প্রায় ৩২ বছর আগেও কেউ কেউ ছোটোখাটো বিতর্ক করতেন আমার লেখা নিয়ে। তখন বুঝতাম না মানেটা কি? ২৭/২৮ বছর পরে যখন ফেসবুকিয় মাধ্যমে লিখতে শুরু করলাম আবার নতুন করে! মন্তব্যে এখনো অনেকের প্রশ্ন বা ইনবক্সে লেখার অর্থ জানতে চান অনেকেই। আমার সাধ্যমতো অনেকের জবাব দেই আমি আমার স্ট্যান্ট বজায় রেখে।
ক্রমশঃ অনেক সাহিত্য লিখালিখি গ্রুপের দাওয়াত/ ইনভিটিসন পেয়ে, পড়া এবং আরো বিষদ জানার মনোবাঞ্ছায় জয়েন করেছি বা আছি সেসব গ্রুপের সাথে। দু একটা লেখা পড়লে চক্ষু চড়ক গাছ থেকে নামতেই চায়না সহজে!
একটা ছোট্ট কথপকথনের গল্পে পুরো বিষয়টা বলতে ইচ্ছে করছে।
একজন উদীয়মান কবি তিনি। পরিচয় হলো মাত্র কয়েকদিন।
কবি: কেমন আছেন? আপনার লেখা কেমন চলছে?
– ভালো আছি, চলছে….
কবি: আপনার বই বের হয়েছে?
— না
কবি: কেন?
– আগ্রহ নেই
কবি: কেন?
— এমনি
কবি: ওওও, সত্যি বলতে আপনি ভালো লেখেন। এ জন্য বইএর কথা বলেছি। অথচ এমন লেখক আছেন, যাদের বই বের করাই উচিত নয়, তবুও তারা বই বের করে বসে আছে।
— সত্যি বলতে, যারা আমাকে বলছেন, তাঁদের কাছে আমার লেখা ভালো লাগছে! তাঁদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
আমি জানি না, কেমন লিখি?
কবি: আমি না বুঝে বলিনা। আমি নিজেও লিখি। সো… এটা ভালো বুঝি ভালো আর খারাপ।
— মন যখন যেমন চায়, তেমন তেমন লিখি। বইএর ব্যাপারে এজন্যই আগ্রহ নেই।
কবি: হুমম- যারা লেখে তারা এমনি,মন যখন যেমন চায় তেমনই লেখে।
— হুম, আমি ঠিক নিয়মিত বা প্রফেসনাল নই।
কবি: লেখকদের প্রফেসনাল হতে হয়না।
— একদম ঠিক। কিন্তু কি চলছে এখন?
কবি: চলছে তেলবাজী!
— এসবের ধারে কাছেও নেই আমি।
কবি: সবাই কি আর তেলবাজী করে? আপনি আপনার মতো লিখবেন।
— হুমম
কবি: আর লিখলে দায়বদ্ধতা থেকেই বই প্রকাশ করতে হয়।
— ওইটা আমার জন্য কঠিন। কিছু করার নেই। ক’জন এখন বই কেনায় আগ্রহ দেখায়?
কবি: কেনা নিয়ে ভাবলে কবি বা লেখক বই প্রকাশ করতো না।
— আমার মতো কেউ না। আমি আমার মত।
কবি: সবাই সবার মত।
— জি, সেটাই- বই নিয়ে ভাবনা তাই আসে না।
কবি: আসবে। আমি চলে এসেছি, এখন আসবে।
— আসবে না
কবি: সেটা না হয় পরে দেখা যাবে। রাগ হচ্ছে নাতো আমার ওপরে?
— এখনো হচ্ছে না
কবি: এমনভাবে বললেন যেন হওয়ার সম্ভবনা আছে?
— জি
কবি: ওওও, বাট আমার ওপরে কেন রাগ করবেন? বুঝতে পারলাম না।
— বললাম তো! হলে বুঝবেন, বলা লাগবে না।
কবি: বুঝতে পারছি। সে সুযোগ আর সময় দিতে চাইনা আমি।
— ধন্যবাদ আপনাকে।
কবি: কথা বলতে বলতে কবিতা লিখে ফেললাম, পড়বেন?
— পড়বো
পক্ষপাতিত্ব★★
ঢের ঘুমে থাকি, কামারশালার ধ্বনি তবুও আমার মগজে ছড়িয়ে পড়ে।হাতুড়িপেটা হাতের রেখায় কোনো বসন্ত আসেনা।
তারপরও এই হাত ছুঁয়ে দিলে পৃথিবী গর্ভবতী হয়। পৃথিবীর ব্যাপক গভীরে আমরা ট্যুরিস্ট হিসেবে ভ্রমন করি। ডানে সাগর বামে কুমোড়পাড়া- এইসব দেখতে দেখতে ভুলে যাই, কান্নানদীর কলতান! ভুলে যাই অনাহারী পেটে বসে ঠোঁকড়াচ্ছে একদল কাঠঠোকরা, যে ঘর দরজা খুলে বসে আছে তাঁদের ক্ষুধাগুলো জাদুঘরে রক্ষিত করে রাখবো।কম্পাসের কাটা ঘুরিয়ে দেখিয়ে দিবো ঈশ্বরও পপক্ষপাতিত্ব করেন।
— ওয়াও….বোধ! অসামান্য।
কবি: ধন্যবাদ
— ওয়েলকাম
কবি: আরেকটা কবিতা লিখেছি গতকাল পরশু।চাইলে দেখাতে পারি।
আচ্ছা, দেখি
কুকুর জীবন★★*
(দুঃখিত, এই শিরোনামের কবিতা এখানে উপস্থাপন করার রুচি আমার নেই)
— লেখায় অশ্লীলতা ব্যাবহার না করে কি লেখা সম্ভব না? সম্পূর্ণ হয়না লেখা?
কবি: সময় বোঝাতে ব্যাবহার করতে হয়।প্রতিবাদ জানানো শব্দ। সবকিছুতে অশ্লীলতা খুঁজতে কেন যান? ভেতরে কি আছে সেটা বুঝতে চেষ্টা করুন!
— আমি পছন্দ করিনা এমন সব লেখা। যা বলি স্পষ্ট বলি।
কবি: সবার সব লেখা তো ভালো লাগবে না আপনার?
— জি।
বেশ কিছুদিন যাবার পরে আবারো কথপকথন।
কবি: আপনি আমার একটা লেখা পড়ে মনে খারাপ ধারনা পুষেছেন তাইনা? বাট এই কবিতাটি পড়ে দেখুন।
— দেখুন এসব ব্যাপারে বিশদ হয়তো বলে বোঝাতে পারবো না আমি। আপনার লেখা উঁচু মানের, তাতে সন্দেহ নেই। তবু অশ্লীল শব্দ ব্যাবহার আমার ঘোর অপছন্দের বিষয়।
কবি: আমার লেখা উঁচু মানের? হাসালেন ম্যাডাম! আমি আপনার চেয়ে সাধারন।
— এমন ভাবার কারন নেই। আমি দেখেছি অনেক লেখকই আছেন, যারা তাঁদের লেখায় জৈবিক বিষয়াদি অতি অবলীলায় উপস্থাপন করে থাকেন। আমার একান্ত ব্যাক্তিগত মতামতে মেনে নিতে পারিনা। এটা একান্তই আমার বোধ।
কবি: আমার ওই কবিতায় আপনি গভীরে না প্রবেশ না করলে বুঝতে পারবেন না, আমি মিথ প্রয়োগ করে সেটা অদৃশ্য করে রাখি।
— সেটা বুঝি, কি দিয়ে কি বোঝাতে কে কি লিখছে?
কবি: তাহলে তো বেশ।
— কিন্তু আমার বোধে আসে না, এ ছাড়া বিকল্প শব্দ নেই দ্রোহ প্রতিবাদ বোঝাতে?
কবি: আছে, আমি কিন্তু নারী’র শরীর নিয়ে কবিতা লিখিনা, যা লিখি সেটা অবক্ষয়ের প্রতিবাদ। যেমন এইটা— হীনমন্য কমলা রোদ★★
********(আবারো দুঃখিত)
কবি: সমাজের চোখগুলো নারীকে কেমন দেখে সেটা বোঝাতে।
— ডিসকাস্টিং…. এতে হিতে বিপরীত হচ্ছে সমাজে। বোধ শুদ্ধ হয়না। জাগ্রত হয়না শুদ্ধ বোধ। বরং এসবের কারনেই নারী নির্যাতিত, পণ্য হচ্ছে নিত্য।
কবি: নারী পণ্য হচ্ছে নারীর ইচ্ছাতেই। এতে কারো হাত নেই।
— দেখুন এইসব নিয়ে আপনার সাথে তর্ক করার মতো যথেষ্ঠ সময় নাই আমার।
কবি: হুমম….আসলেই আমরা জটিল করছি, বাট এটা ভালো হচ্ছে।
— ডিবেটিংএ আমি নাই।
কবি: ভালোই তো করলেন!
— ধুর
কবির প্রসঙ্গ বদলাতে সময় লাগেনা। বোঝা যায় চটকদার তকমা না থাকলে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায়না। অনলাইন মাধ্যমে শুরু করে কবিতা* নামের পুঁজি নিয়ে এরাই শুরু করেন বই প্রকাশের রমরমা ব্যাবসা। কোনো এক কবি বলেছিলেন কবি*রা চরিত্রহীন হয়। চরিত্র বলতে যে কি বোঝায়? তাহাদের দু একখানা কবিতায় ফুটিয়ে তুলতে বড্ড নিপূণ।
কবি: একটা কথা বলি আপনাকে?
–বলেন
কবি: আপনার চুল লাল কেন?
— সাদা ভালো লাগেনা তাই।
কবি: আপনি লালেই অন্যরকম।চীর সবুজ।
–স্তুতিবাক্যে আনন্দ বা খুশি হবার কোনো কারন নেই।
কবি: সব বাক্য খুশি করানোর জন্য নয়।
–সব বাক্য সব জায়গায় বলাও উচিত নয়।
কবি: কিছু বাক্য তো তুলে ধরে অবস্থান, সময়, অনুভব।
— এবার বিরক্ত হলাম। টা টা……
বি.দ্র. লেখাটা আজ তৌহিদ ভাইর পোস্ট দেখে উৎসাহিত হলাম লিখতে।
লেখার বিষয়বস্তুর দিকে খেয়াল করুন পাঠকগণ। ব্যাক্তিগত ভাবনা থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন দয়া করে।
২৫টি মন্তব্য
ফয়জুল মহী
সাবলীল সুন্দর উপস্থাপন । ভালো থাকুন।
বন্যা লিপি
ভালো থাকুন আপনিও।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
ধন্যবাদ ।
বন্যা লিপি
শুকরিয়া।
তৌহিদ
কি আর বলি! এইসব নাম সর্বস্ব কবি বস্তাপচা লেখা লিখে পাঠকদের বিভ্রান্ত করছে! এরপরে গাঁইগুঁই করে ইনিয়েবিনিয়ে এমনসব কথা বলবে মেজাজটাই তিরিক্ষি হয়ে যায়। ফেসবুকে আমিতো তাদের লেখায় মন্তব্যও করিনা, রুচিতে বাঁধে।
এরপরে তাদের বই বের হয়। আজকাল টাকা দিলেই বই প্রকাশ করা যায়। একটা সময় ছিলো বইমেলায় লেখকের বই বের হয়েছে জেনে তার দিকে চেয়ে থাকতাম বিস্ময় নিয়ে যা আজকাল আর হয়না। আর কবিতা শব্দটি শুনলে মনে যে দোলা আসতো এখন সেটিও আসেনা। যদিও আমি কবিতা কম বুঝি তবুও পড়ার চেষ্টা করি, বুঝতে চেষ্টা করি। এখনকার কবিদের চটি কবিতা পড়তে রুচিতে বাধে। সস্তা ফেম পাবার আশায় নারীদেহকে সর্বস্ব বানিয়ে কবিতা লেখে তারা।
আমার লেখা থেকে উৎসাহিত হয়ে লিখেছেন জেনে সম্মানীত বোধ করছি আপু। আপনি নিজেই অনন্য একজন লেখক, সে অর্থে আমি লেখক নই।
ভালো থাকুন সবসময়।
বন্যা লিপি
উচ্চমার্গিয় বোধ ব্যাবহার করা হচ্ছে প্রতিবাদী ভাষার রুপান্তর করে জৈবিক অনুষঙ্গের আদলে। অসম্ভব ফেম পাওয়ার অকৃত্রিম ইচ্ছা ছাড়া আর কি বলবো এদের?
আমি লেখক কিংবা কবি দুটোর কোনোটাই না ভাই। ইচ্ছে হয় লিখতে দেখা/ শোনা/ বোঝা নিয়ে অনুভূতির অভিজ্ঞতা। তাই লিখে যাই দুঃসাহসে। এ আমার মনের খোরাকী বলতে পারেন।
উৎসাহ হারিয়ে ফেললে হয়ত থেমে যাবো একেবারে।
আপনি যদি লেখক না হন তো আমি তো শুন্য! এভাবে বলবেন না আর ভাই।
অনেক ভালো থাকবেন।
শুভ কামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
এমন বিশ্বায়নের যুগে সবকিছু হাতের মুঠোয় চলে আসায় কিছু মানুষ এগুলোকে এমনভাবে চটুলতা, নোংরামি, অশ্লীলতা দিয়ে সাজাচ্ছে যে কোন কিছুতে শুদ্ধতা, সৌন্দর্য খুঁজতে যাওয়াটাই অস্বাভাবিক লাগে। ফেসবুক তো ভালগারিজম দিয়ে পরিপূর্ণ। তবুও যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হবার কারণে সেটা রাখতেই হয়। খুব ভালো লিখেছেন আপু। শুভ কামনা রইলো
বন্যা লিপি
মূলত আমার দৃকপাত করার উদ্দেশ্যই ছিলো এই অংশটা।যা আপনার মন্তব্যে স্পষ্ট করে তুলে ধরেছেন। কবিতা বা লেখার মূল যদি আদিরসাত্মক উপাদানে ভরপুর থাকে, সহজেই হয়তো এক শ্রেনী তৈরী হয়ে যায় জনপ্রিয়তা বা লেখক হিসেবে সেলিব্রেটি হয়ে উঠতে।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ছোটদি।ভালো থাকুন সবসময়।
ইঞ্জা
এই ধরণের কবি নামের দালাল থেকে দূরে থাকা ভালো, এরা নতুন লেখকদের বেচে খায়, নিজেরা যা লেখে তা অখাদ্য, গতকাল ব্লগেই দুজনের লেখাতে আপত্তি জানিয়েছি।
দারুণ লিখলেন আপু।
বন্যা লিপি
দালাল বা ব্যাপারী যাই হোক। বেচাবিক্রির জন্য ভুল জায়গা নির্বাচন করলে আখেরে লাভলোকসান গোণার দায় যার যার নিজের।
শুদ্ধশব্দের পক্ষে আমার চিরকালীন অবস্থান।
প্রলোভন বা অতি উৎসাহে অবস্থান ভুলে যাবার সময় নাই এখন।
ধন্যবাদ জানবেন।
প্রদীপ চক্রবর্তী
এমন দালাল কবি, লেখককের অভাব নেই!
এরা অন্যের লেখা চুরি করতেও দ্বিধাবোধ করেনা।
যথার্থ তুলে ধরলেন দিদি।
বন্যা লিপি
শান্তিচুক্তিতে দস্তখত দিয়ে নিশ্চিন্তে অবস্থান আমার দাদাভাই।
ভালো থেকো সবসময়।
জিসান শা ইকরাম
কবি হলেই বই প্রকাশের মাধ্যমে চুড়ান্ত সার্থকতা দেখে অনেকে। নিজেদের টাকা দিয়ে বই প্রকাশ করে কবি হয়ে যায়।
নারীদের কাছে আসে বই প্রকাশের টোপ। আমার জানামতে বহু নারী এই টোপে ফেঁসে গিয়েছেন। ফেঁসে যাওয়ার ইতিহাস তো প্রকাশ করা যায় না।
সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য অনেকেই আধুনিক কবিতার মাঝে শরীর নিয়ে আসে। এরা ভাবে এটিই আধুনিকতা।
লেখাটি ভালো হয়েছে অনেক। কথার ছলে মুল বক্তব্য ভালোভাবেই তুলে ধরেছ।
শুভ কামনা।
বন্যা লিপি
আধুনিকতা না সস্তা জনপ্রিয়তা পাবার সহজ রাস্তা? চটুল উপাদান প্রয়োগে পাঠক আকৃষ্ট করা। পাঠকও নির্ধারিত গোত্রীয় বলে মনে করি এসব লেখকের। প্রতিবাদীয় ভাষা যদি আদিরসাত্মক শরিরী উপমা হয়! তবে তা কবিতা বা সৃজনশীল লেখা হয় কি করে?
টোপ বলেন আর প্রলোভণ বলেন…..জায়গা নির্বাচনে ভুলই থেকে যাবে সর্বদা।
ভালো থাকবেন সবসময়।
আরজু মুক্তা
আমার তো মেধা আর টাকা কোনটাই নাই। মনের ইচ্ছায় লিখি
বন্যা লিপি
আপনি তো আমার দলের মানুষ!
কোনোটাই নেই।
তবে এখানে একটু আমার আপনার অহংকার থাকলে দোষের কিছু না, আমরা নিশ্চই ভালগারিটির পক্ষে বা ওইসব শব্দ ব্যাবহারের কথা ভাবতেও পারি না!
ছাইরাছ হেলাল
অনেক অনেক মৌলিক যৌগিক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন।
বই-টই কিচ্ছু না, সব ফকফকা।
বন্যা লিপি
বই-টই কিচ্ছু না, সব ফকফকা।
এটাই আসল।
আর অভিজ্ঞতার কথা বলছেন?
এখনো কি ছোটো আছি?😊😊
হালিম নজরুল
বই প্রকাশই কবি/লেখক হবার পূর্বশর্ত নয়। তবুও অনেকেই এটিকে আবশ্যিক মনে করে। অসৎ প্রকাশকরাও সুযোগ গ্রহণ করে।
বন্যা লিপি
ঠিক বলেছেন যা বলেছেন।
এই যে অনেকেই বলেন, আপনার বই বের করা উচিত! আমি ভাবি, বই প্রকাশ করার মতো লেখা কি লিখি? এই ভাবনার জবাব যেদিন পেয়ে যাবো! প্রকাশক নিজ দায়িত্বে আমার বই প্রকাশ করবেন। আমি কিছুই করবো না😊 ঠিক কিনা ভাই বলেন?😊😊
হালিম নজরুল
একদম ঠিক।
মোহাম্মদ আলী
কবি: ওওও, বাট আমার ওপরে কেন রাগ করবেন? বুঝতে পারলাম না।
কবির ওপরে অনেকেই রেগে থাকে।তবুও কবির সব সময়ে কবিকে টিকে থাকতে হবে
বন্যা লিপি
আপনি লাইনটা কি বুঝলেন আমি বুঝিনি।
শেষে কি বোঝাতে চাইলেন! তাও বুঝিনি।
সাবিনা ইয়াসমিন
শেষে এসে জল ঢেলে দিলে!
লাইন গুলো পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিলো ঐ উদীয়মান কবির(?) কলিজাটা খুলে দেখি সেখানে কবিতার নামে আর কি কি নোংরামি পুষে রেখেছে সে। যাইহোক লেখাটি রুপক হওয়ায় আর কিছু বলছি না।
মানুষ কত ফালতু হয় তা সোশ্যাল সাইট গুলোতে না এলে আসলেই জানা হতো না। এটা একটা হাটবাজারের মতো হয়ে গেছে। কে কিভাবে সুযোগ নিবে/ পাবে সেটাই যেন এখানকার নিত্তনৈমিত্তিক ব্যাপার। আসলে কিছু মানুষের উচ্চাকাঙ্ক্ষা গুলো এত বেশি উচ্চে অবস্থান করে যে, ধান্ধাবাজেরাও সুযোগ নিতে দেরি করে না।
লেখায় পুরোদমে ফিরে এসেছো দেখে খুব ভালো লাগছে। আরও অনেক অনেক লেখা চাই, বই প্রকাশের আগেই 🤪🤪
ভালো থেকো,
নিরন্তর ভালোবাসায় ❤❤
বন্যা লিপি
দুঃখিত ময়না, তোমার মন্তব্যের জবাব দিতে এত দেরি করলাম বলে মাফ চাইছি।
কথা হলো, মানুষ চেনা যেমন সহজ না, তেমনি মানুষের রুপ না বুঝলে মানুষ থেকে সতর্কও থাকা যায়না।
বই প্রকাশ? নেবে নাকি তুমি দায়িত্ব আমার বই প্রকাশ করার? 😜😜😜😜
লিখছি মনের খোরাক মেটাতে। বই টইয়ের চিন্তা মাথায় রাখলে লেখা আর এগোবে বলে মনে হয়না।
ভালবাসা নিরন্তর❤❤