ঘর ভর্তি প্রবল বিশুদ্ধ বাতাস,আমি জানলায় পৌঁছুতে পারছিনা ।
এক মুঠো বাতাসের জন্য শুধুই হাঁস-ফাঁস ।
নাছোড় বান্দা আমি,তবুও জানলাতেই ঝাঁপিয়ে বেড়াই ।
কতবার আছড়ে পড়লে উঠে দাঁড়াতে পারব ! জানিনা ।
দরবেশ হতে হবে না জেনে পুণ্যের হিসাব রাখিনি,
যাইনি মসজিদে বা মন্দিরে ,
পরম রহস্যের উন্মোচন! শুধুই পণ্ডশ্রম।
=============================================================
এই যদি হয় লেখার ছিরি তা না লেখাই ভাল,জানি তো,কিন্তু কেন জানিনা ছিটেফোঁটা লেখার ইচ্ছেটা ফাঁকা মাথা
সত্ত্বেও চড়েই বসল,নিরুপায় এই সামান্য আমি ।
৫২টি মন্তব্য
মশাই
জানিনা কোন মহৎ উদ্দেশ্যে দৃষ্টির গজিয়েছে পা। দূরে যেতে চাই সে তবুও যায় দূরত্বের অতি নিকটে। এবার কিন্তু ইচ্ছে হচ্ছে কাকাতালটা আমিও দিয়ে দেই কিন্তু এখনো যে শেষ হয়নি সম্পূর্ণতা। যাইহোক “======” এর নিম্নাংশের ভাবার্থ বুঝতে পারিনি কেনই বা লেখক কোট করে গেলেন।
ছাইরাছ হেলাল
কাকতালের অপেক্ষা করি ।
বাহ্, বেশ সুন্দর করে বলেছেন ‘দূরে যেতে চাই সে তবুও যায় দূরত্বের অতি নিকটে’ ।
এত সুন্দর লেখেন কী করে ?
শেষে !
লেখকের নিজেরই অপছন্দ লেখাটি । পছন্দ করেই ।
মশাই
লেখকের অপছন্দ? সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বলালো যেই হাতে, সেই হাত বহনকারী ব্যক্তির চোখ কি করে তা বলতে পারে? আচ্ছা লেখা কি কারো অপছন্দ হয় নাকি?
মশাই
স্বপ্নকারের ধূর্ত নয়নে চাইনি অন্তর্বাহী সুখ চৈত্রের খরাতে।
অনুগ্রহের জলস্নানে চাইনি পুণ্যতার স্বীকৃতি, করিনি সমর্পণ-
অপ্রতিম চাহনীতে বইতে পারবো না বলে উপেক্ষার ভারার্পণ।
ছাইরাছ হেলাল
না না , উপেক্ষা বড়ই নিরানন্দের বিষয় ।
স্টেডিয়ামের অনুগ্রহ কিন্তু উপাদেয় ,
ধূর্ত নয়নে না তাকানোর ফলাফল আপনি পাবেন ।
মশাই
আজ আর কোনো অনুগ্রহের তীরেই তরী ভিড়াতে যাবো এর চেয়ে ভাল পঞ্চালিকার জীবন। যখন জানি-ই-না কতবার আছড়ে পড়লে উঠে দাড়াতে পারবো তখন সুনির্দিষ্টতা আর থাকলো কোথায়?
ছাইরাছ হেলাল
এখানে লেখক আছড়ে পড়ার সংখ্যা জানতে পারেনি ,
অন্য কেউ জানতে পারে , মোটেই না আছড়ে পড়ার তরিকাও কারও
জানা থাকতে পারে ।
মশাই
তরিকা জানতে চাওয়াটাই মনে হয় পণ্ডশ্রম। আজকাল বড় বেশি কথা বলি আমি, অনেকটা বড় মুখে ছোট কথার মত। দূর থেকে কে যেন হঠাৎ ধমকের সুরে বলে গেছে “নিজের দিকে তাকিয়ে দেখছো তুমি কে?” আমিও ভয়ে ভয়েই বলেছি আর হবে না তবে নিজেকে গুটিয়ে আনতে সময় লাগবে।
ছাইরাছ হেলাল
অপছন্দ পছন্দ হতেই পারে ।
জোনাকির আলোকে প্রদীপ ভেবে বসে থাকলে হবে না ।
মশাই
এ শুধু নামেরই আধিখ্যেতা, আলোই তো চেয়েছিলেন, তাই নয় কি? কি বা আসে যায় তাতে জোনাকি অথবা সন্ধ্যা প্রদীপের?
মশাই
তিনটি লাইন কিন্তু দিয়ে দিয়েছি লোভে পরে।
ছাইরাছ হেলাল
কিসের লোভ ? কেন লোভ ?
তাও বলে দিলে ভালই হয় ।
মশাই
পরম রহস্যের উন্মোচন! শুধুই পণ্ডশ্রম।
জিসান শা ইকরাম
পুণ্যের হিসাব যারা রাখেন , তাঁরা কি সবাই দরবেশ ? 🙂
বিশুদ্ধ বাতাসের জন্য হাঁস-ফাঁস আমিও করি
পাইনা যে —
ছাইরাছ হেলাল
দরবেশ হতে গেলে কঠিন পথ পেরুতে হয় ।
বাতাসের বড়ই আকাল এখন ।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।
মশাই
আমরা অনেকেই কিন্তু কারো না কারো লেখা মনে ধরলে তাকে অনুসরণ করি। সবারই কিন্তু প্রিয় লেখক একজন থাকে তাই বলে অন্য লেখক যে ভাল লেখেন না তা কিন্তু না এবং কারো লেখার উদ্ধৃতিকে অনুসরণ করা যাবে না তাও কিন্তু না।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই আমরা অনুসরণ করি এবং করব,করাও উচিৎ।আমিও করি অনবরত।(যেমন,এখন চাণক্য)
এখন কথা হল কাকে অনুসরণ করছি?অনুসরণটি ঠিক হচ্ছে কিনা?বা নিজের পায়ে কুড়োল
না হলেও ব্লেড চালাচ্ছি কিনা নিজের অজান্তে,সেটুকু মনে রাখলেই কেল্লা ফতে।
মশাই
*****এখন কথা হল কাকে অনুসরণ করছি?অনুসরণটি ঠিক হচ্ছে কিনা?বা নিজের পায়ে কুড়োল
না হলেও ব্লেড চালাচ্ছি কিনা নিজের অজান্তে,সেটুকু মনে রাখলেই কেল্লা ফতে।****
দেখুন আপনি কত সুন্দর উক্তি করলেন? এমন উক্তিকে কে অনুসরণ করা যায় না?
ছাইরাছ হেলাল
এর থেকে আমার জানা মতে (কিছুই জানিনা) কোটি কোটি গুন সুন্দর ও প্রয়োজনীয় কথা
ছড়িয়ে আছে আনুসরণের জন্য , আপনার সেটাই করা উচিৎ ।
মশাই
তাও ভালো। আমার কোনটা করা উচিৎ তার পরামর্শ আপনার কাছ থেকে পাচ্ছি, আর কি লাগে যদি পাই তারে যার তরে করছি উপাসনা।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন ,কুবুদ্ধিতো আপনাকে দিতে পারি না ।
পরমেশ্বর রাগ করতে পারে ।
মশাই
সব কুবুদ্ধি আবার ক্ষতিকর নয় তা আপনি আমার চেয়ে ভালই বুঝেন। আজকাল কেউ যখন আর কোনো বুদ্ধিই দেয় না তখন নিজেকে তৈরী করে ফেলেছি কুবুদ্ধির আশ্রয়ে বসবাস করতে। যা দিবেন সবই ভক্ষণ হবে এই ক্ষুধার্তের।
শুন্য শুন্যালয়
সবকিছু রয়েছে, তবু কি এক না পাওয়া অস্থির করে।। কি সেই না পাওয়া ? সৃষ্টি রহস্য ? নিজেকে জানতে চাওয়া ? নাকি অন্যকে দেয়ার বিনিময়ে কিছু না পাবার হিসাব নিকাশ?
ছাইরাছ হেলাল
নিজের মাঝে নিজেকে খুঁজে ফেরা , অবশ্যই পরম সত্যের সংযুক্তিতে ।
এর থেকে ভাল করে বলা সাধ্যাতীত ।
ভাল থাকুন আপনি ।
শুন্য শুন্যালয়
আছড়ে পরতে পরতে কেউ উঠে দাঁড়ানো শিখে যায়, কেউ আজীবনের জন্য পঙ্গুও হয়ে যায় ।।
ছাইরাছ হেলাল
তবুও আমরা আছাড় না খেয়ে পারব না ,
পঙ্গু হলেও ।
ডাঃ পাওয়া যাবে না ?
শুন্য শুন্যালয়
হা হা, পাবেন পাবেন।। তবে ডাক্তার কিন্তু আজকাল ভেজাল, পরে না আবার ভালো পা টাই যায়… :Wink:
ছাইরাছ হেলাল
‘পা'(প্রাণ) যায় যাক , ডাক্তার তো পাব ।
তাই-ই বা কম কিসে !
মশাই
প্রাণ চলে গেলে ডাক্তার দিয়ে কি করবেন শুনি?
লীলাবতী
কি যেবলেনন? আমি যখন ইচছে জানালার কাছে যেতে পারি। (y)
ছাইরাছ হেলাল
আপনি যে লীলাবতী ! আপনার জন্য ব্যাপারনা মোটেই ।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।
মশাই
ঘাপটি মারা ঠিক না। কোন পুকুরে ডুব দিলেন বলে যাবেন।
ছাইরাছ হেলাল
ঘাপটি মারতে হবে কেন ?
মশাই
আপনি এসেছেন তাহলে? কোথায় যে থাকেন? একটু এদিক সেদিক উকি দিলে কি হয়?
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা ।
মশাই
আচ্ছা কি ভাইয়া? আপনি কি খুব ব্যস্ত এখন ? কেন জানি মনে হল তাই বললাম ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
কেন ?
মশাই
এমনি এমনিই মনে হল খুব ব্যস্ততার মাঝে আছেন। পড়া কতটুকু হল ভাইয়া? শেষ করতে আর কেমন দিন লাগবে?
মশাই
বানান কোনটা সঠিক ভাইয়া ? “যোগালো” নাকি “জোগালো”?
ছাইরাছ হেলাল
দু’টোই ঠিক ।
কোনটি পড়া শেষ হবে ? আমার তো কোন শেষ হয় না পড়া । তাছাড়া আমি তো আট দশটি বই একত্রে পড়ি ।
আমার মন যে বইটি পড়তে চায় তাই তখন পড়ি । বারবার পড়ি । আবার কিছু বই আছে পড়ি বা না পড়ি চোখের সামনে
থাকতে হবে । উদ্ভট আর কি । সুবিধে হল ভুলে যাই না , ৮/১০ টি একত্রে পড়লেও ।
মশাই
কি বলেন আপনি এসব ৮/১০ বই একসাথে পড়েন ??? আবার ভুলেও যাননা? বই পড়েন আর না পড়েন যেই বইগুলোকে সামনে থাকতে হয় সেই বইগুলো থেকে একটি বইয়ের নাম বলেনতো দেখি?
ছাইরাছ হেলাল
একটি নাম বই, ফ্রানৎস কাফকা সমগ্র ।
মশাই
এগুলো বড়ই দুষ্প্রাপ্য আমার জন্য, এমন হতে পারে আমি ঐ বইতে কি লেখা আছে তা বুঝবই না।
ছাইরাছ হেলাল
বোঝা বা না বোঝার বিষয় নয় , তবে আরও কিছু পড়াশোনা করা থাকলে
কিছুটা বুঝতে সুবিধে হয় ।
ব্যাপার না ।
পড়তেই হবে এমন কথা নেই , তবে যতদিন পড়াশোনার মাঝে থাকব এটি ততদিন
টেবিলেই থাকবে ।
মিসু
পন্ডশ্রম কেন?
ছাইরাছ হেলাল
কুল কিনারা করা যায় না যে ,তাই ।
লেখা কই?
এভাবে কিন্তু ঠিক হচ্ছে না ।
স্বপন দাস
দেখছি — কয়েকটি মাত্র লাইন লিখলেন — অথচ এর আলোচনায় ভরে যাচ্ছে পাতার পর পাতা ।। দারুন –।।
ছাইরাছ হেলাল
বহুদিন পর আপনাকে এখানে দেখলাম ।
ভালো ও লাগল ।
মিথুন
ঘরে যতোই জীবাণুমুক্ত এয়ারকন্ডিশন এর বাতাস থাক, জানালার প্রকৃতির বাতাসই শান্তির। 🙂
হতাশা কেনো?
ছাইরাছ হেলাল
নাহ , মোটেই হতাশ নই ।
জানলা চিনেছি যখন ।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য ।
প্রত্যাবর্তন
ভাল লাগল একজন আটপৌরে মানুষের স্বীকারোক্তি ।
ছাইরাছ হেলাল
হ্যাঁ , আটপৌরে স্বীকারেক্তি বলা যেতেই পারে ।
আর আমাদের স্বীকারোক্তি করতেই হয় ।
অনেক ধন্যবাদ পুরোন লেখা পড়ার জন্য ।