তিনি ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এরপর তিনি ৯ জুলাই ১৯৭০ সালে ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্থান বর্তমানে সোনালী ব্যাংকে চাকুরীতে যোগদান করেন এবং চাকুরিরত অবস্থায় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন।
তিনি মেজর জলিল এর অধিনে ৯ নম্বর সেক্টরে ঝালকাঠি ও কাউখালির মাঝখানে কুতুবপুর, কাউখালী, ভান্ডারিয়া, সরূপকাঠি, আরতার পাড়া ভুইয়া বাগন, মোড়েলগঞ্জ, সুন্দরবন এ যুদ্ধ করেছেন।
তিনি ১৯৭২ সালের ২ রা জানুয়ারী অস্ত্র সমর্পন করেন । ২৪/০১/১৯৭২ তাকেে বরিশাল, প্রতাবপুর থেকে রিলিজ দেয়া হয়। যুদ্ধ শেষে রেডিওর ঘোষনা শুনে তিনি পূর্বের কর্মস্থল সরূপকাঠিতে যোগদান করেন।
মুক্তিযুদ্ধকালিন তার কমান্ডার ছিলেন সুবেদার আব্দুল হামিদ। তার কাছ থেকে তিনি কমান্ডার সার্টিফিকেট প্রাপ্ত হন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গনি ওসমানির কোন প্রত্যয়ন পাননি। তাই ৩০/০৩ /১৯৮৫ সালে এর জন্য বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলে আবেদন করেন। এরপর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান জাকির খান চৌধুরীর কাছ থেকে এ্যাডজুটেন্ট জেনারেল বাংলাদেশ সেনাবাহিনির পক্ষে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর স্বাক্ষর সম্বলিত একটি প্রত্যয়পত্র প্রাপ্ত হন।যার সুত্র নং- মুুক্তি/সুপাঃ/ ঝালকাঠি/৫৪২০/৮৫। এরপর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থেকে তাকে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
তিনি ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ঝালকাঠির থানা কমান্ডের প্রত্যয়ন প্রাপ্ত হন।
২০০৫ সালে জাতিয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল এর প্রাথমিক যাচাই বাছাই থানা ও জেলা পর্যায়ে তার নাম তালিকা ভুক্ত ছিল। যার ক্রমিক নং- ৪৯।যাহা বর্তমানে জামুকা তে প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।
সামরিক সনদের জন্যও আবদেন করেন যার নং- ১৪০৫ । তিনি ২০১০ সালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় এ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে গেজেট তালিকায় নাম অর্ন্তভুক্তি করণের জন্য আবেদন করেন।এসময় বাবার হয়ে তার সন্তানরা মন্ত্রণালয়ে প্রচুর যোগাযোগ করে। এখনপর্যন্ত তাকে কোন স্বীকৃতি প্রদান করা হয় নি। অথচ তার সহ মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকেই বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা স্বিকৃতি পেয়ে ভাতা পাচ্ছেন। ভাতা পাচ্ছেন তার এমন তিনজন সহমুক্তিযোদ্ধা তাকেে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রত্যয়ন করেছেন ।
তিনি যে দেশ মাতৃকার ডাকে সারা দিয়ে চাকুরী ফেলে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। এটা তার এলাকা পিরোজপুরের প্রতিটি নাগরিক জানে। তিনি একজন সলিট মুক্তিযোদ্ধা । অথচ তার সহ যোদ্ধারা মুক্তিযোদ্ধার সরকারী স্বিকৃতি পেলেও তিনি পাননি। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল থেকে শুরু করে সরকারী সচিবালয় আর মন্ত্রনালয়ে ধরনা দিয়েছেন মৃত্যর আগ অবদি।
তিনি মারা যান ২০১৯ সালে।রাষ্ট্রিয় সম্মান পা্ওয়া তার আর হল না। একটাই আফসোস দেশ রক্ষার্থে জীবনের ঝুকি নিয়ে তিনি যেভাব মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন । দেশ কে মুক্ত করার জন্য বুক পেতে দিয়েছিলেন বুলেটের সামনে । আজ সরকার তাকে মূল্যায়ন করল না। তাকে উপেক্ষা করল । কেন? যেখানে তার সহযোদ্ধাদের মূল্যায়ন করা হল তাকে কেন করল না? কি তার অপরাধ? একজন মুক্তিযোদ্ধা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান তাকে আজ স্বাধিনাতর এত বছর পর স্বিকৃতির জন্য্ দারে দারে ঘুরে দুনিয়া থেকে চলে যেতে হয়েছে কেন? । আর যুদ্ধাপরাধীরা বিভিন্ন রাজনৈতিক ছত্র ছায়ায় লালিত হচ্ছে।এই লজ্জা রাখি কোথায়?
আমি গনপ্রাজতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।দৃষ্টি আকর্ষন করছি গনপ্রাজতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর। এই মানুষটিকে মরনোত্তর যোগ্য সম্মানটুকু দিন। তার নামটি মুক্তিযুদ্ধ তালিকায় যুক্ত করে জাতিকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচান ।
১৬টি মন্তব্য
এস.জেড বাবু
দুখঃজনক-
আমরাও গনপ্রাজতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।দৃষ্টি আকর্ষন করছি গনপ্রাজতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর। এই মানুষটিকে মরনোত্তর যোগ্য সম্মানটুকু দিন।
আর আমরা তাকে উপযুক্ত সম্মাণ না দিতে পারার লজ্জা থেকে নিস্তার পাই।
আতা স্বপন
সবা্ই এই পোষ্টটি বেশী করে শেয়ার করুন। যাতে সরকারের কাছে পৌছায়।
ধন্যবাদ।
নাজমুল হুদা
এ লজ্জা রাষ্ট্রের শাসকদের। আমাদের এখন লজ্জা হয় না সয়ে নিয়েছি।
আল্লাহ তা’য়ালা হয়ত প্রাপ্য সম্মান দিবেন ওপারে।
আতা স্বপন
সবা্ই এই পোষ্টটি বেশী করে শেয়ার করুন। যাতে সরকারের কাছে পৌছায়।
ধন্যবাদ।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আমি ও চাই তার প্রাপ্য সম্মান আর স্বীকৃতি যেন এই সরকার দেয়। মরনোত্তর হলেও তাকে মুক্তি যোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে তার আত্মার শান্তি কামনা করছি
আতা স্বপন
সবা্ই এই পোষ্টটি বেশী করে শেয়ার করুন। যাতে সরকারের কাছে পৌছায়।
ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
এ লজ্জা জাতির, সরকারের নির্লিপ্ত আচরণ সত্যি দুঃখজনক, মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি, সাথে সাথে উনাকে মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি না জানানোই এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।
আতা স্বপন
সবা্ই এই পোষ্টটি বেশী করে শেয়ার করুন। যাতে সরকারের কাছে পৌছায়।
ধন্যবাদ।
নীরা সাদীয়া
খুবই দুঃখজনক।
তবে যাঁরা স্বীকৃতি পেয়েছেন তাঁরাও আজ অবহেলিত।
আতা স্বপন
সবা্ই এই পোষ্টটি বেশী করে শেয়ার করুন। যাতে সরকারের কাছে পৌছায়।
ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
এই লজ্জার ষেশ নাই। এই লজ্জার কোন মানবতা নাই। এই মন্ত্রনালয়ে অসত ও কুলাংগার অনৈতিক ঘুষঘোর দালালদের জন্য সাধারিন মুক্তিজোদ্ধাগণ মন্ত্রনালয়ের পাশে যেতে পারেনা।
এই রকম শ শ মুক্তিজোদ্ধা দ্বারে দ্বারে ঘুরে মারা গেছে।
খুব লজ্জা
আতা স্বপন
সবা্ই এই পোষ্টটি বেশী করে শেয়ার করুন। যাতে সরকারের কাছে পৌছায়।
ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
গত দুই বছর আগেও যাচাই বাছাই হয়েছে উপজেলা, জেলা পর্যায়েও। তখন কি তিনি তা জানতেন না?
আবার যাচাই বাছাই হলে তার সন্তানগন যোগাযোগ করলে হয়ত হয়ে যাবে।
যোগ্য সন্মান না পাওয়াটা কস্টের।
আতা স্বপন
যত চেষ্টা জিবদ্দশায় করেছেন তিনি। তার ছেলেরা তেমন শিক্ষত নয়। তাই বেশী কিছু করতে পারেনি। কিন্তু তিনি করেছেন। ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ মন্ত্রনালয়ের কিছু অসত লোকের চাহিদা পুরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তার সহযোদ্ধারা স্বিকৃতি পেল্ওে তিনি পাননি। বড় কষ্ট নিয়ে তিনি চলে গেছেন।আমার কাছে এসে মনের কষ্ট শেয়ার করতেন। আমি বিভিন্ন ব্লগে এ নিয়ে তখন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করেছি। তিনি অসুস্থ ছিলেন। তার ছেলেরা টুকটাক যা আয় করত তাতে বাবার পথ্য যোগানো কষ্ট হচ্ছিল। স্বীকৃতী পেলে ভাতাটা পেতেন। কি এক হাহাকার! এ জন্য। মনে হলে খুব খারাপ লাগে। আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করুন।
সবা্ই এই পোষ্টটি বেশী করে শেয়ার করুন। যাতে সরকারের কাছে পৌছায়।
ধন্যবাদ।
হালিম নজরুল
চরম দুঃখজনক।
আতা স্বপন
ধন্যবাদ