পর্টেবল সফটওয়্যার কি ?
কম্পিউটারে আমরা বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করি ।
আবার অনেক সময় অপ্রয়োজনীয় সফটওয়ার ইনষ্টল করার ফলে কম্পিউটার স্লো হয়ে যায় ।
যত বেশী সফটওয়্যার ইনষ্টল করা হয় ততই সি ড্রাইভের স্পেস কমে এবং RAM এর উপর চাপ বাড়ে ফলে পিসি স্লো হয় ।
তাহলে সমাধান কি ?
* অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ইন্সটল করা যাবে না ।
* ভারি মানে বড় বড় সফটওয়্যার গুলো যদি অল্প সময়ের জন্য প্রয়োজন হয় । তাহলে কাজ শেষে সফটওয়্যার টি আনষ্টল করতে হবে ।
* সম্ভব হলে পর্টেবল সফটওয়্যার ব্যাবহার করতে হবে ।
পর্টেবল সফটওয়্যারের সুবিধা কি ?
এই সফটওয়্যার গুলো ইন্সটল না করেই ব্যাবহার করা যায় । এজন্য পিসির RAM এর উপর বাড়তি কোন চাপ পড়েনা । ফলে পিসির স্পিড কমার কোন সম্ভাবনা নেই ।
সাধারণত ভাইরাস বা সফটওয়্যার জনিত কারণে পিসিতে পূনরায় OS সিষ্টেম সেট আপ দিলে পিসিতে থাকা সব ইনস্টলকৃত সফটওয়্যার মুছে যায় । কিন্তু পর্টেবল সফটওয়ার যেহেতু ইনষ্টল হয় না । এজন্য এগুলো মোছার কোন সম্ভাবনা নেই ।
এক কথায় বলতে গেলে পর্টেবল সফটওয়্যার ব্যাবহারে কোন অসুবিধা নেই ।
পরবর্তীতে আসছি কিছু প্রয়োজনীয় পর্টেবল সফটওয়্যার নিয়ে । ততদিন পর্যন্ত ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন ।
১২টি মন্তব্য
অলিভার
চমৎকার বলেছেন।
তবে একটু ভুল তথ্য আছে। “জন্য পিসির RAM এর উপর বাড়তি কোন চাপ পড়েনা ” কথাটা ভুল। বরং কিছু পোর্টেবল সফট রয়েছে যা সাধারণ ভাবে ইন্সটল করার পর যতটুকু RAM স্পেসের প্রয়োজন পড়তো তার থেকে কিছু বেশি প্রয়োজন পড়ে।
আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এড়িয়ে গেছেন। যদি আমি পোর্টেবল সফটওয়্যারটি আমার Windows Installation ড্রাইভে (সাধারণত সেটা C: ড্রাইভ নামেই পরিচিত) রাখি তাহলে নতুন করে Windows সেটআপ দেবার পর সেটাও মুছে যাবে। যদি অন্য কোন ড্রাইভে রেখে ব্যবহার করে, তাহলেই শুধু হারিয়ে যাবে না।
পোর্টেবল সফট কালেকশনের পোষ্টের অপেক্ষায় রইলাম 🙂
সঞ্জয় কুমার
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ । আমরা সাধারণত OS এবং অপারেটিং সিষ্টেম ফাইল হিসাবেই সি ড্রাইভ কে ব্যাবহার করি । অনেকে আছেন ভুলেও কখোনো সি ড্রাইভের আশেপাশে ও যান না । কারণ এখান কার প্রতিটি ফাইল খুবই গুরুত্বপূর্ণ । আমা জানা মতে সি ড্রাইভে কেউ গান মুভি সফটওয়্যার পারত পক্ষে রাখে না । পর্টেবল সফটওয়্যার যখন রান করা হয় তখনই সে RAM ইউস করে । অব্যাবহৃত অবস্থায় এটা RAM এ কোন বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেনা ।
সঞ্জয় কুমার
আরও একট ব্যাপার হল পর্টেবল সফটওয়্যার যে ড্রাইভে থাকে সেই ড্রাইভের সেই ফোল্ডারেই ডিফল্ট সেটিং ভাবেই সেলফ ইন্সটল হয় । সেই হিসাবে এটি সি ড্রাইভে ইন্সটল হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে । তারপরও যদি আপনি নিতান্তই সি ড্রাইভে ইন্সটল করেন সেটা আলাদা কথা । আমি দুই বছর আগে একটা পর্টেবল সফটওয়্যার ইন্সটল দিয়েছিলাম এখনো সেটা ইউস করছি । এর মধ্যে কতবার উইন্ডোস দিয়েছি তার সঠিক হিসাব নেই ।
অলিভার
ভাইয়া আমার যদি খুব ভুল না হয় তাহলে সফটওয়ার লাইব্রেরির বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সেটিংস সিস্টেম রেজিস্ট্রিতে জমা হয়। আর সেই সব রেজিস্ট্রি নতুন করে Windows সেটআপ করলে মুছে যায়। আর তারপর ঐসব সফটওয়্যার চালাতে গেলে নতুন করে সেটা ইন্সটল করার পর্যায়েই পড়ে। উদাহরণ স্বরূপ- নেটে বেশ কিছু Portable Adobe Photoshop পাওয়া যায়, যেটা প্রতিবার চালু হবার সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে রেজিস্ট্রি ইম্পোর্ট করে। ফাইলের সেটিংস কিংবা কনফিগার ফাইলে একটু দেখলেই সেটা পেয়ে যাবেন।
আর Ram ব্যবহারের আরও একটা উদাহরণ দেই। আমি ব্রাউজার হিসেবে ক্রোম ব্যবহার করি। এর পোর্টেবল ভার্সন তৈরি করে ব্যবহার করেছি আমি। নেটেও পাওয়া যায়। এখন ক্রোম ইন্সটল করা অবস্থায় যখন আমি একটা ট্যাব খুলে ব্রাউজ করেছি তখন যেই পরিমাণে Ram স্পেস তার প্রয়োজন হয়েছিল তারচেয়েও বেশি পরিমাণে প্রয়োজন পড়েছিল পোর্টেবল ক্রোম ব্যবহার করতে গিয়ে। এমন আরও অনেক সফট আছে যা ব্যবহার করতে গেলে পোর্টেবল থেকে ইন্সটল করেই বেশি সুবিধা পাওয়া যায়।
আর আপনি যেই ব্যাপারটা বলেছেন যে ইন্সটল করলে বাড়তি চাপের কথা। সেটা মূলত সফট ইন্সটল করার পর তার সাথে বেশ কিছু সার্ভিস আর সহায়ক অনেক রেজিস্ট্রি যুক্ত হয় সিস্টেমে। আর সেই সব সার্ভিস চালাতে গিয়ে সিস্টেম কিছুটা স্লো হয়ে পড়ে। এখন আপনি বুঝে যদি সেইসব অপ্রয়োজনীয় সার্ভিস বন্ধ করে দিতে পারেন তাহলে সেটা আরও ভালো সার্ভিস দিবে পোর্টেবলের তুলনায়।
পোর্টেবলের সুবিধা সবচেয়ে ভালো পাওয়া যায় সেই সব সফটওয়্যারের সাথে যার লাইব্রেরি ফাইল ঐ সফটওয়্যারে ফোল্ডারেই অবস্থান করে। Thininatall সফট দিয়ে যেইসব সফট পোর্টেবল তৈরি করা হয় ঐসব সফটওয়্যারের লাইব্রেরি ফাইল সিস্টেম ড্রাইভেই সংরক্ষিত হয়। আর সেটা Windows পরিবর্তন করলে মুছে যায়। এর সম্বন্ধে আরও জানতে পারবেন এখানে- http://en.wikipedia.org/wiki/VMware_ThinApp
আপনার উপস্থাপন সুন্দর হয়েছে। তবে পোর্টেবলের মূল কিছু বিষয় এড়িয়ে গেছেন আপনি। তবে সাধারণ ভাবে বেশ কিছু সফটওয়্যার রয়েছে যা পোর্টেবল হিসেবে ব্যবহার করে সুবিধা আদায় করা যায়। তবে সব সফটওয়্যার সেই তালিকায় স্থান পাবে না।
সঞ্জয় কুমার
ধন্যবাদ অলিভার ভাই । কিছু বড় পর্টেবল সফটওয়্যার প্রথমবার রান করার সময়েই বেশী সময় নেয় এক্ষেত্রে আপনার কথা যুক্তিযুক্ত ওটা রেজিষ্টি তে এনকোডিং হয় । তবে ছোট খাট সফটওয়্যার গুলোতে তেমন সমস্যা হয় না । । এছাড়াও পর্টেবল সফটওয়্যার বানানো হলে সেটা কোন ফোল্ডারে সেলফ ইন্সটল না নিয়েই রান করতে পারে । যেমন আমার কাছে মাইক্রোসফট অফিসের পর্টেবল ভার্শন আছে ওটা সরাসরি রান করে ইন্সটল না হয়েই । আপনার তথ্য গুলোও বেশ কাজের ধন্যবাদ ।
অলিভার
:Happy:
আগুন রঙের শিমুল
পোর্টেবল সফটওয়্যার শুনছি পর্টেবল কি নতুন কিছু ইঞ্জিনিয়ার সাব ?
সঞ্জয় কুমার
না নতুন করেই পুরোনো কিন্তু কাজের জিনিস । ধন্যবাদ ।
ছাইরাছ হেলাল
এমন সুষ্ঠ সুন্দর আলোচনা আমাদের কাম্য , যা আমাদের আরও জানতে আগ্রহী
করে তুলবে ।
সঞ্জয় কুমার
ধন্যবাদ হেলাল ভাই ।
জসীম উদ্দীন মুহম্মদ
শুভেচ্ছা জানবেন ——– ।। -{@
সঞ্জয় কুমার
আপনাকে অভিন্দন । ভাল থাকবেন ।