কাঠবিড়ালির লেজ লম্বা কেন?
আমি- বাবু, ঐ যে দেখো কাঠবিড়ালি!
বাবু- ভাইয়া, ঐটা কাঠবিড়ালি?
হ্যা ভাইয়া, দেখেছ কত্ত সুন্দর! পিঠে লম্বা ডোরাকাটা আর কি লম্বা লেজ!
ভাইয়া, কাঠবিড়ালির লেজ লম্বা কেন?
– তাতো জানিনা ভাইয়া।
বাবু- কেনো?
লম্বা লেজ দিয়ে ওরা কি করে?
– আমি এটাও জানিনা বাবু। নিশ্চই কোন কাজ আছে লেজটার।
বাবু- কেন? তুমি জানোনা কেন?
মনে প্রশ্ন এলো, আরে তাইতো! এত ছোট কাঠবিড়ালের লেজ এত্ত লম্বা কেন? এটা আমি জানিনা কেন?
চীনাদের চোখ ছোট কেন?
আমি- এই শুনছ? একটু এদিকে আসোনা!
সে- হ্যা, বলো।
সুঁইয়ের মধ্যে সুতা আটকিয়ে দাওতো।
আমি- আচ্ছা দাও।
কিছুক্ষণ পরে,
সে- এই নাও হয়ে গিয়েছে।
আমি- বাহ! তুমি এত তাড়াতাড়ি কিভাবে পারলে? আমি পারিনা কেন?
সে- আজ থেকেই প্রাকটিসে লেগে পড়, টুকটাক সেলাই কর। দেখবে তুমিও পারবে, অভ্যেস হয়ে যাবে।
আমি মনেমনে – দরকার নেই সুঁইয়ে সুতা আটকানোর কৌশল শেখার, পাছে একসময় তুমি আমাকে বলবে সুতা আটকানোর কথা। পারিনা, এই ভালো আছি। উহ! অসহ্য কাজ এই সুতা আটকানো।
আচ্ছা, সুঁইয়ের ফুটো এত ছোট কেন? যারা সুঁই বানায় তাদের চোখ ছোট ছোট তাই বলেই মনে হয়। চীনারাতো এরকমই তাইনা?
আচ্ছা চীনাদের চোখ এত্ত ছোট ছোট কেন?
আইসক্রিম আছে হটস্ক্রিম নেই কেন?
কিরে আইসক্রিম খাওয়াবি?
আমি- না দোস্ত, এই ঠান্ডায় আইসক্রিম খেলে টন্সিলের সমস্যা হবে, আমার আবার সাইনাসের সমস্যাও আছে তুইতো জানিস।
তাহলে তুই খাস না, আমাকে খাওয়া?
আমি- হ্যা, তুই খাবি আর আমি চেয়ে চেয়ে দেখবো? তা হবেনা। খেলে দু’জনেই খাবো, না খেলে নেই।
দ্যাখ, এসব ফাঁকিবাজি চলবে না। দে আইসক্রিমের অর্ডার দে।
আমি- এই যে ভাই, শুনছেন? আপনার দোকানে হটস্ক্রিম আছে?
দোকানদার অবাক চোখে জিজ্ঞাসা করলো- হটস্ক্রিম কি?
আমি- আরে ভাই এটা ঠান্ডার দিনের আইসক্রিম। আছে?
না ভাই, এই নাম জীবনেও শুনিনাই।
ধুর! ভাই, কি দোকান আপনার! এত এত মাল আর হটস্ক্রিম নেই?
দোস্ত, সত্যি হটস্ক্রিম নামে কিছু আছে?
আমি মনেমনে – হুহ! সেদিন আমাকে ঝালমুড়ি খাওয়াসনাই তোর কাছে ৫০০ টাকা ভাংতি নাই বলে। আর আজ আমাকে খসাচ্ছিস? ব্যাটা খাটাশ!
আচ্ছা ঠান্ডার দিনের আইসক্রিম নেই কেন? হটস্ক্রিম কেউ আবিষ্কার করেনি কেন?……….
এরকম কত কেন’র উত্তর আমরা জানিনা কেন? এত এত কেন’র উত্তর আমাকে কেউ দেয়না কেন? এই যে আজ লিখলাম- তাও বা কেন?
মন থেকে উত্তর এলো- এমনি এমনি, আবার কেন?
আমি- এমনি এমনিই বা কেন? ওরে পাগল মন তুমি নিশ্চুপ কেন?
এরপরে মোবাইল স্ক্রীনের কার্সরটি শুধু ভেসে উঠছে আর তলিয়ে যাচ্ছে কেন? আমি আর লিখতে পারছিনা কেন?
কেন? কেন? কেন?
২৭টি মন্তব্য
নৃ মাসুদ রানা
আসলেই তো সব উত্তর কেন পাই না।
তৌহিদ
আমরা কেউই পাইনা কেন?
কামাল উদ্দিন
আইসক্রিম নিয়ে একটা কৌতুক মনে পড়ে গেল
তৌহিদ
হা হা হা 😃😃
কথা সত্য ভাই।
মাছুম হাবিবী
হাঁচি দিলে চোখ বন্ধ হয়ে যায় কেন? কেন আমি পুরো লেখাটা পড়লাম? এখানে আবার কমেন্ট করতে এসেছি কেন? এত কেন কেন কেন করছি কেন?
এসব কেনোর উত্তর পাওয়া মুশকিল ভাই।
তৌহিদ
উহ! এই ছেড়াডা এত্ত কতা কয় কেন? 😃😃
এস.জেড বাবু
কাঠবিড়ালির নাম “কাঠবিড়ালি” হলো কেন ?
কাঠবিড়ালি হলে ওর শরীরে কাঠ নাই কেন ?
আচ্ছা কাঠবিড়াল হলো না কেন ?
উত্তর যদি না থাকে তবে প্রশ্ন হলো কেন ?
আচ্ছা এতগুলি প্রশ্ন আমার মনে আসছে কেন ?
তৌহিদ
ভাই এত এতত প্রশ্ন করলে উত্তর দিব কেন? কবি এখন নীরব 😃😃
এস.জেড বাবু
খালি কবি’রাই নিরব হয় কেন ?
হাহাহা
ধন্যবাদ তৌহিদ ভাই
শুভকামনা
বন্যা লিপি
আচ্ছা…… আমি পান খাওয়া ছাড়তে পারিনা কেন? এত কিছু দেখি…. তবু কিছু করতে পারি না কেন? এই লেখাটা পড়লাম কেন?মন্তব্য খুঁজে পাইনা কেন? ধুত্তরি ছাই…….
আমার এত অল্পতেই রাগ ওঠে কেন?
কেন কেন কেন???????????
তৌহিদ
পান খাওয়া ভালো জিনিস, কাঁচা পানসুপারি হার্টের জন্য উপকারী কিন্তু ☺
তবে জর্দা চলবে না ☺
জিসান শা ইকরাম
সব প্রশ্নের উত্তর নেই,
কেন নেই? তার উত্তর নেই।
মজা পেলাম পড়ে 🙂
তৌহিদ
এটাইতো জানতে চাই, সব প্রশ্নের উত্তর নেই কেন?
আচ্ছা আপনি লেখা দিচ্ছেন না কেন? ☺☺
চাটিগাঁ থেকে বাহার
আমি এতো আগ্রহ সহকারে লেখাটি পড়লাম কেন?
সে মোতাবেক সুন্দর করে মন্তব্য করতে পারলাম না কেন?
তৌহিদ
লেখা ভালো হয়েছে তাই পড়েছেন ☺
আমি কিন্তু এই উত্তর জানি, হা হা হা 😃😃
আপনার মন্তব্য ভালো লেগেছে ভাই। আচ্ছা ভালো লাগলো কেন?
সুরাইয়া পারভিন
আচ্ছা আমি রেগে যাই কেনো?
কাউকে ভয় পাই না কেনো?
কফি খাওয়া ছাড়তে পারি না কেনো?
দুধ চিনি দিয়ে বানানো সুস্বাদু কফি না খেয়ে কালো কফি খাচ্ছি কেনো?
কেনো কেনো কেনো?
অদ্ভুত লেখার অদ্ভুত মন্তব্য,,,হা হা হা
তৌহিদ
আচ্ছা আপনিতো তবে সাহসী নারী! ☺
কালো কফি আপনার টনিক হিসেবে কাজ করে তাইনা?
দেখলেন উত্তর দিলাম ☺☺
শিরিন হক
কেন? কেন নিয়ে পড়লেন?
তৌহিদ
কেন যে পড়লাম সেটাইতো বুঝতে পারছিনা। কেন কেন?
ছাইরাছ হেলাল
এত্ত সুন্দর করে লিখতে পারি না কেন!!!
তৌহিদ
কারন আপনি আরও সুন্দর লেখেন বলে। দেখলেন উত্তর দিলাম ☺
সঞ্জয় মালাকার
আচ্ছা আমি এত আনন্দ করে লেখাটি পড়লাম কেন !!!
তৌহিদ
আপনি আমার লেখা পছন্দ করেন তাই, আমিও আপনার লেখা পড়তে ভালোবাসি দাদা।☺
সঞ্জয় মালাকার
আর যা-ই হোক আমি কিন্তু আপনার লেখা ভক্ত। ধন্যবাদ শ্রদ্ধে দাদ।
তৌহিদ
আপনি হচ্ছেন আমার লক্ষী পাঠক। ভালো থাকবেন আর এভাবেই পাশে থাকবেন দাদা।
সাবিনা ইয়াসমিন
হাহাহা, ফাঁকিবাজি। কাজ করে দেওয়ার ভয়ে প্রাক্টিস না করার বুদ্ধিটা ভালো লেগেছে। শিখবো না, করবো না। গল্প গুলো বেশ ভালো লেগেছে। এভাবে আরো লিখুন, পড়তে মন্দ লাগছে না।
শুভ কামনা 🌹🌹
তৌহিদ
এসব বুদ্ধি সব ছেলেদের মাথায় ঘুরপাক খায় সবসময় না হলে সংসারে সুখ আসবে ক্যামনে? 😃😃
হ্যা আপু, মাঝেমধ্যে সরল ভাষার লেখা পড়তে আমারও ভালো লাগে।
ভালো থাকবেন আপু।