ধর্ষণ

ইয়াগনিন সুলতানা ২২ অক্টোবর ২০১৪, বুধবার, ০৯:৫১:১১অপরাহ্ন সমসাময়িক ১৬ মন্তব্য

ধর্ষণের নাম শুনলেই এক শ্রেণীর লোকের গা ঘিনঘিন কর, এক শ্রেণী সকালের পত্রিকায় এই মুখরোচক নিউজটা পারলে অনুবীক্ষণ যন্ত্র নিয়ে খোঁজ়ে, এক শ্রেণী সমাজে এটার বিরুদ্ধে কাজ করে, এক শ্রেণী এটা করে, এক শ্রেণী এটার ভুক্তভোগী, এক শ্রেণী এটার ভয়ে বেছে নেই সুইসাইড নামক কালো ঘরটা।

যারা ভুক্তভোগী তাদের বলি, ধর্ষণ মানেই কি জীবনের শেষ? তুমি যদি কারো পশুত্বের শিকার হও তাই বলে কি নিজেকে দোষী, পাপী ভেবে চার দেয়ালের ঘরে আটকে রাখবে? কেন সুইসাইড করতে হবে? যে বাবা মা এতো কষ্ট করে তোমার সুখের জন্য  তাদের কথা একবার ও ভাববেনা? সমাজ কি করলো, লোকে কি বললো সেটা ভেবে জীবন সংগ্রাম থেকে নিজেকে সরিয়ে নিবে? ঐ পশুটা হয়তো তোমার শরীর টাকে ছুঁতে পেরেছে তোমার মনকে কি পেরেছে? মনের পবিত্রতা বড় পবিত্রতা। মহান আল্লাহ ও সব দেখছেন। অন্যের দোষের জন্য অবশ্যই তুমি দোষী হতে পারোনা।

এবার আসি সেই শ্রেণীর লোকের প্রতি যারা প্রতি সকালের পেপারে এই নিউজ টা খুঁজেন। আপনি যেটা পড়ে অদ্ভুত শব্দ করে মজা নিচ্ছেন জানেন কি একটা মেয়ের কতোটা কষ্ট হয়? আপনি তার কষ্ট টা যখন বুঝার চেষ্টা করছেননা আপনাকে তার কষ্টে মজা নেওয়ার অধিকার কে দিয়েছে?

এবার আম জানতাকে বলি, ধরুন আজ আমার কিংবা আপনার প্রিয়, অতি আদরের কোনো মুখের ধর্ষণ হয়েছে। কি করবেন? অন্যের বেলায় তো আমরা বলি “মেয়েটার স্বভাব ভালোছিলোনা তাই এমন হয়েছে ” কিন্তু নিজের বেলায় কি পারবেন এই কথাটা বলতে? আসলে অন্য কেউ না ওদেরকে সুইসাইডের জন্য আমরা বাধ্য করি। আমরা ভেবেই নিয়েছি কোনো ধর্ষিতার বাঁচার অধিকার নেই।

এবার আসি এর বিরুদ্ধে স্লোগান তোলা মানুষগুলোর প্রতি। আপনি নিজে কি পারবেন একটা ধর্ষিতাকে  পুরো সম্মানের সাথে ঘরের বৌ করে আনতে কিংবা নিজের প্রতিষ্ঠিত ছেলের সাথে একটা ধর্ষিতার বিয়ে দিতে?

আর সেইসব মহান ধর্ষকদের বলছি, কতোটা শান্তি পান ধর্ষণ করে? মেয়েটার চিৎকার, কান্না, অনুনয় গুলো শুনতে খুব ভালোলাগে তাইনা? নিজের চাহিদা যদি সামলাতেই না পারেন তাহলে পতিতালয় গুলোতে গেলেও তো পারেন। আমাদের দেশে এমনতো নয় যে পতিতালয় নেই। কিছু টাকা খরচ করলেই ওরা নিজ ইচ্ছায় আপনাকে তুষ্ট করবে। তাতে করে আপনার অধিক জোর প্রয়োগের ও প্রয়োজন হবেনা ধর্ষণের মতো। বরং বাকি শক্তিটুকু আপনি কোনো কাজ করে পরবর্তী দিন পতিতালয়ে যাওয়ার মতো টাকাও ইনকাম করতে পারবেন। আর আপনার চাহিদা পূরনের সাথে সাথে পতিতালয়ের একটা নারীর ও একবেলার খাবারের যোগান হবে।।

 

৪৮৯জন ৪৮৯জন
0 Shares

১৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ