মানুষ নিঃসঙ্গতায় ভোগে,
একাকিত্বের শূন্যতা কুড়ে কুড়ে খায় কোন কোন মানুষকে,
কিন্তু কখনো কখনো
কোন বাড়ীও যে চরম নিঃসঙ্গ হতে পারে তা জানা ছিলনা।
আমার বাসার ছাদে উঠলেই সেই নিঃসঙ্গ বাড়ীর দেখা মেলে।
হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যায় বন্ধ জানালাগুলো।
মনে হয় বাড়িটা জোড় করে তার নিঃসঙ্গতা ঢাকতে চাইছে,
তার চোখ জুড়ে ভয়াবহ শূন্যতা।
মৃত্যুর নিস্তব্দতা ছড়িয়ে আছে স্যাঁতস্যাঁতে দেয়াল জুড়ে।
গতিময় জীবন এখানে এসে যেন হঠাত করেই থেমে গেছে।
কেউ থাকেনা এখন এখানে।
এক কালে যাদের চিত্কার হৈচৈ এ মেতে থাকত বাড়িটা,
আজ তাদের কাছে প্রয়োজন ফুরিয়েছে তার।
এখন শুধুই একটা সম্পত্তি সে।
২৮টি মন্তব্য
ব্লগার সজীব
চলতি পথে এমন কেউ না থাকা বাড়ি দেখেছি। আপনার মত করে ভাবিনি কোনদিন। বাড়িতে কেউ নেই যখন আপনিই বসবাস করা শুরু করে দিন 🙂
মিসু
আমাকে এই বাড়িতে বিনে ভাড়ায় থাকতে দিলেও আমি থাকবো না, এত হিম শীতল যে নিজেও জমাট বেঁধে মরে যাবো ।
লীলাবতী
মিসু আপু, অনেক দিন পরে আসলেন ব্লগে, এসেই দিলেন মন খারাপ করা এক পোষ্ট। যিনি এই বাড়ি তৈরী করেছিলেন, কত স্বপ্ন ছিলো তাঁর। তাঁর বংশ ধরদের কাছে এ সব স্বপ্ন অর্থহীন। একদিন দেখবেন বাড়িটি বিক্রি হয়ে গিয়েছে, স্বপ্ন ভেংগে যাবে বুলডেজারের আঘাতে।
মিসু
একজনে স্বপ্ন তৈরি করে অন্যরা তা ভেংগে দেয় এটিই নিয়ম। আমার বাসার লাগোয়া এই নিঃসঙ্গ বাড়িটি। কেউ থাকেনা এখানে।
আদিব আদ্নান
নিঃসঙ্গ বাড়ি নিঃসঙ্গতার প্রতীক হয়ে ধরা পড়ছে আপনার লেখায় ।
বহুদিন পর আপনাকে দেখলাম ।
মিসু
সময় পাই না যে আদনান ভাই ।
জিসান শা ইকরাম
পড়লাম ।
মালিক বিহীন বাড়িটি হয়ত এখন কাঁদছে।
আপনাকে আবার আতংক গ্রাস না করে।
একান্ত অনুভুতি ভালো লেগেছে।
মিসু
আতংক গ্রাস করবেনা, তবে বাড়িটি দেখে খারাপ লাগে খুব।
অন্তরা মিতু
প্রপার্টি ডিলারদের আনাগোনা… উত্তরাধিকার দলিলের সংখ্যাবৃদ্ধি… ক্ষমতাবান এলাকাবাসীর লোভী চকচকে চোখ…
কে মনে রাখে কোন ঘরে জন্ম নিত শিশুরা… পবিত্র সেই আতুরঘর? কে জানে কোন ঘরে রঙিন স্বপ্ন বোনা হয়েছিল যা কখনো সত্যি হয়নি? কে জানে কেমন উচ্ছ্বসিত প্রাণময় হয়ে উঠতো প্রতিটি বিকেল, শিশুদের কলরবে?
মিসু
সুন্দর মন্তব্য। আপনাকে দেখে চমকে উঠলাম। এই প্রথম পেলাম আপনাকে আমার লেখায়।
সাবালক
সত্যি মানুষের মত কখনো কখনো একটি বাড়িও একাকিত্বের কষ্টে পোড়ে, যা আমাদের মত মানুষের চোখেই ধরা দেয়। ধন্যবাদ এমন পোষ্টের জন্য।
মিসু
ঠিক বলেছেন সাবালক ।
শুন্য শুন্যালয়
এমন দুএকটা বাড়ি চোখে তো পরেই তবে আপনার মতো করে ভেবে দেখিনিতো।
ভেতরের নিঃসঙ্গতার প্রতীক হয়ে ঠায় দাড়িয়ে থাকবে, একদিন ভেঙ্গেচুড়ে যাবে। ঠিকই বলেছেন।
কস্ট স্পর্শ করলো লেখা পড়ে। ভালো থাকুন আপু। সময় পেলেই চলে আসবেন এখানে।
মিসু
আমার জানালা থেকেই দেখা যায় পাশের এই বাড়িটি। আমিও আগে কখনো এমন করে ভাবিনি। সময়ের যে বড্ড অভাব আপু।
শাদমান সাকিব
লেখাটিতে কোথায় যেন দুঃখ দুঃখ ভাব আছে ।
মিসু
দুঃখ তো আছেই শাদমান ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
স্বপ্ন
এই বাড়িতে জন্ম নেয়া সবাই এখন মানুষ হয়েছে, তাই এটি এখন পরিত্যাক্ত।
মিসু
ভালোই বলেছেন। মানুষ হয়ে গেলেই যত সমস্যা ।
স্বপ্ন নীলা
সুন্দর। অনিন্দ সুন্দর
মিসু
ধন্যবাদ আপু।
শিশির কনা
মন খারাপ করে দেয়া লেখা মিসু আপু।
মিসু
যা মনে এসেছি, তাই লিখেছি শিশির।
মিথুন
এ বাড়ি আর কলকাকলিতে মুখরিত হবেনা কোনোদিন। খারাপ লাগে এমন ভাবতে।
মিসু
হ্যা, কলকাকলিতে আর মুখরিত হবেনা কোনোদিন ।
ছাইরাছ হেলাল
এতদিন পর লিখলেন ,তাও আবার এক রাশ কষ্ট ছুঁড়ে দিলেন ।
কাজটি কি ভাল হল ?
মিসু
কিছু কিছু সময় কষ্টটাই অনেক সুন্দর হয়ে সামনে চলে আসে হেলাল ভাই।
নীলাঞ্জনা নীলা
বিড়াল দেখেই কিন্তু চিনে ফেলেছি তোমাকে। ফেইসবুকে পড়েছি এই লেখা। ভালো লেখো তুমি আর একবার বললাম।
মিসু
ধন্যবাদ নীলাদি। জন্মদিনের শুভেচ্ছা আর একবার দিলাম 🙂