মাথার বাহ্যিক আকৃতি গোল,গোলাকৃতির বা কিম্ভূতকিমাকৃতির।অবশ্যই আমি আমার অপদার্থময় মাথার কথাই বলতে চাচ্ছি।সে আমি বা ভুলক্রমে আপনি লম্বুমান,ঝান্টুমান,বুদ্ধিমান,কুবুদ্ধিমান,উটবুদ্ধিমান,দণ্ডায়মান,থলথলায়মান অথবা বামনাকৃতি যে প্রকারের ই হই না কেন, কথা সেটি না। কথা হলো এই বিপদজনক কিন্তু অতিপ্রয়োজনীয় আমার বেলায় অপ্রয়োজনীয় বিম্বটি চতুষ্কোণ,ত্রিকোণ,দ্বিকোন,চোখা তীরাকৃতি বা ত্রিশূলীয় কি হতে পারত? চকচকা মুণ্ডিত মুণ্ড হলেই বা কী হত?
কিছু সুবিধে যে নিয়ে নেয়া যেত না তা নয়।যেমন ধরুন চতুষ্কোণ হলে থরে-বিথরে জায়গা মত সাজিয়ে রাখা যেত নান্দনিক উপস্থাপনায়।
ত্রিভূজাকৃতির হলে ত্রিভূজিয় সখ্যতায় অংকগুলো শিখে ফেলা যেত সহজে।এখানে এ সময়ে ছগুরাজ ত্রিভূজ বা কোন বনাঞ্চলের গভীর ত্রিভূজিয় উপত্যকার কথা ভাবতে বলছি না।
তীরন্দাজের তীরাকৃতির হলে আড়ালে-আবডালে বসে ভেবে চিন্তে বাছাইশ্রেষ্ঠটির দিকে অলক্ষ্যে অব্যর্থ তীর ছুড়ে দিতে পারেন উন্নীত বক্ষের হৃদমাঝে।
ত্রিফলা ত্রিভূজ নিয়ে সার্কাসের শেষ খেলার বিপদজনক ভাঁড় খেলোয়াড় হয়ে উপরে ছুড়ে দেয়া ত্রিশূলের নীচে শুয়ে দর্শকদের বিনোদনের খোরাক হতে পারেন। হাজারো দর্শকের সামনে সামান্য অসতর্কতায় অক্কা ও পেতে পারি।
আচ্ছা ধরুন মাথাটি যদি কাচের হয়,শক্ত-পোক্ত। ইট-পাথুরে সহনীয়,এমন কী বাঁশ পর্যন্ত।যাতে কথায় কথায় ফাটিয়ে ফেলতে না পারেন।অবশ্য সমস্যা সেখানেও আছে।এক্সরে আই ওয়ালারা মস্তিষ্কের উথাল-পাথাল হাসি-কান্না ধরে ফেলে মুচকি থেকে অট্ট সব হাসিই হেসে ফেলতে পারে।বরং মাথায় লোহার টুপি পড়ে ঘার গোঁজ করে সবাইকে ঢুসিয়ে পথ চললে কেমন হয়?
জটু সন্ন্যাসীর কাছে গিয়ে দু’টো পাত্তি ফেলে গড় হয়ে পেন্নাম ঠুকে চকচকা মুণ্ড এগিয়ে দিয়ে অব্যর্থ অমোঘ আশীর্বাদ চাইতে পারি। সন্ন্যাসী তেলে মাথায় হাত গুঁজে বলতে পারে‘বাছা নন্দলালের মত শতায়ু হও এ বর দিলাম’।
বর পেয়ে বরপুত্রের মত উড়নচণ্ডীর বেশে দিলাম হাঁটা……
এই অমৃত-বচন ভাবনার জন্য প্রাণে বেশ যুগান্তকারী হেল-দোল অনুভব করছি যা টেঁসে যাবার মত অনন্য আনন্দের।
————————————————————————————————————
পরের পর্বে হৃদব্যবচ্ছেদ হবে।
১৬টি মন্তব্য
আবু জাকারিয়া
দুইবার পড়লাম, বুঝতে চেষ্টা করলাম কিন্তু পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারলাম না। তবে লেখা ভাল হয়েছে এটুকু বুঝতে পারছি।
” হাজারো দর্শকের
সামনে সামান্য অসতর্কতায় অক্কা ও
পেতে পারি।”
এখানে কি “শতায়ু ” আশির্বাদকে বর বলা হয়েছে?
আদিব আদ্নান
পড়েছেন বুঝতে পারছি।
শতায়ুকে বর ই ভাবি আমরা।
খসড়া
ভার্টিকো ভার্টিকো ভার্টিকো
আদিব আদ্নান
ভার্টিগো হলে লক্ষণ কিন্তু ভালো না।
শিশির কনা
মুণ্ডু নিয়ে এমন ভাবনা আমি এই প্রথম পড়লাম।দারুন কিছু আইডিয়া দিলেন 🙂 চতুষ্কোন,ত্রিভুজ,কাচের,ত্রিফলা,ত্রিশুল। উপস্থাপনায় টাসকিত হয়ে গেলাম।অনেক দিন পরে পোষ্ট করলেন।আপনার পোষ্টের জন্য অপেক্ষা করতাম একটি সময়। নিয়মিত থাকুন ভাইয়া।
আদিব আদ্নান
অনেক দিন পরেই আবার এলাম। নিয়মিত হে চেষ্টা করব।
শিশির কনা
হৃদব্যবচ্ছেদ এর অপেক্ষা 🙂
আদিব আদ্নান
আমিও অপেক্ষা করছি।
লীলাবতী
প্রাত্যহিকী, খেরো খাতা এখন হয়েছে ‘ প্রত্যহের বাহারি ভাবনা’ ! (y) মুণ্ডু নিয়ে এত কিছু ভাবেন আপনি!কতকিছু যে আপনার ভাবনায় খেলা করে 🙂
ভাইয়া নিয়মিত হোন আবার।
আদিব আদ্নান
অবশ্যই নিয়মিত হব,আপনি যখন বলছেন।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
লেখাটা মনের ভাবনা মাথা নিয়ে ভাবনার রস আছে -{@
আদিব আদ্নান
ভাবনা মাত্র।
মেহেরী তাজ
মুণ্ডুর বর্ণনা পড়ে শুধু হাসতেই আছি।
আদিব আদ্নান
হাসুন যত খুশি, তবে সাবধানে কিন্তু, মুণ্ডু যেন ঠিক থাকে।
শুন্য শুন্যালয়
মাথার বাহ্যিক আকৃতি গোল,গোলাকৃতির বা কিম্ভূতকিমাকৃতির..যাই হোক না কেনো আমার কিন্তু মনে হচ্ছে আপনার মাথা চতুষ্কোণ,ত্রিকোণ,দ্বিকোন,চোখা তীরাকৃতি বা ত্রিশূলীয়; নইলে এমন ভাবনা কস্মিনকালেও কোন গোলাকৃতির মাথায় আসা সম্ভব নয়। হাসি পাচ্ছে ভীষণ আপনার অনুমতি পেলে হেসে নেব। চতুষ্কোণ হলে থরে থরে সাজিয়ে রাখা যেতো ? 😀
টেঁসে যাওয়া যে অনন্য আনন্দের তা কি করে বুঝলেন ;?
বাহারি ভাবনার ঝাকানাকা দেখে চমকিত, হৃদব্যবচ্ছেদ না জানি কি হয়!! পোস্ট দিয়েই হেলেদুলে চলে গেলে হবেনা।
আদিব আদ্নান
যত খুশি হাসুন, আপনাকে ঢালাও অনুমতি দেয়া আছে। দিলেন তো মাথার আকৃতি পাল্টে।
এখন হৃদব্যবচ্ছেদ দিতে ভয় পাচ্ছি।নাহ চলে যাচ্ছি না এবার হেলেদুলে।