পচন শুরু হয়েছিল- বাবা বলে। জানো?”
“যেই দেশকে কখনো স্বীকার করেনি সেই দেশ তাকে দিচ্ছে ভি-আইপি ট্রিটমেন্ট। স্বাধীনতার পরেও পূর্ব-পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল লোকটা। এই লোককেই দিন-রাত দেখতে হচ্ছে আমাদের। দেশের অদ্ভুত সিস্টেম আমাদের কোন ক্ষমতা দেয় নি, আমাদের পঙ্গু-মেরুদণ্ডহীন করে রেখেছে। আমরা যারা ফার্স্ট বেঞ্চের ছেলেপেলে তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করে থার্ড বেঞ্চ। আমাদের কোন ক্ষমতা নেই। সিস্টেম সেই থার্ডবেঞ্চের দখলে। আমরা আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য মিটিং-মিছিলও করতে পারি না। মিটিং-মিছিলের সময় ডাক্তাররা কখনোই এক হতে পারে না। ঐ সময় কারো না কারো ইমারজেন্সী রোগী, মিছিল হয়ে যায় দুর্বল। মানবতার কাছে অধিকার হেরে যায় বারবার। আর এই মানবরা ‘কসাই’ পদবী লাভ করে… বছরের পর বছর পড়াশুনা ও পরিশ্রমের পর ভিজিট ৭০০-৮০০ হলেই আপত্তি। কৈ? একজন ইঞ্জিনিয়ারকে তার প্রতি প্রজেক্ট বা একজন উকিলকে তার কেসের জন্য টাকা দেবার সময় আপত্তি ওঠে না। সমাজটায় আমরা হাসির পাত্র”
“তুমি এসব ভাবা বাদ দাও তো। কি হবে ভেবে?”
“ভাবি। মায়ের শরীর থেকে যদি পচা মাছের গন্ধ আসে, তাকে কি ভালবাসা যাবে না? ঐ পচা মাছগুলোকে শেষ করার জন্য কসাই হতে ইচ্ছে করে, নীলা”
“পচা মাছ তো মরাই। কিন্তু যে পচনের শুরু হয়েছে তাকে ঠেকানো কি সম্ভব? পচা মাছগুলো আশেপাশের অনেকটা অংশে পচন ছড়িয়ে দিয়েছে। ভয় হয়, এই পচন যদি তোমাকে আমাকেও ছুয়ে যায়”
“পচন তো ছুঁয়েছেই। তাই তো কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে থাকি। তোমার কি জেনেভা ডিক্লায়ারেশনের ওথগুলো মনে আছে? I solemnly pledge myself to consecrate my life to the service of humanity. I will not permit consideration of religion, nationality, race, party politics or social standings to intervene between my duty & my patient”
“এই ওথগুলো মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, অমানুষের ক্ষেত্রে নয়”
“তুমি যাকে অমানুষ বলছো, তার কতো ভক্ত-অনুসারী আছে… সেদিন যখন ফলো-আপ দিয়ে বের হচ্ছিলাম, এক অনুসারী আমাকে বলে, ‘আপনার বেহেস্ত নিশ্চিত’। আমার বেহেস্ত হবে কিনা নির্ধারণ করবে তারা! হুহ…” নাহিদ দীর্ঘ-নিঃশ্বাস ছাড়ে।
মাস খানেক কেটে গেল। বিশিষ্ট গন্যমান্য ব্যাক্তির শারীরিক অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। নাহিদের এখন ডিউটি অন্য ব্লকে। মাঝে মাঝে নাহিদ ভাবে, অমানুষদের ক্ষেত্রেই মানবতার কথা কেন ভাবে সবাই?
বিকেল ছ’টা। নাহিদ সিগারেট টানছিল। এমন সময় নিম্মির ফোন এল। নিম্মি বলল, “হ্যালো, কি রে? কোন খোঁজ নিস না। তোরা মেডিসিনওয়ালারা এমন কেন?”
“তোরা গাইনীয়ালা এমন দেখে। সারাটা সময় খোঁজ নিতেই থাকিস”
“মজা হচ্ছে?”
“ঐ কয়টা কল পাঠায়ছি আমরা?”
“তা আর বলতে?”
“চুপ থাক। আমাদের ইউনিটটাতে আয় না”
“আবার কোন রোগী খারাপ হল?”
“আছে, আছে, আয় না, এমন করিস কেন? রোগীটাকে একটু দেখে যা”
নাহিদ গেল রোগীকে দেখতে গাইনীতে। রোগী দেখা শেষে খেয়াল করল ফ্লোরে। নিম্মিকে বলল, “ঐটা কি অ্যামনিওটিক ফ্লুইড?”
“হুম”
নাহিদ একটা ১০সিসি সিরিঞ্জ হাতে নিল। নিম্মিকে বলল, “আচ্ছা, কখনো Amniotic Fluid Embolismএর কেস দেখেছিস?”
“না। অনেক ঝামেলার কেস। অনেক কমপ্লিকেশন। DIC(Dessiminated Intravascular Coagulation) হতে পারে”
“DIC থেকে কি মারাও যেতে পারে?”
“If not Treated, of course”
“হুম। আসি তবে”
“ডাকলে আবার আসিস, বন্ধু” বলে একটা ফ্লাইং কিস ছুঁড়ে দিল।
“তোর স্বামী জানে, লোকজনকে হাওয়াই চুমা দাও যে”
“জানে। কিন্তু সে তো কন্টাক কিস পায়। সো আপত্তি করে না” বলে ভেংচি কেটে লেবার রুমের দিকে গেল নিম্মি।
নাহিদ অ্যামনিওটিক ফ্লুয়িড সিরিঞ্জে তুলে নিল। রুমে ফিরে মাগরিবের আজানের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো। কখন যে টেবিলের উপর ঘুমিয়ে পড়ল ঠিক নেই। ঘুম থেকে উঠল যখন তখন রাত ১০:৩০টা বাজে। রুম থেকে বের হতেই মনে হল, কিছু একটা হয়েছে। আইসিইউ থেকে আওয়াজ আসছে। কেউ মারা গেছে অবশ্যই। কেউ মারা গেলে শোরগোল হয়, কিন্তু এতো শোরগোল হয় না। কোন কিছু না ভেবেই নাহিদ সিরিঞ্জটা সাথে নিয়ে কেবিনব্লকের ভি-আইপি কেবিনের দিকে গেল। দেখল, ভি-আইপি সেখানে নেই। ভি-আইপিকে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং ভি-আইপি সেখানেই গত হয়েছেন। নাহিদ কেবিনের ডাস্টবিনের কাছে এগিয়ে গেল সিরিঞ্জটা ফেলে দিতে। খেয়াল করল, ডাস্টবিনের পাশে অ্যাম্পুল পড়ে আছে। নাহিদের মনে হল, পটাশিয়ামের অ্যাম্পুল। নিচু হয়ে হাতে নিল। হুম, পটাশিয়াম। সিরিঞ্জটা ফেলবার জন্য ঢাকনাটা তুলল নাহিদ। ২০-২৫টা পটাশিয়ামের অ্যাম্পুল, একটা বয়স্ক হার্টের রোগীর হার্ট অ্যাটাকের জন্য যথেষ্ট। নাহিদের চিন্তা-ভাবনাগুলো আরো কারো মস্তিস্কে ছিল। নাহিদ তার ভাবনার বাস্তবায়ন করতে পারেনি, সে পেরেছে। নাহিদ আশেপাশে তাকিয়ে দেখল। নাহিদের মনে হল, কেবিনের দাদু হাসছে। একজন সিস্টারকে আসতে দেখল ট্রলী নিয়ে। সেও যেন হাসছে। কেবিনের গার্ডও যেন হাসছে। তাদের হাসি অন্যরকম লাগছে নাহিদের, অদ্ভুত হাসি। মানুষের হাসি এমন হয় না। শয়তানের হাসির মত? না, এই হাসি দেবতার হাসি, বিজয়ের হাসি।
[বিঃদ্রঃ সব চরিত্র কাল্পনিক। কিন্তু এমন কল্পনাও আনন্দ দেয়]
প্রথম অংশ হাস্য রসের মাধ্যমে সুচনা করলেন
আপনি যে উপস্থাপনায় পটু তা এই অংশেই বুঝা যায়।
ডাক্তারদের এমনই ভাবে মানুষ, তাদের সুখ দুঃখ আনন্দ বেদনা যেন থাকতে নেই।
দ্বিতীয় অংশ কোথা দিয়ে কোথায় নিয়ে গেলেন
স্বাধীনতার সবচেয়ে বড় শত্রুকে এভাবে স্ট্রোক করানো যায়
রাষ্ট্র যেখানে ব্যর্থ কিছু দায়িত্ববান মানুষকে দেবদূত হতেই হয়
নাহিদ পারেনি ইচ্ছের বাস্তবায়ন ঘটাতে, পেরেছে অন্য কেউ
নাহিদও একদিন পারবে……
অনেক দিন পরে কৃন্তনিকা ফিরে আসলেন তার স্বাভাবিক ছন্দ নিয়ে
শুভ প্রত্যাবর্তন -{@
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 🙂
অনেক দিন ধরেই লেখা আসছিল না। সোনেলাতে আসার সময় ও সুযোগ হচ্ছিল না।
লেখা আসল, তাই সময় ও সুযোগকে তোয়াক্কা করেই এলাম সোনেলায়।
সোনেলাকে মিস করি সত্যি। কিন্তু রোবটিক জীবনে “মিস করা” কোন ইস্যু নয়…
অনেক অনেক দিন পর আপনার লেখা পড়ার সুযোগ পেলাম বলে ভালই লাগল।
একজন শিক্ষানবীশ ডাক্তারের এ সময়কার কঠিন জীবনযাত্রা নিপুন ভাবেই তুলে ধরেছেন।
মাস দুয়েক রোগীর সাথে সার্বক্ষণিক হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল, কাছ থেকে অনেক কিছু দেখেছি,
দেবদূতের কাছাকাছি ডাক্তার দেখছি, প্রায় শয়তানের প্রতিভুও দেখেছি। শেষ অব্দি ভালোরাই ভালোভাবে সাহায্য করেছে।
কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছি আকণ্ঠ।
লিখে ফেলব হয়ত যা পেয়েছি ভাল ও মন্দ।
দ্বিতীয় অংশের কথা আরও দারুণ বলেছেন।
সব থেকে ভাল পন্থা হতো ভূত হয়ে ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে নীচে ফেলতে পারলে।
ধন্যবাদ আপনাকে সময় দিলেন বলে।
গত রাতেই পড়েছি আপনার লেখা। এমন লেখা কেবলমাত্র আপনার পক্ষেই সম্ভব। ভিন্ন ধর্মী লেখার প্রতীক হয়ে গিয়েছেন আপনি। আরম্ভটি হালকা এরপরে নিয়ে এলেন প্রতিশোধ পর্ব, যেটা আমাদের সবার থাকা উচিৎ।
আপু আপনাকে মিস করি খুব, কিছুটা সময় তো দিতে পারেন শত ব্যস্ততার মাঝেও। মনে করুন আপনার দিন ২৪ ঘন্টার না, ২৩ ঘন্টা ৩০ মিনিটের। এই ৩০ মিনিট সোনেলার 🙂
এই পোষ্টটা পড়ে আমি আমার কৈশরে ফিরে গেলাম।কোয়ার্টারে আন্টিদের কথা ভাবছিলাম।আন্টিরা বলতো ভুল করেও ডাক্তার বিয়ে করবি না।
আমার বাবা প্যাথলজিষ্ট,তাই জানি।
পোড়ছিলাম তাই আর পাশাপাশি ভাবছিলাম এর বাস্তবচিত্র।
প্রথম কথা কৃন্তনিকা আপনাকে অনেক মিস করি, কএকদিন আগেই আপনার কথা জিজ্ঞেস করলাম সোনা বন্ধুরে।
আগেই বলেছিলাম, আপনার দেরি করে আসা আপনি খুব সহজেই পূরন করে দেন আপনার লেখা দিয়ে। এটিও ব্যতিক্রমী নয়। ডাক্তারদের দুক্ষের কথা অন্যদের বলে কোন লাভ তেমন হবেনা 🙁
amniotic fluid embolism? বাপ্রে দেখেছেন নাকি এমন কেস? Diagnosis of exclusion টা অনেক সময়ই undiagnosed থেকে যায়, symptomatic treatment দিয়েই কাজ সারে সবাই।
ভাবনার বাস্তবায়ন আমি না পারলেও কেউ কেউ নিশ্চয়ই পারবে।
দারুন প্লট, দারুন গল্প কৃন্তনিকা স্টাইলের।
না আমি দেখিনি এমন কেস। অবসে কাজ করার সময় দুইজনের তিনটা করে বাচ্চা ডেলিভারি দেখেছিলাম, আর দেখেছিলাম abdominal pregnancy, full term and alive, can u believe it? 🙂
গল্প ভাল লেগেছে। সিষ্টেম থার্ড বেঞ্চের দখলে কারণ ভোগবাদী আত্নকেন্দ্রীক সমাজ ব্যবস্থায় বেড়ে উঠা তথাকথিত ফাষ্ট বেঞ্চের ছেলে মেয়েদের চরিত্রের একটি প্রধান দুর্বলতা হচ্ছে ব্যক্তিক পরিচয়ের উধ্বে উঠে সামষ্টিক চিন্তা ভাবনা করতে না পারার অক্ষমতা। সমাজ ও রাজনীতিকে এড়িয়ে যেয়ে ব্যক্তি স্বার্থ পূরণই এদের মূল উদ্দেশ্যে পরিণত হয়েছে । এভাবেই এই সব তথাকথিত ফাষ্ট বেঞ্চের ছেলে মেয়েদের নিয়ে গড়ে উঠেছে আই হেইট পলিটিক্স জেনারেশন।রাজনীতিবিমুখতায় বেড়ে উঠা এই প্রজন্ম সঙ্গত কারনেই নিজের অধিকার আদায়ে ব্যর্থ হয়। প্রকৃতিতে কোন কিছু শুন্য হয়ে পড়ে থাকে না । আমার আপনার নির্লিপ্ততার সুযোগে সিষ্টেম যদি অযোগ্য দিয়ে পূর্ণ হয় তবে দোষটা সিস্টেমের নয়, দোষটা দিন শেষে আমার আপনার। তাছাড়া কোন সিস্টেমই পারফেক্ট না, একে আমরা কতটুকু পারফেক্ট বানানোর চেষ্টা করছি তার মধ্যেই লুকিয়ে সিষ্টেমের সফলতা।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগলো। 🙂 🙂 🙂
ফার্স্ট বেঞ্চের ছেলেমেয়েরা ফার্স্ট বেঞ্চ বিধায় এদের বিবেকের তাড়নাটা বড্ড বেশি, মানবতাবোধটা বেশি। রাজনীতিতে জড়ানোর মুহূর্তে তারা যখন বুঝতে পারে বিবেকের বিসর্জন দিতে হতে পারে, সেই মুহূর্তেই তারা পিছু হটে। হয়ত অমানুষ হতে না চাওয়ার ভয় এবং সেই ভয় থেকে জন্মানো কাপুরুষতা… অতঃপর “সমাজ ও রাজনীতিকে এড়িয়ে যেয়ে ব্যক্তি স্বার্থ পূরণ”এর প্রচেষ্টা… এদেশের বুয়েটের ছেলে-পেলে দেশে থাকতে চায় না, বিদেশ যেতে চায়। দেশ ছাড়তে কি কারো ভাল লাগে? হুম… দোষটা সিস্টেমের নয়, দোষটা দিন শেষে আমার আপনার। আমাদের কাপুরুষতা…
দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি আপনার পর্যবেক্ষণে বেশ বড় রকমের গলদ আছে। সো কলড ফাষ্ট বেঞ্চের স্টুডেন্টরা যে প্রতিষ্ঠানগুলোতে সেই প্রতিষ্ঠানে পড়ার অভিজ্ঞতা এই অধমেরও আছে। ভোগবাদী সমাজ মানুষের মধ্যে আত্নকেন্দ্রীকতা ও কৃত্তিম অভাববোধ তৈরী করে। এটা ফাষ্ট বেঞ্চ , সেকেন্ড বেঞ্চ, লাষ্ট বেঞ্ছ সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। যেহেতু ফাষ্ট বেঞ্চের প্রতি রাষ্টের ইনভেষ্টমেন্ট থাকে , রাষ্টের প্রতি তাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। কিন্ত এদের মধ্যে সেই দায়িত্ব এড়ানোর প্রবণতা অনেক বেশি। “রাজনীতিতে জড়ানোর মুহূর্তকেই” এরা এড়িয়ে চলতে পছন্দ করে বিবেক বিসর্জনের প্রশ্ন তো আরো অনেক দুরের কথা। অভাব বাংলাদেশে আগেও ছিল এখনো আছে কিন্ত অভাববোধ এখনকার মত তীব্র কখনো ছিল না এবং এটা দিন কে দিন বাড়ছে। বৈষয়িক লোভ আর তীব্র অভাববোধে আক্রান্ত হয়ে দেশের প্রতি যে টুকু টান বা আপনার ভাষায় “বিবেকের তাড়না” যেটা থাকে সেটাও হারিয়ে যেতে খুব একটা সময় লাগেনা। অতঃপর দেশপ্রেম শুধু বাংলাদেশের ক্রিকেট ম্যাচ আর বিশেষ দিনগুলোতে ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচার জাতীয় পতাকায় রাঙ্গানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়। আর বিদেশে চলে যাওয়ার কথা যেটা বললেন সেটা আগেও ছিল। তবুও অনেকে দেশে থাকে , ভবিষ্যতেও থাকবে। বুয়েট থেকে হাসানুল হক ইনু, সিরাজ শিকদারের মত রাজনীতিবিদ জন্ম হয়েছে (তাদের রাজনৈতিক আদর্শ নিয়ে অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে কিন্ত আমি এখানে প্রক্রিয়ার কথা বলছি) , জন্ম হয়েছে রুমীর মত খ্যাতিমান মুক্তিযোদ্ধা। অতীতের কথা না হয় বাদই দিলাম এখনো বুয়েট থেকে শম্পা বসুর মত ব্যক্তি বেরিয়ে আসে যিনি রাজনীতির কারনে নিজের পেশাগত ক্যারিয়ার বিসর্জন দিয়েছেন , এখনো টিউশনি করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
আমার সাথে সহমত হতেই হবে- এমন তো কোন কথা নেই…
“যেহেতু ফাষ্ট বেঞ্চের প্রতি রাষ্টের ইনভেষ্টমেন্ট থাকে , রাষ্টের প্রতি তাদের দায়িত্ব অনেক বেশি” মানতে পারছি না। প্রথমত, দেশটা আমার বেশি, তার কম- এমন কি চিন্তা-ভাবনা করা উচিত? দেশ সবার। দেশের প্রতি দায়িত্বও সবার। দেশকে ভালবাসার অধিকার বা দায়ভার(যাই বলেন) সবার, শুধু ফার্স্টবেঞ্চের নয়। রাষ্ট্রের ইনভেস্টমেন্ট সকল পাবলিক ভার্সিটি ও কলেজেই থাকে। ফার্স্টবেঞ্চরা নিজ যোগ্যতায় সেরা স্থান দখল করে, তাদের পরিশ্রমের ফসল। সেই পরিশ্রমকে তারা রাজনীতির বেড়াজালে বিসর্জন দিতে চায় না(এটা কাপুরুষতা, আত্মকেন্দ্রিকতা নয়)। “টিউশনি করে জীবিকা নির্বাহ” করার সাহস কয়জনের আছে- বলুন।
ডাক্তাররা কেন রাজনীতি করতে পারে না- সেটার ব্যাখ্যা গল্পেই দিয়েছি। পলিটিকাল মিটিং, কিন্তু ক্রিটিকাল রোগী আছে। জীবনের খাতিরে হতে হয় “কাপুরুষ কসাই”।
আমি আপনার সাথে একমত নই। কিন্তু আপনার চিন্তাধারায় গলদ আছে বলব না। Many men, many mind.
ভালো থাকবেন। 🙂
অবশ্যই দেশটা সবার, দেশের প্রতি দায়িত্ব সবার কিন্ত সেই দায়িত্বের ডিস্ট্রিবিউশন কি যোগ্যতা ভিত্তিক হওয়া উচিত না? একজন গার্মেন্টস কর্মীকে নিশ্চয় আপনি দেশের অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়নের দায়িত্ব দিতে পারেন না (আমি তার কাজকে খাটো করে দেখছি না)। তুলনামূলক যোগ্য দায়িত্ব পালনের জন্য যে দায়িত্ববোধ প্রয়োজন সেই দায়িত্ববোধ তো “ফার্স্ট বেঞ্চের ষ্টুডেন্ট”দের মধ্যে নিজে থেকেই তৈরী হওয়া উচিত। রাষ্ট্রের কাজ নিশ্চয়ই এই দায়িত্ববোধ তৈরী করে দেওয়া না ?
আপনি রাজনীতিকে বর্ণনা করতে “বেড়াজাল” শব্দ ব্যবহার করেছেন। যেটা রাজনীতি সম্পর্কে আপনার নেতিবাচক ও ভুল দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করার জন্য যথেষ্ট। সো কলড ফাষ্ট বেঞ্চরা যদি নিজ যোগ্যতায় সেরা স্থান দখল করে থাকে তবে সেই পরিবেশ তৈরিতে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। বাংলাদেশের মত এত সস্তায় পড়াশোনা করার সৌভাগ্য খুব কম দেশেই পাওয়া যায়। রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত হলে “ফাষ্ট বেঞ্চের ষ্টুডেন্ট” দের সেই “পরিশ্রমের ফসল” ধবংস হয়ে যাবে এটাও খুবই ভুল ও নেতিবাচক ধারণা। ডাক্তারদের রাজনৈতিক সম্পর্কে অভিজ্ঞতা নাই , ডাক্তার বন্ধুদের কাছ থেকে শুনে নেব। তবে একটা কথা বলতে পারি রাজনীতি না করেও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকা যায়। রাজনীতি করা আর রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকা এই দুটোর মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। যাই হোক আপনি আসলে ঠিকই বলেছেন, কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে পৃথিবীর সব মানুষকে একমত হতে হবে এমন কোন কথা নেই। আপনিও ভাল থাইকেন।
৩৬টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
প্রথম অংশ হাস্য রসের মাধ্যমে সুচনা করলেন
আপনি যে উপস্থাপনায় পটু তা এই অংশেই বুঝা যায়।
ডাক্তারদের এমনই ভাবে মানুষ, তাদের সুখ দুঃখ আনন্দ বেদনা যেন থাকতে নেই।
দ্বিতীয় অংশ কোথা দিয়ে কোথায় নিয়ে গেলেন
স্বাধীনতার সবচেয়ে বড় শত্রুকে এভাবে স্ট্রোক করানো যায়
রাষ্ট্র যেখানে ব্যর্থ কিছু দায়িত্ববান মানুষকে দেবদূত হতেই হয়
নাহিদ পারেনি ইচ্ছের বাস্তবায়ন ঘটাতে, পেরেছে অন্য কেউ
নাহিদও একদিন পারবে……
অনেক দিন পরে কৃন্তনিকা ফিরে আসলেন তার স্বাভাবিক ছন্দ নিয়ে
শুভ প্রত্যাবর্তন -{@
কৃন্তনিকা
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 🙂
অনেক দিন ধরেই লেখা আসছিল না। সোনেলাতে আসার সময় ও সুযোগ হচ্ছিল না।
লেখা আসল, তাই সময় ও সুযোগকে তোয়াক্কা করেই এলাম সোনেলায়।
সোনেলাকে মিস করি সত্যি। কিন্তু রোবটিক জীবনে “মিস করা” কোন ইস্যু নয়…
আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
😀 😀 😀
জিসান শা ইকরাম
হ্যাঁ, কিন্তু রোবটিক জীবনে “মিস করা” কোন ইস্যু নয়…
পেশাগত জীবনে সফল হোন, এই শুভকামনায় -{@
ছাইরাছ হেলাল
অনেক অনেক দিন পর আপনার লেখা পড়ার সুযোগ পেলাম বলে ভালই লাগল।
একজন শিক্ষানবীশ ডাক্তারের এ সময়কার কঠিন জীবনযাত্রা নিপুন ভাবেই তুলে ধরেছেন।
মাস দুয়েক রোগীর সাথে সার্বক্ষণিক হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল, কাছ থেকে অনেক কিছু দেখেছি,
দেবদূতের কাছাকাছি ডাক্তার দেখছি, প্রায় শয়তানের প্রতিভুও দেখেছি। শেষ অব্দি ভালোরাই ভালোভাবে সাহায্য করেছে।
কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছি আকণ্ঠ।
লিখে ফেলব হয়ত যা পেয়েছি ভাল ও মন্দ।
দ্বিতীয় অংশের কথা আরও দারুণ বলেছেন।
সব থেকে ভাল পন্থা হতো ভূত হয়ে ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে নীচে ফেলতে পারলে।
ধন্যবাদ আপনাকে সময় দিলেন বলে।
কৃন্তনিকা
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 🙂
আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগলো।
আবু খায়ের আনিছ
হাসপাতালের অভিজ্ঞতা দু-রকমই আছে, ভালো মানুষ যেমন পেয়েছি খারাপ মানুষও পেয়েছি।
গল্পের সাথে মিলিয়েই বলতে হবে, ডাক্তারও মানুষ তাদের অন্য সবার মতই থাকতে ইচ্ছা করে।
শুরুতে হাস্যরস ছিল, শেষের দিকে টেনে নিয়ে এসেছে। ভালো লাগল গল্প।
শুভ কামনা আপনার জন্য। বাকিটুকু বড় দুই ভাই বলে দিয়েছে।
কৃন্তনিকা
হুম…
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
গল্প ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগলো… 😀
আবু খায়ের আনিছ
শুভেচ্ছা নিবেন।
মেহেরী তাজ
মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ার কোন ইমো সোনেলায় নাই? পিলিগ এমন ইমো চাই।
আচ্ছা আপু আপনিও ডাক্তার?? ;?
আপনি ভালো লিখেন এটা নতুন করে বলার কিছু নাই। সুন্দর!
কৃন্তনিকা
আপনার মন্তব্য দেখে প্রতিবারে মতই পুলকিত হলাম…
😀 😀 😀
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
খসড়া
মুগ্ধ হয়ে পড়লাম।
কৃন্তনিকা
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 🙂
আপনি মুগ্ধ হয়েছেন জেনে ভাল লাগলো…
ব্লগার সজীব
গত রাতেই পড়েছি আপনার লেখা। এমন লেখা কেবলমাত্র আপনার পক্ষেই সম্ভব। ভিন্ন ধর্মী লেখার প্রতীক হয়ে গিয়েছেন আপনি। আরম্ভটি হালকা এরপরে নিয়ে এলেন প্রতিশোধ পর্ব, যেটা আমাদের সবার থাকা উচিৎ।
আপু আপনাকে মিস করি খুব, কিছুটা সময় তো দিতে পারেন শত ব্যস্ততার মাঝেও। মনে করুন আপনার দিন ২৪ ঘন্টার না, ২৩ ঘন্টা ৩০ মিনিটের। এই ৩০ মিনিট সোনেলার 🙂
কৃন্তনিকা
সময় এখন এতোটাই ডিমান্ডিং… সময় পেলেই ঘুমুউ, কারণ ঘুমানোর জন্য সময়টাও কম পাই।
সময় পেলে অবশ্যই আসবো ফিরে সোনেলায়।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
😀 😀 😀
নাসির সারওয়ার
রস এবং পরে দেশপ্রেম, সজাগ থাকুক সবার।
ওনেক ভালো লেগেছে। শুভকামনা।
কৃন্তনিকা
ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগলো।
🙂 🙂 🙂
আপনার জন্যও রইল শুভকামনা।
মৌনতা রিতু
এই পোষ্টটা পড়ে আমি আমার কৈশরে ফিরে গেলাম।কোয়ার্টারে আন্টিদের কথা ভাবছিলাম।আন্টিরা বলতো ভুল করেও ডাক্তার বিয়ে করবি না।
আমার বাবা প্যাথলজিষ্ট,তাই জানি।
পোড়ছিলাম তাই আর পাশাপাশি ভাবছিলাম এর বাস্তবচিত্র।
কৃন্তনিকা
হুম… পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার জন্য রইল শুভকামনা। 😀
শুন্য শুন্যালয়
প্রথম কথা কৃন্তনিকা আপনাকে অনেক মিস করি, কএকদিন আগেই আপনার কথা জিজ্ঞেস করলাম সোনা বন্ধুরে।
আগেই বলেছিলাম, আপনার দেরি করে আসা আপনি খুব সহজেই পূরন করে দেন আপনার লেখা দিয়ে। এটিও ব্যতিক্রমী নয়। ডাক্তারদের দুক্ষের কথা অন্যদের বলে কোন লাভ তেমন হবেনা 🙁
amniotic fluid embolism? বাপ্রে দেখেছেন নাকি এমন কেস? Diagnosis of exclusion টা অনেক সময়ই undiagnosed থেকে যায়, symptomatic treatment দিয়েই কাজ সারে সবাই।
ভাবনার বাস্তবায়ন আমি না পারলেও কেউ কেউ নিশ্চয়ই পারবে।
দারুন প্লট, দারুন গল্প কৃন্তনিকা স্টাইলের।
কৃন্তনিকা
আপনার মন্তব্য দেখে ভাল লাগলো।
হুম, ডাক্তারদের দুঃখের কথা অন্যদের বলে আসলেও লাভ হবে না 🙁
না। Amniotic Fluid Embolism- এর কেস দেখিনি। আপনি দেখেছেন কি? জাস্ট থিওরিটিকাল নলেজ আছে।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার জন্যও রইল শুভকামনা… -{@
শুন্য শুন্যালয়
না আমি দেখিনি এমন কেস। অবসে কাজ করার সময় দুইজনের তিনটা করে বাচ্চা ডেলিভারি দেখেছিলাম, আর দেখেছিলাম abdominal pregnancy, full term and alive, can u believe it? 🙂
অপার্থিব
গল্প ভাল লেগেছে। সিষ্টেম থার্ড বেঞ্চের দখলে কারণ ভোগবাদী আত্নকেন্দ্রীক সমাজ ব্যবস্থায় বেড়ে উঠা তথাকথিত ফাষ্ট বেঞ্চের ছেলে মেয়েদের চরিত্রের একটি প্রধান দুর্বলতা হচ্ছে ব্যক্তিক পরিচয়ের উধ্বে উঠে সামষ্টিক চিন্তা ভাবনা করতে না পারার অক্ষমতা। সমাজ ও রাজনীতিকে এড়িয়ে যেয়ে ব্যক্তি স্বার্থ পূরণই এদের মূল উদ্দেশ্যে পরিণত হয়েছে । এভাবেই এই সব তথাকথিত ফাষ্ট বেঞ্চের ছেলে মেয়েদের নিয়ে গড়ে উঠেছে আই হেইট পলিটিক্স জেনারেশন।রাজনীতিবিমুখতায় বেড়ে উঠা এই প্রজন্ম সঙ্গত কারনেই নিজের অধিকার আদায়ে ব্যর্থ হয়। প্রকৃতিতে কোন কিছু শুন্য হয়ে পড়ে থাকে না । আমার আপনার নির্লিপ্ততার সুযোগে সিষ্টেম যদি অযোগ্য দিয়ে পূর্ণ হয় তবে দোষটা সিস্টেমের নয়, দোষটা দিন শেষে আমার আপনার। তাছাড়া কোন সিস্টেমই পারফেক্ট না, একে আমরা কতটুকু পারফেক্ট বানানোর চেষ্টা করছি তার মধ্যেই লুকিয়ে সিষ্টেমের সফলতা।
কৃন্তনিকা
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগলো। 🙂 🙂 🙂
ফার্স্ট বেঞ্চের ছেলেমেয়েরা ফার্স্ট বেঞ্চ বিধায় এদের বিবেকের তাড়নাটা বড্ড বেশি, মানবতাবোধটা বেশি। রাজনীতিতে জড়ানোর মুহূর্তে তারা যখন বুঝতে পারে বিবেকের বিসর্জন দিতে হতে পারে, সেই মুহূর্তেই তারা পিছু হটে। হয়ত অমানুষ হতে না চাওয়ার ভয় এবং সেই ভয় থেকে জন্মানো কাপুরুষতা… অতঃপর “সমাজ ও রাজনীতিকে এড়িয়ে যেয়ে ব্যক্তি স্বার্থ পূরণ”এর প্রচেষ্টা… এদেশের বুয়েটের ছেলে-পেলে দেশে থাকতে চায় না, বিদেশ যেতে চায়। দেশ ছাড়তে কি কারো ভাল লাগে? হুম… দোষটা সিস্টেমের নয়, দোষটা দিন শেষে আমার আপনার। আমাদের কাপুরুষতা…
অপার্থিব
দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি আপনার পর্যবেক্ষণে বেশ বড় রকমের গলদ আছে। সো কলড ফাষ্ট বেঞ্চের স্টুডেন্টরা যে প্রতিষ্ঠানগুলোতে সেই প্রতিষ্ঠানে পড়ার অভিজ্ঞতা এই অধমেরও আছে। ভোগবাদী সমাজ মানুষের মধ্যে আত্নকেন্দ্রীকতা ও কৃত্তিম অভাববোধ তৈরী করে। এটা ফাষ্ট বেঞ্চ , সেকেন্ড বেঞ্চ, লাষ্ট বেঞ্ছ সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। যেহেতু ফাষ্ট বেঞ্চের প্রতি রাষ্টের ইনভেষ্টমেন্ট থাকে , রাষ্টের প্রতি তাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। কিন্ত এদের মধ্যে সেই দায়িত্ব এড়ানোর প্রবণতা অনেক বেশি। “রাজনীতিতে জড়ানোর মুহূর্তকেই” এরা এড়িয়ে চলতে পছন্দ করে বিবেক বিসর্জনের প্রশ্ন তো আরো অনেক দুরের কথা। অভাব বাংলাদেশে আগেও ছিল এখনো আছে কিন্ত অভাববোধ এখনকার মত তীব্র কখনো ছিল না এবং এটা দিন কে দিন বাড়ছে। বৈষয়িক লোভ আর তীব্র অভাববোধে আক্রান্ত হয়ে দেশের প্রতি যে টুকু টান বা আপনার ভাষায় “বিবেকের তাড়না” যেটা থাকে সেটাও হারিয়ে যেতে খুব একটা সময় লাগেনা। অতঃপর দেশপ্রেম শুধু বাংলাদেশের ক্রিকেট ম্যাচ আর বিশেষ দিনগুলোতে ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচার জাতীয় পতাকায় রাঙ্গানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়। আর বিদেশে চলে যাওয়ার কথা যেটা বললেন সেটা আগেও ছিল। তবুও অনেকে দেশে থাকে , ভবিষ্যতেও থাকবে। বুয়েট থেকে হাসানুল হক ইনু, সিরাজ শিকদারের মত রাজনীতিবিদ জন্ম হয়েছে (তাদের রাজনৈতিক আদর্শ নিয়ে অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে কিন্ত আমি এখানে প্রক্রিয়ার কথা বলছি) , জন্ম হয়েছে রুমীর মত খ্যাতিমান মুক্তিযোদ্ধা। অতীতের কথা না হয় বাদই দিলাম এখনো বুয়েট থেকে শম্পা বসুর মত ব্যক্তি বেরিয়ে আসে যিনি রাজনীতির কারনে নিজের পেশাগত ক্যারিয়ার বিসর্জন দিয়েছেন , এখনো টিউশনি করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
কৃন্তনিকা
আমার সাথে সহমত হতেই হবে- এমন তো কোন কথা নেই…
“যেহেতু ফাষ্ট বেঞ্চের প্রতি রাষ্টের ইনভেষ্টমেন্ট থাকে , রাষ্টের প্রতি তাদের দায়িত্ব অনেক বেশি” মানতে পারছি না। প্রথমত, দেশটা আমার বেশি, তার কম- এমন কি চিন্তা-ভাবনা করা উচিত? দেশ সবার। দেশের প্রতি দায়িত্বও সবার। দেশকে ভালবাসার অধিকার বা দায়ভার(যাই বলেন) সবার, শুধু ফার্স্টবেঞ্চের নয়। রাষ্ট্রের ইনভেস্টমেন্ট সকল পাবলিক ভার্সিটি ও কলেজেই থাকে। ফার্স্টবেঞ্চরা নিজ যোগ্যতায় সেরা স্থান দখল করে, তাদের পরিশ্রমের ফসল। সেই পরিশ্রমকে তারা রাজনীতির বেড়াজালে বিসর্জন দিতে চায় না(এটা কাপুরুষতা, আত্মকেন্দ্রিকতা নয়)। “টিউশনি করে জীবিকা নির্বাহ” করার সাহস কয়জনের আছে- বলুন।
ডাক্তাররা কেন রাজনীতি করতে পারে না- সেটার ব্যাখ্যা গল্পেই দিয়েছি। পলিটিকাল মিটিং, কিন্তু ক্রিটিকাল রোগী আছে। জীবনের খাতিরে হতে হয় “কাপুরুষ কসাই”।
আমি আপনার সাথে একমত নই। কিন্তু আপনার চিন্তাধারায় গলদ আছে বলব না। Many men, many mind.
ভালো থাকবেন। 🙂
অপার্থিব
অবশ্যই দেশটা সবার, দেশের প্রতি দায়িত্ব সবার কিন্ত সেই দায়িত্বের ডিস্ট্রিবিউশন কি যোগ্যতা ভিত্তিক হওয়া উচিত না? একজন গার্মেন্টস কর্মীকে নিশ্চয় আপনি দেশের অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়নের দায়িত্ব দিতে পারেন না (আমি তার কাজকে খাটো করে দেখছি না)। তুলনামূলক যোগ্য দায়িত্ব পালনের জন্য যে দায়িত্ববোধ প্রয়োজন সেই দায়িত্ববোধ তো “ফার্স্ট বেঞ্চের ষ্টুডেন্ট”দের মধ্যে নিজে থেকেই তৈরী হওয়া উচিত। রাষ্ট্রের কাজ নিশ্চয়ই এই দায়িত্ববোধ তৈরী করে দেওয়া না ?
আপনি রাজনীতিকে বর্ণনা করতে “বেড়াজাল” শব্দ ব্যবহার করেছেন। যেটা রাজনীতি সম্পর্কে আপনার নেতিবাচক ও ভুল দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করার জন্য যথেষ্ট। সো কলড ফাষ্ট বেঞ্চরা যদি নিজ যোগ্যতায় সেরা স্থান দখল করে থাকে তবে সেই পরিবেশ তৈরিতে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। বাংলাদেশের মত এত সস্তায় পড়াশোনা করার সৌভাগ্য খুব কম দেশেই পাওয়া যায়। রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত হলে “ফাষ্ট বেঞ্চের ষ্টুডেন্ট” দের সেই “পরিশ্রমের ফসল” ধবংস হয়ে যাবে এটাও খুবই ভুল ও নেতিবাচক ধারণা। ডাক্তারদের রাজনৈতিক সম্পর্কে অভিজ্ঞতা নাই , ডাক্তার বন্ধুদের কাছ থেকে শুনে নেব। তবে একটা কথা বলতে পারি রাজনীতি না করেও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকা যায়। রাজনীতি করা আর রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকা এই দুটোর মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। যাই হোক আপনি আসলে ঠিকই বলেছেন, কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে পৃথিবীর সব মানুষকে একমত হতে হবে এমন কোন কথা নেই। আপনিও ভাল থাইকেন।
ভোরের শিশির
সোনেলাতে আমি কাকে দেখলাম!!!!!! কৃন্তনিকা নামের একজন দুর্দান্ত গল্পকারকে, অনেক অনেক মাস পরে!
আপনার লেখনী নিয়ে বলার কিছু নেই। সেই ভিআইপি রোগীদের মতো কিছু লেখক (!) এখন বই বাজার দখল করে রেখেছে আর আপনারা!
কৃন্তনিকা
আমাকে দেখেন নি, মরীচিকা দেখেছেন :p :p :p
লিখলাম অনেক অনেক মাস পর, তাই…
আমি দুর্দান্ত!!! জেনে ভাল লাগলো। বছরে ২-৩টা লেখাই আসে না হাতে… 🙁
গল্পই তো জমছে না। বাজারে আসবে কিভাবে?
আপনার মন্তব্য দেখে অনেক ভাল লাগলো। পড়ার জন্য ধন্যবাদ 🙂 🙂 🙂
ভোরের শিশির
আপনার গল্প বলা অভিজ্ঞতা ও বিদ্যার ফসল বলেই দুর্দান্ত হয়।
সময় গল্প জমতে দেয় না, আবার সময়ই গল্পকে জমিয়ে তোলে। গতবছর আর এই বছর। যা লিখেছেন তা আবার ধরলে ঠিকই বই আকারে প্রকাশ যোগ্য হবে বলেই বিশ্বাস করি।
আরো কিছু পেতে থালবো দ্রুত সময়ে সময়ের প্রয়োজনেই-এই আশা রাখলাম 🙂
কৃন্তনিকা
আপনার মুখে ফুল চন্দন পড়ুক… -{@ -{@ -{@
যা নেটেই পাওয়া যায় তা কি টাকা দিয়ে বই-মেলা থেকে কিনবে??? নব্য লেখককে কি পাঠক গ্রহণ করবে???
আপনার দেয়া আশায় তো স্বপ্নে ভাসছি… কিন্তু স্বপ্ন কি পূরন হবে? জানি না…
নীলাঞ্জনা নীলা
অসাধারণ লিখেছেন। যদিও আপনি লেখার মতোই লেখা দিয়ে থাকেন।
কৃন্তনিকা
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 🙂
কালেভদ্রে লিখি তো… তাই হয়ত অসাধারণ লেগেছে…
শুভকামনা রইল আপনার জন্য। 😀
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
নীলা যে গল্পের নায়িকা সেটা আমি খুব মনোযোগ দিয়াই পড়ি।
পড়ে মুগ্ধ হইছি।
কৃন্তনিকা
নীলার অন্য গল্পগুলোও পড়েছেন?
আপনাকে মুগ্ধ করতে পেরেছি জেনে ভাল লাগলো… 😀
আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
নীলা নিয়ে আমিও লেখেছি।
কৃন্তনিকা
বাঃ… বেশ 🙂