” মা-বাবারা আমাদের একটু সাহায্য করেন। সারারাত কিছু খাইনি, আপনাদের বাসি খাবার গুলো দিয়ে আমাদের একটু সাহায্য করুন ” এভাবে ডেকে এলাকার অলি-গলির দ্বারে দ্বারে ঘুরছে ক্ষুধার্ত মানুষেরা।
প্রায় সপ্তাহ খানেক ধরে, প্রতিদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা, কখনো কখনো রাতের প্রথম অংশ- অব্দি চারদিক থেকে ভেসে আসে ক্ষুধার্ত মানুষের আর্তনাদ। সকালের দিকে যারা আসে তারা সাধারণ ভিক্ষুক, নারী পুরুষ। স্বাভাবিক সময়ে এদের অল্পকিছু মানুষ বাড়ি বাড়ি ঘুরে আর বেশিরভাগেরা চলতি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে/ বসে পথচারীদের কাছ থেকে ভিক্ষা/ সাহায্য নিতো। এখন রাস্তায় পথচারী নেই, তারা আসে বাড়িতে বাড়িতে। এদের মুখে মাস্ক থাকেনা। যাদের পায়ের স্যান্ডেলের ফিতা ছিড়ে যায়, পরনে থাকে শতচ্ছিন্ন কাপড়চোপড়, তারা মাস্ক পরবে কিভাবে!
দুপুরের পর আসে আরেকদল। তাদের কণ্ঠেও একই আর্তি। ” আমাদেরকে একটু সাহায্য করুন “। এরা নারী। বিভিন্ন বয়সের। কেউ মধ্য বয়স পেরিয়েছে, কেউ যুবতী, কেউ কেউ সদ্য কিশোরী। কারো হাতে/কোলে ছোট ছোট বাচ্চা। এইমুখ গুলো মোটামুটি পরিচিত। মহামারীর আগে তারা যে যার মতো স্বাবলম্বী জীবন কাটাচ্ছিলো। বাসা-বাড়ির কাজ, দিন মজুরের কাজ, ফুটপাতে এটা-সেটা বিক্রি করে তাদের দিনগুলো কোনো ভাবে পার হয়ে যেতো। কিছু লজ্জা/আত্মসম্মান ছিলো তাদের। কিন্তু পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে তারাও এখন দ্বারেদ্বারে ঘুরছে সাহায্যের আশায়। লজ্জা দিয়ে ক্ষুধা ঢেকে রাখা যায় না।
আরও কিছু মানুষ বেঁচে আছে বেঁচে থাকার নামে। যাদের মাস শেষে নির্দিষ্ট বেতন নেই, তারা নিজেদের উদ্যোগে ঘরে থেকে আয় করার পথ বের করেছিলো। আবার তাদের কেউকেউ বাড়ি বাড়ি টিউশনি করে অথবা ছোটছোট স্কুলে/ কোচিং সেন্টার গুলোতে নামমাত্র বেতনে চাকরি করে নিজেদের জীবন-সংসার টিকিয়ে রাখতো। এরা কারো কাছে কিছু চাইতে পারে না। খুব কাছের মানুষের ছাড়া তাদের দুরবস্থার কথা কাউকে জানায় না। আত্মমর্যাদা তাদের গলা টিপে ধরে। লজ্জা/ আত্মমর্যাদা তাদেরকে আত্মহত্যার দিকে নিয়ে যাবে, তবু্ও মুখ ফুটে নিজেদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করতে পারে না। তারা বেঁচে আছে মৃত্যুর অপেক্ষায়।
৭১ এর যুদ্ধ দেখিনি, যুদ্ধ পরবর্তীর দুর্ভিক্ষের কোনো কিছুই স্বচক্ষে দেখিনি। ছবিতে দেখেছি, বড়োদের কাছে শুনেছি, বইতে পড়েছি, অনুমান করে নিয়েছি। কিন্তু এখন আমরা আমাদের চারপাশে মৃত্যু-ক্ষুধার এখন যেসব রূপ দেখতে পাচ্ছি তার সাথে ঐসব অনুভব-অনুভূতির কোনো মিল পাই না। শুধু উপলব্ধি করছি, বাস্তব ভয়াবহতা সব জানা/শোনা/কল্পনার ঊর্ধ্বে অবস্থান করে।
কারো মৃত্যু সংবাদ পেলে সর্বপ্রথম মুখ থেকে বের হওয়া শব্দগুলো ( ইন্না-লিল্লাহ ) আগে উচ্চারণ করতাম বেদনাহত হয়ে। এখন, বিড়বিড়িয়ে বলে যাই। চমকে উঠি মসজিদের মাইকে প্রতিটি নাম ঘোষিত হওয়ার পর।
“ ইনিও চলে গেলেন! এইতো সেদিন তাকে হেটে যেতে দেখেছি, একদম সুস্থ ছিলেন ”…..।
ছোট থেকে যাদের শাসন-আদরে অথবা দেখে-দেখে বড়ো হলাম, হঠাৎ করেই যেন সেইসব প্রাচীন বৃক্ষগুলো কেউ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। আশ্রয়ের আগল হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের উপর থেকে। ছায়াহীন, মায়া-হীন হয়ে যাচ্ছে এই চিরচেনা পৃথিবীটা।
দিনের শোকগাথা থেমে থাকেনা রাতেও। রাত যেন নিজের সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলেছে। রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে ভেসে আসে স্বজন হারানোর আর্তনাদ। হুহু করে ছুটে আসা বাতাসটা ক্রমাগত ভারী হতে হতে বুকের ভেতরটা শূন্য করে দিতে চায়। হাস্নাহেনার সুগন্ধ আরও আতংক ছড়িয়ে চঞ্চল করে দেয় নির্ঘুম রাত।
কবে ফুরাবে এই অন্ধকার? এই জীবনেই কি আসবে আলোকিত ভোর? এমন একটা রাত কি আসবে, যে রাতের বাতাসে থাকবে না মৃত্যুর গন্ধ-ক্ষুধার্তের আর্তচিৎকার…..?
৩২টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
শুধু বাতাসে নয় সবখানেই মৃত্যু অনুভূত হচ্ছে। কি যে ভয়াবহ অবস্থা।যারা কোনো রকমে কিছু করে খাচ্ছিল তাদের অবস্থা এখন নাজুক। আপনার লেখায় সব চোখের সামনে ভেসে উঠলো। মাইকে মৃত্যুর খবর শুনলেই মনে হয় করোনার কথা। স্বাভাবিক অবস্থা এখন আর নেই কারো মধ্যে, সবই অন্যরকম লাগছে। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
সাবিনা ইয়াসমিন
ঠিক তাই হচ্ছে, মৃত্যুর ঘোষণা গুলোকে এখন আর স্বাভাবিক মনে হয় না। মনেহয় এইসব মৃত্যুর জন্যে এই করোনাই দায়ী। অনিশ্চিত একটা দমবন্ধ পরিবেশ, মানসিক অস্থিরতা আমাদের কাউকেই ভালো থাকতে দিচ্ছে না। আমরা জানি মৃত্যু এক অমোঘ সত্যের নাম, তবু্ও নির্বিশেষে এত মানুষের অনাকাঙ্ক্ষিত চলে যাওয়া মেনে নিতে পারি না। অভাবের তাড়নায় কষ্টে থাকা মানুষদের আর্তনাদ সহ্য করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছি। যতই চাই ভালো থাকি/ থাকুন, কিন্তু বাস্তবতা হলো আমি / আমরা কেউ ভালো নেই।
তৌহিদ
চারপাশে যেন শুধু শোকের মাতম। এই আছে কেউ এই নেই। মানুষ ক্ষুধার তাড়নায় অন্যায় করতেও দ্বিধা করছেনা। কেউ ঘরে সুখে আছে আবার কেউ বাইরে আছে শোকে। কবে যে এই অসহনীয় দিন চলে যাবে কেউই জানিনা।
ভালো থাকুন আপু।
সাবিনা ইয়াসমিন
মৃত্যুভয়, অভাব, ক্ষুধা, অবরুদ্ধতা, সব একযোগে হানা দিয়ে জন দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব বিস্তার করছে তৌহিদ ভাই। মানুষের মানসিকতার মাঝে দিনদিন অস্বাভাবিকতা দেখা দিচ্ছে। কত নৃশংস ঘটনা ঘটে চলেছে এই এক মহামারীকে কেন্দ্র করে! আমরা কেউ জানিনা এর শেষ কোথায়। যিনি সকল ক্ষমতার মালিক সেই পরম করুণাময়ের কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন তার সৃষ্টিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচিয়ে তোলেন।
প্রদীপ চক্রবর্তী
পৃথিবী জুড়ে চলছে শোকের মাতম।
কবে থামবে এ ভয়াবহ পরিস্থিতি একমাত্র সৃষ্টিকর্তা জানে। মানুষ হারাচ্ছে তার আপনজনকে।
এক মুহূর্ত দুচোখ ভরে কেউ কাউকে দেখতে পারছেনা।
কবে যে পৃথিবী আবার সুস্থ হয়ে উঠবে?
সে অপেক্ষায় অধিরাগ্রহে চেয়ে থাকি।
পৃথিবী তাঁর স্বগর্ভে ফিরে আসুক।
ফিরে আসুক শান্তি।
শুভকামনা দিদি।
সাবিনা ইয়াসমিন
ঘরে ঘরে এখন শোকের মাতম। বর্তমানে এমন কোন পরিবার নেই যেখানে কেউ অসুস্থ হয়নি বা নিকটজন হারায়নি। পরিচিত/ অপরিচিত কত মানুষ চিরতরে বিদায় নিলেন এই কদিনে। বাকিরা আতংকিত, শোকাহত হয়ে দিন পার করছেন। তাদের নিকটজনেরা পারছে না ঠিকঠাক মতো কাছে গিয়ে সান্ত্বনা দিতে। স্বজন হারানোর ব্যাথা কোন সান্ত্বনাতেই লাঘব হয়না। আত্মীয় স্বজনরা পারছে না অসুস্থদের সামনে এগিয়ে গিয়ে / হাত ধরে সাহস, অভয়বাণী দিতে।
আমরা চাই বা না চাই, শান্ত পৃথিবীর অপেক্ষা করেই থাকতে হবে প্রদীপ।
ফয়জুল মহী
অনিন্দ্য সুন্দর কথামালা দিয়ে সাজিয়েছেন লেখাটা।
সাবিনা ইয়াসমিন
যা অনুভব করছি, যেসব বাস্তবতা উপলব্ধি করছি তার শতভাগের একভাগও লেখা সম্ভব না মহী ভাই। নির্মম বাস্তবতার কথা আর যাই হোক সুন্দর কথামালা নিয়ে সাজানো যায় না।
মতামতের জন্যে ধন্যবাদ আপনাকে।
নিতাই বাবু
আমিও মৃত্যুর দুয়ার থেকে আপনার লেখা পড়ে মন্তব্য করছি। হয়তো আমারও সময় ফুরিয়ে আসছে। কয়েক ঘণ্টা পরই মনে হয় মৃত্যুপুরীতে প্রবেশ করতে হবে।
শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় দিদি।
সাবিনা ইয়াসমিন
মৃত্যুর দুয়ারে আমরা সবাই দাঁড়িয়ে আছি দাদা। কেউ জানিনা কখন কার ডাক আসবে। হতে পারে এটি আমারও শেষ লেখা। অনিশ্চয়তার মাঝে শুধু একটা একটা দিন পার হচ্ছে, আর আমরা গুনে যাচ্ছি আরেকটা দিন বেঁচে থাকার আশা নিয়ে।
সৃষ্টিকর্তা সবার সহায় হোন, ভালো রাখুন সবাইকে, এটাই প্রার্থনায় রাখি।
ছাইরাছ হেলাল
সত্যি সত্যি মৃত্যুর স্পর্শ পাচ্ছি। এক নিকট প্রতিবেশীর পরপার যাত্রার খবর পেলাম।
অন্য সময়ের থেকে এখনার এমন সংবাদে আতঙ্কিত বোধ করি,
বিধাতার কাছে সবার মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা জানাই।
আপনিও ভাল থাকবেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
এখন স্বাভাবিক মৃত্যুর সংবাদ গুলোও অস্বাভাবিক আতংকিত হয়ে শুনতে হয়। মনেহয় মৃত্যুর দূত কানের কাছে বসেই নিঃশ্বাস নিচ্ছেন, এই বুঝি আমাকেও ডাক দিবেন 🙁
মহারাজ, ঐ অসম্ভব অনুভূতির বর্ণনা করা খুব কঠিন।
আরজু মুক্তা
নিশ্চয় আলোকিত ভোর আসবে
সাবিনা ইয়াসমিন
ইনশাআল্লাহ। আমরাও সেই অপেক্ষায় দিন গুনছি।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
করোনা সারা পৃথিবীকে পালটে দিয়েছে। বিশ্বময় বাতাসে লাশের গন্ধ। সঙ্গে যোগ হয়েছে কাজ কর্মহীন মানুষের ক্ষুধা। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। ধন্যবাদ।
সাবিনা ইয়াসমিন
যাতনাময় দিন কাটাতে হচ্ছে সবার। আতংক, মৃত্যুভয়, চিকিৎসাহীন, কর্মহীন, ক্ষুধাময় পৃথিবী এখন বধ্যভূমিতে পরিনত হয়ে যাচ্ছে। একমাত্র সৃষ্টিকর্তার করুণার উপরেই সব কিছু নির্ভর করছে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের ক্ষমা করুন। আমীন।
হালিম নজরুল
ছোট থেকে যাদের শাসন-আদরে অথবা দেখে-দেখে বড়ো হলাম, হঠাৎ করেই যেন সেইসব প্রাচীন বৃক্ষগুলো কেউ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। আশ্রয়ের আগল হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের উপর থেকে। ছায়াহীন, মায়া-হীন হয়ে যাচ্ছে এই চিরচেনা পৃথিবীটা।
——————–চলে যাবার এই মিছিল দেখে সত্যিই খুব আতংকিত হচ্ছি।
সাবিনা ইয়াসমিন
চলে যাওয়ার কষ্ট গুলোও এখন আতংকের মাঝে ঢেকে যাচ্ছে। আমরা আমাদের অসহায়ত্ব নিয়ে নির্বাক বধির হয়ে দিন কাটাচ্ছি। জানিনা এর শেষ কোথায়।
কামাল উদ্দিন
তৃতীয় ধাপের লোকগুলো সত্যিই ভয়াবহ বিপদের সম্মুখ্খীন। এদের পাশে আমাদের প্রত্যেকের সাধ্যানুযায়ী দাঁড়ানো উচিৎ। তবে এই দুঃসময় থাকবেনা, এখন শুধু মনে একটু সাহস রেখে জীবনটাকে টেনে আলোর দিকে নিয়ে যাওয়াটাই জরুরী। আর সাবধানতাই আমাদের এই চলে যাবার মিছিলের গতি কিছুটা হলেো শ্লথ করতে পারে। ভালো থাকবেন আপু।
সাবিনা ইয়াসমিন
অব্যাবস্থা তৃতীয় ধাপের মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর প্রধান অন্তরায়। সব অন্ধকার দুর হয়ে কতদিন পরে আবার আলোর মুখ দেখবো কে জানে।
ততদিন আমরা সাবধানের সাথে বেঁচে থাকার লড়াই করব।
মাহবুবুল আলম
সত্যি ক্ষুদার্থ মানুষের আর্তনাথ হৃদয় বিদারক।
সরকারের সাহায্য বা প্রণোদনার বাই ৯৫% মানুষ।
ইমাম মোয়াজ্জিনরা সাহায্য পাচ্ছে, কিন্তু প্রাইভেট স্কুলগুলোতে কর্মরত কয়েক লক্ষ শিক্ষক কর্মচারী মানবেতর জীবন যাপন করছে।
চক্ষু লজ্জায় কারো কাছে হাত পাততে পারছে না।
হয়তো একদিন তারাও একমুঠো ভাতের জন্য রাতের আাঁধারে বেরিয়ে যাবে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মানবিক এ পোস্টটির জন্য।
সাবিনা ইয়াসমিন
এই শ্রেনীর মানুষের আত্মমর্যাদা এবং চোক্ষু লজ্জা বেশি। কেহই জানবেনা এরা কতটা কষ্টের মাঝে দিন যাপন করছেন। কতটা সহ্য করতে পারবে এরা তা ভবিষ্যতই বলতে পারবে।
সুপায়ন বড়ুয়া
বাতাসে লাশের গন্ধ
কানে বাজে ক্ষুধার্ত মানুষের আহাজারী
বেদনায় মানুষ নীল
শোকার্ত মানুষের আত্ননাদে বাতাস ভারী।
স্বজন হারানোর কান্নায়
চাপা পড়ে যায় হতাশার চোরা বালি
আনান্দাশ্রু মিশে যায়
বেদনার উপত্যকায় চোখে পড়ে যায় কালি।
ভালো থাকবেন। এই কামনায়।
সাবিনা ইয়াসমিন
দিন দিন ভারী হয়ে যাচ্ছে এই মৃত্যু গন্ধ,
আশার প্রদীপ ক্ষনে ক্ষনে নিভে যায়।
ভালো থাকুন দাদা সবাইকে নিয়ে।
এস.জেড বাবু
গভীরতর অনুভুতির গন্ধ পাচ্ছি।
আপনার মমতায় মানবতা বসত করে।
চমৎকার ভাবে তা ফুটে উঠেছে কথায়।
সাবিনা ইয়াসমিন
কাব্যিক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ বাবু ভাই।
ভালো থাকুন, নিরাপদে থাকুন।
জিসান শা ইকরাম
স্বাভাবিক ভিক্ষা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, অর্থাৎ ভিক্ষুক ছিলই না বলতে গেলে। এখন প্রতিদিনই প্রচুর ভিক্ষুক আসে বাসায়। দুপুরের পরে এমন কিছু ভিক্ষুক আসেন, যারা ভিক্ষুক নন, তাদের চেহারা এবং কথাতেই বুঝা যায়।
এরা তো তবু বাসায় বাসায় গিয়ে চাইতে পারছে। কিন্তু অনেক পরিবার আছে যাদের আয় রোজগার একদম বন্ধ। আত্মসন্মানের জন্য কারো কাছে হাত পাততে পারছেন না। এনারা ধারনাতীত কষ্টের মাঝে আছেন।
দেশ একটা সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষের কবলে পরতে যাচ্ছে হয়ত।
মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘতরই হচ্ছে কেবল। এসব দেশে শুনে মানসিক শক্তি হাড়িয়ে ফেলেছি আসলে।
সব কিছু ছাপিয়ে নতুন ভোর আসুক, এ প্রত্যাশা আমাদের সবার।
অপেক্ষা নতুন ভোরের নতুন আলোর।
সমসাময়িক বিষয় নিয়ে চমৎকার পোষ্ট।
শুভ কামনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
করোনায় অনেক কিছুই পালটে যাবে আমাদের সমাজের। নতুন ভোরের অপেক্ষায় আছি।
ভালো থাকবেন।
সাদিয়া শারমীন
চারপাশের অবস্থা বেশ খারাপ।অসহায় মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সবাই চেষ্টা করছে সাধ্য মতো সাহায্য করার কিন্তু তাও যেন পর্যাপ্ত নয়। আল্লাহর কাছে দোয়া করি এই অবস্থা থেকে আমাদের রক্ষা করুক । আপনার ভাবনা এবং লেখা মন ছুঁয়ে গেল।
সাবিনা ইয়াসমিন
আল্লাহই একমাত্র পারেন এই চরম বিপদ হতে আমাদের মুক্ত করতে।
ভালো থাকবেন আপু।
সঞ্জয় মালাকার
শুধু বাতাসে নয় সবখানেই মৃত্যু অনুভূত হচ্ছে।
মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘতরই হচ্ছে কেবল
কে মরি আর কে বাঁচি,
এ-নিয়ে চিন্তা কেবল।
ভালো থাকবেন দিদি শুভ কামনা 🌹🌹
সাবিনা ইয়াসমিন
আপনিও ভালো থাকবেন দাদা। নিরাপদে থাকবেন। শুভ কামনা।