
এই যে এত নড়া-নড়ি, হাসা-হাসি, দৌড়া-দৌড়ী, শোয়া-শুয়ুই, ঘুমা-ঘুমি, খাওয়া-খাওয়ি, কাঁদা-কাঁদি,
লাফা-লাফি, চিৎকার-চেঁচামেচি, হুংকার-গর্জন,তেলবাজি-তোষামোদি, লেখা-লিখি, হিংসা-হিংসি,
মিথ্যা-মিথ্যি, চোখা-চুখি, গা ঘেঁষা-ঘেঁষি,সচল-সবল এই আপাত অপূর্বতার ঝলক-বলক নিয়ে
আমরা কী কী ফালাইবো, কী কী করিবো? কোথায় কোথায় যাইবো???
এই অমৃতে সঞ্জীবনী কৈ? সকলই গরল ভেল!!
ঝুল সন্ধ্যায় শেষ-যাত্রা-বিন্দু অলক্ষ্যে দাঁড়িয়ে আছে হাত ছোঁয়া দূরত্বে;
[আমরা কথায় কথায় হরহামেশা- জীবনের সংজ্ঞাস্বরূপ বলিয়া থাকি,’দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত’।
সারিকস্কি কথাটা বলিতেন অন্য রূপকে,’ জীবন একটা ঘটের ন্যায়। ‘পদার্থ জমিতে জমিতে যখন
ঘট বা ঘড়াটা পূর্ণ হয় তখন একদিন তাহা ফাটিয়া যায়। মৃত্যু আর কিছুই নহে এই ফাটলের অপর নাম মাত্র।]
এই ঘড়াটি আমারা কী কী দিয়ে পূর্ণ করি!ওয়ার্কস এ্যাট ফেফেফে……।
শরীরী সীমানা জুড়ে ঝিলিক-মারা চনমনে-ঝলমলে আলো, খুবসুরৎ আগুনে গোপনাঙ্গ, ভিরমি খাওয়া গা-সুগন্ধি,
আঁকাবাঁকা বাঁকা-বাঁকা হাসির হাঁটে হেঁটে বিমুর আমি, কাঁপা-কাঁপা কাঁপতে থাকা খা-খা নিসর্গে
ভুয়ো তত্ত্বোপদেশে থমকে দাঁড়াই, এলাহি কাণ্ডের খেলা খেলে, খেলা দেখতে দেখতে লিখি তাই-ই, যা যা ভাবি,
লিখতে লিখতে আওরাই, বিকারগ্রস্তের মত কিছু ধার করা বুলি।
[সারিকস্কি এক নাম না-জানা কবির একটি অনুবাদ করেছিলেন………
কেতাদুরস্ত কবি
শ্রোতাদের শোনাইবেন
শুদ্ধ কবিতার বেশী কিছু
কবিতায় কান খাড়া,বাড়ি ফিরিবেন ফুরফুরে
নিঃসন্দেহে দোজখ
আর এহেন কবিকে নিজের গজর গজর শোনাইতে হয় নিজেকে।]
******************************************************
বিদ্রঃ বন্ধনীর অংশটুকু সলিমুল্লা খানের তরজমায় ফিনিস কবি পেন্টি সারিকস্কি থেকে নেয়া।
কবির ছবি নেটের।
২০টি মন্তব্য
হালিমা আক্তার
মন্তব্য করার সাহস হলো না। ভালো থাকবেন। শুভকামনা।
ছাইরাছ হেলাল
সাহস অ-সাহসের কিচ্ছু নেই, যা মন চাইবে তাই-ই বলার স্বাধীনতা আপনাকে দিচ্ছি এখানে।
ভাল থাকবেন।
সৌবর্ণ বাঁধন
বেশ জটিল লাইন গুলো। অনেকটা আত্মবিসৃত চিন্তাকে লিপিবদ্ধ করলে যেরকম হয় সেরকম। শুভকামনা।
ছাইরাছ হেলাল
আসলে সারিকস্কি কে শেয়ার করার দুঃসাহস দেখাচ্ছিলাম, খুব জটিল তাঁর লেখা,
আসলে দিন শেষের হিশেব আমাদের করতেই হয়, শেষ ক্ষণটি আমাদের পাশেই দাড়িয়ে আছে।
পড়ে মন্তব্য দিচ্ছেন দেখে অনেক ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন।
রোকসানা খন্দকার রুকু
এই এত লাফালাফি দৌডদৌডির ফলাফল শূণ্য।
শুভ কামনা ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
এই, এই যে পড়েছেন!!
এগুলা কিন্তু বুঝাই-নি। ফালাফালি করে সুবিধে নিতে পারবেন না।
ঝাঁপাঝাঁপি একদম নট।
ভাল থাকুন।
রোকসানা খন্দকার রুকু
কি বিপদ! সত্যিই পুলসিরাত!!!
ছাইরাছ হেলাল
সব ই ফক ফকা!!
ব্যাপার না।
আরজু মুক্তা
মৃত্যুই চিরন্তন সত্য। এটা বুঝতে বুঝতে সময় চলে যায়। সান্ধ্য প্রদীপ নিভুনিভু হয়।
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
ঠিক ঠিক, তাই তো প্রতিদিন শেষে হিশেবে বসতে চাই, আজকে ঘড়াটিতে কী কী রাখলাম।
আপনি ও ভাল থাকবেন।
তৌহিদুল ইসলাম
ওয়ার্কস এট ফেবু, যে যার মত বুলি আউরাচ্ছি। এতেই মজা। ক্ষণিকের হলেও…
মারাত্মক সিরিয়াস লেখা কিন্তুক!
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই মজা, মজাই মজা, যে যেমন নেয়/পায়।
ভাল থাকুন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
মৃত্যু ছাড়া আর সবকিছুতেই কেমন জানি নেশা লেগে যায় তবুও এই মৃত্যুতেই জীবনের অন্তিম আলিঙ্গন। সব ছেড়ে ছুড়ে ওখানেই নোঙর করতে হবে। কঠিন সত্যটাকে আরো কঠিন ভাবে খুঁজে পেলাম।
আপনার লেখা মানেই অন্যকিছু, অনেক অনেক শব্দের ঝলকানি, অলংকরণ। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকবেন সবসময় শুভ কামনা নিরন্তর
ছাইরাছ হেলাল
পাম-পুম দিচ্ছেন!!
তবে জীবন একটাই, হাসি আনন্দ-বেদনা এবং হিশেবের-ও!!
লেখা দিচ্ছেন না কিন্তু, ডায়েরি কৈ!!
সাবিনা ইয়াসমিন
পড়ছি আর পড়ছি, এতেই হয়ে যাচ্ছে।
বোঝাবুঝি করার মতো সময় ব্যয় করবো! উহু, পড়ার সময় শুধু পড়তে হয়। লাইন বাই লাইন বুঝতে গেলেই স্বর্গের দ্বার খুলে যাবে না। আপাতত স্বর্গে যাবার অতটা তাড়া নেই,,,,, পড়ি আর পড়ি। ফ এ একার ফে, রাইট?
ছাইরাছ হেলাল
ফাঁকি-জুকির নিত্য নূতন তরিকায় স্বাগত, চালু থাকুক।
মাহে রমজান!
ধন্যবাদ।
সাবিনা ইয়াসমিন
হাহাহা, তা আর বলতে!!
ফ তে ফাঁকিজুঁকিও হয় মহারাজ 🙃🙃
ছাইরাছ হেলাল
অনেক কিছুই হয় আপনাদের ফেক বুকে!!
ল্যাহাপড়া চালু রাখুন।
পপি তালুকদার
জীবন – মৃত্যু হিসাব কষা খুব কঠিন সমীক্ষা।
জীবনে কি করিলাম বা কি করবো ইহা ভাবতে ভাবতে জীবন শেষ।মৃত্যু সত্য। তাকে আলিঙ্গন করতে হবে এটাই চরম বাস্তব।
কঠিন লেখা কিছু বুজতে পারলাম কিছু না।
ছাইরাছ হেলাল
বোঝার বাকী আর কী থাকলো!!
আসনে আমার খুব পছন্দের অনুবাদ, একটু শেয়ার করার লোভ সামলাতে না পেরে এখানে নিয়ে এসেছি।
অনেক ধন্যবাদ।