We shall overcome
We shall overcome
We shall overcome some day.
Oh, deep in my heart
I do believe
We shall overcome some day…
উপরের গানটি সারা বিশ্বের মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার গান। এই গানের মালিক সারা বিশ্বের মানুষ। এই গানের মালিক সারা বিশ্বের নিগৃহীত মানুষ, এই গানের মালিক সকল সৎ প্রতিবাদী মানুষ, এই গানের মালিক সারা পৃথিবীর আশাবাদী মানুষ। এ গান মানবতার সবচে আপন গান। জাতীয় সঙ্গীতের পরপরই এই গান সব জাতীয় মানুষকে উদ্দিপ্ত করে। সারা পৃথিবীর প্রায় সব প্রধান ভাষাতেই এই গান অনুবাদ করা হয়েছে এবং গেয়েছেন পৃথিবীর সকল ভাষার মানুষ।
ইতিহাসে এই গানের দেখা মেলে ১৮৭৪ সালে সিসিলিয়ান নাবিকদের প্রার্থনা সঙ্গীতে। তখন এই গানের লাইন গুলো এরকম ছিলো না, আর শুরুর লাইনটি ছিলো I shall over come some day.. সে সময়কার সুরটিও ছিলো একেবারেই আলাদা। ১৯০০ সালে যাজক এ্যালবার্ট টিন্ডলে রচিত শকলাই গ্রন্থে এই গানের লিখিত রূপ পাওয়া যায়। তবে তার সুরটিও আজকের চেয়ে আলাদা ছিলো। ১৯৪৫ সালে এই গানের মধ্যে কিছু নতুন সুর ও শব্দ যোগ হয়। গানের অবশিষ্ট কথা গুলো লিখেছেন অস্ট্রিন টুইগ আর নতুন সুর তৈরী করেন কেনেথ মরিস।
কিভাবে “আই শ্যাল ওভার কাম” থেকে “উই শ্যাল ওভার কাম”-এ রূপান্তরিত হয় এ সমন্ধে একটা গল্প প্রচলিত আছে। গল্পের সাথে জড়িয়ে আছেন আমেরিকার টেনেসি অঙ্গরাজ্যের হাইল্যান্ডার ফোক স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা মিঃ হর্টন এর স্ত্রী জিলফিয়া হর্টন এর নাম। সে সময় ফিলডেলফিয়া অঙ্গরাজ্যে শ্রমিক ধর্মঘট চলছিলো। কেউ কেউ বলেন এ ধর্মঘটে শ্রমিকরা যখন এই গান গাইছিলো তখন জিলফিয়া সেই গান শিখে ফেলেন। আবার কারো কারো মতে দুজন ধর্মঘটি শ্রমিকের কাছ থেকে তিনি এই গান শিখে নেন। পরে তিনি এই গানকে সমবেত সঙ্গীতে পরিণত করেন। তারপর তিনি সেই গান শেখান কিংবদন্তী গণ সঙ্গীত শিল্পী পিট সিগারকে। আরেক গণ সঙ্গীত শিল্পী ফ্রাঙ্ক হ্যামিল্টন এই গানটি জনপ্রিয় করে তুলেন। একই সময়ে শ্বেতাঙ্গ শিল্পী “কারাভান” যে সমস্ত কৃষ্ণাঙ্গ ছাত্র “শুধু মাত্র শ্বেতাঙ্গদের জন্য” লেখা রেস্তোরাঁর সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেছিলো তাদের এই গান গেয়ে শোনান। জো গ্লেজার এবং এলম সিটি দল গানটির প্রথম রেকর্ড ১৯৫০ সালে। ১৯৬০ সালে গানটির চারজন গীতিকারই গানটিকে নিগ্রোদের স্বাধীকার আন্দোলনের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন। গানটির জনপ্রিয় অংশের স্বত্ব রয়েছে যে চারজনের নামে তারা হলেন জিলফিয়া হর্টন, পিট সিগার, ফ্রাঙ্ক হ্যামিল্টন ও কারভান এর নামে।
ফুল লিরক:
We shall overcome
We shall overcome
We shall overcome some day.
Oh, deep in my heart
I do believe
We shall overcome some day.
We’ll walk hand in hand
We’ll walk hand in hand
We’ll walk hand in hand some day.
We shall all be free
We shall all be free
We shall all be free some day.
We are not afraid
We are not afraid
We are not afraid some day.
We are not alone
We are not alone
We are not alone some day.
The whole wide world around
The whole wide world around
The whole wide world around some day.
We shall overcome
We shall overcome
We shall overcome some day.
পিট সিগারের কন্ঠে এই গানটির লাইভ ভার্সন শোনার এখানে ক্লিক করুন।
জবরুল আলম সুমন
সিলেট।
২৯শে এপ্রিল, ২০১১খৃষ্টাব্দ।
১১টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
বিচ্ছিন্ন ভাবে এ গানটি শুনেছি । আর এ গানের ইতিহাসটি ও জানা ছিল না মোটেই ।
এখন পুরো গানটি শুনলাম ।ভাল লেগেছে ।
জবরুল আলম সুমন
এই গানটির সাথে আরোও কয়েকজনের নাম জড়িয়ে আছে তাদের মধ্যে একজন হচ্ছেন জোয়ান বায়েজ। এখানে আমি সাংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরেছি বলে অনেক কিছুই বাদ গেছে…
প্রজন্ম ৭১
গানটি শুনতে গিয়ে স্বাভাবিক ভাবে নিজের অজান্তে গেয়ে উঠি। ধন্যবাদ আপনাকে গানটির পুরো ইতিহাস জানানোর জন্য।
জবরুল আলম সুমন
একই অবস্থ আমারও। গানটি যখন কানের কাছে বাজে তখন আমিও আনমনেই গেয়েই উঠি…
জিসান শা ইকরাম
ক্লাস সেভেনে পড়াকালীন সময়ে এই গান প্রথম শুনি।
আশা জাগানিয়া গান ।
কোনদিন এর আবেদন কমবে না।
গানের ইতিহাস জানতাম না ।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ।
জবরুল আলম সুমন
সম্ভবত এটা এক মাত্র গান যা পৃথিবীর প্রায় সকল ভাষাতেই অনুবাদ করে গাওয়া হচ্ছে এখনো… এই গানের আবেদন কখনোই কমবেনা।
যাযাবর
এটি আমার শোনা সেরা গন মানুষের গান ।
জবরুল আলম সুমন
নির্দ্বিধায় বলা যায় এই গানটিই গণজাগরণের সেরা গান…
লীলাবতী
একটি অনুষ্ঠানে গানটি শুনেছিলাম। উদ্দীপনার গান , আশার গান।
জবরুল আলম সুমন
পিট সিগারের কন্ঠে এই গানটা এখনো আমি প্রায়ই শুনে। প্রিয় গায়ক পিট সিগারকে নিয়েও একটা লেখা লিখেছিলাম বছর খানেক আগে। সময় করে একবার এখানে লেখাটা পোষ্ট করবো। ধন্যবাদ আপনাকে।
নীলাঞ্জনা নীলা
অমর গান , মানুষ গাইবে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে।