দুচোখ দিয়ে দেখছি আমি অদ্ভুতুড়ে খেলা,
মন দিয়ে, বুঝতে ব্যর্থ, ভুতুড়ে এই মেলা।
একটু এগিয়ে, অগ্নিতাপে, ছাই হচ্ছে সব,
পিছিয়ে পড়ে শীতল হয়,বড্ড অবাস্তব।
সুখ খুঁজে ক্লান্ত হয়ে পথিক দাড়ায় থমকে,
দুঃখটার মৃদু গন্ধ নেয় সে দ্রুত শুঁকে।
এক চুমুক তৃপ্তির আশে নতুন পথে নামে,
তেঁতো স্বাদে মুখ বাকিয়ে শ্রাপ দিতে বাঁধে।
এক কদম এগিয়ে আবার উটকো ঝামেলা,
আগাছা সব কেটে ফেলে নব্য বেশভূষা।
নগ্ন মায়ায় ত্যক্ত হয়ে বিরক্ত হয় বেশ,
ঝলমলে কোন নদীর তীরে স্বপ্ন হয় শেষ।
খেলতে গিয়ে ক্লান্ত হয়, ক্লান্তি করে ভর,
সহযোদ্ধা হার মেনে, হয়ে যায় পর।
মগ্ন হয়ে তাকিয়ে থাকা ছোট্ট চিরকুটে,
গড়িয়ে পড়ে মিথ্যে মায়া দারুন সংকটে।
কলুষিত, দেহে বাঁধা, বন্দী কোন সত্তা,
হাজার কথায়, মুখর থেকেও, নীরব সে বক্তা।
সমুদ্রে গমন, বোধ হয় বড়ই নিষ্প্রয়োজন,
নুরি পাথর গুড়ো করে, নিষ্পাপ সে জীবন।
তারস্বরে চিৎকার করে ডাকে কোন চিল,
উড়তে গিয়ে হিসেবে হয় বিরাট গড়মিল।
উদ্ভ্রান্তু ভাব এনে, যাচ্ছে ভেঙ্গে মাটি,
মুখ লুকিয়ে খুঁজে কারে, হীন সে জাতি।
খেয়ে খেয়ে ফুলছে কুকুর, হচ্ছে না তার বিচার,
ক্ষুধার জ্বালায় করে ছটফট যোগ্য দাবীদার।
এখানে এসেও নীরব থাকে স্বাধীনচেতা বক্তা,
কানামাছি খেলে সুখ পায়, স্বাধীনতার কর্তা।
চেচিয়ে গলা ফুলিয়ে ফেলে স্বপ্ন দেখে দেখে,
সবাই মিলে হত্যা করে, সেই স্বপ্নদ্রষ্টাকে।
৬টি মন্তব্য
প্রিন্স মাহমুদ
তোমার লেখার মধ্যে ব্যাপক বদল হয়েছে ।
রাতুল
চেষ্টা করি 🙂
ছাইরাছ হেলাল
দ্বিমুখীতা আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পরেছে ।
আপনি দেখি অনেক ভাল লেখেন ।
রাতুল
ধন্যবাদ 🙂
দ্বিমুখীতা আসলে সহ্য করতেই শিখতে হবে… বদলানোর উপায় নেই…
শুন্য শুন্যালয়
চিন্তাভাবনার গভীরতা এবং কবিতা দুটোই অনেক ভালো লেগেছে…
রাতুল
ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম 🙂