ভেজা বালিয়াড়িতে থমকে দাঁড়িয়েছি, হেঁটে যাচ্ছিনা কোন ক্রমাগত উপচে পড়া দিকভ্রান্ত শূন্যতার দিকে,
সামনে ঝুলে আছে উন্মুখ বক্ষে সেলাইয়ের ফোঁড়ে-ফোঁড়ে ব্যক্তিগত সংগ্রহের মত ‘প্রবেশ নিষেধ’ এর বেড়াজাল,
নখের ডগায় কত আর বালি তোলা যায়?
বড়জোর এক মুঠো বা তার চেয়ে সামান্য একটু বেশি!
তার থেকে এই তো অনেক ভাল, চিকচিক সকালের রৌদ্র রঙে হেঁটে হেঁটে ফেরা,
লঘু পায়ে নির্জনতার তটে সন্ধ্যা মন্দিরে বৈষ্ণব হেঁটে যাওয়া,
ভেতরে নিঃশব্দ নিঃশ্বাস পাতা ঝরায় নিস্তব্ধতার মায়াজালে,
হেঁটে হেঁটেই যাই, হুটোপুটির জলে ভেজা নিশীথিনী সমুদ্রে ছপ ছপ পা ফেলে,
অপ্রকাশিত ছিন্নভিন্ন শ্বাসপ্রশ্বাস গেঁথে গেঁথে নিষ্ফল রম্য ভ্রমণ পিপাসায়।
১৮টি মন্তব্য
অরুনি মায়া
আহহহ এত কষ্ট কেন লেখায়? কেন এত নিরবতা?
আমি যেন দেখতে পাচ্ছি সরবের বুকে নিরবের হেটে চলা | শুধু নি:শ্বাস বয়ে যায় উত্তাল সাগরের উন্মুক্ত বক্ষে ফিসফাস সুর তুলে |
কেন এত তৃষ্ণা? কেন বারবার ছুটে আসা অসীমতার কাছে যার অফুরান জল রাশির একবিন্দুও কণ্ঠে প্রবেশ নিষেধ জেনেও?
কবি একা হেটে চলেছে সাথে নিয়ে হাজার বছরের অপূর্ণতা | কেন এত একাকিত্ব?
সুন্দর লেখায় দম বন্ধ হওয়া কষ্টের উপলব্ধি রেখে গেলাম ,,,
ছাইরাছ হেলাল
আসলে এটি ঠিক কষ্টের লেখা নয় সে অর্থে মোটা দাগে।
চাওয়া গুলো ঠিক মনের মত করে না পাওয়ার বিষয় গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
যা প্রতিটি মানব জীবনের ই প্রতিচ্ছবি।
কিছু উপলব্ধি একা হয়েই নিতে হয়, আমার তা নেই।
ধুর, এটা পড়ে দম বন্ধ হওয়ার অনুভুতি হওয়ার কথাই না।
আবার ও পড়ুন, মন আকাশে ফেলে।
আবু খায়ের আনিছ
প্রবেশ নিষেধ কেন? আমি প্রবেশ করতে চাই।
ছাইরাছ হেলাল
এ নিষেধ হয়ত সবার জন্য নয়, আপনি অবশ্যই প্রবেশ করতে পারেন।
জিসান শা ইকরাম
সমুদ্র অবারিত সবার জন্য
এখানে আবার ‘প্রবেশ নিষেধ’ কি?
ছাইরাছ হেলাল
প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত ও থাকে কারো কারো জন্য।
সবাই অবারিত না,
মোঃ মজিবর রহমান
কিছু যদি কর ভুল
হবে প্রবেশে ও হুল।
বুঝছি বস গোঁড়ায় গণ্ডগোল
তাই নিশেধাক্কায় পড়ছেন।
ছাইরাছ হেলাল
বিশাল নিষেধাজ্ঞা ঝুলে আছে। কিছু গণ্ডগোল অবশ্যই হয়েছে।
লীলাবতী
নখের ডগায় হিসেব করার মত তেমন বালি তোলা যায় না। বালি তোলার ইচ্ছেকে পরিত্যাগ করে চিকচিক সকালের রৌদ্র রঙে হেঁটে হেঁটে ফেরা,লঘু পায়ে নির্জনতার তটে সন্ধ্যা মন্দিরে বৈষ্ণব হেঁটে যাওয়া অনেক ভাল। কোন কিছু নিষ্ফল কি হয়?
ছাইরাছ হেলাল
বেশি বা কমের কিছু না, প্রথমে বালি নখের ডগা দিয়েই তোলা শুরু হয়।
সব কিছু সফল হয় ও না।
মরুভূমির জলদস্যু
বিচিত্র অনুভূতি হয়ে ছিলো এই প্রবেশ নিষেধের কারণে সমুদ্র সৈকতে।
ছাইরাছ হেলাল
প্রবেশ যখন নিষেধ তখন ভিন্নতর কিছু অনুভুতি অবশ্যই তৈরি হয়েছে।
অনিকেত নন্দিনী
সকালের চিকচিক রোদে হাঁটিনা কত্তোদিন! 🙁
নখের ডগায় বালু তুলতে চেষ্টান্বিত না হওয়াই ভালো। বালু লেগে নখের নিচে কেটেকুটে ঘা হয়ে যেতে পারে।
প্রবেশ নিষেধের বেড়াজাল উপেক্ষা করা যায়না?
অপ্রকাশিত ছিন্নভিন্ন শ্বাসপ্রশ্বাস গাঁথাটা কি জরুরি? যা যায় তাকে যেতেই দেয়া উচিত নয় কি?
ছাইরাছ হেলাল
একবার চিকচিক রোজ রোজ ফিকফিক, চালু করে ফেলুন।
বালু তোলার সময় এত ভাবনার টাইম কৈ পাই।
কিছু নিষেধের উপেক্ষা হয়ত করা যায় না।
সব উচিত গুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে ও না।
ধন্যবাদ কিন্তু।
অনিকেত নন্দিনী
চালু করে ফেলবো কী করে? সমুদ্র আমার হাতের নাগালে নাকি যে মন চাইলেই দেবো একছুট?
নিষেধাত্মক কাজগুলি করার মাঝে অবশ্য বুনো উল্লাস কাজ করে। চালিয়ে যান। (y)
তাও ঠিক। নিজেরে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে তো সবাইই সন্ন্যাসী নইলে ঋষি হতাম।
এত্ত ধন্যবাদ দিলেন আর টুকরি দিলেননা, এত্ত ধন্যবাদ কুড়িয়ে কই রাখি?
ছাইরাছ হেলাল
সব উল্লাসে উল্লসিত হওয়ার ইচ্ছে থাকলেও উপায় থাকে না।
যেমন মন চাইলেও সমুদ্রের কাছে যেতে পারছেন না।
শিখছি সব সময় ই।
শুন্য শুন্যালয়
রম্য ভ্রমণ পিপাসা? সে কেমন ভাউ? অপ্রকাশিত ইচ্ছেগুলো আর মানতেই চাইছেনা বুঝি? চিকচিকে বালুতে হেঁটে বেড়ানোর আনন্দ যে পেয়েছে তার সমুদ্রে প্রবেশ কি জরুরী?
যেটুকু বালু তুলেছেন, তাকেও আঁকড়ে ধরে রাখা যায়না।
সব কিন্তু বুঝে ফেলেছি। এই সমুদ্র সেই সমুদ্র না, এ হচ্ছে ইচ্ছে সমুদ্র। আপনি তো মরেছেন রে ভাউ।
লেখা কিন্তুক চরম হচ্ছে, আমার কাছ থেকে শিখে টিখে :p
ছাইরাছ হেলাল
সবই আপনার কৃতিত্ব, যত্ন নিয়ে শেখালেন বলেই তো টিকে আছি।
একই কথা একই শব্দ ইনিয়ে-বিনিয়ে বলছি, আর অল্প শেখালেই পাড় পেয়ে যাব,
ইট্টু খেয়াল দিয়েন।
শুধু চিকচিক এ যে হচ্ছে না, অল্প বালুতেও প্রাণ জুড়াচ্ছে না, আকণ্ঠ ডুবে যেতে যে চাই।
এ অতল ইচ্ছে সমুদ্রে ডুবে গিয়ে বাঁচতে চাই।
মরার আর কী দেখলেন!! সবে তো শুরু!!
কিছু ল্যাকলে পারতেন মোগো জন্য।