অনেক বছর আগে প্রথম যখন Old homes শব্দটির সঙ্গে পরিচয় হয় , একটু অবাক হলাম । বয়ষ্ক মানুষদের বাড়ী মানেটা কি ? তবে অপরিচিত এই শব্দটির মানে যখন বুঝতে পারলাম , তখন নেগেটিভ ছাড়া আর কিছু ভাবনায় আসেনি । আসলে আমাদের সমাজ-পরিবেশ-পরিস্থিতি-মানসিকতা আর ধর্মের নামে কিছু নিয়ম-নীতি এই শব্দটিকে ঘেণ্নার চোখেই দেখেছে । আমি তো এই সমাজেরই মেয়ে , তাই এর বাইরে ভাবনার সুযোগই দেইনি নিজের অন্তরাত্মায় । মামনি-বাপিকে দেখেছি দাদুকে কিভাবে যত্ন করে রেখেছিলো । এতোটা সম্মান , এসব দেখেই তো এখনও বয়ষ্ক যে কোনো মানুষের প্রতিই একটা সম্মান জেগে ওঠে । আশি বছর বয়সের দাদুর যে কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের বাসায় অবাঞ্ছিত হিসেবে ঘরের কোনো কোণে অবহেলায় পড়ে থাকেনি । বরং আমি-ই বলতাম দাদু এসব কি ? এটা কি তোমার যুগ ? আমায় বলতো খাস সিলেটি্তে , “কুনুগু(কেউ যদি) যদি এক গালত(গালে)চড় দিলায়(দেয়) , আরোকটা গাল পাতাই(পাতানো) দিলাইস(দিস) ।” একটা কথা না বললেই নয় , আমার দাদু আর বরিশালের মা (দিদিমা – মায়ের মা)দুজনে যখন গল্প করতো সেই দৃশ্য দারুণ । বরিশালের শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতো বরিশালের মা । অবাক ব্যাপার হলো দুজনেই কিন্তু দুজনের কথা ভালোই বুঝতে পারতেন । এতো সুন্দর একধরণের বন্ধুত্ত্ব ছিলো , আমি এ জীবনে কোনো বেয়াই-বেয়ানের মধ্যে দেখিনি । এখন এই যুগে যদিও দেখছি । যাক সেসব । বাপিকে দেখেছি শ্বাশুড়ীর কাছে নিজের মায়ের মতো আবদার । বরিশালের মা চলে যাবে , বাপি যেতে দিতো না । যদি পরিচয় না করিয়ে দেয়া হতো , তাহলে কেউই ধরতে পারতো না যে , বাপি যে আসলে বরিশালের মায়ের মেয়ের জামাই ।
তো এমন পরিবেশে বড়ো হয়ে বৃ্দ্ধাশ্রম শব্দটিকে মেনে নেয়া একেবারেই অসম্ভব । এরপর এলো নচিকেতার গান । ওই গান শুনে আবেগের নদী শুকিয়ে মরুভূমি হয়ে গেলো । এতো নিষ্ঠুর কি করে হয় মানুষ ? অন্যদিকে আমি “সানন্দা” ম্যাগাজনটির একনিষ্ঠ পাঠক ছিলাম । আর লেখালেখির সাথে যুক্ত ছিলাম বলে “দেশ”-এর সাথেও । যদিও হঠাৎ করে বাংলাদেশে “দেশ” বন্ধ হয়ে গেলো । ভাগ্যিস “সানন্দা” ছিলো । ওখানে পড়লাম বৃদ্ধাশ্রম-এর লাভ-ক্ষতি সম্পর্কে । “ভোরের কাগজ” পত্রিকাতেও ঠিক এমনই একটি বিষয় নিয়ে লেখা হয়েছিলো । সবটুকু মনে নেই , তবে এটুকু মনে আছে ছেলে-ছেলের বৌ অফিসে যাচ্ছে । বাসায় বুয়া-কাজের মেয়ের উপর বয়ষ্ক মা-বাবাকে রেখে । যদি মা একা থাকেন আর কর্মক্ষমহীন হয়ে পড়েন অনেক অসহায় একটা জীবন । তেমনি বাবাও । দুজন থাকলে তবুও যা একটু কথা-বার্তা হয় । তা নইলে তো…। আর “সানন্দা”য় পড়েছিলাম , একজন কর্মক্ষম মা ছেলে-মেয়ে বড়ো হয়ে গেছে । ওরা সকলেই চাকরী নিয়ে ব্যস্ত । বাসায় এলে দু’/একটা কথা । অন্যদিকে মা ঘরের রান্না আর সমস্ত কাজ সেরে সারাটি দিন একেবারে একা । এমন মায়েরা কি করবেন ? ম্যাগাজিনে তখন লেখা হয়েছিলো সেই সময়টায় মায়েরা একটা কাজ করতে পারেন । জীবনের যে সব শখ-ইচ্ছে স্বামী-সন্তান-সংসারের জন্যে বিসর্জন দিয়েছেন , সেসব শুরু করতে । বলাটা খুব সহজ , আদৌ কি সম্ভব !
এখন আসি আমার বাবা-মায়ের কথায় । আমরা দুই বোন । তাতে কি ! যথেষ্ট শিক্ষিত হয়েও একটা হীনমন্যতা কাজ করে মেয়েদের কাছে এসে থাকতে । সমাজ-সংসারের কাছে একটা প্রশ্ন আমার সবসময় , কেন এ নিয়ম ? তবুও দেশে থাকা অবস্থায় বাপি-মামনি এসে থাকতো । যেতে দিতাম না । আর ছোট বোনের বাসায়ও গিয়ে থাকে ওরা । ছোট বোনের বর ওটাকে তো ছেলে ছাড়া ভাবতেই পারেনা মামনি-বাপি । কিন্তু যথেষ্ট সম্মান আর ভালোবাসা-যত্ন দিলেও বেশীদিন থাকেনা ওরা । গ্রামের বাড়ীতে চলে আসে । এই যে একা একটা জীবন , অনেক কষ্ট করতে হয় মামনিকে । কাজের মানুষ পাওয়া যায়না । ওরা মানুষ খুব পছন্দ করে । বাপির সাথে আমি খুব বেশী ক্লোজ । গভীরতর ইচ্ছা বাপি-মামনিকে আমার কাছে নিয়ে আসার । কিন্তু চাইলেই তো হয়না । আজ মনে হয় বৃদ্ধাশ্রমে থাকলে এতো একাকীত্ত্ব পোহাতে হতো না । আমার এ কথায় অনেকেই বলবেন কি বাজে সন্তান ! ছিঃ কি করে এ কথা মাথায় আনতে পারলো ? আমি কানাডায় হোম হেলথে চাকরী করি । সকলেই পশ্চিমা দেশের বাবা-মাকে অসহায় হিসেবে মনে করেন । আর সন্তানগুলোকে পাষন্ড । আসলেই কি ? কই আমি তো দেখি বাবা-মাকে প্রতিবেলায় ফোন দিচ্ছে । আর মা-বাবা এটুকুতেই অনেক খুশী । আমাদের দেশে কয়জন সন্তান তার মায়ের সাথে ঘন্টাখানেক বসে কথা বলে ? আর যদিও বা বলে তার বিষয়টা কি ? বড়ো বড়ো কথা সকলেই বলতে পারে , মা-বাবাকে যেসব সন্তান বৃ্দ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেয় । তারা সন্তান নামের কলঙ্ক । নিজের কাছে রেখে অবহেলা দেয়ার চেয়ে , ওখানেই ওদের নিজস্ব একটা নীড় তৈরী করে দেয়া কি খুব খারাপ ? আমি এই খারাপের পক্ষেই ।
আমার কিছু ক্লায়েন্ট আছে যাদের সেবা করার সময় বাপি-মামনির কথা খুব বেশী মনে হয় । এমন করে তাদেরকে কি কখনো যত্ন করেছি ? সময় বেঁধে দেয়া হয় একেকজন ক্লায়েন্টের জন্যে , তারপরেও চেষ্টা করি একটু সময় তাদেরকে সঙ্গ দিতে । আমার একজন ক্লায়েন্ট আছে পুরোটা বাড়ীতে একা থাকে । মেয়েটা যে কি যত্ন করে অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও । মায়ের কোন জিনিস কোথায় সব জানে । এমনকি প্রতিদিন খুব সকালে ছেলে চলে আসে মাকে দেখে যায় । অফিসের তাড়া থাকে , তাই অনেক ভোরে চলে আসে । ছেলেকে বলে দিতে হয়না বাজারটা করে আনতে । বাজারের তালিকা করে দিতে । কারণ ছেলে নিজেই দেখে নেয় মায়ের কি কি প্রয়োজন পড়বে । আমাদের দেশে কোন সন্তান অনেক ভোরে উঠে মায়ের খবর নেয় ? তাদেরকে বাজারের তালিকা ধরিয়ে দিলেও দেখা যায় তারা তাদের ব্যস্ততার তালিকা ধরিয়ে দিচ্ছে । হুম পশ্চিমা দেশ থেকেই কিন্তু অনেক দিবসের উৎপত্তি । মা দিবস , বাবা দিবস , ভালোবাসা দিবস(ভ্যালেন্টাইন ডে) এসব । ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করার জন্যে সবাইকে পাগল হতে দেখি , গোলাপ হাতে নিয়ে দেশের কোথায় না তরুণ সমাজের ছুটোছুটি । তাহলে বাবা-মা দিবসের কথায় নাক সিঁটকানো কেন ? একটা ফুল এনে ক’জন সন্তান মায়ের হাতে দেয় ? ক’জন জানে তাদের মা-বাবার প্রিয় কি ফুল ? বা কি কি প্রিয় ? খুব বেশী হলে ১% । এখানে সন্তানরা জানে তাদের মা-বাবার কি কি প্রিয় ? আমরা পশ্চিমা সমাজকে দেখে তাদের আবেগের কচুকাটা করি । আমি বলছি না এসব পশ্চিমা দেশে সব কিছুই ভালো । খারাপও আছে । কিন্তু ভালোগুলো কি আমরা নিতে পারিনা ?
আমরা সকলেই আবেগকে ব্যবহার করে চিঠি-গল্প-কবিতা লিখে মা মা করি । আহা মা । কেউ কেউ এসে মায়ের জন্যে লেখে কান্না । আবেগ এটাকে বলেনা । আবেগ হলো মনের অনেক গভীর একটা অনুভূতি । আমার বাপির একটা ডায়েরী পেলাম , পড়লাম । লেখাটা পড়ে কান্না পেলো । লেখা ওখানে , “খুব মনে পড়ছে মাকে । কতোদিন মাকে দেখিনা ।” আমাদের শেখা উচিত এমন পশ্চিমা দেশ থেকেও , এখানেও মায়েদের মন আমাদের দেশের মতোই । আমাদের দেশে হিপোক্রেট সন্তানের সংখ্যাই বেশী । এখানে যতোটুকু করা হয় , কাউকে দেখানোর জন্যে নয় । মন থেকেই । একেকটি বৃদ্ধাশ্রমে চাকরী সূত্রে যা কিছু দেখি , তাতে আমি শূণ্য ঘরে সন্তানের কাছে থেকে অবহেলা নেবার পক্ষপাতি নই । সবাই আমাকে বলে আমি অসম্ভব আবেগী একজন মানুষ । আর আমার লেখায় এমন আবেগহীন কথায় অনেকেই গালাগাল দেবেন , কিন্তু ভাব নিয়ে হিপোক্রেট হবার কোনো ইচ্ছেই আমার নেই । আমারও ছেলে আছে । এখন ওর বয়স বারো । ওর একটা নিজস্ব জগত তৈরী হচ্ছে আস্তে আস্তে । একদিন চাইলেও সেভাবে সময় দিতে পারবে না । হয়তো না-ও চাইতে পারে । আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশী বৃদ্ধাশ্রমের প্রয়োজন । অন্তত বাবা-মা জীবনের বাকি সময়গুলো অনেকের সাথে কাটাতে পারে । সন্তানদের ব্যস্ততর জীবনের জন্য একদিন সংসারের সর্বময় কর্তৃ্ত্ত্বের অধিকারী মানুষ দুজন ঘরের এককোণে যেনো অবহেলায় পড়ে না থেকে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য :- লেখাটি শেষ করে ছবির জন্যে গুগলের আশ্রয় নিলাম । সেখানে গিয়ে বৃদ্ধ মা-বাবা আর সন্তানের কোনো ছবিই পেলাম না । গুগলে ১৫ মিনিটের মধ্যে পশ্চিমা দেশের মা-বাবা-সন্তানের প্রচুর ছবি পেলাম । কোনটা থেকে কোনটা নেবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না । এরপর দু’ঘন্টা কাটালাম শুধু আমাদের প্রিয় দেশের এমন কিছু ছবির জন্যে । আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ । অনেকদিন পর শব্দটা উচ্চারণ করলাম । হুম বাবা-মায়ের ছবি আছে , কিন্তু সব কাজের । কেউ মাটি কাটছে , কেউবা পথে শুয়ে আছে । আর কি কিছু বলার আছে ????
হ্যামিল্টন , কানাডা
১৪ মে , ২০১৪ ইং ।
১৪টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
আমি আপনার সাথে একমত যে আপনি যা দেখেছেন তা থেকেই আপনি বলেছেন ।
কিন্তু বাস্তবতা এমন নয় এখানে ।
আমরা প্রতিনিয়ত প্রচুর নিগ্রহ করি আমাদের বৃদ্ধ মা-বাবাদের ।
এখনকার ওল্ড হোমে তাদের করুণ থেকে করুণতর কাহিনী শুনলে পাথর হৃদয় ও গলে যাবে ।
কিন্তু পাষণ্ডদের হৃদয় গলেনি বলেই আজ তারা ওল্ড হোমে বসে মৃত্যুর প্রহর গুনছে ।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি জানি আমাদের দেশের বৃদ্ধাশ্রম কেমন ! কেন এমন , এর দায় কাদের ? আমাদেরই ।
তবুও আমি বৃদ্ধাশ্রমের পক্ষে । আমরা সু(?)-সন্তানেরা বেশ মাথা উঁচু করে বলি বাবা-মাকে কিছুতেই বৃদ্ধাশ্রমে দেবো না । যারা পাঠায় , তারা কূ-সন্তান । একটা ছোট্ট উদাহরণ দিই । ২০০৯ সালে বাপির open heart surgery হলো । একই কেবিনে আরেক ভদ্রলোক ছিলেন । বাপির মতো উনারও একই অবস্থা । উনার সন্তানদের দেখলাম , ভদ্রলোককে এতো অসহায় লাগতো । আমি উনার সাথে বসে কথা বলতাম । কিছুর প্রয়োজন আছে কিনা জানতে চাইতাম । এমন অনেক পিতা-মাতাকে দেখেছি । খুব কম দেখেছি যারা বাবা-মাকে একাকী করে রাখেনা ।
আমি তাই বৃদ্ধাশ্রমের পক্ষে ।
তবে অনেক সুন্দর মন্তব্যের জন্যে কৃতজ্ঞতা 🙂
কৃন্তনিকা
আমিও সহমত প্রকাশ করতে পারছি না। আপনার কথাগুলোর যুক্তি আছে। তবে বৃদ্ধাশ্রমের থেকে যেকোনো মা-বাবা সন্তানের কাছে থাকতেই চাইবে। হয়ত সন্তান সময় দিতে পারবে না, কিন্তু প্রতিদিন একবার হলেও মা-বাবা তাদের সন্তানদের মুখ তো দেখতে পারবে।
নীলাঞ্জনা নীলা
পক্ষ-বিপক্ষের যুক্তি-তর্ক তো চলতেই থাকবে । তবে আমাকে যারা চেনে , সে কাছের কিংবা দূরের সকলেই জানে খুব নরম আর কোমল মনের মানুষ আমি । তবুও কেন বৃদ্ধাশ্রমের পক্ষে , কারণ অবশ্যই আছে । আর সেই কারণ হলো দেশ কিংবা বিদেশ বৃদ্ধ বাবা-মাকে আমি বড়ো নিঃসঙ্গই দেখেছি ।
ধন্যবাদ জানাচ্ছি মন্তব্যের জন্যে 🙂
খসড়া
নষ্ট পরিবার/ ধ্বংসাত্মক সমাজের। সামাজিক মূল্যবোধের সাক্ষর।
নীলাঞ্জনা নীলা
একেবারে ঠিক কথা…ধন্যবাদ
জিসান শা ইকরাম
ওল্ড হোমের সুবিধা আসলে বিদেশের জন্যই প্রযোজ্য । আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষ বাবা মাকে নিয়েই থাকে । বিদেশী খারাপ জিনিসটা আমরা সাধারনত গ্রহন করি । আমাদের পরিবার গুলো ছোট হয়ে আমরা সার্থপর হয়ে যাচ্ছি দিন দিন ।
তোবে তোমার প্রস্তাব ও চিন্তাও ভালো ।
লেখা ভালো লেগেছে ।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা আমার একজন পেশেন্ট আছে । বিশ্বাস করবে কিনা জানিনা , আমি তো CBI Home Health-এ সেবিকার কাজ করি । আমাকে বিভিন্ন রিটায়ারমেন্ট হোম থেকে নার্সিং হোম এমনকি বিভিন্ন বাড়ীতেও পেশেন্ট দেখতে যেতে হয় । আজ একজন পেশেন্ট যে হাসপাতাল থেকে বাসায় গেছে । জানো তার সাথে কে থাকে ? তার বান্ধবী তার সাথে আছে বহু বছর ধরে । প্রথম যেদিন যাই , সেদিন ভেবেছিলাম হয়তো বোন বা অন্য কেউ আত্মীয় । যখন শুনলাম বান্ধবী , আমি অবাক হয়ে গেলাম । নানা বাসায় যেসব রোগী দেখতে যাই , বিশ্বাস করবে না কি যত্ন পায় ওরা । নানা স্বার্থপরতা ছোট পরিবারের কারণে নয় । মন-মানসিকতার উপর নির্ভর করে ।
তবে তোমার কথাও ভুল নয় । অবশ্য আমি কিন্তু ছোট পরিবারে বড়ো হয়েছি । বোঝা যায় ? 😀 লাভ ইয়্যু নানা -{@
রিমি রুম্মান
বৃদ্ধ বাবা-মায়ের বোঝা কি এতোই ভারী যে সন্তান তা বইতে পারবে না !
নীলাঞ্জনা নীলা
সেটাই তো কথা । কিন্তু ক’জনে বোঝে সেটা ?
পুষ্পবতী
আমি আপনার কথার সাথে একমত। বাবা মা কে একাকিত্ব করে না রেখে বৃদ্ধাশ্রমে রাখলেই ভালো হয়..তাই বৃদ্ধাশ্রম কে আমিও নেগেটিভ ভাবে নিচ্ছি না …
খুব ভালো লিখেছেন। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
অসংখ্য ধন্যবাদ । কৃতজ্ঞতা । কোনও বাবা-মা যেনো অবহেলা না পায়… 🙂
প্রত্যাবর্তন
খুব সেনসিটিভ বিষয় নিয়ে লিখেছেন । কী বলব বুঝতে পারছি না ।
নীলাঞ্জনা নীলা
সেনসিটিভ বিষয় তো অবশ্যই । পঠনের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ……………প্রত্যাবর্তন ।