![](https://sonelablog.com/wp-content/uploads/2021/07/41-640x480-1.jpg)
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার একটি ফোনালাপ সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে। ফোনালাপে তিনি একজন অবিভাবক এর সাথে কথা বলার সময় অন্য একজনকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন গালাগালি যুক্ত শব্দ উচ্চারণ করেছেন। একজন অধ্যক্ষের মুখে এমন গালাগালি যুক্ত শব্দ শোভন কিনা তা নিয়ে তোলপাড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং সংবাদপত্র সমূহ।
এখানে অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এর ফোনালাপটি শুনতে পারেন।
স্বাভাবিক ভাবেই আমরা বাঙালীরা সব কিছুতে দ্বিমত বা বহুমত পোষণ করি। এক্ষেত্রেও তাঁর ব্যতিক্রম হয়নি। দেখা যাক তাঁর ফোনালাপের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন আলোচনা এবং মতামতঃ
প্রথম দলের মতামতঃ
এই যদি হয় একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মুখের ভাষা, তাহলে তিনি কি শিক্ষা দিবেন? নৈতিকতার শিক্ষা এই মহিলার কাছ থেকে আশা করা যায় না। তিনি শিক্ষকতা পেশাকেই অসম্মান করেছেন।জাতি ধরনের গালিবাজ অধ্যক্ষের কাছে কি শিক্ষা নেবে? ঐ পদে থাকার অধিকার তাঁর নেই, অবিলম্বে তাঁকে অধ্যক্ষ পদ থেকে অপসারন করতে হবে।
দ্বিতীয় দলের মতামতঃ
তিনি অধ্যক্ষের সাথে সাথে একজন মানুষও বটে। একজন মানুষের ব্যক্তিজীবনে রাগ, অনুরাগ, ঘৃণা থাকা স্বাভাবিক। তিনি মানবিক গুনের উর্ধ্বে নন। তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারে বসে এমন গালাগালি করেননি। বাইরের ব্যক্তিগত জীবনে তিনি কি করেছেন তা তা তাঁর একান্তই ব্যক্তিগত ব্যপার। এমন গালাগালি আমরা তো সবাইই করি। তাঁকে অধ্যক্ষ হিসেবে নয়, একজন স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।
তৃতীয় দলের মতামতঃ
তিনি নারী বলে এমন গালাগালি সবার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাড়িয়েছে। সবার কাছে খুবই অস্বাভাবিক লাগছে কারণ একজন শিক্ষিত নারীর মুখে আমরা এমন ভাষা যুক্ত গালাগালিতে অভ্যস্থ নই। তাঁর সমালোচনা একমাত্র নারী বলেই সমালোচনা। পুরুষ কেউ এমন গালাগালি দিলে আর যদি তা প্রকাশ হতো, তাহলে এমন ভাবে ভাইরাল হতো না। নারী পুরুষ সমান ভাবতে শিখুন। তিনি এভাবে রাগ প্রকাশ করে পুরুষতান্ত্রিকতার মুখে চপেটাঘাত করেছেন।গালাগালি যে পুরুষের একার সম্পত্তি নয়, তিনি তা প্রমান করেছেন। তাঁকে অভিনন্দন।
পর্যালোচনাঃ
তিনটি মতামতের পক্ষেই যুক্তি আছে। কার কাছে কোন মতামত বেশী যুক্তিযুক্ত তিনি সে মতাদর্শের মানুষ বলেই ধরে নেয়া যায়।
অধ্যক্ষের আমরা অডিও শুনেছি। মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল হাই এর অমৃত বচন এটি। এটির ভিডিও দেখুন।এমন ভাবে প্রকাশ্যে কখনো কোনো নারীকে গালাগালি করতে দেখিনি। একজন সাংসদ অবশ্য সংসদে তাঁর বক্তব্যের শেষে বলেছিলেন .. আমিও ……মাড়ানি বলতে জানি অথবা কি একটা কথা সম্পূর্ণ মনে নেই আমার।
আমি আসলে কোন মতামতের পক্ষে? সচরাচর আমরা এমন ভাষা শ্রবণে অভ্যস্থ নই। বস্তির পাশ দিয়ে যারা যাতায়াত করেন তারা এমন শব্দ শুনলেও শুনতে পারেন। তবে রেগে গেলে মানুষের স্বাভাবিক বিচার, বুদ্ধি, বিবেক লোপ পায়। আমি খুব কম রাগ করি। তবে যখন প্রচন্ড রাগ করি, তখন নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনা। রেগে গেলে আমি কু……বা , শু……বা গালি দেই। কোনো মাতৃতান্ত্রিক গালি আমি দেই না। আমার গালি দুটোই পুরুষ বাচক। অধ্যক্ষের মত এত গালি যুক্ত শব্দ ভাণ্ডার আমার নেই। আমার গালি সব স্টাফদের প্রতি। অবাক করার ব্যাপার হচ্ছে আমি গালি দিলে সেই স্টাফ হাঁসে। আমার গালি খেলে নাকি স্টাফদের ভাগ্য খুলে যায়। সকালে গালি দিলাম, বিকেলেই তাঁকে ডেকে জিজ্ঞেস করি যে দুপুরে খেয়েছো? বেতন পাও কতো? এরপর পাঁচশ বা একহাজার টাকার একটি নোট দেই বাড়ীতে কিছু বাচ্চাদের জন্য কিনে নেয়ার জন্য। বেতনে আমি সন্তষ্ট না হলে বেতন বৃদ্ধি করে দেই।
তবে অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এর গালাগালির মধ্যে আমার কাছে দুটো খুবই আপত্তির কথা আছে।উনি বলেছেন ঃ-
১। এই দলডা এখন সরকারে।
২। যতদিন এই দলডা আছে, ততদিন আমার পাওয়ার আছে।
উনি এই কথা দিয়ে প্রমাণ করেছেন-
*ওনার নিয়োগ দলবাজির কারণে হয়েছে।
*আওয়ামী লীগ আছে বলেই তিনি যা ইচ্ছে করার অধিকার রাখেন।
* আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে উনি পাওয়ার লেস।
আমার প্রশ্ন এখানেই, এমন একজন পাওয়ারলেস মানুষকে আওয়ামী লীগের কেনো দরকার? যার রুট লেভেলে কোনো ক্ষমতাই নেই তাঁকে আওয়ামী লীগ কাছে এনে রাখলো কেন?
এই অযোগ্যতার কারণেই অধ্যক্ষ পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। অবশ্য বর্তমান আওয়ামী লীগ এর কাছে এমন মানুষই হয়ত বেশী গ্রহনযোগ্য।
২৩টি মন্তব্য
হালিমা আক্তার
এটা যদি অধ্যক্ষের বাণী হয়ে থাকে, তাহলে খুবই দুঃখজনক। এটা ঠিক একজন মানুষ রাগ ক্ষোভ দুঃখের ঊর্ধ্বে নয়। আমি যখন এটি সম্মানজনক আসনে বসবো। আমার সেই আসনের সম্মান রক্ষা করেই মুখের বচন প্রয়োগ করতে হবে। এরকম মুখের ভাষা চিন্তা করতে পারিনা। শুভ কামনা রইলো।
জিসান শা ইকরাম
সুশিক্ষিত হলে রাগের মাথায়ও এমন শব্দ চয়ন কেউ করেনা।
ধন্যবাদ আপনাকে।
খাদিজাতুল কুবরা
অধ্যক্ষ মহোদয়ার ফোনালাপটি আগেই শুনেছি। আমার কাছে তাকে অত্যন্ত অরুচিকর এবং শিক্ষাঙ্গনের জন্য বিপদজনক মনে হয়েছে। এমন একজন দল সর্বস্ব মানুষ আর যাই হোক শিক্ষক হওয়ার যোগ্য নয়।ভাইয়া আপনার বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করছি। সর্বাবস্থায় শালীন ভাষা ব্যবহার চর্চা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
জিসান শা ইকরাম
এদের যোগ্যতা আসলে দলের প্রতি আনুগত্য। তবে এরা সুখের পায়রা। দল ক্ষমতায় না থাকলে এরা উড়ে চলে যাবে।
নাজমুল আহসান
শুধু এই ঘটনার ক্ষেত্রে না, সরকার আর বড় বড় পদে আসীন মানুষদের মধ্যেকার সম্পর্ক সবসময়ই এমন।
সরকারের (মূলত ক্ষমতাসীন দলের) দরকার ছিল এরকম একটা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে দলে ভেড়ানো। তার ব্যক্তিগত যোগ্যতা, ব্যাকগ্রাউন্ড কোনো বিবেচনার বিষয় না। সে চোর হোক, নেড়ি কুত্তা হোক – তাতে কিছু যায় আসে না। এই পদটা কব্জা করতে পারলে অনেক কিছুই সহজ হয়।
আর এই মহিলার দরকার ছিল ক্ষমতা। আদর্শ বা দল তার কাছে মুখ্য না।
আসল বিষয় হল, সরকার আর অধ্যক্ষ। আওয়ামীলীগ আর কামরুন নাহার এখানে প্রতিনিধি মাত্র। চুন থেকে পান খসলে সরকার যেমন এই মহিলাকে *ছায় লাত্থি দিয়ে বের করে দেবে, এই মহিলাও তেমন সুযোগ পেলেই অন্য দলে ভিড়ে যাবে।
পুনশ্চঃ একজন সাংসদের সংসদে দাঁড়িয়ে গালি দেওয়ার যে বিষয়টা, সেটা আসলে হেলাল হাফিজের “যার যেখানে জায়গা” কবিতার লাইন।
জিসান শা ইকরাম
এই অধ্যক্ষ দল ক্ষমতায়, দল যতদিন ক্ষমতায় আছে তারও ক্ষমতা আছে এমন বড়াই করছিলেন। দল নেই সাথে সাথেই পালটি দেয়ার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। ক্ষমতাসীন দলও এমন ব্যক্তিকে নির্বাচিত করে, প্রয়োজন শেষ হলে তাঁকে লাথি দিতেও সময় লাগবে না। তখন এনার মতই আর একজন তাঁর স্থান দখল করবে।
হেলাল হাফিজের কবিতা দিয়ে মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আরজু মুক্তা
কথা ঠিক দল যতক্ষণ পাওয়ার ততক্ষণ। এটা আওয়ামীলীগ সরকারের অবদান। ভোট হরণ আর একদলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করেছেন বলেই তাদের দলের লোক এটা বলার সুযোগ পায়। সবখানেই একি অবস্থা। আমাদের পাড়ায় ছোট ছোট ছেলেগুলারও একি অবস্থা। এরাও ভাবে আমি ছাত্রলীগ করি মানে আমি সরকার। এদের ভয়ে আমরাও শংকিত। উনি এগুলো বলে একদিকে ভালো করেছেন। সরকার কেমন সেটা প্রমাণ হয়েছে।
জিসান শা ইকরাম
বেশ কিছু অযোগ্য লোকদের এই সরকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রধানের দায়িত্ব দিয়েছেন।
এতে লাভের চেয়ে সরকারের ভাবমূর্তির খুবই ক্ষতি হয়েছে।
মোঃ মজিবর রহমান
আমি একজন অতি খুদ্র মানুষ হয়ে বলতে চাই,
১. তাঁর পাওয়ার আওয়ামিলিগের
২. তাঁর পাওয়ার সরকারের
৩. তাঁর পাওয়ার খুটি হিসিবে একটি দল অও সরকারের যে ক্ষতি করেছে তা অপূরণীয়।
৪. এই ব্যাক্তির থেকে সরকারের মান সন্মান কতটুকু রক্ষা পাওয়ার আছে?
৫. সে একজন মানুষ হিসেবে রাগ, ক্ষোভ, দুঃখ, দুর্দশা থাকবে তারও একটা সমতা থাকে কিন্তু সেটা তাঁর মাঝে অলক্ষীয়।
জিসান শা ইকরাম
এই অধ্যক্ষের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি কমেছে অনেক, লাভ তো পরের কথা।
যা লাভ তা হয়েছে অধ্যক্ষের নিজের।
মোঃ মজিবর রহমান
সরকার এখান থেকে বাহির হতে পারছেনা তা খুবই দুঃখজনক।
যুগ্ম সম্পাদক নানক সাহেব বলেছে এখন হাইব্রিড খুজাই কঠিন।
কিছুই বলার নাই কষ্ট ো দুঃখ হই এই যা।
নাজমুস সাকিব রহমান
এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়। প্রায় কিছু না কিছু ফাঁস হচ্ছে। খুব সম্ভবত আমাদের দেশে এখন নাগরিকদের কোনো প্রাইভেসি নেই। ইচ্ছেমত ফোন ট্যাপ করা যায়।
জিসান শা ইকরাম
প্রায়ই ফোনালাপ ফাঁস হচ্ছে।
ভবিষ্যতেও আরো হবে।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
নিত্যনতুন কথপোকথন প্রকাশিত হচ্ছে। এদের কথাবার্তা তেই প্রকাশিত হচ্ছে এদের শক্তি, ক্ষমতার অপব্যবহার, দাম্ভিকতা নিয়ে। একজন অধ্যক্ষের কাছে এসব কারোর ই কাম্য নয় যখন তিনি দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ এর অধ্যক্ষ।
জিসান শা ইকরাম
শিক্ষক হিসেবে এমন শব্দ চয়ন আমাদের সবাইকেই ব্যথিত করেছে।
ছাইরাছ হেলাল
নিত্যনতুন অজানাকে জানছি, এই বার শুনছি বলে আর এমন হচ্ছে না/হবে না তেমন ভাবার কারণ নেই।
আমাদের অজান্তে কত কী হচ্ছে কে জানে!!
জিসান শা ইকরাম
এমন ঘটণা টু বি কন্টিনিউ, ঘটতেই থাকবে।
অজান্তের কথা আর নাই বা বললাম।
সুরাইয়া পারভীন
সত্যিই এটা খুব দুঃখজনক ঘটনা। শুধু ক্ষমতার দম্ভে না-মানুষ গুলোও মানুষের আবরণে ঢেকে যা খুশি তাই করে।
যেই দেশের শিক্ষক এমন সেই দেশের শিক্ষাব্যবস্থা কেমন হবে তা আর বলার অপেক্ষায় থাকে না
সাবিনা ইয়াসমিন
ফোনালাপ শুনে কান দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে। মানুষ যতই গালির পক্ষে/বিপক্ষে কথা বলুক, কিন্তু এমন অশ্রাব্য গালি — তাও একজন শিক্ষার কারিগরের মুখ থেকে নির্গত হচ্ছে! — এটা মেনে নিতে পারছি না।
ফোনালাপ ফাঁস প্রসঙ্গে বলতে চাই, এটা কোন মজার বিষয় হতে পারে না। নাগরিক প্রাইভেসি যেভাবে ক্ষুন্ন করা হচ্ছে এটা রীতিমতো আশংকাজনক। এধরণের ঘটনায় এখন যারা মজা নিচ্ছেন/পাচ্ছেন হয়তো একদিন তাদেরকেও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে সময় লাগবে না। প্রতিটি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্যাদি ( ফোনালাপ সহ) সরকারের কাছে আমানত স্বরুপ। সরকারের এইদিকে বিশেষ লক্ষ্য দেয়া এখন সময়ের দাবী।
ফয়জুল মহী
নীতি নিয়ে তাহের উদ্দিন ঠাকুরের একটা বই পড়ে ছিলাম অথচ উনি জাতীয় চার নেতা হত্যায় একজন। নীতির সবক দিয়ে হত্যার মত নীতিহীন কাজটা করেছেন।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
শিক্ষকদের এমন অধঃপতন মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। ধন্যবাদ।
তৌহিদুল ইসলাম
শুধু এই অধ্যক্ষের বেলায় নয়, যোগ্যদের অবদমন করে দলীয় তেলবাজি কোটায় টপ টু বটম যারাই চেয়ারে বসে তারা হয়ে ওঠে মৌমাছি। মধুও খাবে কাজও করবেনা আবার ভয়ভীতিও দেখাবে যাতে তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে না পারে।
সেই শিক্ষিকারর বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া উচিত। কার্যকর হবে কিনা সেটাই প্রশ্ন।
শুভকামনা ভাই।
রোকসানা খন্দকার রুকু
যার হবার কথা—-,,,, তাকে যদি আপনি শিক্ষক বানিয়ে দেন তাহলে এটা অস্বাভাবিক কিছু না। শিক্ষক কেন গালি দিতে পারবে না। সেতো আর শিক্ষার্থীকে দেয়নি। যাদের দেয়া যায় তাদেরই দিয়েছে। শিক্ষা কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে এতোসব করছে বলে আমার মনে হয় না।
এখানে হয়তো বনিবনার অভাব হয়েছে তাই ফলো আপ দেয়া হচ্ছে। না হলে এই দলে অধিকাংশই এমন এটা সবাই জানে!!