আমি মূলত শিরোনাম কি দিবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। যুতসই কিছু একটা খুঁজে না পেয়ে দিয়ে দিলাম একটা নাম আর কি। একটা দেশ নিয়ন্ত্রিত হয় রাজনীতি দ্বারা। সকল নীতির রাজা হচ্ছে রাজনীতি। যে কারণে এর নাম রাজনীতি হয়েছে। এই নীতি সকল নীতি কে নিয়ন্ত্রণ করে। মূলত একটি দেশ পরিচালনার জন্য গণতন্ত্র খুব যুতসই একটি উপায়। আধুনিক ও বলা চলে। তবে মোটামুটি সবার অংশগ্রহণে দেশ এর নেতৃত্ব কে দিবে সেটা নির্বাচন করা হয় বলে এর নাম গণতন্ত্র হয়েছে। কিন্তু যদিও আমাদের দেশে সেটা আপেক্ষিক পুরোপুরি। লোক দেখান গণতন্ত্র চালু এখানে। সাধারণ জনগণ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে বন্দি। জীবনের ভয়ে, পরিবারের নিরাপত্তার ভয়ে সকল দুর্নীতি মুখ বুজে চুপ চাপ সহ্য করে যাচ্ছে আমাদের দেশের জনগণ। এবং যদিও কেও দেশ প্রেম অনুভূতির প্রাধান্য দিয়ে এগিয়ে আসছে, তাকে দমিয়ে ফেলতে, বা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতেও ভুল করছে না রাজনৈতিক দল গুলো। কোন একটি বিশেষ কারণে যদি দেশ এর মানুষ একাগ্র চিত্তে এগিয়ে আসে, তবে সেখানেও স্বার্থ খুঁজে নিতে তৎপর থাকে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনীতি অসাধারণ একটি জিনিস আমার মতে। একটি দেশ পরিচালনা, বা দেশ কে উন্নতির চরম শিখরে নিতে পরিচ্ছন্ন রাজনীতির যোগ্য বিকল্প হতে পারে না। কিন্তু ঐ যে বললাম, পরিচ্ছন্ন রাজনীতি। কিন্তু আমাদের দেশ এর রাজনীতি মানেই দুর্নীতি, কলুষতা। পরিচ্ছন্ন রাজনীতি কি করতে পারে, সেটা আমরা উন্নত দেশগুলোর অবস্থা দেখলেই বুঝতে পারি। হতে পারে সেখানের রাজনীতিতে খুত আছে, তবে টা প্রকাশ হয় না ওভাবে। কারণ যত কিছুই করুক, সবাই দেশ এর চিন্তা করে। দেশ কে এগিয়ে নিতে তৎপর তারা। নিজেদের মধ্যে যে ঐক্য তাদের আছে, সেটা আমরা দেশগুলোর অবস্থা দেখলেই বুঝতে পারি। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়া, খুব কম সময়ে বর্তমানে যে অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে, ওদের রাজনীতি যদিও পুরোপুরি পরিচ্ছন্ন না। কিন্তু, যে যাই করুক দেশ এর ব্যাপার গুলোতে, দেশ এর স্বার্থে সবাই এক। এ কারণেই এত কম সময়ে দেশটি এতটা উন্নতি করেছে। যেটা আমাদের মধ্যে নেই। আমাদের রাজনীতিবিদ রা শুধু মাত্র নিজের স্বার্থেই রাজনীতি করে থাকেন। খুব কম সংখ্যক রাজনীতিবিদ আছেন যারা সত্যকার অর্থে দেশের জন্য কাজ করতে এগিয়ে আসেন। আমার কথা হচ্ছে, রাজনীতি তে যারা যায়, তারা কেন যায় ? দেশপ্রেম থেকে যায়। দেশের প্রতি ভালবাসা থেকে যায়, দেশ কে এগিয়ে নিতে যায়, দেশ এর কথা ভেবে কাজ করতে যায়, দেশ ভাল করতে যায়। কিন্তু ? এর একটাও কি আমাদের দেশ এর অধিকাংশ রাজনীতিবিদের রাজনীতি তে যাওয়ার কারণ ? এ ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ আছে আমার।

মূলত এই লেখাটি লিখতে বসেছিলাম প্রজন্ম চত্বর এর একটা ব্যাপার জানতে পেরে।

কাদের মোল্লার দুই নম্বর সাক্ষী সৈয়দ শহিদুল হক। মুক্তিযুদ্ধের সময় ‘মামা বাহিনী’র প্রধান কমান্ডার থাকায় মামা নামেই পরিচিতি বেশি ইনার। ইনার একটি সাক্ষাৎকার সম্পর্কে পড়লাম, এবং জানলাম প্রজন্ম চত্বর যে একটা সময় কিছু মানুষের স্বার্থ উদ্ধার এর অন্যতম উপায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আগেও বেশ কিছুবার এরকম কিছু জানতে পেরেছি, তবে উপযুক্ত প্রমাণ বা তথ্য না থাকায় সেটি নিয়ে আমি কোন ভাবেই ভাবিনি। তবে আজকে ভাবতে বাধ্য হয়েছি, এই সাক্ষাৎকার পড়ে এবং ভিডিও ক্লিপ টি দেখতে পেয়ে।

http://www.poriborton.com/article_details.php?article_id=31936

 

আমি লিঙ্কটি উল্লেখ করে দিয়েছি। আর আমার প্রারম্ভিক কথাগুলো কেন বলেছি সেটাও আপনারা এই সাক্ষাৎকারটি পড়ার পর ভাল করেই বুঝতে পারবেন আশা করছি।

৫৭১জন ৫৭০জন
0 Shares

১৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ