যারা গ্রামে থাকে তারা কখনো মেইন পথ ধরে চলেনা! শর্ট কাট রাস্তা বের করে ফেলে।।আমরাও বন্ধুরা মিলে যাওয়ার অনেকগুলো রাস্তা বের করে ফেলেছি।।কোনটা দিয়ে কখন যে যাই।।এটার মজাই আলাদা!!
ঢং ঢং ঢং…. .ঘণ্টা পরতেই,,, কার বাসায় কুকুরছানা হলো,না বিড়াল ছানা এলো,কার নতুন ফল ধরেছে,ঐ গাছে দুটা ঢিল,,,কার বাসায় নতুন মেহমান এলো!সব খবর নিয়ে বাড়ি ফিরতে ফিরতে আযান!
ভাত আর মায়ের বকুনি একসাথে গিলতে হতো।এরপর আবার খেলা।
একদিন ক্লাস এ দুস্টামি করার শাস্তি স্বরূপ আমাকে ওকড়া তোলার কাজ দিলো। দারোয়ান চাচাকে এটা ওটা বুঝিয়ে বাড়ি ফিরবো,,মনে হতেই ভাবলাম আলপথে যাই।।
আমি একটু সবুজ ছুঁই আর প্রাণ ফিরে পাই।
কে জানি আমার নাম ধরে ডাকছে।পিছন ফিরি আর বুকে থুতু দেই।।
নাহ্! আবার ডাকছে!! সাহস করে দেখি,দুই আইলের মাঝে একটা কাটা মাথা আমার নাম ধরে ডাকছে।।অতো চিন্তা বাদ স্কার্ফ দিয়ে পেঁচিয়ে ব্যাগে ঢুকিয়ে বাড়ি আসলাম।
ভাত খাইতে গিয়ে মনে হলো,এটারে কই রাখি?একটু চিন্তা করে রান্নাঘরের এককোণে রেখে খেলতে গেলাম।।কখন যে রাতে ঘুমিয়ে পরেছি।।হঠাৎ উহ্ শব্দে জেগে উঠলাম।দেখি আব্বা কান ধরে আছে।বলছে,”ঐটারে কোথা থেকে আনছো?বাহিরে আসো।।
দেখি,আম্মা চিল্লাচ্ছে আর বলছে ,”দস্যি টা কই?বলে আর মাথাঘুরে পরে যায়!”
আমি মনে মনে হাসি!!
যাইহোক, রান্নাঘর থেকে যখন ওটারে পিছনের বাগানে রাখতে যাবো, দেখি ওর কপালে কি সব আরবি লিখা।।মনে হলো আমাদের ভাগ্যলিপি লিখা।।
তখন হুজুরের কথা মনে হলো,আমাদের ভাগ্য নাকি কপালে লিখা থাকে।
ধুর তোর ভাগ্যের নিকুচি করি।।তোর জন্য আজ মাইর খাইছি।।
ওকে যখন রেখে আসতেছি, ও বলছে,”যেখানে পেয়েছো,সেখানে রেখে আসো!’
আমি বলি এখন ঘুমা!!কাল রেখে আসবো।
পরদিন খুব ভোরে ওকে রেখে এসেছি।।কিন্তু মাথা থেকে ঐ আরবি লিখা যাচ্ছেনা!ইস! যদি আমিও আমার ভাগ্য পড়তে পারতাম!!
যারা এটা পড়ে ভয় পাইছেন তারা আয়তুল কুরসি পড়েন।।আমি ঘুম যাই।।
২৫টি মন্তব্য
অপু রায়হান
খুব কষ্ট,আরবি পড়তে পারিনা! 😭
আরজু মুক্তা
কষ্ট করে পড়েন।।বেলা বোসের খবর জানতে পারবেন
অপু রায়হান
আরবি তে বেলা বোসের কি সম্পর্ক ঠিক বুঝলাম না দিদি?🤔🤔
মনির হোসেন মমি
ওকড়া
কি আপু?
এটা কি স্বপ্ন ছিলো নাকি বাস্তব।
ভয় পাইছি
ভয়ে আয়তল কুরসিও ভুইল্লা গেছি………ৠৠৠৠৠৠৠৠৠৠৠৠৠৣৣৣৣ়়়় ৶৶৵৸৸৺৺৺৺ এই গুলা পড়ছি।
তৌহিদ
ঐ যে মাঠে ঘাটে হয় ভাই, ঘাসের মত লম্বা। প্যান্টে আটকিয়ে যায় সেগুলো। চিনতে পেরেছেন?
মনির হোসেন মমি
ওহ্ হা হা হা
আসলে এ ভাবে নামে পরিচিত ছিলাম না আমি।কত আটকেছে ওগুলো।ওগুলোর আটকানোর ভয়ে যেতেই ভয় করত।ধন্যবাদ।
আরজু মুক্তা
যদি হই চোরকাঁটা ঐ শাড়ির ভাঁজে।।গানটা শুনছেন!ওটাই ওকড়া
তৌহিদ
হ এইবার মমি ভাই চিনেছে 😃😃
তৌহিদ
ছোটবেলার আমিও ওকড়া গাছ তুলে স্কুলে অন্যদের প্যান্টের নীচ দিয়ে ঢুকিয়ে দিতাম। পরে শুরু হতো নাচুনী 😃😃
গল্পটা যে ভাবে শুরু হলো পড়তে পড়তে হঠাৎ ইউ টার্ন নিয়ে নিলো লেখাটি। এ জিনিসটাই একজন লেখকের মুন্সিয়ানা।
শেষে কি হয়েছিলো! সাথে করে কি নিয়ে এসেছিলেন আপু? বলে দিন, আর নিজেকে চেপে রাখতে পারছিনা।
কি দস্যি ছিলেন!!
আরজু মুক্তা
কাটা মাথা।।গল্পটা বাস্তব।।
জিসান শা ইকরাম
খুব দুস্ট ছিলেন দেখছি। গ্রামের লোকজন আসলেই সর্টকাট রাস্তা জানে।
যে মাথা নাম ধরে ডাকে তাকেই বাড়ী নিয়ে যাওয়া! কিন্তু মাথা আম্মাকে বলল কিভাবে?
আরবী লেখার রহস্য বুঝলাম না।
শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
একটু সম্পাদনা করা হলো।।আরবি লিখাটা আমাদের ভাগ্যলিপি।।
শান্ত মেয়েটাকে দুষ্ট বললেন।।মন খারাপ হলো।।
সঞ্জয় মালাকার
দারুণ লিখেছেন আপু, ভালো লাগলো পড়ে।
আরজু মুক্তা
শুভকামনা!!
বন্যা লিপি
দুই/তিনবার পড়লাম…… কল্পনায় আইল পথেও হাঁটলাম আপনার সাথে। ওকড়া ও চিনলাম ভালো করে। কিন্তু দুই আইলের মাঝখানে মাথাটা তো চিনলামইনা!!! নাম ধরেও ডাকে আবার? কথা বলা শুধু মাথা??? কপালে আরবীরলেখা? নাহ্…….. বুঝলামনা। গল্পের ছলে ধাঁধাঁ ফেঁদেছেন, বেশ বুঝতে পেরেছি। এবার পরিস্কার করেন। ধাঁধার উত্তর কি?
আরজু মুক্তা
আপা একটু সম্পাদনা করা হলো।।কাটা মাথা কথা বলছিলো।।এবং এটা বাস্তব।।আরবিলিখা গুলো মনে হয়েছিলো ভাগ্যলিপি।।
সাবিনা ইয়াসমিন
হাহাহাহা, আমারতো একদম ভয় লাগেনি। তবুও আয়াতুল কূরসী পড়বো। আমার ভালো লাগে সকাল বিকাল ওটা পাঠ করতে। ওকড়া কি আর জিজ্ঞেস করলাম না, উপরের কমেন্ট আর রিপ্লাই পড়ে জেনে গেছি।
আরও লিখুন, শুভ কামনা 🌹🌹
আরজু মুক্তা
শুভকামনা আপু
প্রদীপ চক্রবর্তী
দারুণ লেখনী আপু।
বেশ ভালো লাগলো।
আরজু মুক্তা
আপনাদের অণুপ্রেরণা
রেহানা বীথি
ভয় পেলাম ভীষণ। কাটা মাথা, বাপরে!
দারুণ লাগলো আপনার গল্প।
আরজু মুক্তা
শুভকামনা
শাহরিন
স্মৃতি কথা পড়তে অনেক ভালো লাগে আমার। অনেক কিছু জানলাম। কিন্তু কিসের মাথা কাটা বুঝলাম না।
আরজু মুক্তা
মানুষের মাথা।।ভয় পাইয়েন না আবার
শাহরিন
এবার বুঝলাম। অবাক ব্যাপার আপনার বাবার তো নিজেরই ফেলে দেয়ার কথা।