নয়টা পাঁচটা অফিস শেষে অজিত বাবু হন বার
নিয়ে একখানা গোলাপ, দুটি চকোলেটে আজও হইবেন পাড় ।
ঘরে ঢুকিয়া চাহিয়া দেখিলেন কন্যা একা বসে
দেখিয়া পিতাকে কাঁধে চড়িয়া আজিকে নাহি হাসে ।
ধরিয়া পিতার হাত সাত বছরের কন্যা টানিয়া লইয়া গেল ঘরে
মলিন মুখে বলিল খুকি, “বাবা সত্য জবাব দেবে ?
ভালোবাসো কাকে বেশি ? মোকে না মা’কে ?”
ক্যাডবেরিটা রোজ পাই আমি
গোলাপ ফুলটা মা
রোজ রোজ এমন দেখিলে কি কারো মন
খারাপ হইবে না ?
ফুলগুলি মা নিত্য জমায়
বুক শেলফের পাশে
ক্যাডবেরি কি খাইলে একবার
আর ফিরিয়া আসে ?
তোমার প্রিয় রঙ জেনেছি
এবারো পূজার কাল
আমি যতই ভিন্ন কিন্তু
মায়ের শাড়ীটি লাল ।
এমন কিছু কি দেবেনা বাবা
যা থাকিবে মোর চিরকাল ?
অজিতবাবু
ভেবে হেন কাল, জলে ভাসে গাল
দৃষ্টি কোরে ঘোলা
মনে পড়িল মায়েরই চেহারা,
আহারে কি ভোলাভালা !
কহিলেন তিনি,
“মা তুমি করিলে মোরে ঋনি।
গত জন্মে যে প্রাণ দিয়াছো, সে প্রাণ লইয়া এসে
ঘুরছি আমি পৃথিবীর পরে, তোমারই বাবার বেশে ।
যে প্রাণ দিয়াছি তোমারে আমি, সুখী হও লয়ে তা
পরের জন্মেও প্লিজ হয়ো তুমি, এই অধমের মা।।”
৫টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
ভালো লাগলো খুব। আমার মেয়ে নেই – কস্ট লাগে এমন লেখা পড়লে।
মশাই
লেখাটা পড়ে একটা দীর্ঘশ্বাস নিলাম। ভালো লিখেছেন,আমারও খুব ভালো লাগলো। -{@
ফরহাদ ফিদা হুসেইন
দির্ঘস্বাস কেন মশাই?
পুষ্পবতী
ভালো লাগলো। -{@
শুন্য শুন্যালয়
অনেক সুন্দর ভাবনা, অনেক অনেক সুন্দর লেখা… -{@