ডাঃ ইউনুস মিয়ারে নিয়া আমি কখনই সমালোচনা করিনাই 🙂 তবে গতকাল একটা নিউজ পেপারে দেখলাম তিনি নাকি নতুন রাজনীতি দল বানাচ্ছে , আর দলের নাম ( গ্রামীণ পার্টি বাংলাদেশ ) জিপিবি ‘ তার রাজনীতিতে নামতে দেখে ‘নতুন টিনের চাল’ এর কথা মনে পড়লো ।
তখন সম্ভাবত ১৯৯৬-১৯৯৭ হবে , তখন আমি অনেক ছোট ,তখন আমাদের গ্রামের প্রথম গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ দেওয়া শুরু হয়।যেইটাকে স্থানীয় ভাষা বলা হতো কিস্তিতে টাকা নেওয়া । আমাদের গ্রামের যেতো গরিব পরিবার ছিল সবাই ৪০-৫০ হাজার টাকা কিস্তি নিয়ে নতুন টিনের চাল দিয়ে ঘর বানিয়েছিল । গ্রামের তখন আর ভাঙাচুরা কোন ঘর ছিলনা ।সবাই নতুন টিন দিয়ে ঘর বেধে ছিল ।
তো তেমনই পাশের বাড়ির একজনকে আমার চাচা জিজ্ঞাসা করেছিল কিরে নতুন টিন দিয়ে যে ঘর বানাইলি এই টাকা পরিশোধ করবি কিভাবে ?
ঐ লোক জবাবে বলেছিল ঃ যেই লোক আমাদের কিস্তি দিচ্ছে সে সম্ভাবত একটি রাজনীতি দল করবে এবং সবাইকে বলবে আমাকে ভোট দেও ! আমি তোমাদের কাছ থেকে কিস্তির টাকা নিবোনা ।
এই কথা আমার চাচা শুনে হা হা হা করে হেসেছিল আর বলেছিল দেখিছ নতুন টিনের ঘরের সাথে বাড়িও যেন না যায় !!
তার ৭-৮ মাস পর কিস্তির টাকা দিতে না পেরে সবাই নতুন টিনের ঘর বিক্রি করা শুরু করে , এবং অনেকে বাড়ি বিক্রি করেছিল সেই টাকা পরিশোধ করার জন্য । আর এক মহিলা তো কিস্তির টাকা দিতে না পেরে ইন্দুর মারার বিষ খেয়ে মরতে চেয়েছিল , তার পর গু-মুত-তেতুল খাওয়াইয়া বমি করাইয়া তারে বাচানো হয়েছিল ।
দীর্ঘ ১৬ বছর পর সেই লোকের কথা মনে হলো 😀 ইউনুস ভাই কে রাজনীতিতে নামতে দেখে । তাই আমি বলতে চাই তরা সবাই বেশি বেশি করে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া শুরু করে দে ……………….. ইউনুস বাইকে ভোট দিলে সেই ঋণ আর পরিশোধ করতে হবেনা ।
৬টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
সোনেলা আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছে ।
ভোটের রাজনীতি বা রাজনীতির ভোট চলুক ।
amarmon
ইউনুস সাহেব যেদিন প্রথম রাজনৈতিক দল খুলবেন ঘোষণা দিয়েছিলেন তখন ভাল লেগেছিল আমার ব্যক্তিগত ভাবে। যাক ভাল মানুষ গুলো রাজনৈতিক দলকরে নুন্যতম পরিবর্তন আসবে। আমাদের পথ সহজ হবে।
এখন উনিই অন্য দলে ঢুকি ঢুকি করছে যাদের একদম সহ্য করতে পারি না। আর ঋণ, কিস্তি, নোবেল সব গুলো আলাদা আলাদা বিষয় ও সেভাবেই ভাবতে হবে।
— বাই দা ওয়ে, আমি সোনেলায় আসলাম কেমনে বুঝতাছি ন। -:- আসিই যেহেতু পরছি, দেখি কি হয় এখানে।
মর্তুজা হাসান সৈকত
ইউনুস সাহেব এমনিতেই বিতর্কিত । নিজের নিজেকে নিয়েই যারা ব্যাতিব্যাস্ত থাকেন এমনই টাইপের একজন তিনি । মাইক্রো ক্রেডিটের যে প্রবক্তা হিসেবে নিজেকে দাবি করেন ইউনুস সাহেব সেটারও প্রবক্তা তিনি নন, মূলত প্রথম মাইক্রো ক্রেডিটকে প্রথম আলোয় এনেছিলেন কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজের তৎকালীন প্রিন্সিপাল আখতার হামিদ খান ।
জিসান শা ইকরাম
স্বাগতম সোনেলায় -{@
যারা গ্রামীণ ব্যংকের কর্ম পদ্ধতি জানেন না , তাঁরাই শুধু এর প্রশংসা করেন ।
যারা জানেন তাঁর ঘৃণা করেন ।
আমাদের গ্রামেও আছে এই ব্যংকের সুদে টাকা খাটানো। এই টাকা দিয়ে কেউ কোনদিন কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেনি। সবাই ঘড় বাড়ী বানিয়েছে । চড়া সুদ আদায়ের জন্য আছে তদারকি দিল। গরু ছাগল জমি বিক্রি করে কিস্তির টাকা পরিশোধ করছে সবাই।
নারীর উন্নয়নের সুন্দর সুন্দর কথার আড়ালে – গ্রামীন ব্যাংক আসলে একটি সুদখোর কোম্পানী।
ভালো লিখেছেন ।
লীলাবতী
গরীব মারার ব্যাংক হচ্ছে গ্রামীন ব্যাংক ।
খসড়া
😀