অনন্তকাল ধরে এখানেই থেমে থাকা। ওপারে কি আছে?
উবু হয়ে থাকা সীমান্তরেখা?
কি জানি! থাক!!
ওসব কথা জানার সময় শেষ।
পড়ে গেছে সময়, উড়িয়ে নিয়েছে সময়ের তোড়।
ঝড়ের আগের পূর্বাভাসে বলেছিলো মধ্যবর্তিনী যোগ
‘দৌঁড়াও হে পথিক, পিঁছিয়ে যাওয়া মানেই ফুরিয়ে যাওয়া।’
ওই যে আকাশে তারা ফুঁটছে, খসে খসে পড়ছে
এ নাকি মনোরঞ্জন! এ কেমন মনোরঞ্জন বলো তো ক্ষণ-অক্ষণ?
এলোমেলো হয়ে যায় বুঝি সময় ফুরিয়ে গেলেই?
কে জানি বলেছিলো ভালোবাসা মানে অভ্যেস।
আমি বলি একধরণের শিল্প। কলা-কৌশলের যতোরকমের কূটকচাল,
তা-ই ভালোবাসা।
যে যতো শিল্পকলা জানে, ততোই দূর্দান্ত প্রেমিক-প্রেমিকা হয়।
মহাভারতের মানভঞ্জন তবে কি?
আরে সে তো দ্বাপরে রাধিকার আঁচলে বাঁধা ছিলো
দ্বৈপায়ন হ্রদের ধারে দূর্যোধনের গোপনবাস,
ভগবানও খেলা করে ভালোবাসা নিয়ে দ্রৌপদীর নগ্নতায়।
এখনও তবু বিশ্বাস ফিরে আসবে? খোলা পিঠে এসে চুমু খেয়ে বলবে,
‘বড্ড দেরী হয়ে গেলো।’
আর তুমিও মেয়ে আহ্লাদে গদগদ, ‘কেমন আছো? ইস কি পান্ডুর মুখ!
এসো এই বুকে। এই নাও কোলে পেতেছি শীতল পাটি। উষ্ণতার স্পর্শ পান করো।
অনেক তৃষ্ণার্ত অনুভব করেছি তো আমি। ক্ষুধার্ত সেও জানি, আমি খাদ্য আছি তো নিয়ে সারাটি শরীর জুড়ে।’
আহা সময়! ওহে সময়!! তুমি আসবে বলে, ভালোবাসবে বলে সময় কেবলই আশায় আশায় র’য়।
চিত্রকলা এবার ফুরিয়েছে।
শেষ হয়ে গেছে রঙ, শুকিয়ে শক্ত-কঠিন হয়ে গেছে তুলি।
আর কিছু? ভালোবাসারও নির্ধারিত সময়-সীমা থাকে, বুঝলে?
হ্যামিল্টন, কানাডা
৩ আগষ্ট, ২০১৫ ইং।
৪৮টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
না, চিত্রকলার নির্দিষ্ট সময় থাকে না। তা ভালোবাসার মতই অশেষ ব্যাপ্তি হীন।
সত্যি হাতে গরম কবিতা পড়ার স্বাদই আলাদা, ওম পাচ্ছে যেন, বাড়িয়ে বলছি না।
পরে আবার, আগে গলা অব্দি খেয়ে নেই। ঢেকুর তুলতে তুলতে আরও কিছু আউল-ফাউল লিখব।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনার আউল-ফাউল পাওয়াটাও যে ভাগ্যের ব্যাপার কবি। 🙂
তানজির খান
‘দৌঁড়াও হে পথিক, পিঁছিয়ে যাওয়া মানেই ফুরিয়ে যাওয়া। (y) (y) (y)
নীলাঞ্জনা নীলা
এতো পছন্দ লাইনটা? 🙂
অরণ্য
হুম!
“ভালোবাসারও নির্ধারিত সময়-সীমা থাকে, বুঝলে?” 🙂
(y)
নীলাঞ্জনা নীলা
সে আর বলতে!
কিন্তু এখন তো দেখছি ভালোবাসার এক্সপায়ারী ডেট সুপারহিট। (y)
জিসান শা ইকরাম
ভালোবাসার সময়সীমা থাকে নাকি?
একটি অবস্থার সময়সীমা থাকে হয়ত
মৃত্যু পর্যন্ত ভালোবাসা বাঁচিয়ে রাখবো।
ভালোবাসার প্রকাশ টা অত্যন্ত ভালো হয়েছে
যত্নের লেখা বুঝতে পারছি।
নীলাঞ্জনা নীলা
ও নানা ভালোবাসার ভাড়া বেশী। কোনকালে লিখেছিলাম, দেখো ভুল কিনা!
মূল্য……………নীলাঞ্জনা নীলা
যেন নদী
বাঁধ না মানা
জোয়ারে ভাসাই
পংক্তিমালা —
আপন পৃথিবী ।
কন্ঠ নিঃসৃত সুরে ,
দু’কূল প্লাবি ,
উচ্ছ্বলতা বারংবার
অথচ কখনো বুঝিনা
ভালোবাসার দারুণ খরায়
হৃদয়ের মূল্য একটু বেশী ।
শমশেরনগর চা’ বাগান , মৌলভীবাজার
আগষ্ট মাস , ১৯৯১ ইং
আবু খায়ের আনিছ
ওই যে আকাশে তারা ফুঁটছে, খসে খসে পড়ছে
এ নাকি মনোরঞ্জন! এ কেমন মনোরঞ্জন বলো তো ক্ষণ-অক্ষণ?
ভালো লাগল অনেক।
নীলাঞ্জনা নীলা
অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুনিপুণ মন্তব্যের জন্যে। 🙂
অলিভার
(y)
নীলাঞ্জনা নীলা
🙂 -{@
ছাইরাছ হেলাল
সামান্য পাঠক হিসাবে এ লেখাটিকে এখানে
আপনার শ্রেষ্ঠ লেখা হিসাবে মানছি আনন্দ চিত্তে।
ভাবছি আর ভাবছি, এর পর কী লিখবেন!
আজন্ম কবির কবিতা যাদু জানে দেখছি।
জয়তু কবিতা।
এ দেখছি
কবিতায় হেঁটে যাওয়া
উঠানময় নেচে যাওয়া,
শুধুই অভ্যাসের শিল্পকলা
সবই রাধিকার আঁচলে বাঁধা।
নীলাঞ্জনা নীলা
এমন মন্তব্য পেলে তো রাধিকা নেচে উঠবে!
আর কবিতা আচ্ছন্ন হবে। তারপরে এ যদি হয় আউল-ফাউল মন্তব্য, তাহলে সত্যিকারের বিশেষণটা কি? ;?
নাহ ভেবে পাচ্ছিনা।
মন্তব্যেরও এমন যাদু আছে এটা সোনেলায় এসে দেখছি। -{@ 🙂
ছাইরাছ হেলাল
লেখার যাদুর ভাগটুকু পেলেই বর্তে যাই এ যাত্রায়।
নীলাঞ্জনা নীলা
এভাবে এতো প্রশংসা পেলে উড়ে যাবো,
তারপর অহঙ্কারী হয়েও যেতে পারি! :p
ছাইরাছ হেলাল
কবিদের একটু অহংকারী না হলে ঠিক মানায় না।
উড়ে আর কোথায় যাবেন! স্বর্গ বা নরকে নাকি অমরাবতীতে?
পালানোর পথ নেই,কবিতা তা সেই কবে করে রেখেছে রুদ্ধ।
চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
কবিতার মতো কন্ঠ শুনতে চাই, তাহলে তো কবির বাড়ীতেই যাবো ভাবছি। :p
এখন কবি-ই পালিয়ে না গেলে হয়। ;?
ছাইরাছ হেলাল
কবিতার আপত্তি আছে!!
উহ,শুধু কবিতার আপত্তির কথা বলছি কেন! ইচ্ছে, বিকেল ও মেহজাবিনের তীব্র আপত্তি।
এবারের মত,শুধুই এবারের মত ক্ষমা-ঘেন্না করে দিন নিজ গুনে।
লীলাবতী
নীলাদি আপনার লেখা যত পড়ছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি।লেখায় দিনদিন আপনি নিজেকে অতিক্রম করে যাচ্ছেন।কবিতাটি শেভ করে রাখলাম,পড়বো আরো বহু বার।
নীলাঞ্জনা নীলা
খুব লজ্জ্বা হচ্ছে আমার। ভালোবাসা কিন্তু অন্ধ, তাই দিদি সাবধান।
এমন কিছুই লিখিনা, কিন্তু ভালোবাসা পেয়ে যাচ্ছি সেই লেখার জন্যেই।
ভালোবাসায় সাজুন আপনিও। -{@ (3
ব্লগার সজীব
ভালোবাসারও তাহলে মেয়াদ আছে।কত অদ্ভুত সুন্দর ভাবনা এবং প্রকাশ।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাবনা তো আমার না। শুন্য শুন্যালয় আপু মাথায় ঢোকালো ভালোবাসার এক্সপায়ারীর কথা। তাইতো চেষ্টা করতে পেরেছি লিখতে।
সজীব ভাইয়া ভালোবাসা অফুরান। -{@
সীমান্ত উন্মাদ
চলে যাওয়া মানেই যেমন প্রস্থান নয়, তেমনি ভালবাসা দূরে যাওয়া মানেই বিচ্ছেদ নয় চিরতরে।
তাই আমি বলতে চাই আপু, ভালোবাসার বাহ্যিক সীমা হয়ত আছে কিন্তু আত্মিক কোন সীমা নেই।
আপনার লিখায় আমি মূগ্ধ হয়ে পড়ি, শব্দ চয়নের কারনে।
অনেক অনেক শুভকামনা জানিবেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমিসহ এই কবিতা কৃতজ্ঞ, কখনো ভাবিনি এভাবে ভালোবাসায় সিক্ত হবে পংক্তিগুলো।
সীমান্ত উন্মাদ ভাইয়া ভালোবাসায় সেজে থাকুক আপনার পৃথিবী। -{@
নীলাদ্রি
“”কে জানি বলেছিলো ভালোবাসা মানে অভ্যেস।
আমি বলি একধরণের শিল্প। কলা-কৌশলের যতোরকমের কূটকচাল,
তা-ই ভালোবাসা।
যে যতো শিল্পকলা জানে, ততোই দূর্দান্ত প্রেমিক-প্রেমিকা হয়।””
লাইন গুলো অসাধারণ..
খুব গুছানো একটা লেখা পড়লাম, খুব ভালো লাগলো…
নীলাঞ্জনা নীলা
ভালো শিল্পকলা না জানায় দূর্দান্ত প্রেমিকা হতে পারিনি ভাইয়া। :p
তবে এমন প্রশংসা পাবার যোগ্যতা আমার নয়। তবুও যত্নে রক্ষিত হলো এতো সুন্দর মন্তব্য। 🙂
ধন্যবাদ। -{@
খেয়ালী মেয়ে
নীলা আপু তোমার কবিতা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই…
তবে এক্সপাইরি অফ লাভ এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ভালোবাসা এ ২টা নাম দেখে জানতে ইচ্ছে করছে ৪ আগস্ট এমন কোন দিবস ছিলো নাকি ;?
নীলাঞ্জনা নীলা
আগষ্ট মাসটাই তো আমার মাস। এ মাসে আমার প্রিয় মানুষগুলোর দিবস যে!
২০ আগষ্ট ছোট বোনের জন্মদিন, ২৫ আগষ্ট আমার মেয়ে(আমার মা) আর ২৯ আগষ্ট আমার ভাইয়ের…আরেকটা দিবস আছে উহা বলিবো না। :p
তবে প্রেমঘটিত কোনো দিবস নয়।
আর এক্স-প্রেম নিয়ে লিখতে গেলে সমস্যা হলো বেচারার সংসারই ভেঙ্গে যাবে।
খলনায়িকা হবার চিন্তা-ভাবনা এ জন্মে নেই। :D)
খেয়ালী মেয়ে
বাহ!!!! আগষ্ট মাসটা তো দেখছি সত্যিই তোমার————-সবগুলো প্রিয়মানুষের জন্য অনেক শুভকামনা রইলো…..থাক যাহা গোপন তাহা গোপনই থাক 🙂 তুমিও থাকো নায়িকা হয়েই -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
হুম আগষ্ট মাসটাকে আমার শয়তান-বাঁদর বন্ধুটা আসলে শত্রুটা কি করে গেলো। সামনে যদি পেতাম ওটাকে। তবে পাবো আমিও তো যাবো ওখানে, গেলে কি যে ধূনা পড়বে আশুর পিঠে ও ভালো করেই জানে। 😀
শুন্য শুন্যালয়
মেয়েগুলো সবসময়ই এমন আহ্লাদী পনা। আমাকে তো একজন সবসময় বলে চাইলেই নাকি আমাকে পটিয়ে ফেলতে পারে 🙂
কবিতাটি কএকবার পড়েছি। আরো কএকবার পড়ার আশংকা দেখা যাচ্ছে। ঝড়ের পুর্বাভাসে সেরকম শুনতে পাচ্ছি যেন। ভাবছি এতবার পড়লে কবিতার রূপ রস না শুষে নেই।
ভালোবাসার এক্সপাইরি ডেট শেষ তো হয়না, বুড়ো হয়ে যাচ্ছি এতো বাড়ছেই।
নীলাঞ্জনা নীলা
এমন অবস্থা হলে তো ভয়ঙ্কর কথা!
ডুব-সাঁতারে আবার আমি গোল্লা। শুন্য আপুনি তুমি? 🙂
শুন্য শুন্যালয়
আমিতো পন্ডিত, তাই বলে আপনাকে বাঁচাতে যাবার রিস্ক নিতে পারবোনা। না জানি ওজন কতো!!
নীলাঞ্জনা নীলা
ওজন তেমন বেশী না। আমাদের দেশের নায়িকা শাবনূর-মৌসুমীদের চেয়ে একটু কম। :p
ছাইরাছ হেলাল
আপনার অতি প্রিয় লেখাটি তাবিজে ধারণ পূর্বক সাথে রাখতে পারেন। গলায়, হাতে বা অন্য কোন অঙ্গে।
বয়স হলেও ভালুবাসার এক্সপাইরি ডেট কেয়ামতের পর পর্যন্ত বর্ধিত হবে। নিশ্চিত।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভালো বলেছেন তো! শুন্য আপুনি কবি দাদু :p হেলাল ভাই কি সুন্দর সাজেশন দিয়ে ফেললেন।
শুন্য শুন্যালয়
সাজেশান তিনি ভালোই দিয়েছেন। তবে ইন্ডিকেশন এর পাশাপাশি সাইড ইফেক্ট ও যদি বলে দিতেন।
কবি দাদু এ হচ্ছে বাংলাদেশী ভালুবাসা। ডেটের উপর আবার নতুন করে স্টিকার মারা চলবে। এক্সপাইরি আনলিমিটেড।
নীলাঞ্জনা নীলা
:D) :D) :D) :D)
শুন্য আপুনি হেসেই যাচ্ছি গো———- :D) :D)
শুন্য শুন্যালয়
তাহলে কোমরেই রাখি কি বলেন? সারাজীবন তাবিজ থেকে দূরে থেকেছি এখন বুড়ো বয়সে হাতে গলায় তাবিজ পড়লে লোকে দেখতে চাইবে এর ভেতর কি আছে। এরপর যদি জিজ্ঞেস করে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাবার পরও এ জিনিস রেখে দিয়েছ কেন,কি উত্তর দেব বলুন?
ছাইরাছ হেলাল
সে আপনার সুবিধা অনুযায়ী রাখতেই পারেন মাদুলিটি। তবে রাখতেই হবে।
খুব সযতনে।
আর ঐ যে আপনার সিস্টেম মত ‘এক্সপাইরি আনলিমিটেড’ স্টিকার।
মেহেরী তাজ
না না না ভালোবাসার সময় সীমা থাকে না। আমার তো নেই। 🙂
ইশ এই পড়া গুলো মিস করে যাচ্ছিলাম।
নীলাঞ্জনা নীলা
সময়সীমা নেই তবে এক্সপায়ারি ডেট থাকে। তা নইলে ভালোবাসার মুখ বদলায় কি করে? 😀
অরণ্য
😀 (y)
মাসুদ আলম
আপনার কবিতা মানেই অতি আগ্রহের কিছু।
নীলাঞ্জনা নীলা
কি যে ছাই লিখি! তাও ভালো লেগে যায়, বুঝিনা কিছুই।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
“এ নাকি মনোরঞ্জন! এ কেমন মনোরঞ্জন বলো তো ক্ষণ-অক্ষণ?
এলোমেলো হয়ে যায় বুঝি সময় ফুরিয়ে গেলেই?
কে জানি বলেছিলো ভালোবাসা মানে অভ্যেস।”
ভালবাসা মানে সেই ব্র্যান্ডের নেশা, নানান বোতলে নানান রঙয়ে।
“আমি বলি একধরণের শিল্প। কলা-কৌশলের যতোরকমের কূটকচাল,
তা-ই ভালোবাসা।”
বোতেই, বটেই… ‘নেশা’র কূটচালে ধরা দেয় মোহিনী স্বয়ং ছলনা ফেলে!
“এখনও তবু বিশ্বাস ফিরে আসবে? খোলা পিঠে এসে চুমু খেয়ে বলবে,
‘বড্ড দেরী হয়ে গেলো।’”
নেশার ঘোর কেটে গেলে বিশ্বাস নিয়েই তো তাহকে আর ভাবে ‘দেরী হলো কি তবে!’।
“শেষ হয়ে গেছে রঙ, শুকিয়ে শক্ত-কঠিন হয়ে গেছে তুলি।
আর কিছু? ভালোবাসারও নির্ধারিত সময়-সীমা থাকে, বুঝলে?”
হ্যাঁ থাকে বৈকি! শুকিয়ে খটখটে হয়ে যায় বলেই তো মরুতে বিপ্লব আসে সবুজের টানে, ভালবাসার সময়-সীমা আছে বলেই তো ব্র্যান্ডের নেশায় বারেবারে মাতে এক অনাদি বিশ্বাসের আহ্বানে -{@ (3
নীলাঞ্জনা নীলা
:c :c :c :c
মন্তব্যে অভিভূত! 😮 🙂 -{@