
জীবনের বাস্তবতা এক কঠিন যুদ্ধে অবর্তীন হওয়ার চেয়েও কঠিন।
ছোট বেলা থেকে শোনা কিছু প্রবাদ বাক্য বা মহান ব্যক্তির বানী কখনো কখনো পুরোপুরি মিলে যায় বাস্তবতার সাথে। কখনো বা কথা গুলোর গভীরত্ব বাস্তবতা সাথে মিলে না।তবুও জীবনের ছন্দে জীবন চলে যায়।
” পড়া লেখা করে যে গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে”
এই প্রবাদ বাক্যটি ছোট থেকে অজস্রবার শুনে আসছি।ভাবতাম সত্যিই বুঝি তাই হয়। কিন্তু আজকাল বাস্তবতা ভিন্ন কথা বলে। অনেকে আছে যারা ছোট থেকে মেধার সাথে সকল পরীক্ষায় উর্ত্তীন হয়ে চাকরি নামক যুদ্ধে অবর্তীন হয়। সেখানে ভালো করে সরকারি প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হয়ে সাধারণ জীবন – যাপন করে। চার চাকার গাড়ি তার কাছে দূর্লভ!
পক্ষান্তরে অসত্য ভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করে চার চাকা না শুধু ব্যক্তিগত বিমানের ও মালিক হয়।
বাস্তবতার সাথে না মিলও পড়াশোনা করতে হবে এ-র ছাড়া উপায় নেই।
সুকুমার রায়ের বিখ্যাত কবিতা “জীবনের হিসাব” আমার একটি প্রিয় কবিতা। সেখানে বিদ্যাবোঝাই বাবু মশাই একটু পর পর অশিক্ষিত মাঝি কে নানা প্রশ্ন করে বিব্রত করে ফেলে।
কেন জোয়ার আসে? কেন চাঁদ বাড়ে -কমে? কেন সাগরের পানি লোনা?
বৃদ্ধ মাঝির কাছে এগুলো খুবই অপমান জনক কারন উত্তর তার কাছে অজানা! তাই বাবু মশাই তাকে বারো আনা জীবন বৃথা বলে।
ক্ষানিক বাদে যখন ঝড় উঠে বৃদ্ধ মাঝি বাবু মশাই কে জিজ্ঞেস করে সে সাঁতার জানে কিনা?
বাবু মশাই না সূচক মাথা নাড়ে বৃদ্ধ মাঝি তাকে ষোলো আনা জীবন বৃথা বলে।
কারন বাবু মশাইর বাস্তব জ্ঞানের অভাবে মরতে হবে।
জীবন টা আসলে এমনই বাস্তব শিক্ষা যার যত বেশি বর্তমানে সেই এগিয়ে যাচ্ছে। বাস্তবতার কাছে হেরে গেলে সব শেষ।
২১টি মন্তব্য
হালিমা আক্তার
অভিজ্ঞতা এবং বাস্তবতা এর উপরে কোন শিক্ষা এক সময় আর কাজ করে না | যে জীবন বাস্তবতাকে স্পর্শ করে , সে জীবন সফলতার শীর্ষে আরোহন করে | খুব ভালো লাগলো | শুভ কামনা |
পপি তালুকদার
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
বন্যা লিপি
স্বশিক্ষিত আর পুঁথিগত বিদ্যার্জন বলে একটা কথা আছে। আপনার পোষ্ট পড়ে সেটাই সারমর্ম মনো হলো। গোটা কয়েক সার্টিফিকেট অর্জন করলেই যদি গাড়ি ঘোড়ায় চড়া যেত! তাহলো ঢাবি পাশ করা ছাত্র ট্যাক্সি চালক হয়ে জিবীকা নির্বাহ করত না। আবার একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীতে লাখ টাকা বেতনভুক উপদেষ্টা নিয়োগ হতোনা স্বশিক্ষিত কোনো যুবকের।পড়াশোনার বিকল্প নেই যেমন! তেমনি পড়াশোনা সঠিক পদ্ধতিতে করা গেলে গোমূর্খরা প্রাইভেট প্লেন কেনার কথা ভাবতে গেলে দশবার ভাববে। যার উদাহরন আমাদের দেশে ভুঁড়ি ভুঁড়ি আছে। যোগ্যতার যোগ্য অধিষ্ঠান আমার বাংলায় খুব কম।এটা চরম বাস্তবতা।
পপি তালুকদার
সহমত পোষণ করছি।যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্য স্থান দেবার জন্য যে মাপকাঠি ব্যবহার করা হয় সেখানেই সমস্যা রয়েছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
বাস্তবতা অনেক কঠিন।
কালের বিবর্তনে ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন হচ্ছে বাস্তবতার রূপ।
অন্তর স্বচ্ছ রেখে বাস্তবতার সাথে লড়াই করা অতি দুরুহ।
আন্তরিক শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
পপি তালুকদার
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাস্তবতার কাছে হেরে গেলে জীবনের স্বার্থকতা কি!
বাস্তব সম্মত জ্ঞান নিয়ে জীবন চালিয়ে যাওয়া উচিত।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সুশিক্ষিত লোকের বড় অভাব এজন্য আমাদের সমাজ ব্যবস্থা, পরিবার বহুলাংশে দায়ী। খারাপ রেজাল্ট করেও বাস্তবতার নিরিখে যে নিজেকে চালাতে পারে সেই হয় সমাজপতিদের একজন, সমাজের উচ্চ কাতারের লোক। কেতাবি বিদ্যা দিয়ে সমাজের উঁচুস্তরে পৌঁছানো যায় বলে আমার জানা নেই। আজকাল তো সম্পদ আর টাকার মাপকাঠিতে মানুষের মূল্যায়ন করা হচ্ছে। তাহলে সেখানে পুঁথিগত শিক্ষা কিভাবে ভালো থাকবে যেখানে এই বিদ্যায় অনেক সময় পেট চালানোই দায়? শিক্ষিত লোকদের জন্য যোগ্য কাজের অভাব তার উপর পড়াশোনা করে এক বিষয়ে কাজ পায় অন্য বিষয়ে। এটাই বাস্তবতা। অফুরন্ত শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো। ভালো থাকুন নিরাপদে থাকুন। শুভ সকাল
পপি তালুকদার
যথার্থ বলেছেন দিদি।রাষ্ট্র দ্বারা নির্ধারিত শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের বাস্তব জীবনকে বেশ কঠিন করে তুলেছে।শিক্ষা গ্রহনের পদ্ধতি ও চাকরির ধরন আলাদা। সুন্দর সমন্বয় করে ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত এটা সময়ের ও দাবী।
ছাইরাছ হেলাল
সঠিক কথাই বলেছেন, বাস্তবতা অনেক কঠিন, তবে কে তা কীভাবে সামাল দিতে পারছে/পারবে
তার উপর অনেক অনেক কিছুই নির্ভর করে।
আর লেখাপড়ার সাথে গাড়ী ঘোড়ার যোগ হয়ত আছে বা নাই-ই।
পপি তালুকদার
পড়াশোনার সাথে বাস্তব জ্ঞানের কোনো সম্পর্ক নেই।বাস্তব শিক্ষিত হলে জীবন কোনো না কোনো ভাবে চালিয়ে নেয়া যায়।
রোকসানা খন্দকার রুকু
একনম্বর আর সেরা এক নয়। এটা আমরা বুঝি না। সমাজ পতি মানেই সব কিছু এমনটা নয়।
সুন্দর লিখলেন। এমন লেখা আরও চাই!!
শুভ কামনা।
পপি তালুকদার
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনিঃশেষ ধন্যবাদ।
নার্গিস রশিদ
আমার মতে আমাদের দেশে যে পড়াশুনা পদ্ধতি চালু আছে তার সঙ্গে আরও কিছু যোগ করা উচিৎ যা দ্বারা মানুষ করে খেতে পারবে । হাতেনাতে কাজ শেখা, বা কোন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করা এখন সময়ের দাবী। পুঁথিগত বিদ্যা বা সিলেবাস ছাড়া অন্য জ্ঞান অর্জন না করা। কোচিং সেন্টার প্রদত্ত নোট মুখস্ত করে পরীক্ষায় ঢেলে দিয়ে আসা এগুলো করে শুধু সার্টিফিকেট অর্জন করা যায় প্রকিত জ্ঞান অর্জন করা যায় না ।
পপি তালুকদার
সুন্দর ও যথার্থ বলেছেন।সময়ের দাবী শিক্ষা ব্যবস্থার ধারা পরিবর্তন।
ভালো থাকুন।
আরজু মুক্তা
বাস্তবমমুখি হতে হবে। কাজ অনুসারে পড়াশোনা করতে হবে। তবে আমাদের দেশের এই ত্রিমুখী ধারা সমস্যা। একমুখী শিক্ষা দরকার। সেিসাতে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব বুঝতে হবে।
শুভ কামনা সবসময়
পপি তালুকদার
সহমত আপু।ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
তৌহিদুল ইসলাম
আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি জীবনে পড়াশোনার জ্ঞানের চেয়ে বাস্তব জ্ঞানের মূল্য অনেক বেশি। একজন ইন্টার পাশ ছেলেকে দেখেছি মাস্টার্স পড়ুয়া লোকদের বস হতে। কারণ কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করার জন্য আপনার সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন হয়, কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার দাম সবচেয়ে বেশি।
সুন্দর পোষ্ট লিখেছেন, শুভ কামনা সব সময়।
পপি তালুকদার
ঠিক বলেছেন এমন কিছু অভিজ্ঞতা মাঝে মাঝে শুনি বা দেখি।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ভাইয়া।
তৌহিদুল ইসলাম
ভালো থাকবেন আপু।
আশরাফুল হক মহিন
চমৎকার লেখনি প্রিয় কবি শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য
আশরাফুল হক মহিন
কখনো বা কথা গুলোর গভীরত্ব বাস্তবতা সাথে মিলে না।তবুও জীবনের ছন্দে জীবন চলে যায়।
বাহ অসাধারণ লিখনী প্রিয় কবি ।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য।