রক্তাক্ত জখম দু’হাতে চেপে ঢেকে অন্তীম যৌনতৃপ্তি নিয়ে নুয়ে পড়ে মনুষ্যত্ব দেবতার পিশাচ
তীব্র ঝাপটা দিয়ে ঝেড়ে ফেলে নষ্ট তরল পদার্থ
পরিশেষে গঙ্গাপূজা করে শুদ্ধি মুখোশে ঢেকে ফেলে নিজেকে
সমাজে তাদের গুনগান প্রশংসা করে কিছু আদিত্য সমাচালক।
মনুষ্য দেবতার পদতলে বসে তার পায়ের ধুলা ললাটে লাগিয়ে ধন্য মনে করে সমাজ
মৃগেল মাছের মতো হা করে চেয়ে থাকে,কখন সে অন্ন বস্ত্র দিবে
দুহাত পেতে প্রার্থনায় লুটিয়ে পরে দেবতার পদতলে।
কিন্তু কেউ যানে কি??
দেবতার এই অন্ন বস্ত্র বাসস্থান সর্বপরি সমাজের রক্তের প্রতিদান!
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে নিরলস কঠোরভাবে নিরুৎসাহিত শরীরে সঞ্চারিত শ্রমের ফসল চুষে নিয়ে যায় পিশাচ দেবতা।
ভান্ডার সমৃদ্ধ করে হয় সমাজের কল্যাণ সেবক।
এরা নিজের পরিশ্রমের বিনিময়ে এই নাম দাম গুনগান প্রশংসা পায় না,এরা অন্যের পরিশ্রমের অর্থ ছিনিয়ে নিয়ে মোটাতাজা আর শক্তিশালী দেবতা হয়।এদের সমাজ গভীর দীর্ঘশ্বাস ফেলে প্রশংসা করে।
১৩টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি
সারমর্ম কী ভাই?
বন্যা লিপি
দেবতার মুখোশে ভালোসানুষিপনার চরিত্রের সার্টিফিকেট মমি ভাই।
মোঃ রাশিদুল ইসলাম
সমাজে যারা পরিশ্রম করে ফসল উৎপাদন করে তাদের পণ্য সমৃদ্ধ করে যারা বড়লোক হয়, পরিশেষে সেই বড়লোকদের কাছে তাদের নত হয়ে থাকতে হয়।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
নির্মম এক বাস্তবতা তুলে ধরেছেন।
আন্তরিক শুভেচ্ছা জানবেন সতত।
মোঃ রাশিদুল ইসলাম
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
আরজু মুক্তা
রাঘব বোয়াল যুগে যুগে এমনি করে।
মোঃ রাশিদুল ইসলাম
সহমত জানালাম প্রিয় কবি
বন্যা লিপি
সারমর্ম ফুটিয়ে তুলেছেন শব্দ বিন্যাসের মুন্সিয়ানায়। প্রতিবাদী সহস্র শব্দের ডঙ্কা যদি একবিন্দুও সমাজ পরিবর্তনে অবদান রাখতে সাহায্য করে, তবে উচ্চারিত শব্দ আরো আরো বেশি করে তৈরী করুক প্রতিবাদী শব্দ।
শুভ কামনা রইলো।
মোঃ রাশিদুল ইসলাম
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করবার জন্য ❤️
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপনার চমৎকার লেখনীতে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সাধারণের রক্ত চুষে যারা তারাই দেবতার আসনে আসীন, নিত্য পূজিত হয় এসব ভুক্তভোগীদের দ্বারাই। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা অবিরাম। শুভ রাত্রি
মোঃ রাশিদুল ইসলাম
অসাধারণ মন্তব্য, ধন্যবাদ আপনাকে ❤️
আশরাফুল হক মহিন
চমৎকার হইছে
নবকুমার দাস
প্রতিবাদী কবিতাটি ভালো লাগলো দিদিভাই । আশাকরি এই পিশাচদের মুখোশ খসে পড়বে। শান্তি ফিরবে।