দ্বন্দ্বযুক্ত সম্পর্ক

নীলাঞ্জনা নীলা ২ আগস্ট ২০১৫, রবিবার, ০৬:৫১:২৫পূর্বাহ্ন বিবিধ ৩৫ মন্তব্য
সম্পর্কের ব্যবচ্ছেদ...
সম্পর্কের ব্যবচ্ছেদ

কি অস্থিরতা কাজ করতো জানতে,
কেমন তোমার দৈনন্দিন জীবন।
কেমন তোমার রাত্রি থেকে সকাল?

যে আয়না প্রথম সকালে তোমার মুখ দেখে গর্বিত হয়,
যে হেয়ার ব্রাশে তোমার এক/দুটো চুল গেঁথে থাকে।
যে টুথব্রাশটা তোমার ঠোঁট-মুখ ছোঁয়।
স্নানের সময় জলের ধারায় তোমার চোখের পলক কিভাবে নাচে;
সকালে কফির কাপে চুমুক দিতে গিয়ে ওই ঠোঁট কতোটুকু সঙ্কুচিত হয়।

যে হ্যাঙ্গারে ঝুলে থাকে তোমার পোষাক,
আলমারি জুড়ে তোমার শরীরের গন্ধ,
অনুভব করার কতো ইচ্ছে ছিলো।
জুতোর র‍্যাকে সাজিয়ে রাখা হরেক রকম ফ্যাশন,
রেডি হয়ে আঙুলগুলো ঘুরিয়ে দরোজার যে লক খুলে বের হও,
তখন তোমার কেমন থাকে মুখটা?

সারাটি দিনের ছুটোছুটির পর সন্ধ্যের সময় যখন একান্ত নীড়ে ফিরে আসো,
এসে ক্লান্তি দূর করতে পা ছড়িয়ে, শরীর এলিয়ে দাও সোফায় কিংবা রকিং চেয়ারে;
তারপর উঠে মুখে জলের ঝাপটা দাও,
তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুখ মুঁছে রাতের পোষাক পড়ে
খাবার টেবিলে এসে বসো।
তিনটি আঙুল নাকি কাঁটাচামচ(জানিনা সেও, দ্বিধা-দ্বন্দ্ব)
কিভাবে খাবারগুলোকে গুছিয়ে এনে তোমার ক্ষুধার্ত পাকস্থলীকে শান্ত করে,
হায়রে পাগলামী।

শয্যাকে আলিঙ্গন করার আগে ব্যালকনিতে গিয়ে আকাশের দিকে চেয়ে আমায় ভেবে
তোমার আবেগের স্পন্দন কতোটা ওঠানামা করে,
এসব দেখার জন্যে কতো কতো স্বপ্নর জন্ম যে হয়েছিলো।
আহা কিসব পাগলামী চাওয়া!

এসব জানতে-দেখতে ঠিকানা লাগে।
অস্থিরভাবে খুঁজেছি তোমার ঠিকানা, ফোন নাম্বার।
আজ ওসব সবই আছে,
তোমার ঠিকানার দরোজায় আজ আমার প্রবেশ নিষেধ,
তোমার ফোনে এখন সীমাবদ্ধতার কথোপকথন।

কি অদ্ভূত এক জীবন আমার!
সব পেয়েও কিছুই নেই,
তোমার স্পন্দনে আমি নেই,
তোমার আবেগে কেবল মানবিকতা কাজ করে আমার জন্যে।
তবুও জানো কিছু একটা আছে এখনও, যার কোনো নাম আমার জানা নেই।

হ্যামিল্টন, কানাডা
২৬ মে, ২০১৫ ইং।

৫৩৭জন ৫৩৭জন
0 Shares

৩৫টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ