স্বল্পকালীন আবাস হিসাবে যে হোটেলটিতে ছিলাম সেটি বিশ তলা, সম্ভবত চার বা পাঁচতলা মাটির নীচে, আধুনিক সব ব্যবস্থাই বিদ্যমান,মেইন ডেস্কে শুধু অত্যন্ত স্মার্ট এক যুবক এক যুবতী, জলজ্যান্ত মডেল। চোখ আঁটকে যাবার মত, একটু পাশে আর একটি ডেস্কে সিকিউরিটির এক কর্তা। কারো কিন্তু বসার চেয়ার নেই। সিফট চেঞ্জে আবার অন্য কেউ আসে, দাঁড়িয়েই কাজ করতে হয়।
এবারে ভুয়া বতুতার বর্ণনায় স্ট্রিট ফুড। এই এলাকায় একেবারে সাধারণ মানুষ কী ধরণের খাবার খায় তা দেখার প্রচেষ্টা। খুব ছোট ছোট খাবার দোকান, ভিতরে বসার জায়গা নেই বাইরে টুলে বা সাধারণ চেয়ারে বসে খেতে হবে, নো দর দাম। প্রায় সব দোকান ই মহিলা পরিচালিত, খুব সাধারণ এরা কাপড় চোপড়ে। মাঝারি ধরনের প্যানে রান্না করা খাবার কাচের ঢাকনায় ঢাকা, পরিচ্ছন্ন। এরা ভেতো, ভাত খায় আরকি।
ফিলিপিনোদের জাতীয় সঙ্গীত ইংরেজিতে গাইতে শুনলাম, এদের নিজেদের ভাষা হারিয়ে গেছে, মৌখিক ভাবে চালু আছে, লিখিত রূপ নেই।
আমাদের টাকলা ইংরেজি ওরা বোঝে না, ওদের টাও আমরা বুঝি না। তাতে কোন কর্ম পরিচালনায় অসুবিধা হয় না, হয়নি। বিশ্বজনীন আকার ইংগিত ই ভরসা। অনেক রকম খাবার রান্না করা, সেটা যে কি তা বুঝছি না। চিকেন আছে তা পর্কের সাথে রান্না করা, কড়কড়ে ভাঁজা আস্ত ছোট ছোট মাছ আছে। সব দোকান গুলোতেই একই ধরনের খাবার, সিদ্ধান্ত নিলাম কিছু একটা খেয়ে দেখতে হবে। সাহস সঞ্চয় করে একটিতে সব গুলো রান্না দেখে টুলে বসলাম। এক কাপ ভাত ও ভাঁজা মাছের অর্ডার দিলাম। হাতে পলিথিন পেঁচিয়ে মাছ ধরে প্লেটে দিল, পলিথিনের প্যাকেটটি ফেলে দিল। দুরুদুরু বুকে একটু মাছ খুটে খেলাম, না কোন গন্ধ নেই, এরা কোন ঝাল বা অন্য মসলা ব্যবহার করে না, আরও এক প্লেটের অর্ডার দিয়ে দুজনে খেতে বসলাম। চাইলাম চিলি ও অনিয়ন, বুড়ি সব দাঁত মেলে হেসে ভিতরে চলে গেল, নিয়ে এল বিরাট এক মরিচ ,পাকা টসটসে লাল, খুব ছোট্ট গোল একটি ফল, মাথার দিকটা একটু কাটা, ঘ্রাণ নিয়ে বুঝলাম লেবু, সস দিল, আরও দুটি বাটিতে সুপের মত কী যেন দিল, ঝুঁকি না নিয়ে লংকা, লেবু ও সস সহযোগে ভাত খাওয়া শেষ হল, বিশেষ হ্যাপা না পোহায়ে ই। সুপার শপে সব কিছু পাওয়া যায়, এই একটাতেই যেতাম, অন্য গুলো তো গেছি যদিও। সব কিছু ফ্রেশ ফল মূল, সব ফল খেতে খুব মজা, কলা, আপেল, পেপে, বাতাবি লেবু আরও কত কী, সব মিষ্টি, সুন্দর ঘ্রাণ। নো ফরমালিন নো পচাস-বাসি।
হোটেলে সকালের নাস্তা বুফে সিস্টেমে। রোজ রোজ নিত্য নূতন আইটেম। মসলা বিহীন রান্না এত সুস্বাধু কী করে হয় আল্লাহ মালুম। এত্ত এত্ত খাবার কেউ খায় না তেমন, সামান্য একটু খুঁটে খুঁটে খেয়ে যে যার মত চলে যায়। ভাবছি আমি বুইড়া মানুষ, আমি না হয় খুব কম খাই, এই মুশকো জোয়ান গুলো খায় না ক্যা!! জানা হলও না।
বিদ্রঃ ভোকাস কথাবার্তা বিশ্বাস করে বসবেন না যেন। সাধু সাবধান।
৪৩টি মন্তব্য
নাসির সারওয়ার
চক্ষের যে কি হইলো! নাম দেখে মনে হোল বিদেশ বিভূঁইয়ে হরেক রকম বর্তা খাবার গপ্পো!!
পলিথিনটা কি সত্যি সত্যি ফেলেছিলো! না মানে আমাদের রাস্তায় তো অনেক হাইজেনিক খাবার খাই, তাই জিগ্যেস করা আরকি। মরিচের ঝাল ক্যামন? মাছটার নাম কি? বিদেশের মাছ, নামটাও তো বিদেশি হবার কথা।
বড়ই গেয়ানের গপ্পো, প্রেম পীরিতের মত শরমের কিছু নাই। বলেন আপনি, শুনিয়া পরানঠারে ধন্য করি।
ছাইরাছ হেলাল
হ্যা, এটা খাবার গপ্পো বিলকুল,
চোখের কাছে দাঁতদাক্তার পাঠাতে হবে দেখছি।
হ্যা, পলিথিনটি কী করে তা লক্ষ্য করতে ছিলাম, ডাস্টবিনেই ফেলেছে।
মরিচ খুব ঝাল ছিল, দু’জনে শেষ করতে পারিনি। মাছের নাম জিজ্ঞেস করছি, ঐ যে দু’দিকেই
টাকলা ভাষা হলে যা হয় আরকি।
এহানে পিরীতি পাইলেন কই? মশাই।
প্রাণ ঠান্ডা দাওয়াই দেয়া হপে না।
নাসির সারওয়ার
আমি আবার ভোজন রসিক মানুষতো, তাই খাদ্যর খবরে কিছুটা বেশী উৎসাহ থাকে। এই আরকি!
ইসস! মাছের নামটা জানা হইলোনা!! গেয়ানের ভান্ডারে একটু ঘাটতি থাইকাই গ্যালো। ওই যে ডিমের গপ্পো। কত খুজলাম, অমলেট, পোঁচ, সানিসাইড আরও কত নাম পাইলাম। কিন্তু আপনার ওই ডিম্বর ধরন পাইলামনা। গুগল ছাবও কিছু কইতে পারলোনা।
আমার আবার খুব শরম শরম ভাব আছে। এই লেখাটায় কোন প্রেম পিরীতের কথা নাই। থাকলে আবার আমারে অনেক শরমাইতে হইতো। আপনি আমার মান ইজ্জত বাচাইছেন এই যাত্রায়।
গেয়ানের কথা শুনতে বড়ো ভালো লাগে। বিমুখ কইরেননা ভাই। আপনে একজন বিশিষ্ট গেয়ানি মানুষ। মাঝে মাঝে কিযে কন, কিচ্ছু বুঝিনা। তারপরওতো ওইগুলা গেয়ানের কথাবার্তা। আপনার কাছেতো আমাগোর দাবি থাকবোই। তাইনা ভাইসাব?
ছাইরাছ হেলাল
যাক আপনার নেহাৎ বর ভাগ্য তাই এমুন গ্যানী মানুষের সন্ধান পেয়েছেন।
যত্ন সহকারে চৌক্ষ বন্ধ করে সব শিখে যান।
গ্যান বিতরণ চালু থাকিপে, সাথে বস্তা রাখিলে ভাল হয়, ঝটতি সব পুরে ফেলতে পারবেন,
পিরিতি খুপ খারাপ, সে দিকে না যাওয়াই ভাল।
অরুনি মায়া
আসলে আমরা তাদের মত স্বাস্থ্য সচেতন নই | তাই রান্নায় থাকে প্রচুর মসলার ব্যবহার | আপনার ভ্রমণ গল্প ভালই লাগে কিন্তু খাবারের দিক টা একটু বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন সব গুলোতে | তাদের দেশীয় অন্যান্য কালচার সম্পর্কে জানতে চাই | যদিও সামান্য কদিন মাত্র ছিলেন ওখানে ,,,
আর ডেস্কের ওপাশে সৌন্দর্যের উপর নজর আটকে গিয়েছিল বুঝি ,,,
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন গুনী জনের একটা কথা আছে, নূতন কোথাও গেলে সেখানকার সম্বন্ধে ধারনা লইতে হলে
সেখানকার মানুষেরা কী খায় ও কি পড়ে সেটা জানার চেষ্টা করতে হয়, ইউনিভার্সিটি ও মিউজিয়াম
দেখার ইচ্ছা প্রোগ্রাম করা ছিল, শারীরিক, মানুষিক ও সর্বোপরি গাইড কথা দিয়েও ঠিক সময় সময়ের
সমন্বয় হয়নি বলে আক্ষেপ থেকেই গেছে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কিন্তু আছে, লক্ষ্য করলেই দেখতে পারবেন। আবার দেখুন খুব বেশি উচ্চবিত্তের খাবার
চেখে দেখার বিরল সৌভাগ্য কিন্তু হয়েছিল, তা কিন্তু টুলে আনিনি।
ডেস্কে যারা কাজ করছিল তাদের না দেখলে চোখ ই রাগ করত, ডেস্ক সুন্দরীর হেল্প চাইছিলাম, সে সঠিক
পরামর্শ দিয়েছে মনোমুগ্ধকর হাসিতে, দু’টো লোকেশনে যেতে চাইলে কিভাবে কী করতে হবে জানতে চাইলে
সে কম্পু টিপে দু’টো জায়গায় না যাওয়ার পরামর্শ দিল, একটি সেদিন বন্ধ অন্যটি ওল্ড সিটিতে, সেখানে না যেতে বলল। না জিজ্ঞেস করে ট্যাক্সিতে চাপলে ভোগ-ভোগান্তির একশেষ হত। যেহেতু তা অনেক দুরে।
সুন্দরেরা কিন্তু সুন্দর ই। ঠিক আপনার লেখার মত।
অরুনি মায়া
হুম বুঝলাম খাদ্য দ্রব্যের অনেক মূল্য | অবশ্য আমি কেন যেন এগুলো ভাল ভাবে খেয়াল করতে পারিনা | মানে খাবার আমাকে তেমন টানে না | তাই বলেছিলাম | আপনার বিদেশ ভ্রমণ অনেক কিছু জানার সুযোগ করে দিল | তার জন্য মিষ্টি একটা ধন্যবাদ দিলাম |
আর হাঁ সব সুন্দর কিন্তু সুন্দর নয় ,,,
ছাইরাছ হেলাল
যাক, মিষ্টি ধন্যবাদ পেলাম। সব কিছু সবাই কে নাও টানতে পারে।
ব্যাপার না কোন। যা দেখলাম তা সবাইকে বলার চেষ্টা করি ।
সুন্দর সুন্দর নয় কেন তা বোধগম্য হল না কিছুতেই।
অরুনি মায়া
সুন্দরের মাঝে বিশুদ্ধতা না থাকলে তাতে মন জুড়ায় না,,,
ছাইরাছ হেলাল
বিশুদ্ধ না হলে সুন্দর সুন্দর ই হয় না।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
তা ভুয়া বতুতা, ভোকাস বার্তা পড়ে ভালোই জ্ঞান অর্জন করলাম। যাইবার না পারি, শুনতে পারলাম ইহাই মন্দ কি?
বাকী বিবরণও লিখে ফেলুন। পড়তে গিয়ে দৃশ্য চোখের সামনে ভাসছিলো। ভালো লেগেছে বর্ণনা।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি পড়ছেন এটা ভেবেও কিছু না কিছু লিখতেই হবে দেখছি।
সাবধান, আপনি কিন্তু টাকলা লেখার প্রশংসা করছেন।
বেশি বেশি পড়ুন আমাদের।
জিসান শা ইকরাম
ভোকাস বার্তা ভালো হৈসে
ভ্রমন কাহিনীর একটা নতুন ধারা সৃষ্টি করলেন মনে হচ্ছে 🙂
আমারও লিখতে হপে বুজতাছি………
ছাইরাছ হেলাল
ইহা নূতন কোন ধারা নহে,
ইতপূর্বে এর থেকে ও বহুগুণ ভাল ধারা এখানে প্রবাহিত হয়েছে।
শুরু করে দিন,
জাতি খুপ তৃষিত।
লীলাবতী
ভাইয়া ভ্রমনের ফটো দিবেন না?ডেস্কের ওপাশের সৌন্দর্যের কিছু ফটো দিলে পোষ্টের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতো।ভোকাস বার্তা কেন?
ছাইরাছ হেলাল
শুধু ডেস্কের ওপাশ নয় আর ও বহু পাশের ছবি-ছুবি অবশ্যই দেয়া হবে,
আপনি কিছু ল্যাখলে পারতেন, কতদিন কিছু খাই না, ভত্তা-ফত্তা।
শুন্য শুন্যালয়
নড়বড়ে হৃদয়ে চোখ জোড়া টানটান
ডেস্কের ওপাড়ে ভেঙ্গে হলো খানখান…
ও ভাউ, জারা সামহালকে। মতি মিয়ার গতি সুবিধাজনক না।
একটা দেশের ভ্রমণে স্ট্রিট খাবার খুব ইম্পর্টেন্ট, এখানে অনেক ভ্রমণ প্রোগ্রাম দেখায় নানা চ্যানেলে, ঘুরে ফিরে সবচাইতে ফুডটাকে ওরা গুরুত্ব দেয়, পেট শান্ত তো জগত শান্ত।
ওদের নিজের ভাষা হারিয়ে গেছে, শুধুই মুখেই আছে? এটা তো খুবই কঠিন ব্যাপার। জাতীয় সংগীতটাও ইংরেজীতে গাইছে এটা দুঃখজনক। এখানকার স্কুলে ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজের উপর বেশ জোর দেয়, একটা সময় যেকোন একটা ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ শেখানো অনেকটা বাধ্যতামূলক। সেখানে আমরা নিজেদের ভাষা যদি হারিয়ে ফেলি সেটা কষ্টকর।
মরিচে ঝাল কেমন তাতো বললেন না? তাইলে না বুঝবো মানুষ কেমন 😀
খাবারের ঘ্রাণে লেখা ম ম করছে। ভাবছি টিকেট কেটে পয়সা খরচ করে দেশ ভ্রমণের কি দরকার, সোনেলায় বোগাস বা ভোকাস বতুতাবার্তা পড়লেই তো কাজ হয়।
ছাইরাছ হেলাল
চোখকে চোখ থেকে বঞ্চিত করার অধিকার দেয়া ঠিক না কইলাম,
ভাষা হারানোর যে যন্ত্রণা তা জে না হারিয়েছে সে বুঝবে না, ট্যুর গাইড খুব দুঃখ নিয়ে
এসব বলছিল।কাছে থেকে খুব সাধারণের খাবার আচরণটি দেখতে চেয়েছি সামান্য পরিসরে।
লাল মরিচে খুব ঝাল, ভূয়া বতুতারা দু’জনে একটি মরিচের সাথে রফা করে উঠতে পারেনি ভাউ।
না না, মোটেই টিকেট কেটে পয়সা খরচ করা যাবে না, খরচ সব নন্দলালদের।
চিন্তাইয়েন না।
লেখা কই!! ঠিক না এ সব।
শুন্য শুন্যালয়
দুইজন মিলেও এক মরিচ রফা করতে পারেন নি? আপনারা তো বঙ্গদেশের বদনাম করলেন। নাকে চোখে পানি গড়িয়ে ফ্যাল ফ্যাল করে ডেস্কের ওপাড়ে চাইতে হয়, কিছুই তো শিখলেন না। নন্দলালদের খরচ তো করতেই হবে, তবে দোকার খরচ বাঁচানো মোটেও ঠিকনা কইলাম।
ছাইরাছ হেলাল
সত্যি বলছি, একটু ও বাড়িয়ে না বলে, দু’জনে মিলেও কিছুই করতে পারিনি।
তবে যত সুখ তা ডেস্কের ওপারেই,
দেখুন সবাই এ বার্তায় আস্থা রাখে না, অযথাই খাই-খরচার নাইলে যায়।
আপনি একটু বুঝিয়ে বললেও পারতেন।
আজিম
ভ্রমন শুভ হোক আপনার।
ছাইরাছ হেলাল
আমি কী ঠিক দেখছি!! ঠাওর করতে পারছি!!
আপনাকে শুভেচ্ছা।
স্বপ্ন নীলা
পড়তে পড়তে কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিলাম, দারুন মজা লাগছিল পড়তে — আমিও একবার থাইল্যান্ডে যেয়ে ওদের খাবারের সাথে মরিচটাকে ভীষণ মিস করছিলাম, আমার চাহিদা অনুযায়ী পরে সাপলাই করেছিল ওরা —
সুন্দর সাবলীল লেখা, সহজ সরল ভাষার গাথুনী আর রসাল্যতা, ওহ্ অসাধারণ মাইরী !!!!! আরো লেখা চাই
ছাইরাছ হেলাল
যাক, মনে রেখে পড়ছেন দেখে ভালই লাগল।
আরো লেখা আমিও চাই কিন্তু লেখা যে বড়ই কঠিন কাজ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
নীতেশ বড়ুয়া
ফিলিপাইনের জাতীয় ভাষা ‘টাগালগ’। শুনতে না চাইনিজ না জাপানিজ, না থাই তবে লিখতে কেমন জানি না :p আমার অনলাইনের এক ফিলিপিনীয় বান্ধবীর কাছ থেকে কিছুদিন শিখেছিলাম এই ভাষা, মজাই লেগেছিল 😀
কিন্তু খাবারের বেলায় আপনি এত্তো কিপটুশ কেন??? কোথায় রসিয়ে রসিয়ে আরো কিছু বর্ণনা করবেন তা না করে সপাৎ করে গিলে খাওয়ার মতো শেষ করে দিলেন :@
ওরাও মনে হয় বাকি বিদেশীদের মতো অল্প অল্প করে সারাক্ষণ খায় :p
ছাইরাছ হেলাল
আরে এটা রসিয়ে খাবার মত না, শুধু বুঝে নেয়ার জন্য খাওয়া,
আর এটি তেমন সুস্বাদু ও নয়।
আর বর্ণনা দিতে এ বেলায় অক্ষম। এটা সব থেকে নিম্ন আয়ের মানুষের খাবার।
আপনার নূতন লেখার অপেক্ষায় আছি।
নীতেশ বড়ুয়া
এই মাত্রই জানালেন সুস্বাদু নয় তেমন!!! এই কথা আগে বললে কি আমি অমন রসিয়ে রসিয়ে রসালো ভোজনের ভাবনা ভাবতাম!!!!!! :@
নিম্ন আয়ের মানুষের খাবারেই কিন্তু ভোজন বিলাস করে মজা বেশী 😀 ঢাকায় তো কোন অলিতেগলিতে কত অল্পদামে মজাদার খাবার আছে তাই সন্ধান করি যা ধিঞ্চাক রেস্তোঁরাতে গেলেও সেই স্বাদ থাকে না :p
নতুন লেখা দিবো… ভেবে নেই কি দেবো… তবে দেবো 😀 \|/
আচ্ছা, তারপর কি হলো?
ছাইরাছ হেলাল
তার ও পর অবশ্যই আছে, লিখব সামান্য কিছু।
দেখাদেখির জন্য সময় এত কম ছিল যে মনের মত করে সব কিছু দেখতে পারি নি।
শরীর ও একদিন ঠিক ছিল না।
না ভেবেই লেখা দিলেও সমস্যা নেই।
নীতেশ বড়ুয়া
ভেবেই লিখতে পারি না আবার না ভেবে! :D) :D)
আচ্ছা, ভ্রমণে শরীরের জরার ভ্রমণ নিয়েও লিখে ফেলুন তাহলে :p
আলোকিত আধারে
হু, বুঝলাম ।
ছাইরাছ হেলাল
তাই নাকি!! কি বুঝলেন সেটা আগে বলুন।
আবু খায়ের আনিছ
আগের অংশে ছবি চেয়েছিলাম ভাইয়া মনে আছে ত?
ভ্রমণ কাহিনী ভালোই লিখছেন, নতুন এক ধারা এনে দিচ্ছে লেখায়।
ছাইরাছ হেলাল
ছবি আপনি পাবেন, তবে এখনই সে সিদ্ধান্ত নেই নি।
আপনি কি ফটোগ্রাফিতে আগ্রহী!!।
এটা নূতন ধারা নয় কোন ভাবেই। আর আমি শুরুর দিকে মাত্র,
আপনি লক্ষ্য করে বড় লেখকদের লেখা পড়লে দেখতে পাবেন।
আবু খায়ের আনিছ
ছবি তোলায় খানিক আগ্রহ আছে, বন্ধুর ক্যামেরায় শখের ছবি তোলা হয় মাঝে মাঝে।
ভ্রমণ কাহিনী খুব বেশি পড়া হয়নি, তবে যেগুলো পড়েছি এমন ভাবে উপস্থাপন চোখে পড়েনি সেগুলোতে।
ছাইরাছ হেলাল
ছবি তোলার আগ্রহ আছে জেনে ভালই লাগল,
এ এমন কো উপস্থাপন নয়, এখনকার লেখা পড়লে সহজেই আকাশ ও পাতালের
পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
স্বপ্ন
এটি কি ভ্রমন কাহিনী হলো? ভ্রমণ কাহিনীর প্রথমেই থাকবে আপনি কোন বিশেষ দর্শনীয় স্থানে চেগিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন এমন একটি ফটু।আর ভ্রমনের শেষে থাকবে আপনি পরিশ্রান্ত, কোন মাঠে চিত হয়ে,কাত হয়ে আছেন এমন ফটূ।ধুর আপনাকে দিয়ে কিছুই হবে না দেখছি :p
মজারু হয়েছে ভাইয়া 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আপনি একেবারে কুঠারাঘাত করে দিলেন!! এ যেপন আর রাকপ না।
চেগাচেগি ছাড়া কিছুই লেখা যায় না হয় ও না।
কিছু-মিছু লিখলে পারতেন!!
স্বপ্ন
যেপন আপনাকে রাখতেই হপে, নইলে আমরা বার্তা পাবো কার কাছে হতে?
লিখছি ভাইয়া :p
ছাইরাছ হেলাল
যাক, যেপন বাঁচল।
লেখার অপেক্ষায় এবার।
স্বপ্ন
লেখা চলছে, প্রকাশের অপেক্ষায় আছে 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, অপেক্ষা করি।
কামাল উদ্দিন
যে কোন যায়গার স্ট্রিট ফুড খেতে আমার ভিষণ পছন্দ। এগুলো খাওয়ার সময় আমার কাছে বেশ এ্যডভেঞ্চার ভাব কেন আসে জানিনা। যখন কোন খাবারের ভালো স্বাদ পাইনা তখন বলি এটাতে অবশ্যই ভালো স্বাদ আছে, কিন্ত আমি সঠিক ভাবে গ্রহণে ব্যর্থ বলে তা হচ্ছে না। আলাদা মনোযোগী হলে তখন খাবারটা ঠিকই খুব সুস্বাদু মনে হয়।
ছাইরাছ হেলাল
কিন্তু সমস্যা হয় যখন কী খাচ্ছি তা জানা যায় না। ভাষা ও বিরাট অন্তরায়।
সর্বভুক তো হতে পারিনি। তাই ইচ্ছে থাকলেও অনেক কিছু চাখতে পারিনি।
পুরোন লেখা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনার কারণে আবার পড়তে পড়তে নস্টালজিক হচ্ছি।