
শব্দের খোঁজে এত যায়গায় যাচ্ছি, কিন্তু শব্দ আর পাচ্ছি না, আবার যে শব্দগুলো পাচ্ছি সেগুলো মাথার ভিতর উল্টো আকারে খেলা করছে, তাই শব্দের খোঁজ বাদ দিয়ে ফোনে গান ছাড়লাম। যে গানটি বেঁজে উঠল তাহলো,
” সত্যি বলছি তোমাকে আর ভালোবাসি না,
তোমার জন্য মিছেমিছি রাত জাগি না,
সত্যি বলছি তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখি না,
তোমার জন্য রাত জেগে কাব্য লিখি না,
এখন তোমার জন্য আমার কোন সময় নেই,
এখন আমি ভালোবাসি শুধু আমাকে”।
গানটি এই পর্যন্ত বেঁজে বন্ধ হয়ে আমার ফোনের রিংটোন, ” যেখানে সীমান্ত তোমার বাঁজা শুরু করল, ফোন হাতে নিয়েই দেখি রুকু আপুর ফোন।
আপু ঃ কবিতা লিখছি তোকে শোনাবো
আমি ঃ হ্যা বল
আপু ঃ বলেই যাচ্ছে, আমি মনোযোগ দিয়ে শুনছি কিনা জানি না? শুধু ভাবছি আজবতো, আপু প্রতিদিন এতসব লেখে আমি পারি না ক্যান?
আপু ঃ বলেই যাচ্ছে,,,
আমি ঃ হঠাৎ স্তম্ভিতভাব থেকে ফিরে শুধু একটা শব্দ কানে এল সেটা হল ” প্রতিশ্রুতি “।
ফোনে কথা শেষ করে ভাবলাম, পেলাম তো একটা শব্দ প্রতিশ্রুতি দেখি লিখে ফেলি,,,,,
সেদিন ছিল অনেক রাত, প্রচন্ড বৃষ্টি ও সাথে বিদুৎ চমকাচ্ছিল, হঠাৎ অবন্তীর ফোনে একটা ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট আসল, অবন্তী তা দেখে প্রোফাইল ঘাটল, দেখল খারাপ না অবন্তীর মতই ছেলেটি জব করে। অবনী কোন চিন্তা না করেই তাৎক্ষনিক রিকুয়েষ্ট এক্সসেপ্ট করল। যদিও বয়সটা আর সেই কিশোর কিশোরীর না, তবুও একটা সময় অবনীর খুব ক্লান্ত আর একা লাগে। এভাবেই সারাদিন অফিস শেষে অবন্তী বাসায় ফিরে শত মানুষের ভীরে একা হয়ে পরে।
পরদিন সেই রংধনু ছেলেটির সাথে অবন্তীর প্রথম মেসেঞ্জারে কথা হয়, এভাবে বেশকিছুদিন কথা হতে থাকে, তারপর ফোনে কথা আদানপ্রদান চলতেই থাকে, অবন্তীর ভালোই সময় কাটতে থাকে, কিন্তু এভাবেই অবন্তীর মত এত শক্ত একটা মেয়ে যেকিনা এত ছেলেদের সাথে মিশে বড় হয়েছে, এত ভালো ভালো অফার পেয়েছে, কখনো কারো সাথে কোন সম্পর্কে জড়ায় নি সে আজ হঠাৎ এই রংধনুর প্রতি ধীরে ধীরে দূর্বল হয়ে পরছে, অবন্তী ভাবছে হয়ত এটা নিছক ইনফ্যাচুয়েশন, কিন্তু যত দিন যাচ্ছে অবন্তী যেন তাকে আঁকরে ধরার চেষ্টা করছে আর তাকে গভীরভাবে ভালোবেসে ফেলেছে । আর শুধু রংধনুকে বলত,আমাকে কখনো ছেড়ে যেও না, রংধনুও তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে সে কোনদিন তাকে ছেড়ে যাবে না,এভাবেই তাদের প্রেমের খুনশুটি, ঝগড়া, ভালোবাসা চলছিল।
কিন্তু সবকিছু হয়ত একভাবে সবসময় চলে না, ধীরে ধীরে ছেলেটার ব্যস্ততা বাড়ছিল, আর সে অবন্তীর থেকে দূরে সরে যাচ্ছিল, অবন্তীর এস এম এস, কল সব কমে আসছিল, কিন্তু এতদিনে অবন্তী এই সম্পর্কে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে, তাই ভীষন কষ্ট পাচ্ছিল, ছেলেটাকে যত বোঝাচ্ছিল সে তত দূরে সরে যাচ্ছিল,অপমান করছিল, যা তা ভাষা বলে, যেগুলো অবন্তী এর আগে কোনদিন এসব শুনে নি, তবুও কষ্ট পেয়ে, অপমানিত, অবহেলা পেয়েও বার বার ফিরে যায় তার কাছে। দিনের পর দিন অবন্তী যত বোঝায়, ছেলেটি ততই অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে, এমনকি তাকে হুমকি দেয়।। অবন্তী অনেক কষ্টে ছেলেটিকে বোঝায়, ছেলেটি কি ভেবে প্রতিদিন ১০ মিনিট করে কথা বলবে এই প্রতিশ্রুতি দেয়, এরপর আবার এভাবে কথা শুরু হয়। কিন্তু অবন্তী বার বার একই কথা বলে প্লিজ জান, তুমি আগের মত হও। কিন্তু ছেলেটা বার বার বলে আমি তোমার কাছে ফিরব কিনা জানি না, ফিরতেও পারি, নাও ফিরতে পারি, আবার বলে আমার মত হতে হবে, আমার সবকথা শুনতে হবে, এরকম হাজার শর্ত দেয়। অবন্তী সব মাথা পেতে নেয়, কিন্তু একজন মানুষ পরিপূর্ন কখনোই কারো মনের মত হতে পারে না। এভাবে আবার কথা হতে থাকলে রংধনু শুধু তার ভুল ধরে, তার দোষ খোঁজে, আবার অপমান করে, এমনকি অবন্তী যত ভালোবাসার কথা বলে তাকে তত নোংরা কথা বলে।নিজে না ভালোবাসুক কিন্তু অন্যের ভালোবাসাকে শ্রদ্ধা করার মানসিকতাও হয়তো তার নেই।
শেষ দিনের ঘটনা, অবন্তী সেদিন খুব কেঁদেছিল ,তারপর রংধনুকে অনেক কষ্ট ভালোবাসার এস এম এস করে, আবার ফিরে আসার কথা বলে, ছেলেটা এই এস এম এস দেখে অবন্তী কে যা তা বলে ব্লক করার হুমকি দেয়, শেষ করে দেয় সম্পর্ক। অবন্তী ছেলেটির কাছে কোন পরিচয় চায় নি, শুধু মানসিক আশ্রয় চেয়েছিল, ছেলেটা সেই প্রতিশ্রুতি ও রাখতে পারল না। এতদিন অবন্তী অনেক কেঁদেছিল, অপমানিত হয়েও বার বার ফিরে গিয়েছিল কিন্তু সেদিন আর নিজেকেই কন্ট্টোল করতে পারল না,,তাই সেদিনের পর থেকে হয়ত অবন্তী আর ছেলেটিকে ডিস্টার্ব করে না কিন্তু প্রতিদিন ঘুমের ঔষধকে এখন সে সঙ্গী করেছে, কোনদিন দুই, তিন চার এভাবেই নতুন নতুন রোগকে শরীরে বহন করে, নিজের ক্ষতি করে কেটে যাচ্ছে তার বাকি দিন। মিথ্যে প্রতিশ্রুতির ফলাফল কান্না আর ঘুমের ঔষধই তার সঙ্গী এখন। আত্নহত্যা মহাপাপ বলে তাও করতে পারছে না, তবে মনে ছেলেটিকে লালন করে একইভাবে ভালোবেসে নিজেকে কষ্ট দিয়েই মৃত্যুর দিন গুনছে,আর সেই প্রত্যাশায় আছে কবে সে ফিরবে?? কবে সে এস এম এস এ আদর করে ডাকবে? কবে সে আগের মত বলবে, আমি আছি, ছিলাম, থাকব,? আর কবেই বা হাতে হাত রেখে বলবে ভালোবাসি❤️❤️❤️? আদৌ ফিরবে তো? এভাবেই অদ্ভুতভাবে পাওয়ার আকাঙ্খায় বেঁচেও মরে থাকা। কি বিচিত্র ভালোবাসা???
গল্পের শেষটা থেকে আমার অনুধাবন, কাউকে ভালোবাসতে না পারি, তাকে অসম্মান করব কেন?নিজে না ভালোবাসি অন্তত অন্যের ভালোবাসার মূল্য দেই। এছাড়া কাউকে ভালোবাসলে তার দোষ গুন সব নিয়েই পরিপূর্ন মানুষটাকে ভালোবাসা যায়। আর আমি যদি ইচ্ছাকৃত কারো ভুল ধরতে চাই তবে আজীবন শত চেষ্টা করলেও আমার ভালো কিছু চোখে পরবে না। ইংরেজিতে বলে, ইট্স ইন্টায়রলি আপ টু ইউ। আর আমি যদি ভালোবাসতে চাই তবে ভালো খারাপ মিলে তার ভুলগুলো ঠিক করে পাশে থাকতে পারি। কেননা ভালো খারাপ মিলিয়েই মানুষ ।আরে বাবা সবার সবকিছু ভালো নাই লাগতে পারে, তাই বলে তাকে মেনে নিলে কি হয়? সত্যিকারের ভালোবাসায় কোন খাঁদ থাকে না,। সব ভুলে তার ভালোবাসাকে শ্রদ্ধা করে তার পাশে থাকাই যায়, এতে আরেকজন অন্তত একটু ভালো থাকে, এইটুকু করাই যায়, কারন আমরা মানুষ, আজ আছি কাল নাও থাকতে পারি, তাই যতক্ষন আছি, থাকি না ভালোবাসার মানুষটির পাশে।
আসুন কেউ কাউকে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি না দেই, কেননা একটা মিথ্যে প্রতিশ্রুতি মানুষের জীবনকে ওলটপালট করে দেয়,মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। অবন্তী রুপকের আড়ালে হাজারো মানুষের বাস্তব জীবন এভাবেই লুকায়িত থাকে। তাই যে প্রতশ্রুতি রাখতে পারব সেটা দেই, অন্যকে ভালোবাসি,সম্মান করি,যত ভুলই থাক না কেন সেগুলো মেনে নিয়ে পাশে থাকি,ভালোবাসি ❤️❤️❤️।
ছবিঃ নেট থেকে।
২৬টি মন্তব্য
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
পড়ে মুগ্ধ হলাম
শুভকামনা রইল প্রিয়
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য । ভালো থাকবেন, শুভকামনা রইল।
তৌহিদ
মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে কখনো ভালোবাসা হয় না। আসলে ভালোবাসার মধ্যে সততা না থাকলে সেটি কখনো ভালোবাসাই নয়। গল্পে গল্পে চমৎকার একটি বিষয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন আপু।
শুভকামনা সবসময়।
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যে কৃতার্থ হই আর লেখার আগ্রহ পাই বরাবরের মতই। মিথ্যে ভালোবাসায় অনেকের অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। ভালো থাকবেন, শুভকামনা।
মনির হোসেন মমি
প্রতিশ্রুতি দেয়ার চেয়ে রক্ষা করা কঠিন।তবে প্রতিশ্রুতি দিলে আগ পিছ ভেবে অবশ্যই রক্ষা করার মন মনষিকতা নিয়েই দিতে হবে নতুবা এক প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করার কারনে একটি জীবনের বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।চমৎকার লিখেছেন।
রেজওয়ানা কবির
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, প্রতিশ্রুতি দেয়ার চেয়ে রক্ষা করা অনেক কঠিন। তাই প্রতিশ্রুতি দিলে তা রক্ষা করা উচিত। আপনার চমৎকার মন্তব্যে মন ভরে গেল। শুভকামনা ভাইয়া।
সুরাইয়া নার্গিস
অসাধারন লিখছেন আপু, সত্যি কথা গুলোই বলছেন ভালো লাগলো।
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ আপু, অনেকদিনপর আপনাকে দেখলাম ভালো লাগল, ভালো থাকবেন সবসময়।
ফয়জুল মহী
সমৃদ্ধ ভাবনার প্রাণবন্ত আর উপভোগ্য কথামালা
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ ভাইয়া, শুভকামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
এমন প্রতিশ্রুতির আড়ালে হাজারো জীবন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, ভালোবাসার প্রতি বিশ্বাস, শ্রদ্ধা হারিয়ে যাচ্ছে। অনেকেই তো আত্নহত্যার মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে। যে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে সে বুঝবে না অন্যের প্রতি সে কতটা অন্যায় করেছে, কতটা কষ্ট দিয়েছে যদি বুঝতো তাহলে হয়তো সে এমন জঘন্য পাপ করতো না। প্রতিশ্রুতি কে তারা খেলা, মজা হিসেবেই গণ্য করে। গল্পের ছলে দারুন একটি বিষয়ের অবতারণা করলেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। একরাশ শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো
রেজওয়ানা কবির
আপনাকেও অনেক অনেক ভালোবাসা আর শুভকামনা এবং ধন্যবাদ। ঠিক বলেছেন আপু আপনার প্রত্যেকটা কথাই ঠিক। যে প্রতিশ্রুতি ভংগ করে সে যদি বুঝত তবে শত শত মন নষ্ট হয়ে যায়, এমনকি জীবনটাই হারিয়ে ফেলে।ভালো থাকেন আপু💙💙💙।
খাদিজাতুল কুবরা
একপক্ষ হয়তো ফ্ল্যাট করার মানসিকতা নিয়েই শুরু করে, অপরপক্ষ যদি সত্যি ভালোবেসে ফেলে, এরচেয়ে খারাপ কষ্টের অভিজ্ঞতা জীবনে আর কিছু নেই। তাই যারা টাইমলাইনে না ঢুকে মেসেঞ্জারে নক করে তারা প্রায় সবাই এই টাইম পাস মানসিকতার বিকৃত মানুষ। এদেরকে এড়িয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
খুব ভালো সচেতনতা তৈরির জন্য এধরণের পোস্ট প্রয়োজন।
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ আপি,এত সুন্দর করে গল্পের ভিতরের কথাগুলো বুঝে লেখার জন্য । অনেক অনেক শুভকামনা আর ভালোবাসা, আপনি অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে মন্তব্য করেন। ভালো থাকবেন।
ছাইরাছ হেলাল
ভালবাসা নামক অলিক বিষয়ের নিয়ে এতটা মাতামাতি করার
কোন মানেই হয় না!! কুনকুনে টুনটুনে গল্প পড়ে সময় কাটানো যেতেইপারে।
রেজওয়ানা কবির
ভাইয়া তবুও তো,ভালোবাসা নামক শব্দটি বেঁচে থাকার জন্য দরকার। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
আরজু মুক্তা
মিথ্যে স্বপ্নের জালে আটকানোর দরকার নেই। সৃজনশীল কাজ করি। জীবনকে এগিয়ে নিই
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ আপি, কিন্তু অনেকেই নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে এই মিথ্যে জালে আটকে যায়। ভালোবাসা রইল💙।
রোকসানা খন্দকার রুকু
মিথ্যেবাদীরা চাটুকার হয় ও খুব দ্রুতই প্রতিশ্রুতি দেয়। এটা অনেক অন্তর্নিহিত বিষয় । আমরা সচেতন হব নিজ নিজ জায়গা থেকে। বুঝতে শিখব ভালোবেসে প্রতিশ্রুতি কোনটা। আর কোনটা সময় কাটানো। এই মেসেঞ্জার এখনকার একটা ক্ষতিকর বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।
ফোনালাপের একটা কথা – যে শোনে বেশি সে তোমায় ভালোবাসে।
রুপক গল্প দারুন হয়েছে। সবার এ থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত॥
শুভ কামনা রইলো আপুনি।😍😍😍
রেজওয়ানা কবির
এই জন্যই তোমাকে অনেক ভালোবাসি আমি, কারন আমি যাই লিখি তার ভিতরের মেসেজ তুমি বুঝতে পারো। যে শোনে বেশি সে তোমায় বেশি ভালোবাসে এই কথাটা সত্যি ভালো লাগল ।ভালো থেক আপু সবসময় ❤️
ইঞ্জা
মিত্যা প্রতিশ্রুতিতে কখনো ভালোবাসা হয় না, ভালোবাসার মধ্যে শটতা মানেই সব কিছুতেই অনিষ্টতা।
অসাধারণ লিখলেন আপু।
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ ভাইয়া অনেকদিনপর আপনার কমেন্ট পেয়ে মুগ্ধ হলাম। সত্যি তাই সততা ছাড়া ভালোবাসা হয় না। ভালো থাকবেন, শুভকামনা ।
ইঞ্জা
আপু সত্যি বলতে নতুন জবের ব্যস্ততা আমাকে অবসর দিচ্ছেনা, দোয়া রাখবেন আপু।
রেজওয়ানা কবির
নতুন জবের জন্য অভিনন্দন ইঞ্জা ভাই,ইনশাআল্লাহ ভালো থাকবেন সবসময়।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ আপু, শুভকামনা রইলো।
শামীনুল হক হীরা
বাহঃ কি অপূর্ব লিখেছেন সম্মানিত।। শুভেচ্ছা জানবেন।