এসেছি বছরান্তে, যেমন আসি ফি বছর, আসবো আবারো
এমন করেই, আমৃত্যু; সাধু-সন্তের বেশ ধরে ধরে;
একান্তে একান্ত-ই আমার পশু-খামারে,
হৃষ্ট-পুষ্ট সুবেশী-সুকেশী, চুটধাড়ি চনমনে-রং-দেহের অসংখ্য
পশু, পশু শাবকও;
অপুষ্ট-অকাল-পক্ব, হিংস্র, বিশ্রী-রং-গন্ধের, তাও ঢের আছে এই এখানেই,
পুরুষ্টু ঠোঁটে হাত মাখি সযত্নে দাঁত দেখার ছলে,
দলিত-মথিত হয় উঁচু-নিচু ঢিবি গুলো হাত-সুখে, পরীক্ষার ছলে
হিলহিল করে হাত চলে সারা-গা-জুড়ে;
অটুট-পশুত্বে ভাবি,
এতো এতো পশু!! সবই আমার!!
আদিম উল্লাসে সযত্ন চাপাচাপি-টেপাটেপি শেষে নিয়ে যাই
একখানি উষ্ট্র!!
দুপুরের আগেই পোড়া মাংসের কড়া গন্ধ বুক ভরে টেনে নিতে নিতে
ঝলসানো মাংসে কামড় বসাই, চটপটে সাহসী মনে,
নিশ্চয়ই নিশ্চিত,
আগামী-বার কিছু একটা কোরবানি দিয়েই ফেলব!
যেমন দিলাম এবারে,অন্যান্য বারের মত;
=======================================================
উল্লেখ্য………
পশুটি নিয়ে আসার সময় তাজা-ফুল-মালা,
নক্সাদার চাদরাবৃত ও ঢোল শোহরতের
(অধুনার ব্যান্ড পার্টি) প্রাচুর্য ছিল।
১০টি মন্তব্য
মায়াবতী
আপনি পশু কিনতে পারেন ! তার উপর আবার কাব্য ও রচনা করে ফেললেন !!! মানুষের চেয়ে বড় পশু আর কে আছে বলতে পারেন ? এই নির্বোধ প্রাণিদের নাম কে পশু রাখলো বলতে পারবেন? এদের ও তো আপনার আমার মত একটি প্রাণ আছে তাহলে সে পশু হয়ে গেলো কেনো !! ! ” পশু “শব্দ টা আমার কাছে আপত্তিকর।
হুম, কবিতা টা কিন্ত দারূণ হয়েছে।
ছাইরাছ হেলাল
একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন লেখাটি আপাত দৃষ্টিতে পশু নিয়ে হলেও আসলে এটি
পশুত্বকে নিয়ে লেখার সামান্য চেষ্টা মাত্র,
‘অটুট-পশুত্বে ভাবি’ লেখাটিতে এমন করে বলার চেষ্টা রয়েছে। এখানে পশুত্বের চাষ হচ্ছে
রীতিমত খামার করে, পাশবিকতার চর্চা হচ্ছে প্রকাশ্য-গোপনে।
বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করলাম প্রকাশের খামতি নিয়েই।
দারুণ কীনা জানিনা, যা যেমন ভাবি তাই-ই লিখি,
ঐ যেমন তাল গাছে নিয়ে লিখেছে; সময় পেলে পড়ে দেখতে পারেন।
মৌনতা রিতু
নিজেকে সাজাই, নিজেকে পোড়াই, পুড়ে পুড়ে খাঁটি করার চেষ্টায় প্রতিবারই ব্যার্থ হই।
কি এক অমানবিক মনুষ্য মন, তাকে পুড়িয়ে মনে হয় আরো খাঁটি করি। কোনো একদিন এমন করে সাজসজ্জাহীন হেঁটে যাব কেয়াবনে। এক কেয়াপাতার নৌকায় ভেসে যাব বিশাল সমুদ্রে। বুকে তার কতো জল দেখে আসব।
দোয়া চাই গুরুজি। অসুস্থতা পিছু ছাড়ছে না।
কবিতায় গা ভাসাতে চাই। সত্যিই যেতে চাই কেয়া বনে। অনাদরে পড়ে থাকা অভিশপ্ত কোনো এক কেয়া ফুলের সঙ্গী হতে।
চলুন তবে লিখে ফেলি মধুগন্ধভরা কেয়ার দুঃখ কথা।আজই চাই লেখা।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই আপনি সুস্থ থাকবেন/থাকতেই হবে,
কবিতার অপেক্ষা চালু রেখেছি, আমিও তো লেখাই চাচ্ছি।
মোঃ মজিবর রহমান
আমার আমিত্বে কি সাধু-সন্তের বেশ প্রকৃত অরথে আছে????
গুরু। আমরা পশুর চেয়েও অধমে পরিনত হয়েছি, তাই না ??
ছাইরাছ হেলাল
আমরা তো আমাদের পশুত্ব বিসর্জন দিতে পারছি না।
ভাল থাকবেন।
মোঃ মজিবর রহমান
আমাদের পশুত্ব বিসরজন হলে সাধুতে থয় থয় হত।
ছাইরাছ হেলাল
তা অবশ্য আপনি ঠিকই বলেছেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমাদের মনের পশুত্বকে বিসর্জন আজও দিতে পারিনি।
কে জানে পারবো কিনা কখনো!
তা কুবিরাজ ভাই কই গেলেন?
সাধু-সন্তের বেশ কি এখনও পরিধান করতে পারেননি? 😀
আসুন, আসুন!
ছাইরাছ হেলাল
আপনি চাইলে অনেক কিছুই বিসর্জন দিতে পারেন/পেরেছেন-ও!
যামু আর কৈ!! আপনি নাই, শূন্যতায় দোল খাই, দোল দেই না!!
আমি তো অনেক আগে থেকেই সন্ত!
টের পান-নি বুঝি!!