বিয়ে একটি সামাজিক বন্ধন। আমাদের সমাজে বিয়েটাকে পবিত্র বন্ধন বলা হয় । হ্যা পবিত্র । পবিত্র হতে হলে আমাদের কিছু নিয়মের মধ্য দিয়ে যেতে হয় । আমরা যখন নামাজের জন্য পবিত্র হই ,পরিস্কার কাপড় পরি ,অজু করি । সংসার নামক পবিত্র সম্পর্কটাকে ধরে রাখতে কি আমরা কোনো শ্রম দেই ???
প্রতিটি মানুষ নিজের অন্তরালে সংসার নিয়ে স্বপ্ন দেখে । সব কিছুর উর্মানুষ বিয়ের মাধ্যমে একজন জীবন সাথী পাবে মনে করে । যে তার সকল সুখ দুখ এর ভাগ নিবে ।
বিয়ের প্রথম বছরটা তেমনই হয় কিছুটা । দুজন দুজনকে ঘিরে ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে থাকে । দুজনই তখন নতুন দুজনার কাছে ।নিজেদের প্রতি শ্রদ্ধা বোধও থাকে । শেয়ারিং কেয়ারিং থাকে দুজনের মাঝে । আকর্ষনীয় সময় টা নিজেদের ভাগাভাগিতে কাটে । একটু একটু করে আবিষ্কারকরে একে অপরকে।
ধীরে ধীরে জীবনে ব্যাস্ততা আসে । দায়িত্ব, কর্তব্য , প্রয়োজন সব সামনে এসে দাড়ায় । সময় গুলো ভাগ হয়ে যায় সন্তানের জন্য , শশুর শাশুড়ির জন্য , আত্মিয় স্বজনের জন্য । তবে ভালোবাসাটা কিন্তু ঘরের কোনায় অপেক্ষায় থাকে !! যদি তার ডাক পরে !!! কেউ সেই ভালোবাসাটাকে ডেকে নেয় হাজার ব্যাস্ততার মাঝেও । আর কেউ কেউ সব ভুলে ক্লান্তিহর দোহাই দিয়ে নেতিয়ে থাকে জীবনে । ভালোবাসব বেচারা এক সময় নিজেও ক্লান্ত হয়ে হারিয়ে যায় তার পথ থেকে ।
কর্মমুখর ছেলেটা তার বাইরের জগতে ব্যাস্ত । হাজার ব্যাস্ততার মাঝেও হয়তো জীবনে নতুনত্ব থাকে । কাজে বৈচিত্র থাকে । মাস শেষে সেলারি পাওয়ার আনন্দ থাকে । ভালো কাজের পুরুস্কার হিসাবে ইনক্রিমেন্ট থাকে ।জীবন একঘেয়ে লাগার সুযোগ কম ।
কিন্তু বেশির ভাগ মেয়ে আটকে যায় সংসারের ছোট গণ্ডিতে। নিত্যদিনের একই ডিউটিতে । কোনো চেলেঞ্জ নাই , ভালো খারাপের প্রতিক্রিয়া নেই । খুব হাপিয়ে উঠলেও অবসর নেই । কখন পতিদেব সময় দিবেন , তখন হয়তো সামান্য মুক্তি মেলে প্রাত্যহিক রুটিন থেকে বাইরে বের হওয়ার ।
ছেলেটা নতুন একজন মানুষ পায় বিয়ের পর আর মেয়েটা পায় নতুন একটি পরিবার । নতুন পরিবেশ !!! মানিয়ে নিতে মানিয়ে চলতে সময় চলে যায় ।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ছেলেরা এই বিষয়ে খুব একটা সহায়তা করে না । হয়তো সে নিজেই তার পরিবারের সদস্যদের খুব ভাল বুঝতে পারে না । আমাদের সমাজে ছেলে সন্তানকে অনেকটা মেহমানের মতো আদর যত্ন করে বড় করা হয় । আমাদের দেশের কয়টা ছেলে আছেন যে নিজের কাপড় নিজে ধুয়ে বাথরুম ত্যাগ করে? মা য়ের আলমিরাটা গুছিয়ে দেয় মাসে একবার ??
যাই হোক স্বাধীন হেসে খেলে বেড়ানো মেয়েটা হঠাৎ বাড়ীর বৌ হয়ে যায় । তার বন্ধু গুলো হারিয়ে যায় !!! গল্পের বইগুলোতে ধুলা জমে !! কবিতার খাতার পাতায় রান্নার রেসিপি দেখা যায় ।
ভালোবাসতেই ভুলে যায় একসময় ।
সংসার হয়ে যায় দায়িত্ব কর্তব্যর ময়দান ।।
স্বামী গুলো কেনো প্রেমিক হতে পারে না??
সামাজিক হোক আর ধর্মিয় কারণেই হোক । বিবাহিত মেয়ে গুলো স্বামীকেই জীবনের একমাত্র পুরুষ ভাবে আমাদের সমাজে !! হাজার কষ্টে থেকেও বলে বিয়ে হয়েগেছে এখন আর ভেবে কি হবে । এই লিখাছিলো কপালে ।।
স্বামীগুলা কেন বোঝে না , এই কপালের দোহাই দেওয়া মেয়ে গুলোকে নিজের বৌ নামক সম্পত্তি না বানিয়ে , প্রেমিক বানিয়ে জীবন অতিবাহিত করা যায় !!! জীবনের প্রতিটি দিনকে আরো সুন্দর করা যায় ।
অফিস শেষে ফেরার পথে দুটি বেলি ফুলের মালা ২০ টাকা দিয়ে কিনে এনে বৌকে দিন , দেখুন তার চোখে আনন্দ ভালোবাসা ।
ঘুরতে যাচ্ছেন ড্রয়ার খুলে টিপটা পড়িয়ে দিন তার কপালে , দেখুন তার মুখের স্বর্গিয় উজ্জলতা।
প্রতিটিমেয়্ই স্বামীর মাঝে প্রেমিক পুরুষ খোঁজে। সে চায় স্বামী তাকে বুঝুক তাকে জয় করুক ।
অনেক মেয়েকে দেখেছি স্বামীক্ ভয় পায় । স্বামীর অনুমতি ছাড়া বাচ্চাকে একটা চকলেটও কিনে দিতে পারে না । কমপ্লেক্সে ভোগে তারা । রান্না থেকে শুরু করে সব কাজে স্বামীর মনের মতো করে চলার চেষ্টা থাকে । না, সেটা ভালোবেসে নয় , ভয় করে । সে কেমন সংসার যেখানে বুনিয়াদ হলো। ভয় !!!
সংসারে Boss না হয়ে সঙ্গী হয়ে দেখুন সংসার কতো সুন্দর । বৌ কে সারাক্ষন বোঝাচ্ছেন আপনি সেরা , আপনি অন্ন-দাতা । আপনি পুরুষ আপনি স্বাধীন ।। কি লাভ হয় বলুন বেচারি কোনো দিন ভালোবাসলো না আপনাকে ভয় করে পার করলো জীবন ! রাক্ষস হতে কেনো এতো মোহো আপনাদের ??
স্বামী হওয়া সহজ । তবে প্রেমিক স্বামী হওয়া সহজ নয় । কাগজে সই করলেই স্বামী হওয়া যায় । বৌকে কৃতদাসী বানানো যায় । প্রেমিক স্বামী। হওয়া সহজ নয় । নিজের বৌকে প্রেমিকা বানিয়ে জীবনের পথে চলার সৌন্দর্য সবাই উপভোগ করতে পারেন না ।
৩১টি মন্তব্য
সকাল স্বপ্ন
শেষ টা অসাধারণ ছিল
লিখা বাস্তবিক এমন ই চাই,
শুভেচ্ছা এত ভাল লিখার জন্য
যা মানতাম তা আরেক টু ঝালাই করে নিতে পারলাম।
অভিনন্দন রইল
রোবায়দা নাসরীন
আন্তরিক ধন্যবাদ । অনুপ্রেরন পেলাম।
শুভকামনা রইলো।
সাবিনা ইয়াসমিন
সোনেলা ব্লগ পরিবারে তোমাকে সু স্বাগতম নাসরিন। অনেক সুন্দর একটি লেখা নিয়ে এসেছো। তোমার লেখা ও সহজ সুন্দর সাবলীল মন নিয়ে মিশে যাও সবার মাঝে। আজ থেকে এটা তোমারও ব্লগ।
লেখার আলোচনা নিয়ে পরে আসছি। খুব ভালো থেকো। ভালোবাসা অবিরত ❤❤
রোবায়দা নাসরীন
তোমাকে ধন্যবাদ।
তোমাদের আন্তরিকতা অসাধারণ ।
শুভকামনা।
জিসান শা ইকরাম
স্বাগতম আপনাকে সোনেলার উঠোনে,
প্রথমেই একটি ভালো লেখা নিয়ে আসলেন এখানে।
আমাদের চলমান সংসারে স্বামীরা স্ত্রীদের উপর প্রভুত্ব করে চলে, আর স্ত্রীরা তা মেনেই জীবন অতিবাহিত করে।
স্বামীরা স্ত্রীদের বন্ধু, প্রেমিক খুব কমই হয়।
এমন লেখা আরো চাই।
শুভকামনা, শুভ ব্লগিং।
রোবায়দা নাসরীন
আন্তরিক ধন্যবাদ।
যে কোনো সম্পর্কের বেইজটা বন্ধুত্বপূর্ণ
হলে সম্পর্ক সুন্দর হয় ।
শুভকামনা।
রিতু জাহান
এতো চমৎকার একটি লেখা নিয়ে আপনার সাথে পরিচিত হতে পেরে মুগ্ধ হলাম আমি।
অসাধারণ লিখেছেন।
যাস্ট অসাধারণ।
জীবনে আসলে মেয়েরা যখনই বৈচিত্র আনতে চাইবে তখনই কিন্তু সমালোচনার স্বীকার হব আমরাই। আমরাই করব সাধারণ এ গৃহ জীবনের সমালোচনা।
লেখায় আবারো আসব।
রোবায়দা নাসরীন
আন্তরিক ধন্যবাদ ।
আমি সত্যি মুগ্ধ ব্লগারদের আন্তরিকতায় ।
শুভকামনা রইলো।
শামীম চৌধুরী
যুগ যুগ ধরে এই নিয়ম বহমান। ভাঙ্গবেন কি করে এই সমাজে পুরুষের একপেশী স্ত্রীর উপর কর্তৃত্ব। আমি আমার বাবাকে দেখে এসেছি,বাবা তার বাবাকে দেখে এসেছেন। এভাবেই চলে আসছে অতীত থেকে বর্তমান। পুরুষ শাষিত সমাজে নারী হচ্ছেন অক্লান্ত পরিশ্রমের উপাদান। আর পুরুষ হচ্ছেন রোজগারের বাহাদুর। তাই প্রেম করার সময় কোথায় নিজের স্ত্রীর সাথে। আপনার লেখায় বক্তব্যগুলো কোন সিনেমা বা নাটকের জন্য উপযুক্ত হতে পারে। কিন্তু আমাদের সমাজে তার মিল খুজে পাওয়া বড়ই কষ্টকর। সুন্দর বাস্তবতা ফুটে উঠেছে আপনার লেখায়। বহুদিন পর এমন কথা আবার নতুন করে শুনলাম।
সেডরিক
প্রিয় ব্লগার,
আমি আপনার এই লেখাটির কিছু সমালোচনা করে আমি একটা লেখা দিয়েছি। ব্যাপারটায় আপনাকে অসম্মান করা বা আপনাকে ব্যক্তি আক্রমনের কোন উদ্দেশ্যই নেই। আপনার লেখাটির কিছু বিষয় আমার কাছে অন্যরকম লেগেছে তাই আমি এই বিষয়ে আমার মতামত লিখেছি। মতের অমিল তো থাকতেই পারে তাই না?
আপনি নতুন ব্লগার, আরো বেশি বেশি লিখুন। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
রোবায়দা নাসরীন
হ্যা আমি দেখেছি আপনার সেই লিখা । সেখানে মন্তব্য ও করেছি।
মতের অমিল তো থাকবেই । আমি মোটেও অসম্মানিত বোধ করছি না। বরং আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ একজন নব্য ব্লগারের লিখা পড়ার জন্য ।
অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ।
ইঞ্জা
সোনেলা ব্লগে স্বাগতম আপু, আপনি প্রথম লেখাতেই বাজিমাত করলেন সমসাময়িক বিষয় নিয়ে লিখে, এগিয়ে যান, লিখে যান, আমরা আছি আপনার লেখা পড়ার জন্য, শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো আপু। 😊
শুন্য শুন্যালয়
সুস্বাগতম আপনাকে সোনেলায়। দাঁড়ান ফুল নিয়ে আসি। 🌹🌹এই যে গোলাপ, লাল গোলাপ।
সোনেলাকে সুবাসিত করুন আপনার লেখা, আপনার দৃষ্টি দিয়ে, অভিজ্ঞতাকে দিয়ে।
আমাদের দেশে নারীরা এভাবেই হাজব্যান্ডের মাঝে প্রেমিক খুঁজে কৃতদাসী হয়ে কাটিয়ে দেয়। যে নারীরা সংসারের পাশাপাশি জব করে, তাদের অবস্থাও যে খুব এক আলাদা তা নয়। এসবের প্রতিবাদ করলে সংসার ভাংবে, এবং নারীরা হবে ডিভোর্সি, চরিত্রহীনা।
কিন্তু সময় পাল্টাবে, পাল্টাতেই হবে।
সুন্দর লেখাটির জন্য অভিবাদন।
মেহেরী তাজ
আপনার লেখাটা আগে পড়া দরকার ছিলো।
সোনেলা উঠানে আপনাকে স্বাগতম।
সুন্দর নয় আসলে অনেক সুন্দর ভাবে বলেছেন সমাজের অবস্থা আর একটি মেয়ের চাওয়ার মধ্যের পার্থক্য গুলোর কথা।
প্রথম লেখায় এতো পরিপক্ক যে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। নিয়মিত লিখুন। আপনার লেখা দ্বারা আমাদের সোনেলা কে আলোকিত করে রাখুন।
অপার্থিব
অতি দুর্বল পোষ্ট, পুরো লেখায় অসফল বা অসুখী বিয়ে বা সংসার জীবন সৃষ্টির পিছনে এক পক্ষীয় ভাবে পুরুষদের দায়ী করা হয়েছে কিন্ত কেন একটা সম্পর্ক অসফল বা অসুখী হয় তার কোন রুট লেভেলের এনালাইসিস নাই, ফেসবুকীয় পপুলিষ্ট ঘরানার লেখা বলা চলে।
সমাজে বিয়ের মাধ্যমে গড়ে উঠা সম্পর্কের সাথে উত্তরাধিকার সুত্রে পাওয়া সম্পর্কের সুনির্দিষ্ট পার্থক্য আছে। বিয়ের মাধ্যমে দুটো ভিন্ন পরিবারে, দুটো ভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক কাঠামোয় বেড়ে উঠা দুজন মানুষের মধ্যে সম্পর্ক তৈরী হয়। এই কারনে এই সম্পর্ক মেইন্টেইন করা অনেক কঠিন। একটা সম্পর্ক তৈরির সাথে সাথে কিছু রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনীতিক , সাংস্কৃতিক ক্ষমতা কাঠামো সেই সম্পর্কের সঙ্গে যুক্ত হয়। একটা সম্পর্ককে তখনই পরিপূর্ণ সার্থক বলা চলে যখন এই সম্পর্কের সঙ্গে যুক্ত ক্ষমতা কাঠামোয় দুই পক্ষের সমান নিয়ন্ত্রণ থাকে। আমাদের দেশে অধিকাংশ মেয়ে বিয়ের পর পরিপূর্ণ ভাবে গৃহিণী হয়ে যায়, সারাদিন সে অনেক কাজই করছে বটে কিন্ত পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এই কাজের কোন অর্থনৈতিক মুল্য নেই। অপরদিকে স্বামী তার কাজের মধ্য দিয়ে অর্থ উপার্জন করছে, স্ত্রী তার ভরণ পোষণের জন্য সম্পূর্ণ ভাবে স্বামীর প্রতি নির্ভরশীল অর্থাৎ অর্থনৈতিক ক্ষমতা কাঠামোয় স্ত্রীর কোন নিয়ন্ত্রণই নেই। যেহেতু তার কোন অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড নেই তাই অন্য ক্ষমতা কাঠামোগুলোয় তার তো নিয়ন্ত্রণ থাকার প্রশ্নই উঠে না। ফলে সম্পর্কের সঙ্গে যুক্ত পুরুষটির মধ্যে সুপিরিয়র ভাব শক্তিশালী হয়। এরকম আনব্যালান্সড সম্পর্ক তো অসফল হওয়াই স্বাভাবিক।
প্রতিটা নারী যখন নিজের পায়ে দাঁড়াবে, যখন সমাজে বিদ্যমান ক্ষমতা কাঠামো গুলোয় নারী পুরুষ উভয়েরই সমান নিয়ন্ত্রণ থাকবে তখনই নারী ও পুরুষের মধ্যে সত্যিকারের সফল সম্পর্ক গড়ে ঊঠবে, সম্পর্ক ধরে রাখার জন্য তখন আর বিশ টাকা খরচ করে বেলি ফুল কেনার প্রয়োজন হবে না।
জিসান শা ইকরাম
ব্লগে একজন নতুন ব্লগার আসলে বুঝতে হবে তিনি ক্লাস ওয়ানের ছাত্র। তাঁকে উৎসাহ দিয়ে পড়িয়ে, লিখিয়ে প্রকৃত ব্লগার হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের সবার।
কিন্তু ইদানিং লক্ষ করা যাচ্ছে যে একদম নতুন ব্লগারদের উৎসাহের পরিবর্তে মন্তব্য দিয়ে এমন ঘায়েল করা হচ্ছে যে, মনে হয় নতুন ব্লগারকে নয়, মন্তব্যকারী অনেক অভিজ্ঞ কোন ব্লগারকে মন্তব্য দিচ্ছেন।
এতে একেবারে অনভিজ্ঞ ব্লগার যে নতুন পোষ্ট দিয়ে কেবল ব্লগে পদার্পন করলেন, তিনি কি ব্লগে থাকবেন? নাকি ভয় পেয়ে চলে যাবেন?
একজন ব্লগার, লেখক বানানো অনেক কঠিন কাজ, একজন ব্লগারকে ব্লগ থেকে বিতারিত করা খুবই সহজ কাজ।
ক্লাস ওয়ানে পড়ুয়া একজন ছাত্রের কাছে অনার্স পড়ুয়া ছাত্রের আচরন আশা করা কি ঠিক?
জিসান শা ইকরাম
অপার্থিব, নাসরিন ফেইসবুকেই লেখে, মাত্র গতকাল আইডি করে পোষ্ট দিয়েছেন। তার লেখার দুর্বলতা গুলো বলে তাঁকে ব্লগার হিসেবে গড়ে তোলার কি কোণই দায়িত্ব নেই আমাদের?
এমন হলে তো কোনো নতুন ব্লগার সোনেলায় আসবেন না।
অপার্থিব
অধিকাংশ পাঠকের মত আমিও মন্তব্য করি লেখার কনটেন্ট বিচার করে, লেখক নুতুন না পুরাতন সেটা দেখি না, ক্লাস ওয়ান না অনার্স সেটাও না। আর ফেসবুকে লেখাকেও ছোট করে দেখি না, তবে পার্থক্য হচ্ছে ফেসবুকের লেখার ভাল মন্দ অধিকাংশ মানুষ যাচাই করে দেখে না, একটা লাইক দিয়েই চলে যায়। এটা প্রভাব ফেলে লেখকের মনস্তত্বে। এই কারনে আজকাল অনেক ফেসবুকীয় লেখাই পপুলিষ্ট ঘরানার।
মন্তব্যে তো লেখার দুর্বলতাগুলোই বলা হয়েছে, আরো একজন দেখলাম এই পোষ্টের সমালোচনা পোষ্ট লিখেছে যেটাও ভ্যালিড। এই সামান্য সমালোচনায় লেখক কি ভয় পেয়ে চলে যাবে?
সাবিনা ইয়াসমিন
লেখক ভয় পেয়ে চলে না গেলেও নিরুৎসাহিত হয়ে চলে যাবার সম্ভাবনা আছে অপার্থিব। একজন নতুন সদস্য যখন এখানে আসে, তখন আমাদের মাঝে মিশে যেতে তাকে কিছুটা সময় আমাদের দিতে হবে বৈকি।
জিসান শা ইকরাম
আজকাল সবাই ফেইসবুক মুখি, ব্লগের সোনালী সময় অতীত হয়ে গিয়েছে। এখানে যারা লেখা আরম্ভ করেন তাঁদের অনেকেরই লেখার কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। একদম নতুন। ফেইসবুকে টুকটাক লেখেন। লেখক বা ব্লগার তৈরীই আমাদের মূখ্য উদ্দেশ্য। আপনি আমার যে কোনো লেখার যত খুশি, যত ভাবে ইচ্ছে চেজ করে মন্তব্য করেন, আমার সমস্যা হবে না। কিন্তু একজন নতুন লেখক তা কি সহ্য করতে পারবেন?
মনে করুন শুন্য শুন্যালয়, সোনেলায় তার লেখার হাত খরি হয়েছে। তার প্রথম পোষ্টে আপনি যদি এমন মন্তব্য করতেন, তিনি কি দ্বিতীয় আর একটি পোষ্ট দিতে আগ্রহী হতেন? মেহেরী তাজ , সোনেলা তার প্রথম লেখার স্থান। প্রায় ৭০% নতুন এখানে। যারা এখন পরিপক্ক হয়েছে।
ব্লগ সম্পর্কে অনেকেরই ভীতি আছে। এই যে নাসরিন, ওনাকে ওয়াদা দিয়েছেন একজন মডারেটর, তাঁকে লেখায় উৎসাহ দেয়া হবে, সন্মান বজায় রাখা হবে।
আপনার মন্তব্য করার অবশ্যই অধিকার আছে। আপনি আপনার দায়িত্ব পালন করেছেন। আমাদের দায়িত্ব একজন নতুন ব্লগারকে তৈরী করে ধরে রাখা। আপনার সে দায়িত্ব বা দায় নেই।
শুভ কামনা।
রোবায়দা নাসরীন
আন্তরিক ধন্যবাদ।
আপনার সুচিন্ত মতামত আমাকে বেশ আপ্লুত করেছে । আপনার চিন্তার সাথে আমি সহমত । আর্থিক স্বচ্ছলতা নারী পুরুষ সবার দরকার। কিন্তু আমাদের সমাজে বেশ শিক্ষিত হয়েও নারীরা সংসার বা সন্তানের কথা ভেবে সংসারে মনোনিবেশ করে।
সন্তান কিন্তু নারী এবং পুরুষ দুজনেরই।
নারী গুলা কেন যে এই সব মায়া কান্না বাদ দিয়ে চাকুরি বাকুরি করে নিজেরে দাপটের সাথে সমাজে উপস্হাপন করে না , বুঝি না ।
সাবিনা ইয়াসমিন
লেখায় আলোচনা সমালোচনা থাকবে। বিশেষ করে ব্লগ আর ফেসবুকের মন্তব্যতে কিছুটা পার্থক্য অবশ্যই হবে। অপার্থিব এবং সেডরিক নাসরিনের লেখায় যে সমালোচনা করেছেন তা,শুধুমাত্র মন্তব্যকারী হিসেবে করেছেন।
আমাদের মনে রাখতে হবে, সোনেলা ব্লগ হলেও মূলত এটি একটি পরিবার। এখানে নতুনদের আমন্ত্রণ জানিয়ে আনা হয়। যারা লিখতে–পড়তে ইচ্ছুক তাদেরকেই আমরা এখানে আনি। সিনিয়র ব্লগারদের উচিৎ নতুনদের সহযোগিতা করা। কড়া সমালোচনায় যেতে হলে একজন নতুন লেখককে নুন্যতম কিছু সময় দিতে হয়। লেখক কে না জেনে–বুঝে হটাৎ করে তার লেখায় বিরুদ্ধ সমালোচনা করা কিছুটা অযৌক্তিক।
সোনেলার ইতিহাসে এটা বিরল ঘটনা হয়ে থাকবে, যেখানে নতুন একজন লেখক কে সম্মানের সাথে স্বাগত না জানিয়ে সমালোচনার সাথে গ্রহন করা হলো। আশা করছি আগামীতে এমন অনভিপ্রেত ঘটনা আর ঘটবেনা। ব্লগারদের আরো আন্তরিক হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
অপার্থিব
লেখকের সমালোচনা আর লেখার কনটেন্টের সমালোচনা এই দুটোকে গুলিয়ে ফেলছেন কি? মন্তব্যে কোথায় লেখককে অস্মমান করা হয়েছে একটু কাইন্ডলি দেখান? এখন তো মনে হচ্ছে কারো পোষ্ট পড়ার আগে ব্লগারের প্রফাইল চেক করে দেখতে হবে উনি নুতন নাকি পুরাতন!
জিসান শা ইকরাম
কে নতুন আর কে পুরাতন তা প্রফাইল চেক করে দেখতে হয়না। নিয়মিত যারা ব্লগার তারা লেখকের নাম দেখেই বুঝতে পারেন কে নতুন আর কে পুরাতন।
এ বিষয়ে আর মন্তব্য করতে ইচ্ছুক নই আমি।
সাবিনা ইয়াসমিন
ওটা করলে মন্দ হয় না। আমি নিজেই এটা করি। সোনেলা নিজের বাড়ি ছাড়া আর কিছু ভাবিনা। তাই নতুন নামের কোন আইডি থেকে লেখা বা কমেন্ট এলে আগে ঐ ব্লগারের প্রোফাইলে ঘুরে আসি। এতে আমার জন্য কমেন্ট আর রিপ্লাই দেয়া সহজ হয়ে যায়।
কথায় আছে, দেয়ালে বাড়ি দেয়ার আগে ইট চেক করে নেয়া ভালো।
অপার্থিব কি ক্ষেপে গেলেন নাকি !
অপার্থিব
বুঝতে পারছি প্রফাইল চেক করে বা নাম দেখে যদি বোঝা যায় যে নুতুন ব্লগার তাহলে এক ধরনের (যেমনঃ অসাধারণ লিখছেন) মন্তব্য লিখতে হবে আর এর বাইরে হলে আরেক ধরনের। ধন্যবাদ।
সাবিনা ইয়াসমিন
স্বাগতম 😂😂
তৌহিদ
প্রথমেই এত সুন্দর একটি লেখা দিয়ে আপনার সাথে পরিচিত হতে পারলাম ভেবে ভালো লাগছে আপু। লাল গোলাপ শুভেচ্ছা নিন🌹
লেখাটিতে সমাজের কিছু বাস্তব জিনিস নিয়ে এসেছেন। আমি পুরুষ বলে বলছিনা, আসলে অনেক পরিবারে পৌরুষত্ব ধরে রাখার জন্য পুরুষরা এরকম আচরন করে থাকেন। দোষ আসলে তার নয়। তার পারিবারিক, সামাজিক শিক্ষা এবং পুরুষ শাসিত সমাজব্যবস্থার।
আমরা পুরুষরা ছোটবেলা থেকেই নারীদের অনেক ক্ষেত্রে অবহেলিত হতে দেখি বলেই আমাদের চিন্তা চেতনায় সেই পৌরুষত্ব ভাবটি চলে এসেছে যুগ যুগ থেকেই। তবে এখন নারীরাও পিছিয়ে নেই। আর স্বামীরাও তাদের স্ত্রীকে বন্ধুই মনে করে।
নারীকে চাকুরীজীবী হতেই হবে এ কথাটি আমিও মানতে পারিনা। নারীকে নারীর প্রাপ্য মর্যাদা দেয়াই উচিত। দু’একজন নারী কিংবা পুরুষ ব্যতিক্রম থাকেই। তাদের উদাহরণ হিসেবে গণ্য না করাই উত্তম।
আর হ্যা, ব্লগে সমালোচনা হবেই। অনেকসময় অনেকে না বুঝেই নিজেকে নিয়ে হাম্বিতাম্বি করে। সবার যেমন মন্তব্য দেয়ার অধিকার আছে তেমনি আপনি এটাকে পজিটিভাবে গ্রহন করারও অধিকার রাখেন। এই অধিকার নিজের লিখনীতে প্রতিষ্ঠা করুন দেখবেন ক্লাস ওয়ান থেকে এক্কেরে ক্লাস টেন এ উঠে যাবেন। শিক্ষার শেষ নেই তাইনা?
ভালো থাকবেন আপু। পরের লিখা তাড়াতাড়ি দিন। পড়ার অপেক্ষায় থাকবো।
শুভকামনা জানবেন আপু।
মায়াবতী
সত্যি ই আমি খুব ই অবাক হয়েছি এভাবে একজন নতুন ব্লগার কে স্বাগতম জানানোর পন্থা দেখে! দুই বছর আগে আমি যখন সোনেলায় প্রবেশ করেছিলাম তখন জীশান স্যার আমাকে ছোট্ট একটা বাচ্চাকে যেভাবে একজন পরিপুর্ণ মানুষ তার হাত ধরে হাটতে শেখায় ঠিক তেমনি ভাবে ই এই সোনেলায় হাটা চলা ইক্টু ইক্টু করে শিখিয়েছেন। আমি কত যে স্যার কে ডিস্টার্ব করেছি তা বলার অপেক্ষা রাখে না অথচ আমার একটি মুহুর্তের জন্য ও কখনওই মনে হয়নি জীশান স্যার বিরক্ত হচ্ছেন উলটা উনার বিনয় আর ধৈর্য আমাকে ই লজ্জায় ফেলে দিয়েছে সময়ে অসময়ে….
সোনেলায় আসার আগে আমি কিছুদিন খুব প্রিয় অভিনেত অমিতাভ বচ্চনের কিছু কিছু ব্লগ রাইটিং পড়েছিলাম সেখান থেকে ই ব্লগার হওয়ার একটা ক্ষুদ্র ইচ্ছা হুট করে ই মাথায় এসে গিয়েছিলো আর এরপর সোনেলায় না জানি কিভাবে একটা সুযোগ পেয়ে গেলাম লেখার! জীশান স্যার আমাকে সব সময় বলেছেন, মায়াবতী আপনি মন খুলে লিখতে থাকেন যা ইচ্ছা তাই ই পাশা পাশি শুধু অন্য ব্লগার দের লেখা গুলো সময় করে পড়বেন… বাস… এ টুকু ই….
আমি বলছি না মাত্র দুই বছরের হাবি জাবি লেখা নিয়ে আমি একজন ব্লগার হয়ে গিয়েছি কিন্ত সোনেলায় লিখে আমি খুব আরাম পেয়েছি আর অনেক গুলো সোনার মানুষের সংস্পর্শ পেয়েছি। অথচ আজ এই সব দেখে আমি সত্যি ই খুব ভয় পেয়ে গেলাম 🙁
মন্তব্য বিশাল হয়ে যাচ্ছে….
নাসরিন আপু প্লিজ আপনি কিন্ত একদম ই ভয় পাবেন না। আপনার লেখায় এই সমাজের অনেক জটিল কিছু প্রকাশ পেয়েছে এই টা চরম সত্য। আপনি নতুন এসেছেন অনেক অনেক শুভ কামনা আর আদর ভালবাসার কোনো কমতি হবে না এখানে আপনার তাই নিশ্চিন্তে লিখেত থাকুন আর সোনেলায় আমাদের সবার সাথে মিশে যান ♥♥♥♥ ভাল থাকবেম আপু ♣♣♣
নীলাঞ্জনা নীলা
রোবায়দা নাসরিন আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি আমাদের এই সোনেলা নীড়ে। 🌻🙏
প্রথম পোস্টেই বুঝিয়ে দিয়েছেন ভবিষ্যতে আরোও ভিন্নধর্মী লেখা পাবো। আরোও সমৃদ্ধ হবে আমাদের এই সোনেলা।
এখন আমি লেখার বাইরে কিছু কথা বলতে যাচ্ছি। যে কোনো লেখা যখনই সকলের সামনে প্রকাশিত হয়, তখন তা পাবলিকের হয়ে যায়। তখনই সমালোচনা করার অধিকার জন্মে যায় পাঠকবৃন্দের। তাতে কিন্তু লেখকেরই লাভ। তার মানে হলো লেখকের লেখা মন দিয়ে পড়ছে পাঠকেরা।
এতো কিছু বলার কারণ, মন খারাপ করবেন না। ঠিক এমন কথা আমি আগেও একজনকে বলেছিলাম। আমাকে ভুল বুঝেছিলেন তিনি এবং অনেকেই। আপনার ভাবনার সিন্দুকে যথেষ্ট মূল্যবান লেখনীর বাস। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি আরোও লেখা পাবো।
অনেক ভালো থাকুন।
রোবায়দা নাসরীন
আন্তরিক ধন্যবাদ ।
অনুপ্ররণা পেলাম।
তবে আমি মন খারাপ করি নি !
মতের অমিল থাকবেই । আমি এবং আমার মতামত কখনোই ১০০% শুদ্ধ নয় ।