হঠাৎ বজ্রের বজ্র হুংকারে/চিৎকারে
বাজের চোখ-ধাঁধানো ঝলকে/বলকে
বিস্ময়ে বিস্মিত হয়েছি;
গোত্তা খেয়ে/মেরে ত্রিশূল ফাঁদে আটকে যেতে দেখেছি,
থেকে-থেকে দেখে-দেখে চোখের মাঝে আঁটকে পড়েছি;
বিস্ময়ের চমকে-ঠমকে থমকে গেছি,
বাক হারা হানি।
হুট-হাট বজ্র আর ত্রিশূলের বিযুক্ততা থেকে
যুক্ততা দেখছি, চোখের পলকে, যখন তখন;
দপ করে নিভে যাওয়া নেতিয়ে পড়ে কুই কুই করা
আকস্মিক কিন্তু অমোঘ পরিণতি
তাও;
হায় ত্রিশূল
হায় বাজ!!
চুব খেয়ে ডুবে যাওয়া
আলুথালু উদ্বাহু-তায় খামচে ধরা,
শব্দ-আলো কেলির অকস্মাৎ হারিয়ে যাওয়া
সুনসান নীরবতা;
=================================================
ত্রিশূল—সুউচ্চ অট্টালিকার মাথায় বসানো সূচালো ত্রিমুখী/বহুমুখী ধাতু শলাকা, যা বজ্র নিরোধ করে, (Lightning Arrestor)
১৫টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
প্রতিদিন ভেঙ্গে ভেঙ্গে নুয়ে পড়ি
প্রতিদিন আবার উঠে দাঁড়াই
হাতের মুঠোয় পুরে নেই রোদ
দেখি আঙুল গলে ঝরে পড়ছে বৃষ্টি
প্রতিদিন আশারা হতাশ হয়
স্বপ্নগুলো হয় ক্লান্ত
বড়ো একা লাগে, সহায়হীনতায় ভুগি
পরক্ষণেই জড়িয়ে ধরি নিজেকে
প্রতিদিন নিজেকে একা করি এবং প্রতিদিনই একটু একটু করে সাহসী হয়ে উঠি।
উঠে দাঁড়াই।
হেরে যেতে যেতেও হেরে যাইনি আমি।
ছাইরাছ হেলাল
এখানে দিলাম না।
তবে দেব শিঘ্রই।
না না হারাহারিতে থাকা যাবে না।
নীলাঞ্জনা নীলা
দিয়ে দিন। অতো কঞ্জুসামি করেন ক্যান?
আগে কন কবে দিবেন? না দিলে কইলাম রোজ লেইখ্যা লেইখ্যা জ্বালাইয়া খামু। 😀
ছাইরাছ হেলাল
আমি-ই কঞ্জুস!!
এত্ত এত্ত কাব-জাব তা-ও অপবাদ!!
আপনি ভালোয় ভালোয় বেরিয়ে আসুন, লেখা পেয়ে যাবেন।
ইঞ্জা
অসাধারণ বজ্র কাব্য, মুগ্ধ হলাম ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
যাক, আপনাকে অন্তত মুগ্ধতার আওতায় আনতে পেরেছি!!
লেখা-লুখা দেন না ক্যান!
ইঞ্জা
ধন্যবাদ ভাই, আসলে গত বছর আম্মাকে হারানোর পর লেখা যেন কোন ভাবেই আসছেনা, মনটা ভালো থাকেনা ভাই। 🙁
মৌনতা রিতু
হোঁচট খেয়ে আবারো ঠেলে উঠি হাতে ঠেস দিয়ে। চারিদিকে তাকিয়ে কোলাহলটাকে বাঁকা চোখে দেখি। কানে বাজে কিছু অট্টহাসি। ত্রিশুল হয়ে বিঁধে ফেলে এ ফোড় ও ফোড় হয় ভাবনা।
আমার আমিতে যে এক অন্য আমি তা ভেঙ্গে পড়ে। লুকিয়ে পড়ি সকল কোলাহল থেকে। কি যে হয়! ভাবনাগুলো অসাঢ় হয়। শুন্য একা পড়ে থাকি এক শব্দহীন শুন্য ঘরে।
ছাইরাছ হেলাল
শূন্যতার শব্দহীনতা সবাই শুনতে পায় না, শূন্য ঘরে আপনি তা শুনতে পাচ্ছেন!!
এ-তো চাট্টিখানি কথা নয় কোলাহলকে ভ্রুকুটি করা!!
মায়াবতী
আপনার কবিতা কিছুক্ষনের জন্য আমাকে বোবা করে রাখে । ত্রিশুলে ফাঁদে পইরেন না দোয়া রইলো। :p
ছাইরাছ হেলাল
আরে বোবা হলে আমরা এত্ত এত্ত প্রাণের কথা শুনব কেমনে!!
ফাঁদে কেউ জেনেশুনে পড়ে না, ফাঁদে ফাঁদ পাতা থাকে,
টেনে নিয়ে ফেলে দেয় অতলে, অলক্ষ্যে।
তৌহিদ ইসলাম
বজ্র নিয়েও অসাধারন লিখলেন দাদা। আল্লাহ না করুক বজ্রে যেন কেউ আটকা না পরে।
ছাইরাছ হেলাল
কে কোথায় কখন কীভাবে আটকাবে কে বলতে পারে!!
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
মাহমুদ আল মেহেদী
মুগ্ধ করলেন আমায়।
ছাইরাছ হেলাল
ভাল থাকুন।