বীরাঙ্গনা’দের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি দিয়ে সংসদে প্রস্তাব পাস….তারিখ :২৯/০১/২০১৫
ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক বীরাঙ্গনাদের শোকগাথাঁ পাঠ্যবইয়ে বাধ্যতামূলক করার জন্য সরকারকে নির্দেশ প্রদান….তারিখ : ৩০/১২/২০১৪
“বীরাঙ্গনাদের আত্মত্যাগকে বিবেচনায় নিয়ে তাঁদের ত্যাগ ও কষ্টকর অভিজ্ঞতার ইতিহাসকে স্কুল-কলেজের পাঠ্যপুস্তকে যুক্ত করতে সরকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া উচিত, যাতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারে।” বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই মন্তব্য করেন।
অনেক ভালো লেগেছে উপরের দুটু খবর জেনে।
মানুষ মরনশীল। প্রতিটা মানুষকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে। কাজেই বীরেরা মৃত্যুকে পরোয়া করেনা। আর তাই ১৯৭১ সালে বাংলামায়ের সন্তানেরা প্রিয় মাতৃভুমিকে রক্ষার জন্য মৃত্যুকে পরোয়া না করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলো। বুকের তাজা রক্ত অকাতরে বিলিযে দিয়েছিলো। যার বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন দেশ। মাতৃভুমি রক্ষার প্রয়োজনে শহীদদের এই আত্মত্যাগকে জাতি আজীবন শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করে যাবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। শহীদ পরিবারও আজীবন গর্বে স্ফীত হবে তাঁদের সন্তানদের নিয়ে। সন্তান হারানোর কষ্ট কোন মায়ের জন্যই কম নয়, তবুও শহীদজননীদের অহংকার হয়ে আছে তাঁদের সন্তানরা। যুগযুগ ধরে বাঙালী জাতি গর্বের সাথে শহীদদের এই আত্মত্যাগের কথা স্বরণ করে যাবে। তাঁদের বীরত্বগাঁথা ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে। আর যারা যুদ্ধ করে বেঁচে ফিরেছিলেন, তাঁরা মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে সন্মানিত হয়েছেন, স্বীকৃতি পেয়েছেন।
কিন্তু বীরাঙ্গনা? যারা সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহন না করলেও যুদ্ধকে কেন্দ্র করেই পাকসেনাদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন? আমরা তাঁদের কতোটুকু সন্মান দিয়েছি? তাঁরা তো মরেও অমর হতে পারেননি বরং জীবিত থেকে শরীরে হায়েনাদের পৈশাচিক যন্ত্রনার নোংরা স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছেন। অন্যায় না করেও সামাজিক কালিমা, বাঁকা দৃষ্টি, লাঞ্চনা যুগযুগ ধরে বহন করে চলেছেন। আমরা তাঁদের কয়জনকে জানি? দেশের জন্মলগ্নে যারা সম্ভ্রম হারিয়েছিলেন তাঁদের কয়জনের খবর আমরা রেখেছি? বেশির ভাগইতো সমাজের ভয়ে নিজেদের লুকিয়ে রেখেছেন। যারা তাঁদেরকে হায়েনাদের হাতে তুলে দিয়েছিলো সেসব এদেশীয় কুলাঙ্গারদের বীরের বেশে সমাজে দাঁপিয়ে বেড়ানো দেখে কষ্টে নীল হয়েছেন। নিরবে নিভৃতে কেদেঁকেটে সম্ভ্রমহানির জ্বালা মিটিয়েছেন। অপমানের জ্বালা বুকে ধারন করে নীরবে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন কবে তাঁরা বিচার পাবেন, নিজচোখে দেখে যাবেন উত্তরসুরীরা তাঁদের অপমানের প্রতিশোধ নিয়েছে। কিছুটা হলেও তাঁদের বুকের ভেতর লুকানো কষ্ট লাগব হবে। নিজে নারী না হলে হয়তো এমন উপলব্দি আমার হতো কিনা জানিনা। ভিকটিম না হয়েও নারীত্বের এমন পৈশাচিক যন্ত্রনার উপলব্দি আমাকে যেভাবে তাড়িয়ে বেড়ায়; না জানি তাঁদের অনুভূতি কী?
এই দেশটাকে স্বাধীন করার জন্য সবচেয়ে বেশি মূল্য দিতে হয়েছিলো এই বীরাঙ্গনাদের। মান হারিয়ে তাঁরা আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন কিন্তু বিনিময়ে পেয়েছেন কেবলই লাঞ্চনা আর অপমান।
এইতো কিছুদিন আগেও দেখলাম বীরঙ্গনা মা’য়ের সন্তান হওয়ার অপরাধে এক স্বামী তার স্ত্রী’কে তালাক দিয়েছে।
যুদ্ধের পরপরই পাকসেনাদের হাতে শারীরিকভাবে নির্যাতিত নারীরা বীর অঙ্গের অধিকারিনী হিসাবে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক ’বীরাঙ্গনা’ খেতাবে ভূষিত হয়েছিলেন।কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে তাঁদের স্বীকৃতি দেয়ার সুযোগ হয়নি। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় বীরাঙ্গনাদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের কাজও শুরু হয়েছিলো কিন্তু ’৭৫ পরবর্তী দীর্ঘসময় ব্যাপী ওরা তা হতে দেয়নি। এবার সময় এসেছে রাষ্ট্রীয়ভাবে তাঁদের সে প্রাপ্য সন্মান দেওয়ার। তবুও যদি, যারা বেচেঁ আছেন তাঁদের মুখে একটু হাসি ফোটানো যায়।
সালাম রইলো সকল বীরাঙ্গনাদের প্রতি।
৩৩টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
বেশ গুছিয়ে লিখেছেন আপু, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। নিজে নারী না হলে হয়তো এমন উপলব্দি আমার হতো কিনা জানিনা। ভিকটিম না হয়েও নারীত্বের এমন পৈশাচিক যন্ত্রনার উপলব্দি আমাকে যেভাবে তাড়িয়ে বেড়ায়; না জানি তাঁদের অনুভূতি কী? এ উপলব্ধি সত্যিই প্রশংসনীয়। সালাম সকল বীরাঙ্গনা মা -কে, সালাম তাদের সন্তানদেরকে।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
অনেক কষ্ট হয় তাঁদের যন্ত্রনাকে উপলব্দিতে ধারন করলে। একেকটা বিভৎস বিবরণ পড়লে মনে হয় যুদ্ধে যেমন তাঁরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ছিলেন, যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তাঁরা আরও বেশি বিড়ম্বনার শিকার হয়েছিলেন।
কি নিদারুন পরিহাস করেছে এই জাতি তাঁদের সাথে!!!
স্বীকৃতির এ উদ্যোগের জন্য আমি শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ।
আগুন রঙের শিমুল
এই অধ্যায়টি এমন একটি অধ্যায় এই অন্ধকারে আলো ফেলতেও ভয় লাগে , আর যে বীভৎসতার শিকার উনারা তা বর্ণনাতীত। এই অন্ধকারে থেকে যাওয়া কন্যা , জননীদের যথাযোগ্য সম্মান দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ সরকারকে যানাই আন্তরিক ধন্যবাদ, আর লেখাটির জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ রুবা 🙂
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আমিও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। যে মুহূর্তে খবরটি টিভি পর্দায় ভেসে উঠেছিলো, কতোক্ষন যে হু হু করে কেঁদেছি। ২০১৩ সালে আমি কয়েকজন বীরাঙ্গনার বুকের জ্বালা দেখেছিলাম। তুষের আগুনে পুড়ছিলেন তাঁরা।
অহ! কি কষ্ট!! কি কষ্ট!!!
প্রহেলিকা
বাংলাদেশ সরকারের এই উদ্যেগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার। এ পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে তাদের উপর তা বর্ণনা করার ভাষা নেই। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আর সম্মান জানাই সকল বীরাঙ্গনাদের।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
শ্রদ্ধা জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে।
বনলতা সেন
দেরী হলেও সাধুবাদ জানাই এ সিদ্ধান্তটি নিতে পারার জন্য।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
অতো দেরী হতোনা, যদি মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধ শক্তির সহায়তাকারীরা এতোকাল রাষ্ট্র পরিচালনায় না থাকতো।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সাধুবাদ জানানোর ইচ্ছে নেই যা অনেক আগেই করা উচিত ছিল এত জল ঘোলা করে যা অর্জিত হয় তা তিতো লাগে তবুও ধন্যবাদ -{@
মারজানা ফেরদৌস রুবা
** অতো দেরীও হতোনা, অতো জলও ঘোলা হতোনা। অনেক আগেই করা যেতো। সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছিলো সবকিছু মুছে ফেলার কিন্তু সত্য যে সুর্য্যের মতোই উজ্জল।
নওশিন মিশু
বহু বছরের প্রত্যাশিত একটি ভাল খবর। বাংলাদেশ সরকারের এই উদ্যেগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ আর সেই ভালবাসা ও সম্মান জানাই সকল বীরাঙ্গনাদের …. (3 (3 (3
মারজানা ফেরদৌস রুবা
সম্মান আমিও জানাই। ধন্যবাদ।
স্বপ্ন নীলা
সাধুবাদ জানাই এই সিদ্ধান্তের প্রতি
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আমিও সাধুবাদ জানাই।
জিসান শা ইকরাম
সরকারের এই সিদ্ধান্তের জন্য সরকারকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
স্বাধীনতার পরে নিদারুণ দুঃখ কষ্ট সয়েছেন এইসব মায়েরা
সমাজ এনাদেরকে সু নজরে দেখেন নি,অথচ ৯ মাস যাবত প্রচন্ড অত্যাচার সহ্য করেছেন
এতগুলো বছর সামাজিক অত্যাচার সহ্য করেছেন।
সমসাময়িক বিষয়ে এমন পোষ্ট দেয়ায় ধন্যবাদ আপনাকে।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
বাঙালী জাতি নয়মাস যুদ্ধের যন্ত্রনা বয়ে বেড়িয়েছে আর আমাদের এই বীরাঙ্গনা মায়েরা গত ৪৩ বছর যাবৎ তা বয়ে বেড়াচ্ছেন।
কি নিদারুন উপহাসটাই না করেছি আমরা তাঁদের প্রতি!
ছাইরাছ হেলাল
অবশেষে আমাদের আজন্ম ঋণের কিছুটা হলেও শোধ দিতে পারছি।
অবশ্যই সাধুবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ তুলে ধরার জন্য।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
”তাহাদের এই ঋণ কোনদিন শোধ হবেনা”
হ্যাঁ, ভাইয়া। আজন্ম ঋণের কিছুটা হলেও শোধ দিতে পেরেছি। এখন বাকীটা দিয়ে যেতে হবে আমাদের উত্তরসূরীদের তৈরী করে, তাদের কাছে বীরাঙ্গনাদের গল্পগাঁথা তুলে ধরে।
খেয়ালী মেয়ে
সালাম রইলো সকল বীরাঙ্গনাদের প্রতি -{@
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ধন্যবাদ।
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো...
অনেক বেশি দেরী হইলো, মাঝে ২ টা প্রজন্ম চলে গেছে। তবু হয়তো আমাদের পরের প্রজন্মগুলো আমাদের অক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন কিছুটা কম করবে। বেশি প্রশ্ন করলেই অবশ্য আমি খুশী, বোঝা যাবে অদের মধ্যে দেশের প্রতি মমতার ঘাটতি আমাদের চেয়ে কম। ওরা দেশটাকে নিজেদের মত করে বদলে দেবে…
মারজানা ফেরদৌস রুবা
দেরী তো হয়েছে বটেই।মাঝের দুটু প্রজন্ম চুপ ছিলো বলেই গুটিগুটি পায়ে ধর্মের লেবাস গায়ে জড়িয়ে বিরুদ্ধপক্ষ এতোকাল প্রজন্মের ব্রেইন ওয়াস করে চলেছে, যার ফলশ্রুতিতে আজকের এই অবস্থা।
পরের প্রজন্মকে হাত ধরে ঠিকঠাক দিক নির্দেশনা দিতে পারলে অবশ্যই তারা বদলে দেবে। আমরা আমাদের কাজ করে যাই। জয় আসবেই।
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো...
দ্বিমত। চুপ কখনো কোন প্রজন্ম ছিলনা। কেবল রাজনীতি ছিল আসল বাধা। ক্ষমতার জন্য নীতি আর নৈতিকতার সাথে আপসই একমাত্র না হলেও প্রধান কারন।
ব্লগার সজীব
সরকারকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। আপনাকে ধন্যবাদ -{@
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ধন্যবাদ আপনাকেও।
ফাতেমা জোহরা
নিঃসন্দেহে খুব ভালো সংবাদ এটা।দেরীতে হলেও, শুধু দেরী কেন বলছি অনেক দেরীতে হলেও মায়েরা তাঁদের যথার্থ সম্মান পাচ্ছে এটাই আর কম কিসে !এই মুহূর্তে এক মায়ের কথা মনে হচ্ছে খুব। হৃদয় নিংড়ানো আবেগে, ভালোবাসায় তিনি বলেছিলেন-
“একটি মুহূর্তের আকাঙ্খা মৃত্যু মুহূর্ত পর্যন্ত রয়ে যাবে। এ প্রজন্মের একটি তরুণ অথবা তরুণী এসে আমার সামনে দাঁড়িয়ে বলবে, বীরাঙ্গনা আমরা তোমাকে প্রণতি করি, হাজার সালাম তোমাকে। তুমি বীর মুক্তিযোদ্ধা, ঐ পতাকায় তোমার অংশ আছে। জাতীয় সংগীতে তোমার কন্ঠ আছে। এদেশের মাটিতে তোমার অগ্রাধিকার। সেই শুভ মুহূর্তের আশায় বিবেকের জাগরণ মুহূর্তে পথ চেয়ে আমি বেঁচে রইবো…”
আমি জানিনা সেই মা আজ বেঁচে আছেন কিনা। সেই মা হয়তো নেই, কিন্তু মায়ের আক্ষেপটা রয়ে গেছে এখনো…
সাধুবাদ জানাই সরকারের এই সিধান্তকে (y)
মারজানা ফেরদৌস রুবা
সেটাই আপু। তাঁরা তাঁদের জীবদ্দশায় স্বীকৃতিটা পেলেন না। মর্যাদা উপভোগ করে যেতে পারলেন না। জীবদ্দশায় তাঁদের সঠিক মুল্যায়নটা আমরা করতে পারলাম না। জাতির বিবেকের কাছে আক্ষেপটা তাঁরা রেখেই গেলেন। বেশিরভাগই লাঞ্চনা আর বঞ্চনা নিয়েই পৃথিবী ছেড়েছেন।
হ্যাঁ, অনেক দেরীতে হলেও, হয়েছে তো। বর্তমান সরকার প্রধানই এর একমাত্র কৃতিত্বের দাবীদার। তাঁর আন্তরিক ইচ্ছার কারনেই অনেক দেরী হয়ে গেলেও, হয়েছে।
খসড়া
দৃষ্টিতে আগুন তোমার
চোখেতে সাগর
বিদ্ধস্ত মলিন মুখ
নয়ন ডাগর
কত দিন গেল কত মাস
দীর্ঘ দীর্ঘ বছর
বয়ে চল নিরন্তর
দুঃসহ স্মৃতির প্রহর।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আরো আছে………
রাজাকারদের আস্ফালন
দেখে এই নয়ন
তবুও পায় না মান
নিঃশ্বের মলিন মদন
শিপু ভাই
বড্ড দেরি হয়ে গেছে!!!
এখন সময় হল সেই সব বীরাঙ্গনাদের পোষ্যদের জন্য কিছু করার।
লেখায়++++++++
মারজানা ফেরদৌস রুবা
হ্যাঁ, বড্ড দেরি হয়ে গেছে। আগামী প্রজন্ম যদি তাঁদের প্রতি যথার্থ সন্মান জ্ঞাপন করতে পারে, তবেই তাঁদের আত্মা শান্তি পাবে।
লীলাবতী
একজন বীরঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুর পরে রাষ্ট্রিয় ভাবে সমাহিত হবেন,তার কফিনের উপরে থাকবে জাতীয় পতাকা,এর চেয়ে আনন্দের আর কি হতে পারে?ধন্যবাদ সরকারকে।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
বীরঙ্গনাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত! ভাবতেই ভালো লাগছে।
ইস! কতোকাল পরে তাঁদের এই স্বীকৃতি!!!