বালুকায় শুয়ে রোদে গা এলিয়ে,
হাঁটু-গেড়ে-বসা শীতের সান্নিধ্য-উপত্যকায় উষ্ণতা একটু একটু
অস্ফুট কথাবার্তা খুনসুটির ছলে, লোনা-নীল-জল সৈকতে;
বেদনার-নীল-তরঙ্গ হৃদ-প্রান্তর-ঘেঁসে দাঁড়িয়ে আছে
গলা অব্দি ডুবিয়ে বিচ্ছিন্নতার ছায়া ফেলে,
মুহুর্মুহু ঢেউয়ের তাড়ন নিঃস্ব হৃদয়ে।
ধোয়া ধুলো এড়িয়ে শৈশব-গ্রাম-প্রান্তরে,
বট-পাকুড়ের আড়াল খুঁজে, শুধু দু’জনে দু’জনার চড়ুইভাতি,
হোক না সে শুধু শুধু মিছামিছি খাইয়ে দেয়া, খেয়ে নেয়া;
আকাশের পেছনে জোড়া চোখ ফেলে রেখে,
সবুজ পাখিদের ওড়া-উড়ি চিৎকার চেঁচামেচির দিবা স্বপ্ন দেখি
সহস্রাব্দ গহিনের অরণ্য তৃষ্ণায়;
এসো শীত আর একবার, এবারের মত শেষ-উঁকি দিয়ে।
১৬টি মন্তব্য
প্রহেলিকা
আহা কি মিষ্টিমধুর যন্ত্রণাময় আকুতি লেখকের! লেখক দেখি শব্দে শব্দে শীত নামাবে ব্লগেই।
প্রকৃতিপ্রেমী বুঝা যায়, প্রতিটি শব্দ যেন দৃশ্যমান হয়ে উঠলো! শব্দদ্বারা ছবি আঁকলেন যেন! খানিক বিধুর হলেও কুয়াশার ভেতর যেন একটা গ্রাম দেখতে পাচ্ছি। গ্রাম আর গ্রামের শীত বরাবরই প্রিয়।
“সহস্রাব্দ গহীনের অরণ্য তৃষ্ণা” বিমূর্ত ভাবকল্প বেশ ফুটিয়েছেন। আবার সে উঁকি দিবেই!
ছাইরাছ হেলাল
শীত চলে যাবে, যেতে যেতে শেষ উঁকিটুকু চাচ্ছিলাম, সে নিরাশ করেনি এসে পড়েছে!!
প্রকৃতি আর গ্রাম আমার মনোরাজ্যের অধিকার নিয়ে বসে আছে, তা অনস্বীকার্য।
লিখে আর কতটুকুই-বা বোঝাতে পারি/পেরেছি!!
ল্যাহা-লুহা দেন না যে বড়!!
মাহমুদ আল মেহেদী
প্রকৃত প্রকৃতিপ্রেমী করে তুলবেন আমাদের ধন্যবাদ ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
সেটি পারলে মন্দ হতো না কিন্তু;
জিসান শা ইকরাম
আকাশের ওপারে চোখ রেখে ক্যামনে দ্যাহে এসব?
ছাইরাছ হেলাল
সব কিছুই দ্যাহা যায়, তয় সিস্টেম করা লাগে!
মোঃ মজিবর রহমান
মুহুর্মুহু ঢেউয়ের তাড়ন নিঃস্ব হৃদয়ে।— টেউয়ের মধ্যে কত ব্যাথা-বেদনা। মানুষের হ্রদ মাঝারে কত ইচ্ছা-আকাংখা প্রকৃতি সাথে নিয়ে তুলে আনলেন কবি।
ভাল লাগা রেখে গেলাম প্রিয়।
-{@
ছাইরাছ হেলাল
সামান্য চেষ্টা করেছি মাত্র, কি পেরেছি তার তো হিসেব করতে অপারগ!
পড়ার জন্য ধন্যবাদ,
লেখা কৈ!
মোঃ মজিবর রহমান
আমি আবার লেখতে পারি নাকি?? মনে যা আসে তাই করি। আমি আপ্পনাদের মত লিখতে পারিনা। তবে এখন আমি একটু ঝামেলাই আছি। ঝামেলা কাটিয়ে আসব খন। মন একটু অস্থির আর েই অবস্থায় আমি অনেক কিছুই অপারগ।
দোয়া করবেন যেন আল্লাহ আমার অসয়াত্ব দূর করে। -{@
ছাইরাছ হেলাল
ব্যাপার না,
সব ঠিক হয়ে যাবে এই কামনা করি।
সাবিনা ইয়াসমিন
শীতকে এবার বিদায় দিন মহারাজ,,, সে চলে যাক উঁকিঝুঁকি বন্ধ করে। কাঁপা-কাঁপি করতে আর ভালো লাগছে না।
পাখিরা কি সব ই সবুজ হয়? রংগীন পাখিওতো
থাকে,, নাকি সবুজ পাখি আপনার বেশি প্রিয়???
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই বিদায় সে নেবে, শত চাইলেও বেধে রাখা যাচ্ছে না/ যাবে না।
শীতে শীত-ভেজা হয়ে আছি, আর একটু দু/এক খানা স্মৃতির মোহন-মন্থন কষ্ট করে পড়তে হবে।
বলছি না নাঁকি কান্নার আগাম ঘোষণা দিচ্ছি! মনে করেন শীত ভাল্লাগে!!
তাই বলে ভাববেন-না যে বসন্তের হুটোপুটি-লুটোপুটির ভাবনায়োজনের কমতি রাখছি!
অবশ্যই নানান রঙ্গের পাঁখ-পাখালি হয়, আছেও।
এখানে সবুজ পাখি সবুজ না, এ এক অবুঝ সবুজ, প্রকৃতিময়তা বলতে চেয়েছি।
যদিও পাখি-সবুজ পছন্দ করি অনেক করে।
সাবিনা ইয়াসমিন
যাক !! বসন্তের আয়োজন রেখেছেন তাহলে,,,এই না হলে আপনি রাজ-মহারাজ !! গরিব দুর্বল প্রজাদের কি করে সবল রাখতে হয় সেটা আপনি জানতে পারেন চোখ না খুলেই,,,,বেশ।
ঘোষনা পত্র ক্রমান্বয়ে জারি রাখুন মহারাজ,,সবুজ-অবুঝ পাখিরা আপনাকেও দেখে/ দেখবে ।
ছাইরাছ হেলাল
আরে আমি তো আপনার ঘোষণা পত্র পাঠ করলাম মাত্র।
আপনার বসন্ত-লেখা পড়ার অপেক্ষা করছি,
এখনকার আনন্দ-ভাল্লাগায় কোন ভেদাভেদ নেই, লেখক-হবোরাই কয়েক কদম এগিয়ে।
তৌহিদ
মাঝখানে বিরতি দিয়ে শীত আবার এসেছে ভাই। তবে এবারের মত চলে যেতে দিন।
ছাইরাছ হেলাল
চলে যাবার জন্যই এসেছে,
চলে সে যাবেই।
ধন্যবাদ, পড়ার জন্য।