-ভাইয়া ভাইয়া, তুমি কি এনেছো আজ আমার জন্য ?
প্রতিদিনের মতোই বাড়িতে ঢোকার সাথে সাথে সকালের কাছে ছুটে এলো তাঁর আদরের একমাত্র ছোট বোন মেঘ।
-এনেছি, এনেছি রে পাগলি; আজ তোর জন্য নতুন একটা জিনিস এনেছি । ”
বের করার সময় না দিয়েই মেঘের আবার পাল্টা প্রশ্ন-
-কই তাড়াতাড়ি দেখাও কি এনেছো আমার জন্য !!
-দিচ্ছি, দিচ্ছি রে পাগলি দাড়া ১ মিনিট…
এই বলে দরজার দিকে এগিয়ে গেলো সকাল। দ্রুত দরজাটা বন্ধ করে নিজের স্কুল ব্যাগ থেকে বের করলো মেঘের জন্য আনা সেই নতুন জিনিসটা।
-এটা তো একটা পতাকা !! ” চোখে-মুখে বিস্ময়য়ের ছাপ মেঘের…
-এটা আমাদের দেশের পতাকা। হ্যাঁ, আমাদের দেশের পতাকা।
কথা শেষ করতে না করতেই সকালের হাত থেকে পতাকাটা নিয়ে দৌড়ে চলে গেলো মেঘ। সকালও ছুটতে লাগলো তাঁর পেছন পেছন…
-দাঁড়া মেঘ, দাঁড়া…
কিন্তু কে শোনে কার কথা !! মেঘ দৌড়ে একেবারে ছাদে চলে গেলো। সকালও আসলো তাঁর পেছন পেছন।
-ভাইয়া, পতাকাটা বেঁধে দাও না ঐ খুঁটিটার সাথে।
মেঘের কথাটি শুনে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলো সকাল। এরপর প্রচণ্ড রাগ আর ঘৃণা নিয়ে তাকালো আকাশের দিকে। মেঘ একটু ভয়ে ভয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলো-
-কি হয়েছে ভাইয়া !! বেঁধে দেবে না পতাকাটাকে ঐখানে ? উড়তে দেবে না পতাকাটাকে ?
-হ্যাঁ, দেবো। আমরা আমাদের দেশের পতাকাকে উড়াবোই; কিন্তু……
-কিন্তু !! কিন্তু কি ভাইয়া !! ”
-কিন্তু একটি মুক্ত স্বাধীন দেশে, হ্যাঁ আমাদের দেশ স্বাধীন হবার পর মুক্ত বাতাসে প্রাণভরে উড়াবো আমরা আমাদের পতাকাকে। আর এর জন্য ঐ পাকি শুয়োরগুলোর হাত থেকে রক্ষা করতে হবে, স্বাধীন করতে হবে আমাদের দেশমাতাকে।
এই বলে দুজনেই কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো পতাকাটার দিকে।
-সকাল-মেঘ কোথায় গেলি তোরা !!
নিচ থেকে তাঁদের মায়ের ডাক শুনে দুজনেই ছুটে এলো নিচে। নেমে দাঁড়াতেই মেঘের হাতে থাকা পতাকাটার দিকে চোখ পরলো মায়ের।
-কোথায় পেয়েছিস এই পতাকা ?
চোখেমুখে একরাশ ভয়ের ছাপ নিয়ে জিজ্ঞাসা করলো মেঘকে।
-ভাইয়া এনে দিয়েছে। ভাইয়া বলেছে যে…
মেঘের আর কোন কথা না শুনেই সকালের দিকে তাকালেন তিনি।
-বাবু, কি করেছিস তুই এটা !! পাশের বাড়ির করিম আলী যদি এটা দেখে কি হবে বুঝতে পারছিস !!!
-দেখলে দেখুক তাতে আমার কি !! এটা আমার দেশের পতাকা। কি এমন অপরাধ করেছি আমি আমার দেশের পতাকা এনে !!
-সব কিছু আবেগ দিয়ে চলে না বাবু। একবার যদি বিহারীদের কানে অথবা ক্যাম্পে এই খবরটা যায় কি হবে বুঝতে পারছিস !!
-হ্যাঁ, পারছি। আমায় ধরে নিয়ে যাবে, মেরে ফেলবে তাই তো !!
-বাবু, চুপ কর চুপ কর; কেউ শুনলে সর্বনাশ হয়ে যাবে।
-না মা কিছুই হবে নাহ্। তুমি দেখো খুব শীঘ্রই সব ঠিক হয়ে যাবে। আমরা স্বাধীন হয়ে যাবো। শীঘ্রই আমরা মুক্ত বাতাসে আমাদের পতাকা উড়াতে পারবো; হ্যাঁ খুব শীঘ্রই…
এই কথা বলে ঘরে চলে গেল সকাল। পতাকাটা হাতে নিয়ে অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে রইলো মেঘ। অজানা কিছু আতংক সাথে নিয়ে নিজের কাজে চলে গেল তাঁদের মা। রাতে বাবা বাড়িতে ফেরার পর সাথে সাথে বাবাকে জড়িয়ে ধরল মেঘ।
-কি রে মা, কি হয়েছে ? মা বকেছে ?
-নাহ্, বাবা জানো আজ ভাইয়া আমায় কি এনে দিয়েছে?
-কি?
-পতাকা, এই দেখো…
পতাকাটা দেখে শরীরে একটা ঝাঁকুনির মতো অনুভব করলো রফিক সাহেব। শরীরের লোমগুলো যেন দাঁড়িয়ে গেলো।চশমার গ্লাসটা ঝাপসা হয়ে এলো। একটা না পারার দুঃখ নিয়ে জড়িয়ে ধরলেন মেঘকে।
-রেখে দে মা, যত্ন করে রেখে দে পতাকাটাকে, হ্যাঁ খুব যত্ন করে…
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
হঠাৎ ঝাঁকুনি লাগলো নৌকাটাতে… চোখ দিয়ে টপ টপ করে পানি ঝরছে মেঘের…
-নৌকা আটকাইয়া গেছে, ধাক্কা দিতে হইবো, নামেন সবাই…
চিৎকার করে বলল মাঝি।
আজ প্রায় নয় দিন যাবত নৌকায় ভাসছে মেঘ; সাথে তাঁর মা এবং অপরিচিত কিছু মানুষ। নৌকার ছইয়ের ভেতর থেকে বের হয়ে যতোটা আঁতকে উঠার কথা ঠিক ততোটা আঁতকে উঠলো না মেঘ। তবে আশাপাশের অনেকেই ভয়ে চিৎকার করে উঠলো। নদীর পাড়টাতে অসংখ্য মানুষের লাশ পরে আছে। একটু দূরেই কয়েকটা কুকুর মিলে কামড়ে-ছিঁড়ে খাচ্ছে একটা লাশকে।আকাশ থেকে শকুনেরা উড়ে এসে বসছে লাশের স্তূপের উপর। দেখে মনে হচ্ছে খুব একটা পৈশাচিক আনন্দে মেতে উঠেছে ওরা।
-কি হইলো কেউ নামেন না ক্যান ! এইখানেই বইসা থাকবেন নাকি ! লাশের স্তূপে নৌকা আটকাইয়া গেছে, সেইগুলা সরাইয়া নৌকা ধাক্কা দিতে হইবো। জলদি নামেন সক্কলে…
মাঝির চিৎকার শুনে সবাই ধীরে ধীরে নামতে শুরু করলো নৌকা থেকে। নৌকা থেকে নেমে সবাই একপাশে জড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আশেপাশের লাশগুলো দেখে অনেকে এখনো বার বার শিউরে উঠছে। হঠাৎ একটা কুকুর একটা মানুষের দেহের কিছু অংশ মুখে নিয়ে দৌড়ে চলে গেলো মেঘের পাশ দিয়ে। সেই দৃশ্য দেখে মেঘের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটি চিৎকার করে কেঁদে উঠলো। কিন্তু মেঘের তাতে কোন ভ্রুক্ষেপই নেই… ! কারণ এই দৃশ্য তো তাঁর খুব চেনা। এর চেয়ে ভয়ানক, বীভৎস দৃশ্য সে নিজের চোখে দেখেছে ২৫ শে মার্চ রাতে।
সে তাঁর নিজের চোখে দেখেছে যে কি করে একদল হায়না, জানোয়ার তাঁদের সাজানো-গোছানো-সুখী পরিবারটিকে নিমিষেই শেষ করে দিয়েছে। তাঁর নিজের চোখের সামনে তাঁর বাবাকে জবাই হয়ে মরতে দেখেছে, নিজের কানে শুনেছে তাঁর বাবার মৃত্যুর আগ মুহুর্তের গোঙানির আওয়াজ। নিদারুণ কষ্ট সহ্য করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরতে দেখেছে তাঁর বাবাকে।
সে দেখেছে কি করে একদল মানুষরূপী শুঁকুনেরা তাঁর মায়ের পবিত্র দেহটিকে ছিন্ন-ভিন্ন করে দিয়েছে। কিভাবে হিংস্র-ক্ষুধার্ত কুকুরের মতো ভোগ করেছে তাঁর স্নেহময়ী মাকে। সে শুনেছে তাঁর মায়ের হৃদয় বিদীর্ণ করা চিৎকার। সমস্ত নোংরা ক্ষুধা মেটানোর পর উল্লাস করতে করতে তাঁর মাকে মেঝেতে ফেলে চলে যায় ওরা। যাবার আগে হিংস্র দৃষ্টিতে তাকিয়ে গেছে ঘরটির দিকে, পাছে আরও কোন প্রাণ বেঁচে যায় !!! কিন্তু নেশার ঘোরে আলমারির পেছনে লুকিয়ে থাকা প্রাণ দুটির সন্ধান পায়নি ওরা।
জানোয়ারগুলো চলে যাবার পর আলমারির পেছন থেকে বের হয়ে আসে সকাল আর মেঘ। চিৎকার করে পাগলের মতো কাঁদতে থাকে মেঘ। কাঁদতে কাঁদতে জড়িয়ে ধরে সকালকে। কিন্তু কেন যেন খুব চেষ্টা করেও কাঁদতে পারে নি সকাল। চোখের কোণে একফোঁটাও জল আসলো না তাঁর। পুরোপুরি নিস্তব্ধ হয়ে যায় সে। সারারাত ছোট বোনটাকে কোলে নিয়ে বাবা মায়ের নিথর দেহ দুটির পাশে বসে থাকে, নিস্পলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে বাবা-মায়ের নিষ্প্রাণ দেহ দুটির দিকে।
ভোরের আলো ফোটার কিছুক্ষণ আগে সকাল অনুভব করে যে কেউ একজন শক্ত করে চেপে ধরেছে তাঁর ডান হাতটা। কিছুটা চমকে উঠে সে। পাশ ফিরে তাকিয়ে দেখে যে তাঁর মা ধরে আছে তাঁর হাতটাকে। তাঁর মা !!!
-মা… মা তুমি … !!
অবশেষে চিৎকার করে কেঁদে উঠে সকাল।তাঁর বুকের ভারটা যেন সামান্য কমে যায় তাঁর। সবকিছু হারিয়ে ফেলার পর আবার কিছুটা ফিরে পাওয়া…
মেঘ কাঁদতে কাঁদতে ছুটে আসে তাঁর মায়ের কাছে।
-মা, মা মা উঠো… মা দেখো, মা তুমি আছো, মা তুমি বেঁচে আছো… !!
পাগলের মতো করতে থাকে মেঘ।হঠাৎ বাবার কথা মনে হয় তাঁর। মা যখন বেঁচে আছে তাহলে বাবাও হয়তো বেঁচে আছে। এই ভেবে দৌড়ে ছুটে যায় তাঁর বাবার কাছে। বাবার মাথায় হাত বুলাতে গিয়ে মেঘের হাতটা গিয়ে পরে সেখানে যেখান থেকে তাঁর বাবার দেহটাকে মাথা থেকে আলাদা করে ফেলা হয়েছে। চমকে উঠে মেঘ… আরে এ যে জমাট বাঁধা রক্ত !!! নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে উঠে সে। সকাল ছুটে এসে জড়িয়ে ধরে বোনকে। বোঝায় যে তাঁদের বাবা যে আর কোনোদিন ফিরবে নাহ্………
সেই রাতের পর থেকে তাঁদের মা আর কোন কথা বলছে না। শুধু তাকিয়ে থাকে একদিকে। কেউ হাত ধরে কোথাও নিয়ে গেলে যায়, নাহলে এক জায়গাতেই বসে থাকে পাথরের মতো। সকাল আর মেঘকেও সে আর আগের মতো শাসন করছে নাহ্। শুধু দেখছে তাকিয়ে তাকিয়ে। তাঁদের ডাকেও আর আগের মতো সাড়া দিচ্ছে না। অসহায়ের মতো ছোট্ট মেঘ তাঁর মাকে আগের মতো ফিরে পেতে চাচ্ছে। বার বার ডাকছে তাঁকে কিন্তু কিছুতেই সাড়া দিচ্ছে না তাঁর মা।
কয়েকদিন পর…
-মেঘ, আমি যুদ্ধে যাবো। হ্যাঁ আমি যুদ্ধে যাবো রে বোন।
-”ভাইয়া…
-হ্যাঁ সত্যি বলছি আমি যুদ্ধে যাবো।
-আমি আর মা… আমাদের কে দেখবে? আমরা কিভাবে থাকবো?
-সব ব্যবস্থা হয়ে গেছে।আজ সন্ধ্যায় বের হবো আমরা। তোকে আর মাকে নৌকায় তুলে দেবো। সবাই যেখানে যাবে তোরাও সেখানে যাবি।
-আর তুমি !!
-আমি যুদ্ধে যাবো। কিন্তু খবরদার কাউকে কিছু বলবি না। মাকেও না।আমার দেশকে স্বাধীন করে তবেই আমি ফিরব।আর যেদিন আমি ফিরবো সেদিন তোর জন্য নিয়ে আসবো একটি স্বাধীন দেশ।সেদিন আমি তোকে একটা স্বাধীন দেশ উপহার দেবো।
সন্ধ্যায় মেঘ আর মাকে নৌকায় তুলে দিয়ে যুদ্ধে চলে যায় সকাল। সেদিন থেকে আজও তাঁরা নৌকায় ভাসছে, অজানা এক নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে…
নৌকা সরানো হয়ে গেছে। একে একে সবাই নৌকায় উঠে গেলো। নৌকা আবারও ভাসতে শুরু করেছে। নৌকার উপরে অদ্ভুত একটা শব্দ করে উড়ছে পাকিস্তানি পতাকাটা। পতাকাটা দেখে কেমন যেন একটা ঘৃণা হতেলাগলো মেঘের। ইচ্ছে হচ্ছিলো তখনই নামিয়ে ফেলতে পতাকাটাকে। কিন্তু কিছু করতে না পেরে শুধু ঘৃণায় একদলা থুথু ফেললো পানিতে। এরপর তাঁর ছোট্ট ব্যাগটিতে যত্ন করে রেখে দেয়া তাঁর ভাইয়ের সেই পতাকাটাকে একবার দেখে নিলো।
বর্ডারের কাছে একটা গ্রামে এসে ভিড়ল তাঁদের নৌকাটা।একটা বড় পুরাতন বাড়িতে আরও অনেক লোকের সাথে আশ্রয় হল মেঘ আর তাঁর মায়ের। একটি কক্ষে প্রায় ৩০-৩৫ জন মানুষ জড়সড় হয়ে কোনোভাবে দিন কাটিয়ে দেয়। খাবারের অভাবে অনবরত চিৎকার করতে থাকে কোলের বাচ্চাগুলো। কেউ আবার নিজেদের সর্বস্ব হারিয়ে হঠাৎ হঠাৎ কেঁদে উঠে। কেউ আবার নিজের সম্মানটুকু হারিয়ে বার বার নিজেকে নিজের কাছ থেকে মুক্তি দেবার চেষ্টায় রত থাকে…
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
-জ-য়-বা-ং-লা, জ-য়-বা-ং-লা………
অনেক দূর থেকে দীপ্ত কণ্ঠের শ্লোগান ভেসে আসছে…
-আমরা স্বাধীন হইয়া গেছি, আমরা আইজ থিকা স্বাধীন…
ছুটতে ছুটতে একজন লোক এসে বলতে লাগলো কথাগুলো।
দৌড়ে বের হয়ে আসলো মেঘ। “জয় বাংলা” শ্লোগানের ধ্বনি তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। মনে হচ্ছে মিছিলটি যেন এদিকেই এগিয়ে আসছে। সত্যিই মিছিলটি এ পথেই আসছে। দৌড়ে গিয়ে নিজের ব্যাগের ভেতর থেকে ভাইয়ের দেয়া সেই পতাকাটা নিয়ে এলো মেঘ।মিছিলটা খুব কাছেই চলে এসেছে। ছোট একটা লাঠির সাথে পতাকাটা বেঁধে মেঘও দৌড়ে গেলো সেই মিছিলে। সবার সাথে এক কণ্ঠে শ্লোগান দিলো সে-
-জ-য়-বা-ং-লা………
সেই সাথে উৎসুক দৃষ্টিতে খুঁজতে লাগলো তাঁর ভাইটিকে। কিন্তু এতো লোকের ভিড়ে সে খুঁজে পেলো না তাঁর ভাইকে। দেশ স্বাধীন হবার পর যে যার বাড়িতে চলে গেছে। অনেকে ফিরে পেয়েছে তাঁদের কাছের মানুষকে। কিন্তু মেঘ পায় নি তাঁর ভাইটিকে খুঁজে।তবে সকাল তাঁর কথা রেখেছিল। তাঁর আদরের বোনকে সে একটা স্বাধীন দেশ উপহার দিতে পেরেছিল।
তবে আমরা কি পেরেছি তাঁর রক্তের যথার্থ মূল্য দিতে… (?)
১৪টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
পতাকা আমাদের পরিচয়
বহু ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আমাদের পরিচয় আকাশে উড়াতে পেরেছি।
হারিয়েছি কতশত সকাল,সকালের বাবা
হারিয়েছে মেঘের মা এর সম্ভ্রম।
এত কিছুর বিনিময়ে আমরা আজ স্বাধীন
এত বছর পরে আবার শকুনেরা সক্রিয়,প্রতিরোধ আমাদেরই করতে হবে।
সকাল,মেঘের স্বপ্ন আমাদেরই বাস্তবায়ন করতে হবে।
জয় বাংলা
ফাতেমা জোহরা
আগেই দুঃখিত বলে নিচ্ছি প্রতি মন্তব্য দিতে দেরী করায়। হ্যাঁ আমরা চাই সকাল,মেঘের স্বপ্ন আমাদেরই বাস্তবায়ন করতে কিন্তু সময়টা যে বড্ড কঠিন যাচ্ছে…
খেয়ালী মেয়ে
আমরা আমাদের দেশের পতাকাকে উড়াবোই (y)
সকাল তার কথা রেখেছে, স্বাধীনতা এনে দিয়েছে মেঘের মতো লাখো বোনের জন্য–যেই ইজ্জত আর রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি এই স্বাধীনতা, তার যথার্থ সম্মান/মান আসলেই কি আমরা রাখতে পারছি, এই প্রশ্ন আজ আমাদেরও..
ফাতেমা জোহরা
এই প্রশ্নের উত্তর কারো কাছেই নেই…
ছাইরাছ হেলাল
তবে আমরা কি পেরেছি তাঁর রক্তের যথার্থ মূল্য দিতে… (?)
কঠিন এ প্রশ্নের উত্তর এখন আমাদের জানা নেই। অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।
ফাতেমা জোহরা
৪৪ বছর তো চলেই গেলো… আরও অপেক্ষা…
মেহেরী তাজ
অত্যন্ত ভালো লিখেছেন আপু।
ফাতেমা জোহরা
ধন্যবাদ আপু 🙂
বনলতা সেন
পতাকা পাওয়া থেকে রক্ষা করা অনেক কঠিন।
ফাতেমা জোহরা
সহমত (y)
খসড়া
এই দেশের মাটির প্রতিটি কনা রক্ত দিয়ে কেনা।
ফাতেমা জোহরা
একেক টি বাংলা অক্ষর একেজন বাঙালির জীবন দিয়ে কেনা…
শুন্য শুন্যালয়
চমৎকার করে সেই সময়ের অনুভূতিগুলো গল্পে ফুটিয়ে তুলছেন। এতো আত্মত্যাগের সম্মান আমরা রক্ষা করতে পারিনি এ আমাদের ব্যর্থতা। আগে অন্যে পুড়িয়ে মেরেছে, এখন নিজেরাই নিজেদের পুড়িয়ে মারছি, এ লজ্জা কোথায় রাখি?
ফাতেমা জোহরা
আসলেই আমাদের লজ্জার কোন শেষ নেই। আমাদের দেশে আমরাই মানুষ পুড়িয়ে মারি। ছিঃ…