প্লাবনমেঘ,
এত এত কান্না না কাঁদলেও পারতে
লুকানো কান্না লুকিয়ে রেখেই
না হয় কাঁদতে।
মনঃকানে শুনতে পাই
নিরাভরণ নিরালম্ব এ কান্না,
কেন কাঁদ?
ক্লান্তির স্বপ্নডানা গুটাও এবার,
কান্নার বাসা ভেঙ্গে তাকাও
ঘুমহীন ভেজা চোখ খুলে তাকাও।
এ পদ্ম সরোবরের সবুজ সমারোহে
বউ কথা কও পাখী ডাকে,
বাঁধাছাঁদায় গোছগাছ করে এসো
পরাবো রংধনুর জোড়া মালা,
রানীর অসামান্যতায় নিশ্চিন্ততার
অজস্র সেবাশুশ্রূষায় এসো
অস্তসূর্য্যের শেষ আলোতে এসো;
পেছনে ফেলে নিদ্রাহীনতার বরফগুচ্ছ
ঘরকন্নায় এসো।
মেহজাবিন,
কানপড়া নিও না আর
বলোনা নৈব নৈবচ।
৩২টি মন্তব্য
লীলাবতী
এমন আহ্বান উপেক্ষা করবে কিভাবে সে?আসতেই হবে এবার তাঁকে।
ছাইরাছ হেলাল
আসলে মন্দ হয় না। আসতে তো বলি,আসে না যে।
লীলাবতী
‘কবি বলিয়াছেন ‘একবার না আসিলে ডাকি শতবার’। হাল ছেরো না বন্ধু আমার 🙂
ছাইরাছ হেলাল
শতবারে ও থামতে পারব না। কুটিবার পর্যন্ত দেখব।
ব্লগার সজীব
কে আবার কান পড়া দিবে? কানপড়া শুনবেই না সে।
ছাইরাছ হেলাল
কানপড়া দেয়া লোকের অভাব নেই। না শুনলেই ভাল।
ব্লগার সজীব
এটিও কি মাহজাবিন? 🙂
ছাইরাছ হেলাল
হুম, মেঘরূপী মাহজাবিন।
অনিকেত নন্দিনী
মেহজাবিন কানপড়াও নেয়! 😮
ছাইরাছ হেলাল
বিশ্বাস করা যায় না, কখন কোন কথা শুনে বসে।
স্বপ্ন
কান্না নয়,কান্না ভুলে আনন্দের দিন আসছে।
ছাইরাছ হেলাল
আনন্দের দিন আসুক তা ই চাই কিন্তু আসেনা যে।
নীলাঞ্জনা নীলা
বাসে বসে বসে পড়ি আর বাসায় ফিরে মন্তব্য করি। সেই দুপুরে পড়েছি আর ভেবেছি কখন মন্তব্য করতে পারবো। অবশেষে মনের ইচ্ছে পূর্ণ হলো।
বুঝুন তাহলে কবিতাটি কেমন! -{@
-{@
ছাইরাছ হেলাল
ধুর, আপনি মনে হয় বানিয়ে বলছেন। এতটা কিন্তু ঠিক না।
ভালই ও লাগছে এমন শুনতে।
শুন্য শুন্যালয়
না কাঁদলে এমন করে কেউ বলতো? লুকানো কান্না লুকিয়ে রেখে, কি কি হারাতো ভেবে দেখুনতো। রংধনুর জোড়া মালা, অস্ত সূর্য্যের শেষ আলো, নিশ্চিন্ততার প্রলোভন!! শত কান পরাতেও মেহজাবীন বলবেনা, “না, কিছুতেই নয়, কখনোই নয়”
যা লেখেন তাতেই লাল, সাদা আঙ্গুরের রস ঢেলে দেন নাকি?
ছাইরাছ হেলাল
যাক, কানপড়া এক্ষণে পরাজিত হয়েছে দেখে ভালই লাগছে।
ছেলে ভুলানো গল্প ফেঁদে ভাব করার চেষ্টা। অবশ্য কল্পদেশের গল্পে এসব একটু থাকেই।
আঙ্গুরের দেখাই পেলাম না, রস সে তো দূর কি বাত।
আপনার লেখা দিয়ে দিন।
রিমি রুম্মান
মেহজাবিন,
কানপড়া নিও না আর
বলোনা নৈব নৈবচ___ বাহ্ ! এমন ভাবনা কেমন করে এলো ?
ছাইরাছ হেলাল
কত কী ভাবি তার কোন হিসেব আছে। এলোমেলো ভাবনা ও বলতে পারেন।
মেহেরী তাজ
না নাহ মেহজাবীন কানপড়া নিবে না।
ও অনেক ভালো। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, আপনার কথাই যেন সত্য হয়। কানপড়া নেয়া খুব খারাপ।
আপনার লেখা কই!
ইমন
বাহ!মজা পেলাম পড়ে \|/
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
মেহজাবিন কত ভাবে আসবে কে জানে?
যত ভাবেই আসুক,আমরা তা দেখতে পাবো আপনার লেখায়।
মেহজাবিন এর প্রতিক্রিয়া দেখতে মঞ্চায় 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আমি আসলে নিজেও জানি না, কীভাবে আসে বা আসবে।
অবশ্যই সবাই দেখতে পাবে।
হ্যা, তাও দেখা যাচ্ছে ও যাবে। প্রেমের বন্ধুত্ব, বন্ধুত্বের প্রেম–(১)
এটিও চালু থাকবে।
আজিম
খুব সুন্দর এক কবিতা লিখেছিলেন আপনি মেহজাবিন সম্পর্কিত ‘মেঘ’। অতি আবেগ ছিল তাতে। আজো তার প্রভাব দেখা যায় আপনার বিভিন্ন কবিতায়। অভদ্রতা হয়ে যাবে, নাতো একটা প্রশ্ন করতাম আপনাকে।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই আবেগ আছে, তা অনেক গভীর। তিনটি লেখাতেই।
আর হ্যা, এগুলো কবিতা হিসাবে আমি অন্তত মেনে নেই না। যতই কবিতা কবিতা ভাব থাকুক না কেন।
আমি প্রশ্ন করতে খুব পছন্দ করি এবং উত্তর দিতেও। তা যে কোন বিষয়ে।
অতএব নির্বিঘ্নে ও নির্ভাবনায় তা করা যেতেই পারে।
আপনি পড়ছেন দেখে ভাল বোধ করছি।
অবশ্যই ধন্যবাদ।
মিথুন
কেঁদেই না আপনাকে পটালো। না হলে এমন কবিতা কোথা থেকে আসতো? মনে তাহলে ভয় আছে কেউ কানপড়া দিলেও দিতে পারে?
ছাইরাছ হেলাল
নাছোড় বান্দা হয়ে মেঘকেই পটানোর অবিশ্রান্ত চেষ্টা, যেহেতু সফলতার দেখা মেলেনি তাই
কানপড়ার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া যাচ্ছেন না।
শিশির কনা
কান্না ভুলে এবার অবশ্যই হাসবে মেঘ +++++
ছাইরাছ হেলাল
এলে ভালই হবে। অনেক দিন পর পেলাম আপনাকে।
আশা জাগানিয়া
মেঘের কান্না থেমে যায়,কিন্তু মানুহ যখন মেঘ হয়ে যায় তার কান্না থামেনা।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি তো দেখছি লেখার থেকেও সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন।