নীল আকাশে মেঘের ভেলার ফাঁক গলিয়ে
শরৎ রোদ্দুরের এক চিলতে আলো,
বিহ্বল দৃষ্টির নীরব আহ্বানের করুণ সুরে
লুকোচুরি খেলায় হাতছানি দিয়ে ডাকে-
শ্বেতশুভ্র কাশের পেলব স্বপ্নমায়া।
আচমকাসুন্দরী খেঁকশিয়ালির বিয়েভোজনে
উদরফোলানো কৃষকের চোখেমুখে
স্নেহের পরশ দেখে বড্ড হিংসে হয়।
রোগ জড়াকে পাশকাটিয়ে-
বীরদর্পে ত্রস্তপায়ে কাশের ছোঁয়ায় হেঁটে চলা
সে আমার ভাগ্যে নেই এবারেও।
মরচেধরা গ্রীলের ফাঁকগলিয়ে অনুভব করা
ঝিরিঝিরি বৃষ্টির আদুরে চুম্বনকে-
নীল আকাশের ঠিকানায় যতবার পাঠিয়েছি,
ততবারই সে চিঠি হাতঘুরে আবার ফেরত এসেছে।
ইট পাথরের শহুরে জঞ্জালে বন্দী ইচ্ছেগুলোকে
মনেই পুষে রেখেছি দীর্ঘদিন।
শরৎ রোদ্দুরে ঈষদুষ্ণ ঘাসে পা মাড়িয়ে
কাশের পেলবতার সে স্পর্শ-
আমি আজও অনুভব করি চোখবন্ধ করেই।
করোনাকালে আমার দৌড় ঐ বারান্দা পর্যন্তই।
৪০টি মন্তব্য
ইঞ্জা
ইট পাথরের শহুরে জঞ্জালে বন্দী ইচ্ছেগুলোকে
মনেই পুষে রেখেছি দীর্ঘদিন।
শরৎ রোদ্দুরে ঈষদুষ্ণ ঘাসে পা মাড়িয়ে
কাশের পেলবতার সে স্পর্শ-
আমি আজও অনুভব করি চোখবন্ধ করেই।
করোনাকালে আমার দৌড় ঐ বারান্দা পর্যন্তই।
সত্যি এ করোনাকালে আমাদের দৌড় সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে ভাই।
অসাধারণ অনুভূতির প্রকাশ।
তৌহিদ
ধন্যবাদ দাদা। মন্তব্যে অনেক ভালোলাগা রইলো।
শুভকামনা জানবেন।
ইঞ্জা
❤❤💕
আলমগীর সরকার লিটন
শরতের একটাভাবনাকে ফুটেতুলার জন্য এতবড় বননা চমৎকার কবি দা
অনেক শুভেচ্ছা রইল————-
তৌহিদ
ধন্যবাদ ভাই, ভালো থাকুন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
এই মহামারীতে কোথাও বের হওয়ার উপায় নেই কিন্তু প্রকৃতি যে আমায় বারে বারে বের হতে বলে। একই দিনে দুটো সুন্দর শরৎ বন্দনা পড়লাম। আহ্ শরৎ এসেছে প্রকৃতিতে, শরৎ এসেছে লেখকের কলমে। জয়তু শরৎ। শুভ কামনা রইলো
তৌহিদ
আমারটি মহারাজের ধারের কাছেও নেই। তবে লেখাটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম।
ভালো থাকুন আপু।
ফয়জুল মহী
সুশোভিত ও সৌন্দর্যময় কথামালা । উৎকৃষ্ট চয়ন ।
তৌহিদ
ধন্যবাদ মহী ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
করোনাকালে ও আপনি দেখি দৌড়বিদ হতে চাচ্ছেন !!
এ লক্ষণ কিন্তু সুবিধের মনে হচ্ছে না, আর একটু সামলে থাকুন/রাখুন
কাশ আপনি পাবেন ই।
তৌহিদ
আমি আগেই ক্ষান্ত দিলাম ভাইজান। ব্যাক বেঞ্চে পাবেন আমাকে ☺
বন্যা লিপি
হাতা-খুন্তি নাড়তে নাড়ে নাকে এসে ধাক্কা দেয় বাতাস;
বাতাসের শরীরের মৃদু গন্ধ এসে জড়িয়ে ধরে আচমকা, বলে! আমি এসেই গেলাম’
কালো কাঁচ ভেদ করে হলুদ লাগা
এ্যাপ্রন ভুলে, জানলার ওপারে তাকাই: কংক্রিটের জঞ্জাল ঠেলে দৃষ্টি চলে যায় আরো ওপারে। আকাশটা তখন দেখে মনে হয়, এটা লকডাউন আকাশ; নিয়মের মতো বাতাস তবু বদলায় ঋতু। ফ্যাকাসে চোখ শুধু তাকিয়ে বলে–‘ এখন করোনা ক্রান্তি চলছে’—–
তৌহিদ
আমি কবিতা লেখা ছেড়ে দেবো। কবিদের কাছে আমি নস্যি। তবে কাশবন দেখতে যেতেই হবে আপু।
শুভকামনা সবসময়।
বন্যা লিপি
আপনি কবিতা লিখতে পারেন। আর আমি কবিতা লিখতে পারি না ভাউ। আপনি লেখা ছেড়ে দিলে মাঝে মাঝে যে কয়েকলাইন লিখি এমন দুঃসাহসে! তাও বন্ধ হয়ে যাবে😓😓😓 আপনি কি তাই চান?
রেজওয়ানা কবির
নীল আকাশের ঠিকানায় যতবার পাঠিয়েছি,
ততবারই সে চিঠি হাত ঘুরে আবার ফেরত এসেছে, বেশি সুন্দর এই লাইন।ভালো লাগল।
তৌহিদ
ধন্যবাদ আপু। শুভকামনা সবসময়।
সুপায়ন বড়ুয়া
প্রকৃতি আজও সাজে নিজের মতো করে
করোনা কালে নির্জনে আজ আপন রূপটি ধরে
ভাল লাগলো ভাইজান। শুভ কামনা।
তৌহিদ
শরতের প্রকৃতি আমাকে মোহময় করে রাখে ভাই। শুভকামনা সবসময়।
সুপায়ন বড়ুয়া
আপনি ও ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
শামীম চৌধুরী
স্বাগতম হে শরত। শরত আগাম হেমন্তের বার্তা বহন করে আনে। শরত মানেই কাঁশফুলের শুভ্রতায় পাখিদের নবযৌবনে ফেরার হাতছানি। দারুন লাগলো ভাই। শুভ কামনা রইলো।
তৌহিদ
ধন্যবাদ ভাইজান। আপনাকেও শুভেচ্ছা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
শরৎ আসলে প্রকৃতি অন্যরূপে সাজে।
কিন্তু বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে থেমে নেই।
কবির কবিতা।
অনন্যা ভাবনায় ফুটে তুলেছেন দাদা।
শরৎ শুভেচ্ছা।
তৌহিদ
একদম ঠিক বলেছেন দাদা, শুভকামনা রইলো।
নিতাই বাবু
মানুষের অত্যাচারে দিন দিন সবকিছুই নির্মূল হয়ে যাচ্ছে। আকাশের নীল রঙও মাঝেমধ্যে ফেকাসে দেখা যায়। তাই মেঘেরাও গড়-সিজনে অযথা বায়না ধরে।
নদীর পাড়ে যত্রতত্র দোল খাওয়া কাশফুল এখন আর আগের মতো চোখে পড়ে না। মানুষেরা ঐগুলো দিয়ে বিত্তশালীদের ঘরদোর পরিস্কার করার ঝাড়ু তৈরি করে।
তাই আর নদী পাড়ের কাশফুল কাশবন নিয়ে কবিদের কবিতা তেমন একটা লেখা হয় না। কিন্তু আপনি লিখে যাচ্ছেন শরৎ বন্দনা। তাই শরৎ নিয়ে আপনার ভাবনার জয় হোক।
তৌহিদ
ধন্যবাদ, ভালো থাকুন দাদা।
মোঃ মজিবর রহমান
বেকারত্বের মায়াজালে কষ্ট সিদ্ধ দুক্ষিত মন
সাদাশুভ্র কাশবনের মাঝে না বেধে রিক্ত ক্ষন
শহুর ইট পাথরে আটকিয়ে জ্বালাতন জিবন
ক্ষয়ে নিষফল বিষপাষ্প ফলার ডগায় বহমান।
তৌহিদ
বাহ! সুন্দর বললেন ভাই। ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
ধন্যবাদ ভাই
সঞ্জয় মালাকার
শরৎ আসলে প্রকৃতি অন্যরূপে সাজে।
নীল আকাশের ঠিকানায় যতবার পাঠিয়েছি,
ততবারই সে চিঠি হাতঘুরে আবার ফেরত এসেছে।
শরৎ শুভেচ্ছা দাদা।
তৌহিদ
ঠিক বলেছেন দাদা, ভালো থাকুন সবসময়।
সুরাইয়া পারভীন
বড্ড বেয়ারা এই আমি’কে করোনা কেনো
কোনো মহামারীরই বোধহয় গৃহবন্দী করে রাখতে পারবে না। আমি শরৎ রোদ্দুরের হাতছানি উপেক্ষা করতে পারছি না। কাল বেড়িয়ে পড়বো শ্বেতশুভ্র কালে পেলবতার স্পর্শ নিতে
তৌহিদ
আহা! আপনার মত যদি আমিও পারতাম।কতদিন কাশফুল দেখিনা।
শুভকামনা আপু।
সাবিনা ইয়াসমিন
শরতের রুপ মাধুর্যকে এড়িয়ে যাবে এমন দৃষ্টি কি আছে? শারদীয় প্রভাতের স্নিগ্ধ স্পর্শ গায়ে/মনে এসে পরশ বুলিয়ে দেবেই। ” করোনাকালে ও আপনি দেখি দৌড়বিদ হতে চাচ্ছেন। সমস্যা নেই জানালার পর্দা সরিয়ে, বারান্দায় দাঁড়িয়ে কাশ আপনি পাবেন-ই”
মহারাজের মতো করে বলার চেষ্টা করলাম 🙂
ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
তৌহিদ
না না, আমার দৌড় বারান্দা আর ঘর পর্যন্তই আপু। শব্দ সাজানো সে আমাকে দিয়ে হবেনা। তবে কাশফুল দেখতে যাবই এবার।
শুভকামনা আপু।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
ভালো লাগলো॥
হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে।
শুভ কামনা।
তৌহিদ
ধন্যবাদ আপু, মাঝেমধ্যে প্রকৃতির মাঝে হারানো উচিত আসলে সবারই।
ভালো থাকুন সবসময়।
রেজওয়ানা কবির
আমিও হারিয়ে গিয়েছি আপনার লেখায়।শুভকামনা।
তৌহিদ
জেনে আনন্দিত হলাম আপু। লেখা ভালো লেগেছে পাঠকের কাছে এটাই চাওয়া একজন লেখকের।
ভালো থাকুন।
আরজু মুক্তা
করোন সৌন্দর্য দেখাও বন্ধ করে দিয়েছে। জানালার গ্রিল দিয়ে আর কতটুকু আকাশ দেখা যায়! ক্লান্তি চলে আসে।
তবুও পালাবদলের পরিক্রমায় ঋতু আসে ঋতু যায়
তৌহিদ
ঘরবন্দি সময় আর ভালো লাগছেনা আপু। আপনিও ভালো থাকুন সবসময়।