আগের পর্বের লিঙ্ক- মামাকে দেখতে যাওয়া (পর্ব-২২)
পর্ব-২৩
আমরা দ্রুত ৫ নাম্বার জোনে যাত্রা করিলাম। সময় হাতে একেবারেই নেই। সূর্য্য অস্ত যাবার মাত্র দেড় ঘন্টা বাকি। আমাদের সবার ভিতর এই সময়ে নতুন প্রজাতির কিছু পাওয়ার লোভটা কাজ করছিলো
৫ নাম্বারে পৌছার আগে মূল সড়কের ধারে ওক গাছে কিছু খোড়লে পেঁচার দেখা পেলাম। সচারচর এক সঙ্গে এতগুলি পেঁচা দেখা যায় না। কারন এরা নিশাচর প্রাণী। রাতের আঁধারে শিকার ধরে খায়। দিনে কোন গাছের কোটরে ঘুমায়। তাও বিচ্ছিন্ন ভাবে। সূর্য্যের আলো এদের অপছন্দনীয়। দিনের বেলায় কোন প্রানী নজরে আসলে গোলাকার হলুদ চোখে বড় বড় করে তাকায়। চাহুনীতে মনে হবে শত্রুকে ঘায়েল করবে। প্রতিটি পাখির নিজস্ব স্বভাব ও বিচিত্র চরিত্র থাকে। কারো সঙ্গে কারো মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। বিধাতা এমন করেই প্রানীদের সৃষ্টি করেছেন। আমাদের মাঝেও তাই।
সময় বিকাল ৫:৩০মিনিট। আমরা জোনের ভিতর। দিনের শেষ বেলার আহারের জন্য জলজ পাখিগুলি খাবারের সন্ধানে ব্যাস্ত। তেমন কিছু নজরে পড়লো না। পায়ে হেঁটে বেশ কিছুটা পথ সামনে গেলাম। হঠাৎ দেখলাম কয়েকশত Bar-headed Goose বা ডোরা-মাথা রাজহাঁস মাঠে কচি ঘাষ খাচ্ছে। এত বড় রাজহাঁসের ঝাঁক আগে কোথাও নজরে পড়েনি। কচি ধান গাছ বা কচি ঘাস এই জলজ পাখির প্রিয় খাবার। গোঁৎ…গোঁৎ…গোঁৎ আওয়াজে চারিদিক ভারি করে তুলেছে। পাঠক বন্ধুরা বুঝতেই পারছেন,শত শত রাজহাঁসের ডাকে পুরো এলাকা জুড়ে ভারী আওয়াজ হবারই কথা।আমরা সবাই রাজহাঁসের ছবি তুলছি। পাঠক বন্ধুদের দেখার জন্য ডোরা-মাথা রাজহাঁসের ছবি দিলাম।
Bar-headed Goose বা ডোরা-মাথা রাজহাঁস।
হঠাৎ লক্ষ্য করলাম, বনের পশ্চিম প্রান্তে বেশ কয়েকটা চিত্রা হরিন দৌঁড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে ঘন বনের ভিতর ঢুকছে। সাধারনতঃ বাঘ বা চিতার আক্রমন থেকে বাঁচার জন্য হরিন এভাবে দৌঁড়ায়। কিন্তু এই বনে তো বাঘ নেই! তা’হলে হরিনের দৌড়ে পালাবার কারন কি? মনের ভিতর কৌতুহুল জাগলো। চিন্তায় পড়ে গেলাম। হরিনের এমন দৃশ্য সুন্দরবন বা বাঘ অধ্যুষিত এলাকা ছাড়া আর কোথাও দেখিনি। সবাইকে নিয়ে মাঠের পাশে মাটির রাস্তায় বসে পড়লাম। ব্যাপারটা বুঝার জন্য তীক্ষ্ম দৃষ্টি রাখলাম। এমন সময় দেখলাম ৮/১০ পন্ডিত মশাই (খেঁকশিয়াল) একটি হরিনের বাচ্চার পিছনে ছুঁটছে। শিয়াল যে হরিনকে তাড়া করে এই প্রথম দেখলাম। হাসি পেলো এই ভেবে যে, বিপদে হাতি খাঁড়িতে পড়লে চামচিকাও ঠোঁকর মারে। তবে পন্ডিত মশাইদের স্বপ্ন, স্বপ্নই রয়ে গেল। হরিন শাবক তার দলের সহযোগিতায় নিরাপদে বনের ভিতর ঢুকে পড়লো। মনে একটা আফসোস রয়ে গেল যে,হরিনের পিছু শিয়ালের দৌড় প্রতিযোগিতার ছবি তুলতে না পারায়।
মাঠ ছেড়ে আমরা সামনের দিকে অগ্রসর হলাম। হাঁটার পথে হাতের বাঁ দিকে এক ঝাঁক Painted stork বা রঙ্গিলা বক উড়ে এসে জলাশয়ে বসলো। এদের চঞ্চলতা দেখে বুঝতে অসুবিধা হলো না,এরা শেষ বেলার খাবার খেতে বসেছে। Painted stork বা রঙ্গিলা বক আমাদের দেশে বহুবার তুলেছি। তবে এত কাছ থেকে কখনই দেখা হয়নি। পাখিগুলিকে এত কাছে পাওয়ায় আনন্দে মনটা ভরে গেল। সারাদিনের হাড়-ভাঙ্গা খাঁটুনির অবসাদ মুহুর্তেই মিশে গেল। অনেকটাই উত্তেজিত হয়ে গেলাম।
Painted stork বা রঙ্গিলা বক রাজশাহীর পদ্মার চরে পরিযায়ী হয়ে আসে। তাও ভারত থেকে। এরা উত্তর আমেরিকার পাখি। ভারতের ঝাড়খন্ড,উত্তরখান্ড,ভরতপুর ও আসামের কাজিডাঙ্গা বনে এরা মূলতঃ পরিযায়ী হয়ে আবাসস্থল গড়ে। সেখানে এদের খাবারের অভাব নেই। দলে বেশী হয়ে গেলে খাবার সংকটে মাঝে মাঝে এরা খাবারের খোঁজে অন্যত্র চলে যায়। খাবার শেষে আবার ফিরে আসে।
Painted stork বা রঙ্গিলা বক।
আমাদের দেশে যে রঙ্গিলা বক দেখা যায় এরা মূলতঃ আসাম থেকে আসে। সারাদিন খাবার খেয়ে আবার দলে ফিরে যায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও পদ্মার চরে ৫/৬টি পাখির দেখা পাওয়া যায়। খাবার খেয়ে চরের বালুতে বিশ্রম করে। আমরা যখন ছবি তুলতে যাই তখন অনেক দূরে থাকায় কাছ থেকে ছবি নেয়ার সুযোগ পাই না। তাছাড়া এই জাতীয় পাখিগুলি উচ্চতায় বড় হওয়ায় সহজেই অন্য প্রানীদের দেখতে পায়। দূর থেকে আই কন্টাক্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উড়ে যায়। তবে উড়ন্ত ছবি ভাল পাওয়া যায়। আমি দেশে যতবার ছবি তুলেছি সব দূর থেকে। যার জন্য মনে একটা আফসোস সবসময় থাকতো।
Painted stork বা রঙ্গিলা বক। ছবিটি রাজশাহী থেকে তোলা।
দলের সবাইকে বললাম, ভবিষ্যতে Painted stork বা রঙ্গিলা বক এত কাছ থেকে পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ আছে। তাই যার যার মতন করে ছবি তুলতে। ফ্রেমে বন্দী করতে পারলে সবাই ফুলফ্রেম ছবি পাবে। ৬জন ফটোগ্রাফারের ক্যামেরায় শাটারের শব্দ যেন মেশিন গানের গুলির মতন ছিলো। আমরা সবাই জলজ বকটির ছবি তুলে মহা আনন্দে স্থান ত্যাগ করলাম।
আমার তোলা পাখিটির ছবি ও পরিচিতি পাঠক বন্ধুদের কাছে উপস্থাপন করলাম।
Painted stork বা ‘সোনাজঙ্গা/রঙ্গিলা বক’ Mycteria গোত্রের ৯৩সেঃমিঃ দৈর্ঘ্যের বড় আকারের একটি জলচর পাখি। ইহার ওজন প্রায় ৩০০০ গ্রাম বা ৩ কেজি। দেহ সাদা ও ঠোঁট কমলা-হলুদ বর্ণের। প্রাপ্তবয়স্ক পাখির মুখ কমলা-হলুদ ও দেহের চামড় প্রজননকালে লাল হয়। ঘাড় ও দেহের পিছনের অংশ সাদা। বুকে আড়া-আড়ি কালো ডোরা থাকে। ডানার কালো পালকে সাদা ডোরা দেখা যায়। ঠোঁট নীচের দিকে একটু বাঁকানো। পা ও পায়ের পাতা বাদামী থেকে প্রায় লাল হয়। পুরুষ ও মেয়ে পাখির চেহেরা অভিন্ন।
‘রঙ্গিলা বক’ নদীর পাড়, জলমগ্ন মাঠ, জোয়ার-ভাটার কাদাচর ও লবনাক্ত জমিতে বিচরন করে। সচারচর জোড়ায় বা ছোট ছোট দলে থাকতে দেখা যায়। অগভীর পানিতে হেঁটে হেঁটে বাঁকানো ঠোঁট কাদায় ঢুকিয়ে এরা খাবার খায়। এদের খাদ্যতালিকায় রয়েছে মাছ, ব্যাঙ, চিংড়ী জাতীয় অমেরুদন্ডী প্রাণী ও জলজ পোকা।
নদীর ধারে প্রায়ই এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। প্রজননকাল ছাড়া এরা নীরব থাকে। কিন্তু প্রজননের সময়ে নীচু স্বরে গোঙানোর মত শব্দ করে ডাকে। জুলাই থেকে অক্টোবর মাস এদের প্রজননকালে। প্রজননকালে এরা নিজ দেশে পানিতে দাড়ানো গাছে ডালপালা, পাতা ও খড় দিয়ে মাচার মতন করে বাসা বানায়। নিজেদের বানানো বাসায় ২-৪টি ডিম পাড়ে। নিজেরাই ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফুঁটায়। প্রায় ২৬-২৮ দিনে বাচ্চারা বাসা ছাড়ে।
‘সোনাজঙ্গা/রঙ্গিলা বক’ বাংলাদেশের অনিয়মিত পরিযায়ী পাখি। চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগের বড় বড় নদী, জলাশয় ও উপকূলে এদের দেখা যায়। ইহা ছাড়াও ভারত, পাাকিস্তান, নেপাল, চীন, থাইল্যান্ড সহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এদের বিচরন রয়েছে।
Painted stork বা রঙ্গিলা বক।
বাংলা নামঃ সোনাজঙ্গা/রঙ্গিলা বক।
ইংরেজী নামঃ Painted stork
বৈজ্ঞানিক নামঃ Mycteria leucocephala.(Pennant 1769)
(চলব)
২৪টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
“কারো সঙ্গে কারো মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। বিধাতা এমন করেই প্রানীদের সৃষ্টি করেছেন। আমাদের মাঝেও তাই” সৃষ্টিকর্তার অসীম ক্ষমতার কিছু উদাহরণ আমরা তার সৃষ্টির দিকে তাকালেই কিছুটা বুঝতে পারি। মানুষ সহ কোটি কোটি প্রানীকে তিনি তৈরি করেছেন। একই প্রানী ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির হয়। নামে, স্বভাবে বৈচিত্র্যময়য়তায়। অথচ একটির সাথে আরেকটি ব্যতিক্রম। রঙ্গীলা বক দেখা হয়নি। হয়তো দেখেছিও, কিন্তু এমন স্থিরতা নিয়ে নয়। খেয়াল করে দেখলাম পাখিটার ঠোঁট, পা আর ডানার তুলনায় লেজটা প্রায় নেই বললেই চলে! সুন্দর এই পাখিটার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকুন। শুভ কামনা 🌹🌹
শামীম চৌধুরী
আপনার গঠনমূলক ও উৎসাহব্যাঞ্জক মন্তব্যে আমার কাজের পরিধি আরো বাড়িয়ে দিলো আপু।
শুভ কামনা রইলো।
ইঞ্জা
অসাধারণ পোস্ট পেলাম আজকে, রঙ্গিলা বকের জীবনাচরণ জেনে সত্যি অভিভূত হলাম ভাই, বকটাও দেখতে সেই রকম সুন্দর।
শামীম চৌধুরী
ধন্যবাদ ভাই। পাখি পরিচিতি পাখি সম্পর্কীয় গল্পগুলো আরো প্রানবন্ত করে তুলে। আমি সেটা জানি। ইচ্ছাও হয় প্রতিটি পাখীর পরিচিতি পাঠক বন্ধুদের কাছে তুলে ধরি। কিন্তু কাজের চাপ, ব্যাক্তিগত ঝামেলার জন্য সময় বের করা খুব কষ্টকর। তাই সবসময় সম্ভব হয় না। আশা রাখছি সময় নিয়ে সব পাখির পরিচয় তুলে ধরবো।
শুভ কামনা রইলো।
ইঞ্জা
ইনশা আল্লাহ পাবো নিশ্চয় ভাই।
তৌহিদ
ভাইজান ডোরামাথা রাজহাঁস কি গৃহপালিত রাজহাঁসের মত বাসায় লালন করা যায়? নাকি এটিও পরিযায়ী পাখি?
সারাজীবন দুই প্রজাতির বক আছে বলেই জানতাম। কানা বক, আর সাদা বক। আজ রঙ্গিলা বক সম্পর্কে জানলাম। সত্যিই অভিভূত হচ্ছি ছবি দেখে।
চমৎকার পোষ্ট দিলেন ভাই। শুভকামনা রইলো।
শামীম চৌধুরী
নাহ ভাই। এরা গৃহপালিত নয়। এরা হিমালয় পর্বতের উপর দিয়ে উড়ে আসে। হাজার হাজর মাই পাড়ি দেয়। এরা পরিযায়ী। পরে কোন এক লেখায় রাজহাঁস্র পরিচয় তুলে ধরবো।
তৌহিদ
ধন্যবাদ ভাই।
সুপায়ন বড়ুয়া
কানা বক, আর সাদা বকের সাথে
রঙ্গিলা বক পেলাম আজ।
আর ও দেখার আশায় আছি
পাখি ভাইয়ের সাজ।
শুভ কামনা।
শামীম চৌধুরী
ধন্যবাদ কবি।
ছাইরাছ হেলাল
ফুল ফ্রেমের ছবি দেখার/পাওয়ার মজাই আলাদা।
বাংলাদেশে সাধারণত এদের এত কাছে পাওয়া যায় না।
সম্ভব হলে অন্য কোন পোস্টে ডোরা-মাথা রাজহাঁসের ছবি দিয়েন, আমার খুব পছন্দ হয়েছে।
শামীম চৌধুরী
ভাইজান
এই লেখাতেই ডোরামাথা রাজহাঁসের ছবি দিয়েছি। আমি পরবর্তীতে এই হাঁস নিয়ে একটা ফিচার লিখবো আপনার জন্য।
ছাইরাছ হেলাল
এই একটি ছবি দেখেই আরও দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ, অপেক্ষায় রইলাম।
ফয়জুল মহী
নৈসর্গিক , নান্দনিক ও নিপুন প্রকাশ।
শামীম চৌধুরী
শুভ কামনা রইলো।
আরজু মুক্তা
রঙ্গিলা রঙ্গিলা, রঙ্গিলা রে!
বক কিন্তু মন মাতালো
শামীম চৌধুরী
খুব খুশী হলাম আপু। বকটা আপনার মন রাঙ্গাতে পেরেছে জেনে।
শুভ কামনা রইলো।
বন্যা লিপি
আমি ভাবছি দিনে দিনে তো আপনিও পরিযায়ী হয়ে যাচ্ছেন! আহা কি বাউণ্ডুলে পাখি প্রেমিক। রঙ্গিলা বকের পরচিয়ে বিস্মিত হলেম। প্রাণীজগত বড়ই বিচিত্র আল্লাহর দুনিয়ায়।মানুষের সাথেই আরেক মানুষের মিল নেই তো
……. দারুন পোষ্ট।
মামার দেখা কবে পাবেন????
শামীম চৌধুরী
বফু,
আপনার ভাতিজাতো বন-বাঁদাড়ের মানুষ। বাউন্ডুলে জীবন বলেই তো জঙ্গলে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াই। ওরা যেমন পরিযায়ী হয়ে আমাদের কাছে আসে। ঠিক আমিও তেমনি পরিযায়ী হয়ে ওদের সঙ্গে পেরমে মজে থাকি।
ভালো থাকুন নিরন্তর।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
দাদা ভাই আপনি এতো সুন্দর করে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ, বিবরণ দেন যে লেখা থেকে চোখ সরানো যায় না। সবাই আলাদা আলাদা সৌন্দর্য, রঙ, আকার, স্বভাব নিয়ে পৃথিবীতে আসে যা ঈশ্বরের দান। রাজহাঁসের ঝাঁকের ছবি দিলেন না , আগামী পর্বে দিয়েন। রঙিলা বকের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলাম। এতো সুন্দর বর্ণনায় প্রতিটি পাখি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারছি। পেঁচার ছবিও চাই দিনের আলোয়। লেখা, ছবি সবগুলোতেই চোখ জুড়িয়ে গেল, মন ভরে গেল। অফুরন্ত ধন্যবাদ আপনাকে। শুভ কামনা রইলো
শামীম চৌধুরী
দিদিভাই
এক ঝাঁক ডোরামাথা রাজহাঁসের ছবির সাথে পেঁচাকেও দেখতে চেয়েছেন। আমি কি না দেখিয়ে পারি?
অবশ্যই পরের যে কোন লেখায় দেখাবো। সে পর্যন্ত ভাল থাকুন।
আলমগীর সরকার লিটন
অসাধারণ শামীম দা
শামীম চৌধুরী
ধন্যবাদ কবি দা।
শুভ কামনা রইলো।
শামীম চৌধুরী
ভ্রমন গল্পটি পড়ার জন্য এবং সুন্দর সুন্দর দিক নির্দেশনা মন্তব্যের জন্য সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। সবার সুন্দর জীবন কামনা করছি।
ভালো থাকুন।
সোনেলার সঙ্গে থাকুন।
জয়তু সোনেলা স