হঠাৎ মনের কোণায় কোথাও যদি ঝড় উঠে আওয়াজ তুলনা।
তোমার নিত্য সোজা ও যাত্রা পথে একটুকু সময় হলে,
চলে যেও চুপটি করে পূণ্য সে তপবনে।
নিত্য তোমার জীবন পথে, তোমাকে ঘিরে থাকে অস্ত্রশস্ত্র, কবচ-অলঙ্কারে একদল সিপাহী।
বাঁকা পূণ্য ও তপবনে তোমার যোদ্ধাবেশ মনাবে না
ফেলে এসো সে সব যুদ্ধের বেশ।
আমার স্নানের ঘাটের কল্কলের প্রান্ত থেকে ঝরে পড়া জলের ধারায় চিহ্নিত পথে
হাঁটুগেড়ে মাথা নুইয়ে আজও পথচেয়ে বসে আছি ঈঙ্গুদীভাঙ্গা মসৃণ পাথর খন্ডের গোড়ায়।
বলেছিলে,’অপেক্ষায় থেকো আসব
তোমার সঙ্গে একা দেখা হবে।’
কথা দেয়া বা না দেয়া,
কথা রাখা না রাখা
মান অভিমানের মাঝে
আজও সে পথ আমার অপলোক চেয়ে থাকে।
‘ভালবাসা’ছোটো শব্দের বড় সে বোঝার ভার নিয়ে
আমিও অন্য পথে হেঁটে যাব
জীবনানন্দের মতো সংসারী হব।
,,,,,,রিতু,,,,
২৩টি মন্তব্য
ইঞ্জা
পাঠে মুগ্ধতা রেখে গেলাম প্রিয় আপু।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ প্রিয় ভাইজু। ভাল থাকুন সব সময়।
ইঞ্জা
-{@
জিসান শা ইকরাম
অদ্ভুত সুন্দর ভাল লাগায় মন ভরে গেলো,
খুবই ভাল লেগেছে।
কিছু নতুন শব্দ দেখছি লেখায়, যার অর্থই জানি না,
‘ ঈঙ্গুদীভাঙ্গা ‘ — মানে কি?
মৌনতা রিতু
ঈঙ্গুদী কাঁটাযুক্ত এক ধরনের গাছ। ওটার ফল বা ডাল হবে।
ভাগ্যিস বাংলা একাডেমির বিবর্তনমূলক বাংলা অভিধানটা ছিলো! এটাতেই পেলাম শব্দটার অর্থ।
ধন্যবাদ ভাইয়া। ভাল থাকুন সব সময়। 🙂
জিসান শা ইকরাম
ভাল লিখছো আজকাল,
লেখা যেন থেমে না যায়
শুভ কামনা -{@
ছাইরাছ হেলাল
তপ্ত নিঃশ্বাসে ছুটেছিলাম
তাকে ছুঁয়ে দেব একটুখানি, ছুঁয়ে যাবে এ হৃদয়ে
বরফ উষ্ণতায়;
সিপাহী শাস্ত্রীর যুদ্ধ সাজ এ তপোবনে সাজে না;
অধরের নবপল্লব-শোভা মলিন আজ
বল্কল সাজ পাণ্ডুর হয়েছে, অপেক্ষার অপেক্ষায়,
বলেছিল আসবে, আসেনি সে আজও;
মুনে কয় হালায় মরছে!!
মৌনতা রিতু
উপন্যাসের প্রতিটা লাইন আবার পড়া হচ্ছে পুরোদমে।
সোনার সে বল্কল সাজ মলিন হয়েছে আসলেই। তবু এক অপেক্ষার প্রহর গোনা।
বালাইষাট মরবে কেনো! বেঁচে আছে, সহি সালামত।
তো কবিগুরু এবার প্রিয়ঙবদা হয়ে যাক!
ছাইরাছ হেলাল
বিদ্যাসাগরের অনুবাদ পড়ছেন নিশ্চয়ই!
মৌনতা রিতু
রাঁধাকে খুঁজে আনি বৈষ্ণব পদাবলি তে।
দাঁতভাঙা সব ভাষা কি আর মগজে ঢোকে বলুন? আমার নড়বড়ে বুড়া দাঁত ভাঙতে আপনি গুরুই বা কম কিসে!
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
আর গেছি অন্যপথে!…যে পথে আছি সে পেরুতে পারলেই হলো।দারুণ হয়েছে। -{@
মৌনতা রিতু
অন্যপথে গেলে ভাবি পিডানি দিব। অনেক ধন্যবাদ মনির ভাই। ভাল থাকুন সব সময়। -{@
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
হা হা হা শুভ কামনা -{@ তবে লেখাটি সত্যিই উচু মানের।
তৌহিদ ইসলাম
অনেক মুগ্ধতা রেখে গেলাম আপু। কবিতা পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সব সময়। শুভকামনা রইলো।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু শকুন্তলাকে কী চমৎকারভাবে অল্প কথায় এঁকে নিলে! আমি মুগ্ধ!
“বৃক্ষ আর পুষ্প কুঞ্জ যে যার ভূমিতে দূরে দূরে
চিরকাল থেকে ভাবে মিলনের শ্বাসরোধী কথা।”
আপু তুমি নিজেকেই ছাড়িয়ে যাচ্ছো।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ নীলা আপু। তোমার শরীর কেমন আছে?
সাহস করে কবিতার সাথে শব্দ জোড়া দিতে গিয়ে লেখা হয়ে গেছে।
ভালবাসা নিও আপু। -{@ (3
নীলাঞ্জনা নীলা
শরীর ভালো আছে আপু। কিছুটা ব্যস্ততা যাচ্ছে আসলে। পুরো বিকেলটা আমার ব্যালকনির বাগানে যায়। গাছে টমেটো এসেছে।
আর হাস্নাহেনা ফুটেছে। কী দারুণ ঘ্রাণ! 😀
মৌনতা রিতু
ওয়াও দারুন। ছবি দিও। এমন করেই ভালো থেকো সব সময়।
মোঃ মজিবর রহমান
অপূর্ব লেখা আপু। দারুন হয়েছে। আমি অনেক আগে শকুন্তলা পরেছিলাম কিছুই বুঝতে পারিনি। ভাল থাকুন।
মৌনতা রিতু
অনেক ধন্যবাদ মজিবর ভাই। ভালো থাকবেন সব সময়। আমিও পড়েছিলাম আবার পড়ছি।
শুন্য শুন্যালয়
সংসারী তো ভালই হয়েছ দেখা যাচ্ছে। 🙂 শুধু পতিদেব কে এ গোপন অপেক্ষার কথা জানিও না।
বেশি বেশি পড়াশোনা করো শকুন্তলা। 🙂 ভাল্লাগছে কবিতা।
মৌনতা রিতু
তোমার মাইর হবে। আমি শকুন্তলা! পতিদেবের জন্য অপেক্ষার লিস্ট লিখলে হেতির বইন আগে শরম পাইব। মুখটা খুলাইও না ভাইর নামে। তা কেমন আছো? প্রথম বাবা তো তোমাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে লম্বায়। অনেক আদর মা ছেলেকে। এমন করে ভালো থেকো।